Monday, April 17, 2023

চার শতাব্দী পুরোনো মসজিদ : বরুণা বড়ো জামে মসজিদ

হাবীব হুবায়বী

মসজিদ হলো আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও পবিত্র জায়গা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়সহ মুসলমানরা মসজিদে বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি, যিকির আযকার করে থাকেন। মসজিদ যে শুধু ইবাদতের জায়গা— এমন নয়, এটি ইসলামি সমাজের একটি প্রতিচ্ছবিও। তাছাড়া প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর মসজিদগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ইসলামি ঐতিহ্য বহন করে আসছে। এমনই একটি প্রাচীন মসজিদ হলো বরুণা মসজিদ। ঐতিহাসিক স্থাপত্যে নির্মিত চারশো বছরের পুরোনো ‘বরুণা বড়ো জামে মসজিদ’।

অবস্থা ও অবস্থান

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুণা গ্রামে অবস্থিত এই মসজিদটির নাম ‘বরুণা বড়ো জামে মসজিদ’। প্রায় ষাট শতাংশ জায়গায় নির্মিত মসজিদটির উপরে তিনটি দৃষ্টিনন্দন গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজ ছাড়াও এর বিভিন্ন দিকের কারুকাজ দর্শনার্থীদের মন কাড়ে। এই স্থাপত্যের অবকাঠামো নির্মাণে পোড়ামাটি, চুন ও ইট ব্যবহার করা হয়েছে। বারান্দায় কাঠের উপর টিনের ছাউনি— যা মূল ভবনের সঙ্গে পরবর্তীতে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুসল্লিরা। অবাক করা বিষয় হলো— মসজিদটি নির্মাণে কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য ফাতেহকে জানান, এই মসজিদটিতে কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি। মসজিদটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট, আর দেয়াল ৩-৪ ফুট প্রশস্ত। পুরোটাই চুন-সুরকি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন— ‘ভিতরে কুরআন শরিফ রাখার কয়েকটি খোপও রয়েছে। রয়েছে মোমবাতি রাখারও খোপ। প্রত্যেক গম্বুজের ভিতরে গোল অংশে নান্দনিক কারুকাজ। তাছাড়া গম্বুজের উপরের অংশ বেশ বড়, যা এখন সবুজ রং করে রাখা হয়েছে।

স্থাপত্যকাল

এটি কতো আগের মসজিদ? কেই বা নির্মাণ করলেন? এর কোনো সঠিক তথ্য স্থানীয়দের কাছে নেই। তবে মসজিদের প্রধান ফটকে আবছা করে একটি সন লেখা রয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায়, ১৫৯৩ ঈসায়ি সনে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। এলাকার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র রায়হান রাহিমী ফাতেহকে বলেন— ‘এই মসজিদটির স্থাপত্য সম্পর্কিত সঠিক কোনো তথ্য আজ অবদি পাওয়া যায়নি। কিন্তু অনেকেই ধারণা করেন মসজিদটি গায়েবি। যা আদৌ সত্য নয়।’ তিনি জানান, এরশাদ সরকারের আমলে একজন প্রকৌশলী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন, আনুমানিক চারশো বছর পূর্বে মসজিদটি স্থাপিত হয়। রায়হান ফাতেহকে বলেন— ‘মসজিদটি এখনো অনেক মজবুত। প্রায়ই দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ছুটে আসেন।’

ভেতরে এসি না থাকলেও গরম নেই একটুও

চার শতাব্দি পুরোনো এই মসজিদটিতে প্রবেশের জন্য তিনটি দরজা, উভয় পাশে দুটি জানালা রয়েছে। এখানে প্রায় সাতশো জন মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। বিগত আট-নয় বছর পূর্বে মসজিদের সামনের প্রাচীর এবং প্রাচীরের উপরে থাকা মিনারটি ভেঙে পড়ে। অতঃপর ২০১৬ সালে প্রবেশপথে মসজিদ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রায় পঞ্চাশ ফুট লম্বা নয়নাভিরাম মিনার নির্মাণ করা হয়। তাছাড়া সামনের প্রাচীর সরিয়ে সেখানে মসজিদ থেকে একই বাউন্ডারিতে স্থাপিত হয়েছে ঈদগাহ মাঠ। যেখানে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মুসল্লি একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। চারশো বছর পূর্বের পুরোনো এই মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে কেমন লাগে? প্রশ্ন করলে একজন মুসল্লি বলেন— ‘মসজিদের ভেতর সব সময় ঠান্ডা থাকে। ভেতরে কোনো এসি না থাকলেও এমন মনে হয় যে এসির নিচে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি।’

The post চার শতাব্দী পুরোনো মসজিদ : বরুণা বড়ো জামে মসজিদ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%80-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a6/

Sunday, April 9, 2023

যেমন ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরী

যুবাইর ইসহাক

অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সাবেক মহাপরিচালক। লেখাপড়া করেছেন কওমি ও জেনারেল ধারায়। শিক্ষকতাও করেছেন উভয় ধারাতেই। এক বর্ণাট্য জীবন শেষে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ গত শুক্রবার সাত এপ্রিল ইফতারের মুহূর্তে ইন্তেকাল করেন।

জন্ম

অধ্যাপক জোবায়ের আহমদ চৌধুরী ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শহরের শাহ মোস্তফা রোডস্থ বাসায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা আবদুর নূর। তিনি প্রখ্যাত আলেম ও শায়খে কৌড়িয়ার বিশিষ্ট খলিফা ছিলেন।
তার মাতা কারী রুহেলা খানম চৌধুরী।

শিক্ষা

অধ্যাপক জোবায়ের আহমদ পিতার কাছে ১৯৬৬ সালে মৌলভীবাজারের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
পরবর্তীতে ঢাকার আশরাফুল উলূম মাদরাসা, জামেয়া কুরআনিয়া লালবাগ মাদরাসা ও জামিয়া হোসাইনিয়া আরাবিয়া গহরপুর মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। ১৯৭২ সালে জামেয়া আনোয়ারুল উলুম বরুণা মাদরাসা থেকে ১ম স্থান অধিকার করে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি সোনামুড়ি আলিয়া মাদরাসা থেকে কামিল সমাপ্ত করেন।

কর্মজীবন

অধ্যাপক জোবায়ের আহমদ কর্মজীবনে বহু মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। লেখাপড়া সমাপ্ত করে, ১৯৭৩ সালে নেত্রকোনার মৌ মাদরাসার মধ্য দিয়ে তার শিক্ষকতা শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে মৌলভীবাজার ডিগ্রী কলেজে ইসলামিয়াত ও ইসলামিক হিস্ট্রি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৯০ সালে মৌলভীবাজার জামেয়া দ্বীনিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় অংশ নেন। তিনি সেখানে সদরুল মুহাদ্দীস ছিলেন। ১৯৯৫ সালে বর্ষিজোড়ায় হাফিজিয়া মদীনাতুল উলুম প্রতিষ্ঠা করেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এই মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি কমলগঞ্জের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হাদিস মুন্সিবাজারের শায়খুল হাদিস হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহকারি মহাপরিচলকের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৬ সালে বেফাকের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ হন, ২০২২ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনীতি

অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ ছাত্রজীবনে জমিয়তে তোলাবায়ে আরাবিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত খেলাফত মজলিসের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালের দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২১-২২ সেশনে দলের সিনিয়র আমির হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। ২০২৩ সালে খেলাফত মজলিসের আমির নির্বাচিত হন, আমৃত্যু এই দায়িত্ব পালন করেন।

পরিবার

অধ্যাপক জোবায়ের আহমদ চৌধুরী ১৯৭৬ সালে বর্ষিজোড়া টিলাবাড়ির ডা: মাওলানা আ.ফ.ম আবদুল বারীর কন্যার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফুফাতো বোনের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিবাহ হয়। সাংসারিক জীবনে তিনি চার ছেলে-তিন মেয়ের বাবা।

রচনা

মাওলানা জোবায়ের আহমদ ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে তাফসীর গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইফা থেকে প্রকাশিত তারযুমানুস সুন্নাহ ২য় খণ্ডের অনুবাদ করেন। তাছাড়া তিনি ইসলামী বিশ্বকোষের একজন অনুবাদ ও নিবন্ধকার ছিলেন।

কেমন ছিলেন তিনি

বেফাকের সহকারী মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ যোবায়ের ফাতেহকে জানান, ‘অধ্যাপক জোবায়ের আহমদ পরিচালক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। অফিসের সবগুলো শাখায় তার জানাশোনা ছিল। আমি তাকে অল্প দিন পেয়েছি। অফিসিয়াল কাজে তার মধ্যে দক্ষতার কোন ঘাটতি ছিল না।’

খেলাফত মজলিস মৌলভীবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জিয়া উদ্দীন ফাতেহকে বলেন, ‘মাওলানা জোবায়ের আহমদ ছিলেন বিচক্ষণ,শিক্ষাবিদ, নীতিতে অটল। কোনো অনিয়ম মেনে নিতে পারতেন না। তার জীবন যাপন ছিল খুব সহজ, স্বাভাবিক। সহজে তার সঙ্গে মেশা যেত। কোনো বিষয়ে আলোচনা করা যেত।সাংগঠনিক হিসেবে কর্মঠ, কর্মীবান্ধব ও আন্তরিক ছিলেন।

মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরীর ছাত্র মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ জানান, ‘আমাদের উস্তাদ সদালাপী ও আন্তরিক ছিলেন। সহজে আপন করে নিতেন যে কাউকে। শিক্ষক হিসেবে দক্ষ ও যোগ্য ছিলেন। তার প্রতিভা ছিল বহুমূখী, সফল সংগঠক, দক্ষ রাজনৈতিক ও যোগ্য শিক্ষক। তার আচরণে বংশীয় আভিজাত্য প্রকাশ পেত।’

মাওলানা জোবায়ের চৌধুরীর ছেলে ইমতিয়াজ আহমদ চৌধুরী মুরাদ ফাতেহকে বলেন, ‘আমাদের বাবা সদাসর্বদা দ্বীনের প্রতি উৎসর্গিত ছিলেন। হাদীস কীভাবে সহজে মানুষ বুঝতে পারে, এ চেষ্টা করেতেন। হাদীসের উপর একটি গবেষণাগ্রন্থ তৈরি করেছিলেন, যা প্রকাশ করে যেতে পারেন নি।

‘পিতা হিসেবে আমরা তাকে আদর্শবান পেয়েছি। তিনি আমাদেরকে ন্যায়পরায়ণতা, সত্যের উপর অটলতার শিক্ষা দিতেন। ব্যক্তিজীবনে প্রচারবিমুখ ছিলেন। বাসায় এলে আমাদের সময় দিতেন। দূরে থাকলেও নিয়মিত খোঁজ নিতেন।’

জানাজা ও দাফন

৮ এপ্রিল বিকেল তিনটায় মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরীর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে বর্ষিজোড়া টিলাবাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

The post যেমন ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%95-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a6%b2%e0%a6%be/

Wednesday, April 5, 2023

কেমন ছিলেন মুফতি নূর আহমদ

যুবাইর ইসহাক

মুফতি নূর আহমদ ছিলেন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস ও প্রধান মুফতি। তিনি মুফতি আযম ফয়জুল্লাহ ও মুফতি আহমাদুল হকের সাহচর্য পেয়েছেন। হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘ ৩৮ বছর। একটি কর্মব্যস্ত জীবন শেষে গত ৩১ মার্চ শুক্রবার ভোররাতে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে পাড়ি জমান।

জন্ম

মুফতি নূর আহমদ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চেছুরিয়া গ্রামের চৌধুরীপাড়ায় ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুস সামাদ ও মাতা আরেফা খাতুন।

লেখাপড়া 

মুফতি নূর আহমদ চার বছর বয়সে মাওলানা আবদুল মালেক রহ. -এর কাছে লেখাপড়ার হাতেখড়ি করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তের পর ১৩৭১ হিজরিতে হাটহাজারী মাদরাসায় ‘কানয’ জামাতে ভর্তি হন। হাটহাজারীতে তিনি ‘কানয’ জামাত থেকে ‘দাওরায়ে হাদীস’ পর্যন্ত লেখাপড়া করে। সেসময় মুফতি আযম ফয়জুল্লাহ, মুফতি আযমে সানি আহমদুল হকসহ প্রসিদ্ধ ও জ্ঞানী আলেমের কাছ থেকে ইলম অর্জন করেন। ১৯৬০ সালে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে তার দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত হয়।

কর্মজীবন

দাওরা ও তাফসির সমাপ্ত করে হাটহাজারী মাদরাসায় খেতমতের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। কর্মজীবনের পাশাপাশি তখন তিনি ইফতার তামরিনও করতেন।
১৯৬৪ সালে মুফতি ফয়জুল্লাহ নির্দেশে মাহমুদিয়া মদিনাতুল উলূম বাথুয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ২০ বছর বাথুয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৮৪ সালে পুনরায় হাটহাজারী মাদরাসায় মুফতি ও মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ হন। সে থেকে পরবর্তী ৩৮ বছর হাটহাজারীতে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন। এ সময় তিনি ফতোয়া বিভাগের প্রধান মুফতি, শিক্ষাসচিব, কোষাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

রচনা

মুফতি নূর আহমদ বিভিন্ন মাসয়ালার সমাধানের উপর অনেক ফতোয়া লিখেছেন। তাছাড়া সমকালীন অনেক ভ্রান্ত মতবাদ ও ধর্মীয় বিভিন্ন প্রসঙ্গে প্রায় ত্রিশটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। উর্দু ভাষায় ছয়খণ্ডে সংকলিত ফতোয়া সমগ্র ‘আশরাফুল ফতাওয়া’ তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

পরিবার

মুফতি নূর আহমদ মাহমুদিয়া মদিনাতুল উলূম বাথুয়া মাদরাসায় শিক্ষক থাকাকালীন হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা হামেদ রহ.-এর মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের পরিবারে ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।

কেমন ছিলেন তিনি

মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেন, ‘হুজুর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত শব্দ বলা সম্ভব নয়। তিনি সাধাসিধে দরবেশী জীবন যাপন করেছেন। জ্ঞানে তার গভীরতা ছিল। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত একনিষ্ঠ।’

মুফতি নূর আহমদের ছেলে মাওলানা মঞ্জুর আহমদ জানান, ‘আব্বা প্রচুর ব্যস্ততার ভেতরেও পরিবারকে সময় দিতেন। ছেলেমেয়েদের শাসনের প্রয়োজন হলে হেকমতে বুঝাতেন। তিনি সরল মানুষ ছিলেন, মনে হিংসা-বিদ্বেষ ছিল না। সবসময় আত্মীয়স্জবনের খোঁজ নিতেন। ছুটিতে গ্রামে গেলে সহজে সবার সঙ্গে মিশতেন।
সাধারণত তার তাহাজ্জুত ছুটতো না। শেষের তিন বছর খুব অসুস্থ ছিলেন। এই অসুস্থতার ভেতরও তাহাজ্জুদ ও সুন্নতের প্রতি যত্মবান ছিলেন তিনি।’

হাটহাজারী মাদরাসার ইফতার ছাত্র মাওলানা আবদুর রহমান জানান, ‘হুজুর শেষদিকে এসে খুব বেশি ক্লাস নিতে পারেন নি। আমরা তার রুমে গিয়ে দরস করতাম। তিনি বাহরুল উলুম নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। উর্দুতে দরস দিতেন। তার দরস কেবল কিতাবে সীমাবদ্ধ থাকতো না। বরং পাশাপাশি অনেক প্রসঙ্গিত আলোচনা করতেন। আমল আখলাকের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন।’

মুফতি নূর আহমদ অসংখ্য ছাত্র ও ভক্ত রেখে গেছেন। শুক্রবার বাদ আসর হাটহাজারী মাদরাসার মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ হাটহাজারী মাদরাসার কবরস্থান ‘মাকবারায়ে জামেয়ায়’ দাফন করা হয়।

The post কেমন ছিলেন মুফতি নূর আহমদ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a6%a6/

Friday, March 24, 2023

হুমকির মুখে মুসলমানদের প্রথম পাঠশালা : হারিয়ে যাচ্ছে মক্তবের ঐতিহ্য

হাবীব হুবায়বী

ন্যূনতম দ্বীনের জ্ঞান রাখেন এমন ব্যক্তিকে যদি প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে ‘কুরআন শেখার প্রাথমিক পাঠশালা কোনটি?’ নিশ্চয়ই তিনি উত্তর দেবেন, ‘সকালের মক্তব’। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের সহিহ শুদ্ধ করে কুরআন তেলাওয়াত শেখার পাশাপাশি শরিয়তের মৌলিক বিষয়াদি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভের কারখানা হলো ভোরের এই পাঠশালা।

মক্তবের গুরুত্ব

মক্তব থেকে শিশুরা নামাজ রোজার নিয়ম-কানুন, হালাল হারামের ভেদাভেদ, শরিয়তের জরুরি মাসায়িল এবং বিভিন্ন দুয়া কালাম শিখতে পারে। নিকট অতীতেও বাংলার প্রায় প্রতিটি পাড়ামহল্লায় সবাহি মক্তবের ব্যাপক চর্চা ছিল। বাংলার পথে-ঘাটে ভোরের পাখিদের সঙ্গে মক্তবগামী কুরআনের পাখিদের দেখা মিলত। মসজিদের মুসল্লায় বসে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে তারা জপত— বা, অর্ধ বা, যুক্ত বা…

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য ধারা

দুঃখের বিষয় হলো, ধর্মীয় ঐতিহ্যের ধারক ভোর সকালের এসব মক্তব ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক মসজিদে এমনিতেই মক্তবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো মসজিদে যা-ও চালু আছে, সেগুলোতেও আগের মতো জৌলুশ নেই। শিশুদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। নামেমাত্র চলছে সেগুলো। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অবেহলাসহ নানান কারণ উল্লেখ করেছেন মসজিদের ইমাম সাহেবগণ। ফাতেহের কাছে তুলে ধরেছেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা।

মক্তব কেন জৌলুস হারাচ্ছে?

একসময় মসজিদে মক্তব পড়তে আসত শত-শত ছাত্র, আধুনিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর কারণে আজ সেই মসজিদের বারান্দায় দু-চারজন শিশু রেহাল নিয়ে বসে আছে। চিত্রটি বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গল শহরের একটি মসজিদের। মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রব ফাতেহকে জানান, ‘গত সাত আট বছর আগেও মসজিদের বারান্দায় ছাত্রদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হতো না। ছাত্র সংকুলানের জন্য বাইরে কার্পেট বিছানো লাগত। কিন্তু বিগত চার পাঁচ বছরে ছাত্র সংখ্যা কমতে কমতে এই আটজনে এসে ঠেকেছে।’

মাওলানা আব্দুর রব বিগত দেড় যুগ ধরে এই মসজিদে ইমামতি করছেন। পাশাপাশি একটি এতিমখানার দায়িত্বে আছেন তিনি। দিনদিন বাচ্চাদের মক্তববিমুখ হওয়ার পেছনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন— ‘বাচ্চাদেরকে আধুনিক করতে অভিভাবকদের বেপরোয়া অভিপ্রায়ই মূলত এর জন্য দায়ী। যে বাচ্চার ঘুম থেকে উঠে মক্তবে আসার কথা ছিল, তাকে তারা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পাঠাচ্ছেন। সুতরাং সে মক্তববিমুখ হবে, এটা তো স্বাভাবিক।’

দায়ী স্কুলের মর্নিং শিফটও

মাওলানা আব্দুর রব মনে করেন— কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে মর্নিং শিফট চালু হওয়ার পর থেকেই মক্তবগুলো জৌলুশ হারাচ্ছে। শিশুরা ধর্মীয় প্রয়োজনীয় ইলম-কালাম শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে শিশু ঘুম থেকে উঠে নিজে অজু করে মক্তবে যেত, তাকে জোর করে ঘুম থেকে তোলে গোছগাছ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্কুলে। শিশিরভেজা মেঠোপথ অথবা ধুলিউড়া সড়ক মাড়িয়ে এখন কেউ মক্তবে যায় না, কথা বলতে শেখার আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্কুলে। বাচ্চাদের বুকে দ্বীনি জ্ঞান প্রবেশের আর সুযোগ হয়ে ওঠে না।

অভিভাবকদের অবহেলা

ফাতেহের প্রতিনিধি শ্রীমঙ্গল শহরের আরো কয়েকটি মসজিদ পর্যবেক্ষণ করেন। হবিগঞ্জ রোডস্থ অনেকগুলো মসজিদ থেকে সাবাহি মক্তবের প্রচলন উঠে গেছে। অভিভাবকদের অবহেলার কারণে মসজিদের ইমাম সাহেবরা এখন মক্তবে কুরআন পড়ানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলে উল্লেখ করেছেন শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ রোডস্থ পিজিসিবি মসজিদের ইমাম। তিনি ফাতেহকে জানান, সকালের মক্তবে একজন দুজন ছাত্র আসে, তা-ও কোনোদিন আসে না। হুজুরকে বসে থাকতে হয়।

মক্তবে ছাত্র আসে না বা আসতে চায় না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন— ‘বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এখন অভিভাবকেরা কঁচিকাঁচা শিশুদের মক্তবে পাঠাতে চান না। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের স্কুলের কোচিং অথবা ক্লাসের সময় হয়ে যায়, ফলে তার আর মক্তব পড়া হয় না।’

মক্তব হারালে ক্ষতি কী?

শুভ্র-শান্ত সকালটাকে গিলে ফেলেছে আধুনিক শিক্ষার নামে নানান প্রতিষ্ঠান। দ্বীনি ঐতিহ্যবাহী প্রাক প্রাথমিক এ পাঠশালাগুলো যদি এভাবে হারিয়ে যেতে থাকে, তাহলে ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষার ঐতিহ্যগত প্রতিষ্ঠান চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে মাওলানা আব্দুর রব বলেন, ‘যদি মক্তব এভাবে তার জৌলুশ হারাতে থাকে, তাহলে এর প্রভাবে মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞানশূন্য একটি বিশাল জনগোষ্ঠী তৈরী হবে।’

দ্বীনের সামান্যতম জ্ঞান না থাকায় একসময় মুসলিম ছেলেমেয়েরা ঈমান হারাও হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এই সংকট থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে চাইলে এই ইমাম বলেন— ‘সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, দায়িত্ববান অভিভাবকদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রভাতি মক্তবগুলো জমজমাট রাখার ব্যবস্থা করা। এবং যেই মক্তবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোও চালু করা। পাড়ায় পাড়ায় নতুন নতুন সাবাহি মক্তব প্রতিষ্ঠা করা।’

বঙ্গ দেশে ইসলাম ওলী-দরবেশদের মাধ্যমে এলেও ইসলামের প্রচার প্রসারের ক্ষেত্রে মক্তব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ তৈরীর জন্য মক্তব চালু করার বিকল্প নেই। নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে গড়ে তোলার পেছনে মক্তব শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সহজেই সুহ্রদয় দিয়ে সকল প্রতিবন্ধকতার সহজ সমাধান করে মক্তবগুলো আবার আমরা চালু করতে পারি। এতে সমাজের সকল শ্রেণীর শিশুদের জন্য দ্বীনি শিক্ষার বুনিয়াদ গড়ে ওঠবে। আবারও পাড়ামহল্লায় ছোট ছোট শিশুর কন্ঠে কুরআনের ধ্বনি উচ্চারিত হবে। তারা পাবে একটি সুন্দর দ্বীনি পরিবেশ। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত। মক্তব বেঁচে থেকে বাঁচিয়ে দেবে আমাদের ঈমান, আদর্শ, আত্মগৌরব।

The post হুমকির মুখে মুসলমানদের প্রথম পাঠশালা : হারিয়ে যাচ্ছে মক্তবের ঐতিহ্য appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa/

Sunday, March 19, 2023

রমজানে তারাবি পাচ্ছেন না হাফেজগণ

যুবাইর ইসহাক

দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। এ সময়ে অন্যদের মতো হাফেজদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। তাদের অনেকে তারাবির জন্য মসজিদ ঠিক করছেন, তারাবির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  রমজানের তারাবি হাফেজদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। তারাবির মাধ্যমে হাফেজরা সারা বছরের তেলাওয়াতের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠেন।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক হাফেজ তারাবি পাচ্ছেন না। আগে তারাবি পড়ালেও বর্তমানে তারাবির বাইরে থেকে যাচ্ছেন তারা। হাফেজদের তুলনায় পর্যাপ্ত মসজিদে খতমে তারাবি না হওয়ার পাশাপাশি স্বজনপ্রীতিসহ নানান কারণ উল্লেখ করেছেন হাফেজগণ। ফাতেহের কাছে তুলে ধরেছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।


কেন তারাবি হচ্ছে না?

হাফেজ মাওলানা মামনূন মারজান। বর্তমানে কওমি ধারার উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। হিফজ শেষ করেছেন ১২ বছর আগে। এরপর থেকে নিয়মিত খতমে তারাবি পড়িয়ে আসছিলেন। কিন্তু দুই হাজার বিশ ও বাইশ সালে তার তারাবির পড়ানো হয় নি। এবার এখনো তারাবির ব্যাপারে নিশ্চিত নন।

তারাবি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি ফাতেহকে জানান, ‘আমাদের দেশে এখন হাফেজের সংখ্যা অনেক। প্রতি বছর নতুন অনেকে হিফজ শেষ করে বের হচ্ছেন। কিন্তু সে অনুপাতে মসজিদগুলোতে খতমে তারাবি হচ্ছে না। বিশেষ করে, করোনার পর সে সংখ্যা আরো কমে গেছে। আগে অনেক জামে মসজিদে খতমে তারাবি হলেও এখন তারা নিজেদের ইমাম দিয়ে সুরা তারাবি আদায় করেন।’

মামনূন মারজান সহজে তারাবির না পাওয়ার ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ‘ অনেক মসজিদে কমিটির  প্রভাবশালীরা নিজেদের পরিচিত হাফেজ রাখতে চান। কখনো এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয়। ফলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থেকে বাঁচতে খতমে তারাবি বন্ধ হয়ে যায়।’

হাফেজ মাওলানা উবায়দুল্লাহ তাসনিম প্রতি বছর নতুন হাফেজ বের হচ্ছে, একে ইতিবাচক চিত্র হিসেবেই দেখেন। তবে তাদের তারাবি না হওয়ার পেছনে স্বজনপ্রীতিকে উল্লেখ করেন। তার মতে, তারাবি দিন দিন চাকরির বাজারের মতো হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজন না থাকলে যেমন চাকরি হয় না, এখন দেখা যাচ্ছে, আত্মীয়-স্বজন না থাকলে তারাবিও হয় না।’  বিপরীতে যাদের হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সাপোর্টার অথবা আত্মীয়স্বজনের সুবাদে সুযোগ মিলছে।  মানে, ব্যাপারটা পুরো চাকরির বাজারে পরিণত হয়েছে।’ 

হাফেজ মাওলানা ফয়সল আহমদ হাফেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি মসজিদের নিয়মিত ইমাম ও মুসল্লিদের অনীহার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক ইমাম সাহেব মসজিদে খতমে তারাবি চান না। এতে রমজানে তার সুযোগ কমে যায়। অবশ্য এ সংখ্যা নগন্য। পাশাপাশি অনেক মসজিদে বৃদ্ধ মুসল্লিদের কথা ভেবে খতমে তারাবির আয়োজন করা হয় না। আবার কোনো কোনো দরিদ্র এলাকায় মুসল্লিগণের জন্য হাদিয়া দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই তারা খতমে তারাবি পড়তে চান না।’

হাফেজ জাকির সোহরাব হাফেজের আধিক্যতা ও স্বজনপ্রীতির পাশাপাশি কমিটির চাহিদার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কমিটির চাহিদা থাকে বেশি। দেখা যায়, বর্তমানে খুব ছোটবেলায় ছাত্ররা হিফজে ভর্তি হয়ে দশবারো বা তারচেয়েও কম বয়সে হাফিজ হয়ে যায়। এ বয়সে দাড়ি না থাকা বা গায়েগতরে একটু কমজোর হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এটা কমিটির প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।”হাফিজ সাহেব তো ছোট! দাড়ি নেই। পড়াতে পারবেন তো?” তারা আরো নানান যুক্তি দেখান।’

তারাবি না পড়ানোর ক্ষতি 

মাওলানা মারজান মনে করেন, তারাবি পড়ানোর ফলে সারা বছর নিয়মিত তেলাওয়াত না করায় যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়, সেটা কাটিয়ে উঠা যায়। তারাবির জন্য প্রস্তুতি নিলে হিফজের দুর্বলতা কেটে যায়। বিপরীতে তারাবি না হলে  সে সুযোগ হয়ে উঠে না। ফলে হিফজ দুর্বল হতে থাকে। 

উবায়দুল্লাহ তাসনিম বলেন, ‘সবচে’ বড় সমস্যা আমার কাছে যা মনে হয়, তারাবি না হওয়ায় আমরা কুরআন নাজিলের মহিমান্বিত মাসেও কুরআন তিলাওয়াতের সাথে জুড়তে পারি না।  আলসেমি বা দুনিয়ার নানা জঞ্জালে পড়ে বলতে গেলে সারা বছর আমাদের কুরআন তিলাওয়াতের সাথে সম্পৃক্ততা থাকে না। রমজানই যা ভরসা। দেখা যায়, তারাবি না হলে এ মাসেও খুব একটা তেলাওয়াত হয় না’

ফয়সল আহমদ তেলাওয়াতের ঘাটতির পাশাপাশি সামাজিক তাচ্ছিল্যের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় যে হাফেজ সাহেবদের তারাবি হয় না, তাদেরকে সমাজে কিছুটা ছোট করে দেখেন।’

জাকির সোহরাবের মতে, ‘ মুখস্থ শক্তির হ্রাস পায়, এটি প্রধান সমস্যা। এক বছর তারাবি না পড়ালে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়, তা পরবর্তী বছর তারাবি পড়াতে গেলে বুঝা যায়। হিফজ শেষ করে হাফিজ সাহেবরা কেউ কেউ কিতাব বিভাগে অধ্যায়নে যান। কেউ কেউ অন্যান্য পেশায় নিজেকে জড়িয়ে নেন। এ কারণে কোরআন শরিফের পেছনে প্রয়োজন অনুযায়ী মেহনত করা হয় না। এছাড়া তারাবি না হলে আশেপাশের লোকদের খোঁচানো, কটু কথায় রীতিমতো মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’

সমাধান কি সম্ভব? 

মামনূন মারজান মনে করেন, প্রত্যেক জামে মসজিদে যথাসম্ভব খতমে তারাবির আয়োজন করতে হবে। যেসব মসজিদে হাদিয়ার কারণে তারাবি হয় না, সেক্ষেত্রে তিনি হাফেজদের অর্থনৈতিক মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার কথা বলেন। হাফেজ নিয়োগে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, তিনি এ বিষয়েও জোর দেন।

ফয়সল আহমদ বলছেন, তারাবির ক্ষেত্রে দুয়েকজন হাফেজ নির্ধারণ না করে তিনচার জন হাফেজ নিয়োগ দিলে তারাবি না পাওয়া হাফেজের সংখ্যা অনেক কমে আসবে। তাছাড়া যে এলাকায় হাদিয়ার জটিলতায় তারাবি হচ্ছে না, তারা যদি আগে বলে হাদিয়া ছাড়া পড়াতে রাজি এমন হাফেজ নিয়োগ নেন, তাহলে সেখানেও তারাবি আয়োজন সম্ভব। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটির মধ্যে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।

তারাবির বাইরে থাকা হাফেজগণ তারাবিতে ফিরতে চান। তারা রমজান মাসে নিজেকে কুরআন তেলাওয়াত ও কুরআনের খেতমতে ব্যস্ত রাখতে আগ্রহী। তারাবি না হলে হাফেজরা ভুগেন নানাবিধ সামাজিক-ব্যক্তিগত জটিলতায়।

The post রমজানে তারাবি পাচ্ছেন না হাফেজগণ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%be/

Thursday, March 9, 2023

কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্রের ধরন বদলেছে

রাকিবুল হাসান নাঈম:

বেফাক এবং হাইয়াতুল উলয়ার চলতি বছরের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পরিবর্তন এসেছে। কয়েকজন শিক্ষক ফাতেহকে জানিয়েছেন, এবারের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্রের ধরণ বদলেছে। যারা গাইডনির্ভর পড়াশোনা করেছে, তারা ভালো করতে পারছে না। বরং যারা মুল কিতাব ভালো করে পড়েছে, তারাই ভালো করছে।

বেফাক এবং হাইয়ার উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলরা বলছেন, এই পরিবর্তন সচেতনভাবেই করা হয়েছে। ছাত্রদের গাইডমুখী প্রবণতা কমাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় পটিয়ার মাদরাসার সহকারী মুফতি যুবাইর হানিফের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘কওমি সনদ প্রবর্তিত হবার পর থেকেই গাইড প্রবণতা বেড়েছিল। এ প্রবণতা তৈরী করে দিয়েছে আল ফাতাহ’র মতো কিছু আধুনিক প্রকাশনী। তারা বিগত বছরের সব প্রশ্ন এবং উত্তরের বই করে ছড়িয়ে দেয়। ফলে এটার প্রভাব বেশ প্রকট হয়ে উঠে। গত বছর যখন এক মাদরাসায় হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষা নিতে যাই, তখন দেখি পরীক্ষার আগেই ছাত্ররা তাদের মূল কিতাব লাইব্রেরীতে জমা দিয়ে কেবল গাইড নিয়ে বসে আছে। ভাষাভাষা দৃষ্টিতেও কিতাব দেখে না। অমাদের মাঝে বারবার আলোচনা হতো, কিভাবে ছাত্রদেরকে গাইডবিমুখ করা যায়। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোতে ছাত্রদেরকে গাইডবিমুখ করার একটা প্রচেষ্টা দেখা গেছে।’

সেই প্রচেষ্টা কেমন জানতে চাইলে মুফতি যুবাইর হানিফ বলেন, ‘আগে হাইয়াতুল উলয়ার প্রশ্নে থাকতো, ‘হরকত যুক্ত করো এবং তরজমা করো।’ কিন্তু এখন কেবল এতটুকুই বলা হয় না। বরং তরজমাকৃত আরবি অংশের দুএকটি শব্দ উল্লেখ করে সেগুলোর ব্যাখ্যা এবং উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া হয়। প্রতিটি প্রশ্নে এমন কিছু অংশ যুক্ত করা হয়, মূল কিতাব পড়া না থাকলে সেগুলোর উত্তর দিতে পারবে না কেউ। খানিকটা সৃজনশীল প্রশ্নের মতো। হয়ত উত্তরটা কোনো হাশিয়াতে ছিল, কিংবা আরবি মূল মতনে ছিল। কিন্তু গাইডে তো ভাষাভাষা উত্তর দেয়া থাক। কোনো জিনিসকে গভীর করে বোঝানো হয় না। তাই গাইড পড়ে এবার যারা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, তারা সমস্যায় পড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাইয়াতুল উলয়া যে প্রচেষ্টা করছে, তা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি, এর মাধ্যমে ছাত্ররা গাইড ছেড়ে কিতাবমুখী হবে। কারণ, যে সহজ ও সংক্ষিপ্ত উত্তরগুলো চাওয়া হচ্ছে, তা কেবল কিতাব পড়লেই পাওয়া যাবে। গাইড পড়ে পাওয়া যাবে না।’

এ প্রসঙ্গে কথা হয় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহকারী পরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমাদের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘এবারের প্রশ্নগুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন, যারা গাইড নির্ভর পড়াশোনা করেছে, তারা আটকে যাচ্ছে। তারা লিখতে পারছে না। আমরা এবার প্রশ্নপত্রের ধরণ বদলে দিয়েছি। ফলে মূল বই না পড়ে পরীক্ষায় বসলে সে লিখতে পারবে না। সামনে এটা আরও পরিবর্তন হবে।’

ছাত্রদের অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম পরীক্ষা যাবার পর এক ছাত্রের বাবা ফোন দিয়েছে আমাকে। বাবা বলছে, তার ছেলে পরীক্ষা দিতে ভয় করছে। কারণ, প্রশ্ন তো গাইড থেকে করা হচ্ছে না। আমি তাকে বললাম, ছেলেকে গাইড না পড়ে কিতাব পড়তেদ বলবেন, তাহলে এ সমস্যায় পড়তে হবে না।’

কওমি মাদরাসায় গাইড প্রবণতার কথা উল্লেখ করে মাওলানা যুবায়ের আহমাদ বলেন, ‘একটা সময় গাইড-নোট ছিল স্কুল-আলিয়ার নিদর্শন। আমরা ভাবতাম, এগুলো পড়েদে কেবলে স্কুল-কলেজ এবং আলিয়া মাদরাসার ছাত্ররা। কিন্তু এখন এই প্রবণতা কওমি মাদরাসাতেও ঢুকেছে। ফলে সেটাকে বের করা দরকার। তাই মুরুব্বিরা প্রশ্নপত্রে পরিবর্তন এনেছেন। আশা করি, এতে ভালো ফল আসবে।’

The post কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্রের ধরন বদলেছে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%b0/

Wednesday, March 8, 2023

বধিরদের কুরআন শেখায় যে মাদরাসা

রাকিবুল হাসান নাঈম:

দুটি রুমে শ খানেক ছাত্র। কিন্তু পুরো রুমজুড়ে নীরবতা। কোথাও কোনো শব্দ নেই। টিকটিকি ডাক দিলে সে শব্দও শোনা যায়। তাদের কেউ কুরআন পড়ছে, কেউ অংক করছে, কেউ দোয়া-কালামের বই পড়ছে। নীরবতার কারণ—তারা সবাই বধির এবং বোবা। তাদের মুখে যেমন বোল নেই, কানে নেই শ্রবণশক্তি। তারা আঙুলের ইশারায় কুরআন পড়ছে, অংক করছে, দোয়া মুখস্থ করছে।

দৃশ্যটি রাজধানীর মাতুয়াইলে অবস্থিত আল নূর এডুকেশন কমপ্লেক্সের দ্বীনিয়াত বধির মাদরসার। এর প্রতিষ্ঠাতা মুফতি সালমান আহমাদ জানালেন, ‘এখানে প্রায় শ খানেক বধির ও বোবা পড়াশোনা করে। তারা যেমন কুরআন হেফজ করছে, তেমনি দোয়া-কালাম মুখস্থ করছে। পড়ছে বাংলা-অংক-ইংরেজিও।’

মাদরাসাটিতে বিভিন্ন বয়সের ছাত্র রয়েছে। কেউ নতুন, কেউ পুরাতন। তারা কথা বলতে পারে না। কথা শুনতে পারে না। তবে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তাদের মুখের ভাঁজে ফুটে উঠে কথা বলতে না পারার দুঃখ, কথা শুনতে না পারার বেদনা। কিন্তু এতসব অক্ষমতা ও শারীরীক বাধা সত্ত্বেও তারা কুরআন হেফজ করতে এসেছে। তিনজন শিক্ষক সবসময় তাদের তদারকি করেন। শিক্ষকদেরও কথা বলতে হয় মূক ভাষায়।

তারা মুখস্থ করে কিভাবে? জানতে চাইলে মুফতি সালমান আহমাদ ছাত্রদের কাছে নিয়ে গেলেন। ছাত্ররা কুরাআন পড়ে শোনালো। মুখস্থ হাদিস শোনালো। নামাজে কিভাবে কেরাত পড়ে, দেখালো। সবকিছুই করছে তারা ইঙ্গিতে। মুখের বদলে ব্যবহার হচ্ছে দুই হাত। শিক্ষকদেরও পড়াতে হয় ইঙ্গিতে।

দ্বিতীয় বর্ষে পা রেখেছে এই বধির মাদরাসা। ইতোমধ্যে ১৫ জন বধির দুতিনবার করে কুরআন খতম করেছে। এখানের প্রায় সব ছাত্রই ১০টি করে সুরা মুখস্থ পারে। দোয়া-কালাম মুখস্থ পারে। মুখস্থ পারে ২০ করে হাদিস। এখানে বাংলা-অংক-ইংরেজি পড়ানো হয় স্কুলের সিলেবাসে।

এখানে যারা পড়তে আসে, তাদের সবাই নিম্নবিত্ত পরিবারের। তাই তাদের মাসিক পুরো খরচ বহন করেন মুফতি সালমান আহমাদ। সবাই যখন প্রাইভেট মাদরাসা খুলছে, তখন বধিরদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে কিভাবে হলো? মুফতি সালমান আহমাদ বললেন, ‘দ্বীনিয়াত কোর্সের মাধ্যমে শুরু থেকেই চেষ্টা করছি জেনারেল সমন্বয়ে প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষাটা যেন সবাই পায়। আমাদের সুষ্ঠু পরিমার্জিত এবং পরিকল্পিত একটা সিলেবাসও আছে। পুরো বাংলাদেশেই এটা কয়েক হাজার কেন্দ্রে চলছে। এখানে শিশুদের জন্য যেমন সিলেবাস রয়েছে, তেমনি বড়দের জন্যও সিলেবাস রয়েছে। সব স্তরের মানুষকে নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বধিরদের নিয়ে কাজ শুরু করা।’

তিনি বলেন, ‘সবাই মেধাবীদের নিয়ে কাজ করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লক্ষ বধির রয়েছে, যারা শারীরীক সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে, কথা বলতে পারে না, কথা শুনতে পারে না। দেখা যাচ্ছে, তারা সব কাজ করতে পারে, কিন্তু অজুর নিয়মটা জানে না। গোসলের ফরজটা জানে না। যেহেতু আমরা সমাজের শতভাগ মানুষের কাছে ধর্মীয় শিক্ষাটা পৌঁছতে চাই, তাই বধিরদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি।তারাও তো শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষিত হতে পারে। সমাজের বোঝা কমাতে পারে।’

বধিরদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা কী? জানতে চাইলে মুফতি সালমান আহমাদ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। তবে তারা যেহেতু শুনতে পায় না, কথা বলতে পারে না, তারা অনেক সময় অনেক কিছু বুঝতে চায় না। তাদের সামলে রাখতে হয়। আমাদের শ্রম বেশি দিতে হয়। তবে দিনশেষে তারা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা পাচ্ছে, এটাই সবচেয়ে আনন্দের।’

মুফতি সালমান আহমাদ আরও বলেন, ‘কারও সন্ধানে যদি এমন কোনো বধির থাকে, তারা তাদেরকে আমাদের কাছে নিয়ে আসতে পারে। ইনশাআল্লাহ, আমরা তাদেরকে গ্রহণ করবো।’

The post বধিরদের কুরআন শেখায় যে মাদরাসা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%86%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%ae/

Tuesday, March 7, 2023

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো আরও ৯ দিন

ফাতেহ ডেস্ক:

কোটার অর্ধেকও পূরণ না হওয়ায় চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও ৯ দিন বাড়ানো হয়েছে। নিবন্ধনের সময় আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিবন্ধনে সাড়া পাওয়ায় পরে সময় আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও নিবন্ধনের হার ছিল খুবই কম। পরে নিবন্ধনের শেষ সময় বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। কিন্তু কোটার বিপরীতে এখনও অর্ধেক হজযাত্রীও নিবন্ধিত হয়নি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিবন্ধনের সময় আজ ৭ মার্চ পর্যন্ত ছিল। আমরা আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। এরমধ্যে যদি কোটা পূরণ না হয়, সেটা আমরা বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের হাতে সময় আছে।’

এদিকে, সন্ধ্যার পর নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চূড়ান্ত ও শেষবারের মতো বর্ধিত করা হলো। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৬০৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।

পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৯০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।

নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে ওই ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আগামী ১৬ মার্চে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংককে অফিস সময়ের পরেও প্রস্তুতকৃত ভাউচারসমূহের অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ২৪২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও কোটার অর্ধেকের বেশি খালি রয়েছে।

The post হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো আরও ৯ দিন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-3/

Monday, March 6, 2023

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৫, নিখোঁজ বহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পর ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। সোমবার (৬ মার্চ) দেশটির দক্ষিণ চীন সাগর তীরবর্তী নাতুনা অঞ্চলে এ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকাটিতে তীব্র বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিপর্যয় প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে সেরাসান দ্বীপের বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে ভূমিধস এবং ঘরবাড়ির ওপর মাটি ও ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিধসের কারণে দুর্যোগকবলিত এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে দুর্গত লোকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।

নাতুনা অনসুন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান আবদুল রহমান বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।

রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র জুনাইনাহ বলেছেন, আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। এখনো বাতাস জোরে বইছে, সঙ্গে ঢেউ হচ্ছে প্রচণ্ড।

এর আগে, সোমবার বিকেলে ৬০ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী ও উদ্ধারকারী দল দুর্গত এলাকার উদ্দেশে নৌকায় চড়ে রওয়ানা হয়। গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের সাত থেকে আট ঘণ্টা লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

The post ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৫, নিখোঁজ বহু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%a8/

Sunday, March 5, 2023

পঞ্চগড় কীভাবে কাদিয়ানী আস্তানায় পরিণত হল?

মুনশী নাঈম:

গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকার বকশীবাজারের পরিবর্তে পঞ্চগড়ে বাৎসরিক ধর্মীয় সমাবেশ করে আসছে কাদিয়ানীরা। শুক্রবার থেকে তাদের তিনদিনব্যাপী সালানা জলসা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এটা ছিল আহমদিয়াদের ৯৮তম জলসা। কিন্তু স্থানীয় মুসলমানদের প্রতিবাদের জেরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জলসা এ বছরের জন্য স্থগিত করে পুলিশ।

কিন্তু কথা হলো, পঞ্চগড় কীভাবে কাদিয়ানী আস্তানায় পরিণত হল?

স্থানীয় আলেমরা বলছেন, পঞ্চগড়ে আগে জায়গার দাম অন্য জেলার তুলনায় অনেক কম ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা সেখানে জমি কিনে বসতি গড়তে শুরু করে। ঢাকায় বকশীবাজারের জায়গা ছোট হওয়ায় পঞ্চগড়ে তাদের নিজস্ব জমিতে নিয়ে যায় বার্ষিক জলসার আয়োজন। তাদের ভাষ্যমতে, অন্য সব সময়ের চেয়ে এবারের জলসা অনেক বড় হতো।

যেভাবে পঞ্চগড়ে এল তারা

স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে জেলাটিতে জনসংখ্যা কম ছিল, অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে থাকতো। আবার এ অঞ্চলে জায়গার দামও ছিল কম। ফলে এই অঞ্চলটি তাদের বসবাসে আকৃষ্ট করে। তৎকালীন সময়ে নোয়াখালী, নরসিংদী, সিলেট, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পঞ্চগড়ে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা মুখলিছুর রহমান কাছেমীর ভাষ্যমতে, ‘১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় মাত্র গুটি কয়েক কাদিয়ানি ছিল। পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান হাতে আগত কাদিয়ানী আমলাদের সাহায্যে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে আরম্ভ করে। আইয়ুব খানের শাসনামলে তার ব্যক্তিগত উপদেষ্টা ছিল মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দৌহিত্র এম. এম. আহমদ। এম. এম. আহমদ আইয়ুব খানকে দিয়ে পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী এলাকায় কাদিয়ানীদের জন্য দু-শ একর জমি বরাদ্ধ করিয়েছিল। সেখানে এখন আহমদ নগর নাম দিয়ে কাদিয়ানীদের বিরাট কলোনী গড়ে উঠেছে। পাকিস্তান আমলে জনৈক কাদিয়ানী অফিসাররের চেষ্টা তদবীরের ফলে চুয়াডাঙ্গায় ও কাদিয়ানীদের এক বিরাট এলাকা গড়ে ঊঠে। অনেকের ধারনা, বর্তমানে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার চেয়ে চুয়াডাঙ্গায় কাদিয়ানীরা সংখ্যায় বেশী রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ও সমগ্র বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের সংখ্যা কয়েক হাজারের বেশী ছিল না। আর বর্তমানে তাদের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের প্রশ্ন, এসব কাদিয়ানী কোত্থেকে এসেছে? এরা কি পাকিস্তান থেকে মাইগ্রেশন করে বাংলাদেশে এসেছে? মোটেই না। এদেশের কোন হিন্দু,খৃষ্টান কিংবা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কি কাদিয়ানী ধর্ম গ্রহণ করেছে বলে কেউ বলতে পারে? তারা মুসলমান ব্যাতীত অন্য কেন ধর্মাবলম্বীদের নিকট তাদের ধর্মমত প্রচার করে না, আর ঐ সব ধর্মাবলম্বীদের কেউ তাদের ধর্ম গ্রহণও করে না। সুতরাং বলতে হবে, আজ বাংলাদেশে লক্ষাধিক কাদিয়ানী রয়েছে, এরা সকলেই এদেশের মুসলমান। নানা কলা কৌশল ও লোভ প্রলোভনের মাধ্যমে তাদেরকে ধর্মচ্যুত করে কাদিয়ানী ধর্মমতের জালে আবদ্ধ করে কাফির বানিয়েছে। কাদিয়ানী ধর্মমতালম্বীদের তৎপরতা যে কি ভয়াবহ রূপ ধারণা করছে তা কল্পনা ও করা যায় না।’

পঞ্চগড় নূরুন আলা নূর কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ্য মাওলানা আবদুর রহমান ফাতেহকে বলেন, ‘পঞ্চগড়ে জমির দাম কম ছিল। অনেক জায়গা ফাঁকা ছিল। তাই কাদিয়ানীরা জায়গা কিনে এখানে কলোনী গড়ে তোলে। তবে পঞ্চগড়ের ফুলবাড়ী, শালসিঁড়ি ও আহমদীয়া নগরে কাদিয়ানীদের বসবাস বেশি।’

সংখ্যায় কম হলেও তাদের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংখ্যায় কম হলেও তাদের হাতে শক্তি বেশি। কারণ, তাদের সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের সহযোগিতা আছে। প্রশাসনের প্রহরাতেই তাদের জলসাগুলো হয়।’

তবে এত বছর তাদের সাধারণ বসবাস থাকলেও গত কয়েক বছর আগে তারা তাদের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য তারা পঞ্চগড়ে ৪০ একর জমি কেনে। ঢাকার বখশিবাজার থেকে তাদের বার্ষিক জলসা নিয়ে আসে পঞ্চগড়ে। কাদিয়ানীদের বরাতে বিবিসি বাংলায় বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় বকশীবাজারে আমাদের জায়গাটা ছোট। জানযটে যাতায়াতে মানুষের কষ্ট হয়। এখানে আমাদের নিজস্ব একটা জায়গা কেনা হয়েছে। সেখানে আমরা জলসার জায়গা করেছি, যাতে মানুষজন একে একটু খোলামেলা পরিবেশে তিনদিন জলসা করবে। এবার আমাদের অনেক বড় আয়োজন ছিল।’

The post পঞ্চগড় কীভাবে কাদিয়ানী আস্তানায় পরিণত হল? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%97%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a7%80%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/

Saturday, March 4, 2023

সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে একটি ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও কয়েকজন।

রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনতলা ভবনটির আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন-শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-পথচারী খাইরুল, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হান্নান ও শিক্ষার্থী পায়েল।

এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার।

The post সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d/

Thursday, March 2, 2023

কেন সরব হচ্ছে না খতমে নবুওত সংগঠনগুলো?

মুনশী নাঈম:

কাদিয়ানীদের তথাকথিত ‘ইজতেমা’ বন্ধের দাবিতে পঞ্চগড় শেরে বাংলা পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড় জেলা শাখার নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে জেলার আলেমা-উলামা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বছর থেকে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের বার্ষিক সম্মেলন হতে দেয়া হবে না।

পঞ্চগড়ের জনসাধারণ কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে পথে নেমে এলেও এবার তেমন সরব দেখা যায়নি খতমে নবুওত আন্দোলন শিরোনামের সংগঠনগুলোকে। প্রশ্ন উঠছে—কেন এই নীরবতা?

এ প্রসঙ্গে কথা হয় মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওতের দায়িত্বশীল মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানির সঙ্গে। নীরবতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘আমরা নীরব নই। সবাই তো মাহফিলে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেই। যে যার জায়গা থেকে কথা বলছে। কাদিয়ানীদের নিয়ে কথা বলা শুধু খতম নবুওত সংগঠনের দায়িত্ব নয়। এটা বরং সবারই দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। যেন কাদিয়ানীদেরকে অনুসলিম ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে পজেটিভ। তবে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চাইলেই কোনো দলকে অমুসলিম ঘোষণা করা যায় না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এবার হেফাজতও কাদিয়ানীদের অমুসলিম দাবিতে কোনো কথা বলেনি। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আবদুল কাইয়ুম সুবহানি ফাতেহকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সব দলকে একটি সম্মেলন করার। কিন্তু তার আগো জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করতে হবে। জনগণকে এরসাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। নয়ত সর্বদলকে নিয়ে সম্মেলন করলেও লাভ হবে না।’

তবে কাদিয়ানীদের চলতি বছরের সম্মেলন হচ্ছে কিনা, সেই তথ্যটিই জানেন না খতমে নবুওত আন্দোলন পরিষদের দায়িত্বশীল মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া। ফলে তার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বছর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি৷ ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘জানলে পদক্ষেপ নিতাম।’

এদিকে পঞ্চগড় জেলায় আয়োজিত কাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা। গতকাল এক যুক্তবিবৃতিতে তারা বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের (আহমদিয়া জামাত) পক্ষ থেকে আগামী ৩, ৪, ৫ মার্চ পঞ্চগড় জেলায় ‘জাতীয় ইজতেমা’ নামে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ঈমান আকিদা বিধ্বংসী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে তা বন্ধের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, আল্লামা আব্দুল আওয়াল, আল্লামা আবুল কালাম, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মুবারকুল্লাহ্, মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী পীর সাহেব শর্ষিনা, মাওলানা শাব্বীর আহমাদ রশীদ, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আনওয়ারুল করীম যশোর, মাওলানা শওকত হুসাইন সরকার, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা ইমাদুদ্দীন, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মুফতি মাসউদুল করীম ও মুফতি কামাল উদ্দিন।

The post কেন সরব হচ্ছে না খতমে নবুওত সংগঠনগুলো? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%ac-%e0%a6%b9%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%96%e0%a6%a4%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%93/

এক বছরে ভোটার বাড়লো ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার

ফাতেহ ডেস্ক:

সারাদেশে তালিকা হালনাগাদের পর ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন। সে হিসাবে বর্তমানে দেশে মোট ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জনে। এ বছর ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

২০২২ সালের ২ মার্চ দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। চলতি বছরের একই সময়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জনে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ জন। আর মৃত ভোটার কর্তন করা হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন আর নারী ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।

The post এক বছরে ভোটার বাড়লো ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a7%ab%e0%a7%ae-%e0%a6%b2%e0%a6%be/

Wednesday, March 1, 2023

টিকটক ভিডিও করা নিয়ে দুই গ্রামে ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ, নিহত ১

ফাতেহ ডেস্ক:

টিকটক ভিডিও করা নিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক যুবক নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত সাইফুল ইসলাম (৩৫) মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর ছেলে। রাতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত মামুন ও সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল ও আফতাব উদ্দিনসহ আহত আরও কয়েকজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় দুই তরুণ-তরুণী টিকটক ভিডিও করছিলেন। এ সময় তাদের বাধা দেন ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে রাজ্জাক, আহমদ আলীর ছেলে মান্নাসহ তাদের সহযোগীরা। এ নিয়ে মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মামুনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। চার ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।

সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় গোল চত্বর এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি একটি পিকআপভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। ছাতক থানা পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

The post টিকটক ভিডিও করা নিয়ে দুই গ্রামে ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ, নিহত ১ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%95-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%87/

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন?

মুনশী নাঈম:

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার নৃপেন্দ্র নারায়ণ এন এন হাইস্কুল মাঠে ২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে কাদিয়ানিদের বার্ষিক সম্মেলন। জেলার ৪৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মুসলমানদের অনুকরণে এই সম্মেলনকে তারা ‘ইজতেমা’ বলে অভিহিত করে থাকে।

আলেমরা বলছেন, খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারী কাদিয়ানিরা সু্স্পষ্টভাবে অমুসলিম তথা কাফের। ইসলামবিদ্বেষী আন্তর্জাতিক অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাদিয়ানিরা মুসলিম নাম ও পরিভাষা ব্যবহার করে সাধারণ মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার মিশন চালাচ্ছে। তারা এই সম্মেলন বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি এক ভাষণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘কাদিয়ানিরা সর্বসম্মতক্রমে কাফের। তারা অমুসলিম পরিচয়ে তাদের কার্যক্রম চালালে আমরা বাধা দিব না। কিন্তু তারা মুসলিম পরিচয়ে মুসলিম পরিভাষায় তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয়, তাই সরকারের উচিত, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা।’

অমুসলিম ঘোষণার দাবি সবার

দলমত নির্বিশেষে সবার দাবি—কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা। অনেকদিন ধরেই কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বাংলাদেশের আলেমগণ। আন্দোলনের নিমিত্তে ‘খতমে নবুওয়ত আন্দোলন’ শিরোনামে তৈরী হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় আলেম লেখক ও অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা না থাকার কারণে কাদিয়ানিরা নিজেদের মুসলিম পরিচয় প্রদানের সুযোগ পায়। আর এই পরিচয়কে ব্যবহার করে তারা হজ ও ওমরার মতো ইসলামের একান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদতে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। অথচ অমুসলিমদের জন্য হজ ও ওমরা পালনের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু মুসলিম পরিচয়ের কারণে তারা এই সুযোগটা ব্যবহার করে। এ ছাড়া এই পরিচয়ের কারণে কাদিয়ানিরা মৃত্যুর পর মুসলিমদের কবরস্তানে দাফন এবং জানাজা পড়ার আইনি বৈধতাও পেয়ে যায় । তাই তাদেরকে এই কাজ থেকে নিবৃত করতে হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার কোনো বিকল্প নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাদিয়ানিদের যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়, তাহলে আমাদের ইবাদত ও রীতিনীতির নামানুসারে তারা তাদের ধর্মের ইবাদত ও রীতিনীতির নামকরণ করতে পারবে না। সাধারণ মুসলিমও আর ধোঁকা খাবে না। তারা বুঝতে পারবে, ওরা যা করছে তার সঙ্গে ইসলামের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ফলে আমাদের ধর্মীয় অধিকারও আর ক্ষুণ্ন হবে না, যে ব্যাপারে সংবিধানে বলা আছে।’

কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে একমত আহলে হাদীস আলেমরাও। জমঈয়তে আহলে হাদিসের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শহীদুল্লাহ মাদানী ফাতেহকে বলেন, ‘কাদিয়ানিরা যে অমুসলিম, এ ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সকল ওলামায়ে কেরাম একমত। কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনও তারা মুসলিম হিসেবে স্বীকৃত, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা না থাকার কারণে কাদিয়ানিরা এ দেশের সাধরণ মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে চলেছে। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য হলেও কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা জরুরি।‘

কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণার দাবিতে বেরলবি ঘরানার নৈতিক সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন সোনাকান্দা দরবার শরীফের খলিফা মাওলানা আবূ তাহের মুহাম্মাদ ছালেহ উদ্দিন। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘কাদিয়ানিরা আমাদের মহানবি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবি হিসেবে মানে না। তাই তারা কোনোভাবেই মুসলিম থাকতে পারে না। তারা কাফের। অতএব বাংলাদেশে তারা বসবাস করতে চাইলে অমুসলিম পরিচয়েই বসবাস করতে হবে। রাষ্ট্রকে এ ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা অমুসলিম।’

‘খতমে নবুওয়ত আন্দোলন’ কেন সফল হচ্ছে না?

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে ‘খতমে নবুওয়ত আন্দোলন’ শিরোনামে তৈরী হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এ দাবির প্রতি আছে সবার সমর্থন। তবুও কেন এই আন্দোলন সফল হচ্ছে না?

এ প্রশ্নের জবাবে ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্টের আমির মুফতি শোয়াইব ইবরাহিম ফাতেহকে বলেন, ‘আন্দোলন কিভাবে, কার নেতৃত্বে, কখন কোন কর্মসূচি চলবে, তার পরিকল্পনা লাগে। লাগে ধারাবাহিক কর্মসূচি। কিন্তু আমাদের যতগুলো সংগঠন আন্দোলন করে, তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই নেই। হুট করে হুজুগ আসে, উপলক্ষ তৈরী হয়, ঝটপট একটা সমাবেশ কিংবা মিছিল হয়ে যায়। পরে সব চুপচাপ। এখন মাঝেমধ্যে আমরা সভা-মিছিল করি, মানুষ ভাবে এটা বুঝি কেবল হুজুরদের আন্দোলন। অথচ, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার আন্দেলনটি সবার। সবাইকে এখানে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ ফাতেহকে বলেন, ‘রাষ্ট্রকে দিয়ে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করাতে হলে তিনটি কাজ নিয়মিত করতে হবে। এক. আন্দোলনে ধারাবাহিক কর্মসূচি লাগবে। দুই. দেশের শীর্ষ আইনজীবীদের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিষয়। তিন. পার্লামেন্টারি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। তাদেরকে বিষয়টি বুঝাতে হবে। সবাই মুসলিম। আমার যে দাবি, স্পিকারেরও একই দাবি। তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলে তাদের কাছে বিষয়টির গুরুত্ব আরও প্রকটভাবে ধরা পড়বে।’

The post কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%98%e0%a7%8b%e0%a6%b7/

Tuesday, February 28, 2023

ঢাকায় কম ওজনের শিশু জন্মের কারণ বায়ুদূষণ: গবেষণা

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকায় সন্তানসম্ভবা মায়েদের ওপর বায়ুদূষণের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রাজধানীতে জন্ম নেওয়া ৩ হাজার ২০৬টি নবজাতককে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় বেশি বায়ুদূষণের শিকার মায়েদের মধ্যে কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার হার বেশি। অকালে সন্তান জন্মদানের ঝুঁকিও তাঁদের মধ্যে বেশি।

গবেষণাটি করেছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা। গতকাল মঙ্গলবার আইসিডিডিআরবিতে এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণার বিস্তারিত আলোচনা হয়। অবশ্য গত নভেম্বরে গবেষণাটির ওপর ভিত্তি করে ‘ঢাকায় বায়ুদূষণ ও গর্ভাবস্থার ফলাফল’ শিরোনামে আট পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ সুপরিচিত সাময়িকী দ্য জার্নাল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ-এ প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর বায়ুদূষণের তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের উৎস থেকে। আর মা ও নবজাতকের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া হয়েছে রাজধানীর আজিমপুরের মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে।

সাম্প্রতিককালে ঢাকার বায়ুদষণ বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিনের মধ্যে এক দিনও ঢাকাবাসী নির্মল বায়ু পাননি। এ মাসে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর ছিল ১০ দিন, খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল ১৫ দিন এবং দুর্যোগপূর্ণ ছিল ৩ দিন। এর আগে ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। ওই মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের বায়ুমান গবেষণাকেন্দ্রের হিসাবে, ধুলা ও ধোঁয়া ঢাকার বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ভূমিকা রাখে। এ ধুলার বড় উৎস অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নির্মাণকাজ, পুরোনো যানবাহনের দূষিত বায়ু; আর ৪০ শতাংশ দূষণের উৎস খড়, কাঠ ও তুষের মতো জৈববস্তুর ধোঁয়া ও সূক্ষ্ম বস্তুকণা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

The post ঢাকায় কম ওজনের শিশু জন্মের কারণ বায়ুদূষণ: গবেষণা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a6%ae-%e0%a6%93%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%81-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%ae/

সুদানে কাগজের সংবাদপত্রের চাহিদা কমেছে

মুনশী নাঈম:

সুদানে একসময়ের সমৃদ্ধ কাগজের সংবাদপত্র শিল্প হ্রাস পাচ্ছে। গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং অনলাইন পত্রিকার সহজলভ্যতার কারণে এমনটা ঘটছে। সুদানের সংবাদপত্র বিক্রেতা, সম্পাদক ও ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলছেন, সুদানের প্রিন্ট সংবাদপত্রগুলো বছরের পর বছর রাজনৈতিক সেন্সরশিপ এবং অর্থনৈতিক কষ্টের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরিকরা এখন প্রধানত ইন্টারনেটের মাধ্যমে, কখনও কখনও অনলাইন সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পায়।

অস্তিত্বগত চ্যালেঞ্জ

গত বছর পুনর্গঠিত সুদানী সাংবাদিক সিন্ডিকেটের সেক্রেটারি-জেনারেল মোহাম্মদ আবদেল আজিজ আর জাজিরাকে বলেছেন, ‘প্রথমত, এটা স্পষ্ট যে, মুদ্রণ সাংবাদিকতা গুরুতর অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পত্রিকার মুদ্রণকপির পরিসংখ্যান দেখলেই তা বুঝা যায়। দ্বিতীয়ত, মুদ্রিত কপির সংখ্যা হ্রাস। যদি আমরা সংবাদপত্রের কথা বলি, তাহলে বিগত বছরগুলোতে মুদ্রিত সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ছুঁয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এখন সবচে বেশি মুদ্রিত পত্রিকার মুদ্রণকপি হবে সর্বোচ্চ ১০ হাজার কপি।’

সুদানে ইতোমধ্যেই শত শত সাংবাদিক সাংবাদিকতার পেশা ত্যাগ করে অন্য পেশার পথে হাঁটছে। কেউ চাকরি হারিয়েছে, কেউ ইচ্ছে করেই পেশা ত্যাগ করেছে। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সেখানের সংবাদিকদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।

মোহাম্মদ আবদেল আজিজের মতে, ছাপাখানা এবং এতে কর্মরত সাংবাদিকদের সমস্যা সমাধান না করে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রেসের প্রতি সরকারের বিনিয়োগ দৃষ্টি দিতে হবে। এটাকে কেবল নাগরিক জনমতকে আলোড়িত করার পরিষেবা হিসাবে নিলে হবে না।’

সুদান গত চার বছরে একটি জনপ্রিয় অভ্যুত্থান এবং দুটি অভ্যুত্থান সহ বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার সাক্ষী হয়ে আসছে। জ্বালানি ও মৌলিক পণ্যের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুদানি মুদ্রার পতন ঘটেছে। বর্তমানে সুদানে একটি কাগজের সংবাদপত্রের দাম প্রায় ৩০০ সুদানিজ পাউন্ড (০.৫৩ ডলার)।

কাগজের প্রেস

কাগজের সংবাদপত্র হিসাবে শুরু হলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে আল-হাদাসা পত্রিকা। এর প্রধান সম্পাদক ইউসুফ হামাদ আল জাজিরাকে বলেন, ‘আসলে, আমি মুদ্রণ সাংবাদিকতার পক্ষপাতী। আমি আশা করি, কাগজের পত্রিকা কখনও হারিয়ে যাবে না। কারণ, আমাদের সমাজে কাগজের পত্রিকার সরবরাহ করা বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন। আমরা আল হাদাসা পত্রিকা কাগজেই শুরু করেছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে কোভিড ১৯-এর সময় অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে। ফলে এখন এটি অনলাইনেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

হামাদ বলেন, রাজধানীর বাইরে সংবাদপত্র বিতরণ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে।

যে কয়েকজন নাগরিক এখনও কাগজের সংবাদপত্র কেনেন, তাদের মধ্যে একজন আবদেলকাদের হেম্মত। তার মতে, সংবাদপত্র অন্য যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো বাস্তবে সংরক্ষণ করা যায়।

তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমি আমার দিনের কাজের শুরু করতাম সংবাদপত্রের শিরোনাম পড়ে। এখন কাগজের ছাপা শেষ হয়েছে। সেখানে ইলেকট্রনিক প্রেস, হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য মিডিয়া রয়েছে। সেখানেই খবর খুঁজে পাওয়া যায়। তবে কাগজের পত্রিকা অন্যসব পত্রিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ইতিহাস সংরক্ষণ করে। অনলাইনে যে কোনও উপাদান মুছে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু কাগজ থেকে মুছে ফেলা যায় না। তাই ইতিহাস এবং বিজ্ঞানের প্রধান মাধ্যম হলো কাগজ।’

মুহাম্মদ নামে একজন সংবাদপত্র বিক্রেতা বলেন, ‘ইলেকট্রনিক প্রেস এবং পঙ্গু অর্থনৈতিক অবস্থা সহ বেশ কিছু কারণে সংবাদপত্র আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি শতাংশ কমে গেছে। ইলেকট্রনিক প্রেসই একমাত্র কারণ নয়। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা এখনও কাগজের সংবাদপত্র পড়েন অভ্যাসবশত। অনেকে কাগজের পত্রিকা কিনেন বিশেষ কোনো সার্কুলার দেখার জন্য। তবে খবর জানার দরকার হলে তারা অনলাইন মিডিয়াতেই ঢুঁ মারে। শিরোনাম পছন্দ হলে তারা পুরো খবর পড়ে। খবরের কাগজের প্রতি মানুষের এখন কোনো অনুরাগ নেই।’ৎ

সূত্র: আল জাজিরা

The post সুদানে কাগজের সংবাদপত্রের চাহিদা কমেছে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87/

Monday, February 27, 2023

দেশের ৬২% মানুষ জানে না তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ জানে না তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, অর্থাৎ ১০০ রোগীর মধ্যে ৬২ জনই জানে না তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষক দলের এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাদা সেলিম গণমাধ্যমকে বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন শহরে এই গবেষণা করা হয়। তাতে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ রোগী তাদের ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন না। অথচ এসব রোগীর কিছুদিন পর কিডনি ও চোখ নষ্ট হবে, হার্ট অ্যাটাক হবে, স্ট্রোক হবে। কাজেই তাদের চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু যেহেতু তার রোগ সম্পর্কে জানে না, তাই সে চিকিৎসাও করাবে না।

২০২০ সালের তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন ২০২১ সালে যে হিসাব প্রকাশ করেছিল, তাতে বাংলাদেশে ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর বারডেম একটা গবেষণা করে। সেখানে মোট জনসংখ্যার ২৫ দশমিক ২ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ৩ কোটির বেশি ডায়াবেটিস রোগী।

দুটি বিষয় বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে মনে করেন ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাদা সেলিম। তিনি বলেন, একটি হলো কম বয়সীদের বেশির ভাগের ডায়াবেটিস হচ্ছে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এ রকম নেই। টাইপ-২ ধরনের ডায়াবেটিস সাধারণত একটু বেশি বয়সীদের হয়। কিন্তু আমাদের এখানে ৭, ১০ ও ১২ বছর বয়সী, অর্থাৎ কম বয়সীদের হচ্ছে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সেও যদি কারও ডায়াবেটিস হয় এবং ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে পুরুষদের ক্ষেত্রে সাড়ে ৫ বছর ও নারীদের ক্ষেত্রে সাড়ে ৬ বছর আয়ু কমে যায়। সে হিসাবে আমাদের দেশের কম বয়সীরা ১২-১৫ বছর আগেই মারা যাবে। অথচ দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে তারা আরও অনেক দিন বাঁচত।

The post দেশের ৬২% মানুষ জানে না তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a7%ac%e0%a7%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0/

দেশের ১০৮ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়: গবেষণা

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের ১০৮টি স্থানকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। তিন বছরব্যাপী গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার স্থানগুলো পর্যবেক্ষণ করে সারা দেশে ২২৯টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি। দুর্ঘটনার ধরন ও মাত্রা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ১০৮টিকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ১২১টিকে সাধারণ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণায় অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ যে ১০৮টি স্থানের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে সাত জেলায় সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ চারটি করে উপজেলায় দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়। এ সাত জেলা হলো টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা। এই সাত জেলায় টাঙ্গাইলের উপজেলাগুলোর মধ্যে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ ভূঞাপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল ও মির্জাপুর। চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় বেশি দুর্ঘটনা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার দুর্ঘটনাপ্রবণ উপজেলার মধ্যে আছে সরাইল, নবীগঞ্জ, বিজয়নগর ও আখাউড়া। চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, বিরামপুর ও ফুলবাড়ী—দিনাজপুরের এই চার উপজেলা অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রংপুরের চার উপজেলা হলো পীরগঞ্জ, কাউনিয়া, পীরগাছা ও বদরগঞ্জ। ময়মনসিংহের চার উপজেলার মধ্যে আছে ভালুকা, গফরগাঁও, নান্দাইল ও ত্রিশাল। আর অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ কুমিল্লার চার উপজেলার মধ্যে আছে চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং।

যেসব এলাকায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে, তার সাতটি কারণ তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো এলাকার সড়কের নকশা ও অবকাঠামোগত ত্রুটি। দ্বিতীয় কারণ হলো সড়কের পারিপার্শ্বিক বিরূপ অবস্থা। গবেষণায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত ব্যবস্থা না থাকা বা ঘাটতি (সাইন, মার্কিং, সড়ক বিভাজক, পূর্বসতর্কতামূলক নির্দেশনা বোর্ড) দুর্ঘটনার একটি কারণ। আবার যানবাহনের উচ্চগতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকা এবং একই সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের বাধাহীন ও বেপরোয়া চলাচলও দুর্ঘটনার নেপথ্যে কাজ করে। সমস্যা আছে—এমন স্থানে যানবাহন চালনার ক্ষেত্রে চালকদের সক্ষমতার অভাব বা অদক্ষতা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ ছাড়া সড়কের পার্শ্ববর্তী বা সড়কঘেঁষা জনবসতি থাকলে তা দুর্ঘটনা ঘটাতে ভূমিকা রাখে।

এর আগে ২০১৪ সালে ‘সড়কে নিরাপত্তা: বাস্তবতা এবং প্রতিবন্ধকতাসমূহ’ নামের এক গবেষণায় দেখা যায়, দেশের ২০০৯ সালের প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়। ব্র্যাকের সহযোগিতায় এ গবেষণা করে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)। ওই গবেষণায় দেখা যায় দেশের পাঁচটি জেলা সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ। এগুলো হলো কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা।

পিপিআরসির গবেষণা ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৯ বছরে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার সংখ্যা বেড়েছে ২০টি।

দুর্বল অবকাঠামোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সড়কের যেসব স্থানে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে, সেসব স্থানের নকশা ও অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান করা দরকার বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সুপারিশে উঠে এসেছে। এ ছাড়া তাদের দেওয়া সুপারিশের মধ্যে আছে সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত ঘাটতি নিরসন করা, যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার করা, একই সড়কে নানা ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধে সার্ভিস লেন অথবা সড়ক বিভাজক তৈরি করা।

রোড সেফটির ফাউন্ডেশনের আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে কয়েক বছর ধরেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর-তরুণদের মৃত্যুর ঘটনা বেশি। গত বছরের (২০২২) জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে দেশে ২ হাজার ৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭ জন। তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দুর্ঘটনা ২১ শতাংশ এবং প্রাণহানি ১৯ শতাংশ বেড়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তাই এলাকার অপ্রাপ্তবয়স্কদের মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চালানো বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ উঠে এসেছে গবেষণায়। সেখানে আর যে দুটি সুপারিশ আছে, সেগুলো হলো সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে নিরাপদে সড়ক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা।

The post দেশের ১০৮ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়: গবেষণা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a7%a7%e0%a7%a6%e0%a7%ae-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%95-%e0%a6%a6%e0%a7%81/

ভূমিকম্পের পর তুরস্ক কিভাবে বাজার স্থিতিশীল রেখেছিল?

মুনশী নাঈম:

তুরস্ক যখন দেশের দক্ষিণে ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজছিল, ক্ষতিগ্রস্থদের সরানোর যুদ্ধে নিযুক্ত ছিল, দেশটি ঠিক একই সময়ে ধ্বংসস্তূপের উপর সমান গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে ঘাম ঝরাচ্ছিল। তা হলো—ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়া মানুষদের মাথা গোঁজার ঠাই দেয়া এবং দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখা।

এই ভূমিকম্পে দেশটির ১৯ হাজারের বেশি ভবন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে। ৪৭ হজাার ২১১টি ভবন গুরুতর ক্ষতির কারণে আবাসনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ১২ হাজার ২৩৫টি যান, ৭৬টি বিমান, ১২১টি হেলিকপ্টার, ২৬টি জাহাজ এবং ৪৫টি ড্রোন ছাড়াও ৩৫ হাজারের বেশি অভিজ্ঞ উদ্ধার বিশেষজ্ঞ সহ এই অঞ্চলে আড়াই লাখের বেশি সরকারি কর্মচারি উদ্ধার কাজে লাগিয়েছেন। ঘোষণা করেন ৪ নং বিপদ সংকেত। আহ্বান করেন আন্তর্জাতিক সহায়তা। এরমধ্যে ১০০টি দেশ তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৪টি দেশ পাঠিয়েছে ১১ হাজার উদ্ধারকর্মী। ৬১টি দেশ ৪৪৪টি ফ্লাইটে নিয়ে এসেছে ত্রাণ। এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ দশটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে শোক ও দুই সপ্তাহের জন্য সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন।

১১টি রাজ্যে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া থেকে তুর্কি অর্থনীতি মুক্ত ছিল না। কারণ, আক্রান্ত অঞ্চলেই রয়েছে বৃহত্তম তুর্কি কারখানার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে গাজিয়ান্তেপ এবং কাহরামানমারাশে। ভূমিকম্পের পর মাত্র তিনদিনে ১৫ শতাংশ পতন হয়েছিল ইস্তাম্বুল স্টক এক্সচেঞ্জ সূচকে। ডলারের বিপরীতে তুর্কি লিরার মান কমে গিয়েছিল এক শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়ায় আঙ্কারার গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ফলে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। এতে স্থানীয় অর্থনীতির মোট ক্ষতি সীমিত থেকেছে।

আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে সরকার

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ভূমিকম্পের পর প্রথম দিনই অনুসন্ধান, উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের জন্য ১০০ বিলিয়ন লিরার (৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি) একটি তহবিল ঘোষণা করেন।

আবাদ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অর্থনৈতিক বিষয়ের গবেষক খালেদ তুর্কাউই আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তুর্কি প্রেসিডেন্টের এই তহবিল ঘোষণা ছিল বাজার সুরক্ষার জন্য সরকারের নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই তহবিল ঘোষণা মানুষকে ভরসা দিয়েছিল যে, সমস্ত সঙ্কটে রাষ্ট্র তাদের পাশে আছে।’

অর্থনীতিতে আরও আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলার এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়াসে তুর্কি সরকার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহায়তার একটি প্যাকেজও ঘোষণা করেছে। পদক্ষেপ নিয়েছে আর্থিক ও পণ্যের বাজারকে স্থিতিশীল করার। ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অ্যাকাউন্টে ১০০০০ লিরা (৫৩০ ডলারের সমতুল্য) জমা করা শুরু করে। এর আগেই এরদোগান ঘোষণা করেছিলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে সরকার আবাসন প্রদান করবে।

আর্থিক ও পণ্যের বাজারকে স্থিতিশীল রাখার প্রচেষ্টা

আর্থিক ও পণ্যের বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে ১০ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করে। দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে পণ্যের দাম অত্যধিক বাড়িয়ে দেয়া ৩৫৩টি কোম্পানিকে ৮৫ মিলিয়ন লিরা জরিমানা করে।

মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এটি অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি এবং একচেটিয়া চর্চা রোধ করতে সাহায্য করেছে। নাগরিকদের প্রতি অবিচার রোধ ও অন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে বাধা দিয়েছে।

জরুরী প্রয়োজনীয় ত্রাণ হিসেবে মন্ত্রণালয় দিয়েছে—গরম করার হিটার, তৈরি করা খাবারের পার্সেল, কম্বল, রেইনকোট, হাইজিন কিট, মহিলা এবং বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি কিট, স্লিপিং ব্যাগ, শিশুর খাবার, চার্জিং ব্যাটারি, শীতের জুতা এবং আরও অনেক কিছু।

স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩ মাসের জন্য কন্টেইনার হোম এবং প্রিফেব্রিকেটেড বিল্ডিং রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সম্পর্কিত উদ্যোগ ও সংস্থার জন্য কন্টেইনার এবং প্রিফেব্রিকেটেড বাড়ির উপর মূল্য সংযোজন কর বছরের শেষ নাগাদ ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।

তুর্কি সেন্টার ফর পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক স্টাডিজ (SITA) এর অর্থনৈতিক বিষয়ের গবেষক ডেনিজ ইস্তিকবাল আল জাজিরাকে বলেন, ‘পণ্য বিক্রেতাদের উপর ভূমিকম্পের পরে আরোপিত জরিমানা জনসাধারণের কাছে পণ্য সহজলভ্য করতে সহায়তা করেছে। সরকারের গৃহীত কিছু পদক্ষেপ ভূমিকম্পের পরে যে কোনও সংকট বা আতঙ্ক রোধ করেছে। সরকারের এসব পদক্ষেপের কারণে ভূমিকম্পের সময় মোকাবেলা করা সহজ হয়েছে।’

অভ্যন্তরীণ আঘাত প্রতিরোধ

অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জালাল বক্করের মতে, ভূমিকম্পের পরে তুর্কি অর্থনীতি বেশ একটা ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু তুর্কি সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইস্তাম্বুল স্টক এক্সচেঞ্জে কিছু স্টকের ব্যবসা বন্ধ করে এই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ ছাড়াই অভ্যন্তরীণভাবে সংকট নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর মাত্র তিনদিনে ১৫ শতাংশ পতন হয় ইস্তাম্বুল স্টক এক্সচেঞ্জ সূচকে। ফলে সরকার ইস্তাম্বুল স্টক এক্সচেঞ্জ আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। এতে অর্থনীতি কিছুটা রক্ষা পায়। তবে তুরস্কের কিছু প্রধান শহর এবং রাজ্য, যেমন গাজিয়ান্তেপে কাজ স্থগিত করার কারণে, বিশেষত উৎপাদনের স্তরে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।

তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ ওকতে ভূমিকম্পের পরে যারা ভাড়া বাড়ায়, তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘জনগণের চাহিদা এবং ভূমিকম্পের এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুতদের সুবিধা নিয়ে যারা ভাড়া বাড়ায়, আমরা তাদের জবাবদিহি করব।’

গাজিয়ান্তেপে গভর্নর দাউদ গুল ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের মধ্যে বাড়ি স্থানান্তরের ফি-তে একটি সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হবে। যাতে বাস্তুচ্যুতদের নির্দিষ্ট দিকে সরে যাওয়ার বিষয়টি দাম বাড়ানোর কারণ হয়।

১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার একযোগে তুরস্ক, তুর্কি সাইপ্রাস এবং আজারবাইজানের সমস্ত মিডিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ফান্ড রাইজিং করা হয়। এতে অনুদান সংগ্রহ করা হয় ৬ বিলিয়ন ডলার। বিধ্বংসী ভূমিকম্পের দুই সপ্তাহ পর তুর্কি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিসংখ্যানে বলেছে, এই বছরের শেষে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি হবে ৩৫. ৭৬ শতাংশ। ডলারের মান হবে ২২.৮৪ লিরা।

সূত্র: আলি জাজিরা

The post ভূমিকম্পের পর তুরস্ক কিভাবে বাজার স্থিতিশীল রেখেছিল? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%ad/

কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলো কতটা যোগ্যতা যাচাই করতে পারছে?

রাকিবুল হাসান নাঈম:

কওমি মাদরাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলো ছাত্রদের যোগ্যতা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারছে না। এক্ষেত্রে সিলেবাস এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণকে দায়ি করছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, জেনারেল ধারার শিক্ষার মতো এখানেও ঢুকে গেছে পরীক্ষায় ভালো করার গতানুগতিক প্রতিযোগিতা। ফলে বাড়ছে নোট-গাইড নির্ভরশীলতা এবং আরবি বাদ দিয়ে বাংলায় লেখার প্রবণতা।

কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোর মধ্যে বেফাকের অধীনে পরীক্ষা হয় তাইসির, নাহবেমির, শরহেবেকায়া এবং মেশকাতে। তাকমিলের পরীক্ষা হয় হাইয়াতুল উলয়ার অধীনে। নাহবেমিরের প্রশ্নপত্র হয় বাংলায়। ছাত্ররাও পরীক্ষা দেয় বাংলায়। শরহেবেকায়া, মেশকাত ও তাকমিলে প্রশ্নপত্র আরবিতে হলেও অধিকাংশ ছাত্রই উত্তরপত্র লিখে বাংলায়। হাইআতুল উলইয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং সহপরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘মূলত কওমি ধারায় পরীক্ষাটা মূল লক্ষ্য না। মূল লক্ষ্য থাকে ছাত্রদের যোগ্য করে তোলা। তাই শিক্ষকরাও পরীক্ষার ‍উপর জোর দেন না। জোর দেন নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকাকে। তবে যারা সারাবছর ভালো করে পড়াশোনা করে, তার পরীক্ষাতে ভালো করেই।’

যোগ্যতার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কওমি ধারায় চেষ্টা করা হয়, একজন ছাত্র যেন আরবিতে পূর্ণ যোগ্য হয়ে উঠে। যেহেতু ইসলামের মূল ভাষ্য আরবিতে, তাই। শিক্ষকরা এটাই চেষ্টা করেন। কিন্তু পরীক্ষায় যে বাংলায় লেখার স্রোত তৈরী হয়েছে, এটা হয়েছে অসুস্থ এক প্রতিযোগিতার কারণে। এখন জেনারেল শিক্ষার মতো কওমি শিক্ষাতেও ভালো রেজাল্ট নিয়ে তোড়জোড় দেখা যায়। ছাত্রের মৌলিক যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক। ফলে অনেকে নোট-গাইড পড়ে পরীক্ষায় ভালো করে ফেলছে।’

কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলো ছাত্রদের যোগ্যতা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যোগ্যতা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারছে এটা বলা যাবে না। এই না পারার পেছনে দুটি কারণ আছে।

প্রথমত, প্রশ্নপত্রের ধরণ এবং পরীক্ষা সিস্টেম। নাহবেমিরে আরবি পড়া শুরু হয়। ব্যাকরণের প্রথম গ্রন্থ পড়ানো হয়। তাই প্রথম বই পড়েই তাদেরকে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে। ফলে তারা আরবিতে লিখতে পারছে না। প্রশ্নপত্রও ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। সহজ করতে হচ্ছে। ফলে যোগ্যতা যাচাইয়ের মানদণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এটা না করে যদি হেদায়াতুন্নাহু কিংবা কাফিয়াতে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাটা নেয়া হতো, তাহলে যোগ্যতা যাচাইয়ের প্রশ্ন ছিল। কারণ, তখন সে নাহু-সরফের বেশ কয়েকটি কিতাব পড়ে ফেলে। তখন মন খুলে যেমন প্রশ্ন করা যায়, ছাত্ররাও উত্তর দিতে পারে। নাহবেমিরে সে সুযোগ নেই।

দ্বিতীয়ত, আমাদের সিলেবাস। প্রশ্নপত্রের মান উন্নত করতে বোর্ড যেমন তৎপরতা দেখায়, বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেয়, সিলেবাস পরিমার্জন কিংবা উন্নত করতে এই উদ্যোগ দেখা যায় না। ফলে অস্থিরতা তৈরী হয়। মিজনা-নাহবেমির কিতাব দুটি ফারসি ভাষায় লেখা। অনেকেই ফারসি পড়ান না। বাংলায় কিংবা আরবিতে পড়ান। এছাড়াও বিভিন্ন ক্লাসে বিভিন্ন কিতাব পরিমার্জন করা যেতে পারে। যেগুলো ছাত্রদের যোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।’

তবে বেফাক বোর্ড মহাপরিচালকের দাবি, চলতি বছর শুরু হওয়া বেফাক পরীক্ষার ধরণে বেশ পরিবর্তন এনেছেন তারা। এতে ছাত্রদের যোগ্যতা যাচাই হবে। মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি ফাতেহকে বলেন, ‘এবারের প্রশ্নগুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন, যারা গাইড নির্ভর পড়াশোনা করেছে, তারা আটকে যাচ্ছে। তারা লিখতে পারছে না। আমরা এবার প্রশ্নপত্রের ধরণ বদলে দিয়েছি। ফলে মূল বই না পড়ে পরীক্ষায় বসলে সে লিখতে পারবে না। সামনে এটা আরও পরিবর্তন হবে।’

কয়েকজন শিক্ষক ফাতেহকে জানিয়েছেন, এবারের বেফাক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণ বদলেছে। যারা গাইডনির্ভর পড়াশোনা করেছে, তারা ভালো করতে পারছে না। বরং যারা মুল কিতাব ভালো করে পড়েছে, তারাই ভালো করছে।

The post কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলো কতটা যোগ্যতা যাচাই করতে পারছে? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%95/

Sunday, February 26, 2023

ফাঁকা নাগরিক সনদপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না ইউপি চেয়ারম্যানরা

ফাতেহ ডেস্ক:

সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল গফফার একটি অপূরণকৃত নাগরিক সনদপত্র স্বাক্ষর করেন। এ কারণে তাকে সতর্ক করার পর দেশের অন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের এ কাজ না করতে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দেশের সব জেলা প্রশাসককে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল গফফার গত ১৬ জুন একটি অপূরণকৃত নাগরিক সনদপত্র স্বাক্ষর করেন। এ অভিযোগে তাকে ১৯ জুলাই এ বিভাগ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে তিনি জবাব প্রেরণ করেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বর্ণিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপূরণকৃত নাগরিক সনদপত্র স্বাক্ষর করে জারি করার অভিযোগে এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে সতর্ক করা হলে তারপর থেকে আর কোনো অপূরণকৃত নাগরিক সনদ বা প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করেননি। কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল গফফার ভবিষ্যতে সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন এবং বিধি-বিধান অনুসরণের নির্দেশনা প্রদান করে এ বিভাগ থেকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল গফফারের মতো কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অপূরণ করা নাগরিক সনদপত্র স্বাক্ষর করে যেন জারি না করেন, সে বিষয়ে তার জেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয়ে অনুরোধ করা হলো।

The post ফাঁকা নাগরিক সনদপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না ইউপি চেয়ারম্যানরা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d/

ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার প্রতিশ্রুতি ওমানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার প্রতিশ্রুতি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে ওমান। সামা নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

ইসরাইলি চ্যানেল ১২, সামা নিউজ জানায়, ইসরাইলি বিমানকে ওমান তার আকাশের ওপর দিয়ে উড্ডয়নের অনুমতি দেয়ার পর দেশটি এই প্রতিশ্রুতি দেয়।

চ্যানেল ১২ জানঅয়, এই প্রতিশ্রুতির বিনিময়েই ইসরাইলি এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য আকাশপথ খুলে দেয়ার ওমানি সিদ্ধান্তের নিন্দা করেনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেন ঘোষণা করেন, ওমান তার আকাশপথ দিয়ে ইসরাইলি বিমান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তিনি একে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করে জানান, এর ফলে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আরো কম সময়ে চলাচল করতে পারবে ইসরাইলি বিমান।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

The post ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার প্রতিশ্রুতি ওমানের appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8d/

Saturday, February 25, 2023

বাংলাদেশি হাজিদের বিমানভাড়া এত বেশি কেন?

মুনশী নাঈম:

প্রতি বছর বাড়ছে হজে যাওয়ার খরচ। বিমান ভাড়াসহ সব খরচ মিলিয়ে চলতি বছর হজ প্যাকেজ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৫ টাকা বেশি। এর মধ্যে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর বিমানের ভাড়াই বেড়েছে ৫৮ হাজার টাকা। গত চার বছরে হজ প্যাকেজের মূল্য বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমান ভাড়া বেড়েছে ৭৯ হাজার ২৬৩ টাকা। এই ভাড়া গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ৫৮ হাজার টাকা।

হাব ও হজ এজেন্সিগুলো বলছে, সরকার চাইলে বিমান ভাড়া আরও কমাতে পারতো। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হজের ভাড়া কম। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তারা ভর্তুকি দেয়। না হলে অন্তত যা খরচ হয় সেই ভাড়া নির্ধারণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমান এককভাবে অতিরিক্ত মুনাফায় ভাড়া প্রস্তাব করে। সারা বছর লোকসান কমায় হজের মৌসুমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। হজ ফ্লাইট থেকে বিমান ৮০-১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত মুনাফা করে। বিমানের আয়ের ১৫ শতাংশ হয় হজ ফ্লাইট থেকে।

জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হজ করতে যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। তাদের বহন করবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি আরবের সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স। বিমান ৫০ শতাংশ যাত্রী বহন করবে। বিমানের প্রস্তাবিত ভাড়ার ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারণ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। চলতি বছর ভাড়া ৭০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিমান। এর প্রেক্ষিতে ৫৮ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি

বিমান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ ফ্লাইটের চাইতে হজ ফ্লাইটে খরচ অনেক বেশি হয়। ফ্লাইট এমনভাবে পরিচালনা করা হয় যেখানে সাধারণত অন্যান্য যাত্রীদের নেয়া হয় না। হজ ফ্লাইটে যাত্রীদের সৌদি নামিয়ে খালি ফিরতে হয়, অন্যদিকে আনতে যাওয়ার সময়ও যেতে হয় খালি। তাদের হিসেবে যেহেতু যাত্রীপ্রতি চারবার বিমান উড্ডয়ন করা হচ্ছে সেহেতু ভাড়া সর্বোচ্চ দ্বিগুণ হয়।

তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে হজের সাধারণ সময়কার সমানই বিমান ভাড়া নেয় হাজিদের থেকে। বাংলাদেশের তুলনায় দেশটি থেকে হজে বেশি সংখ্যক মানুষ যান। ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানেও ভাড়া নেয়া হয় অন্যান্য সময়ের মতোই।

দ্বিগুণ ভাড়া কেন নেয়া হয় জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাকিল মিরাজ এ প্রশ্নের জবাবে ফাতেহকে বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ভিন্ন। কারণ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ারলাইন্স হাজিদের জন্য সরাসরি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে। এর মানে হলো ফ্লাইটগুলো কোথাও ট্রানজিট নেয় না। তবে ভারতীয় এবং ইন্দোনেশিয়ার হাজিরা এ সুবিধা পান না। যখন কোনো বিমান ট্রানজিট নেয় তখন সেটি গন্তব্যে পৌঁছাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা বেশি সময় নেয়। এটা হাজিদের ভোগান্তিতে ফেলে। আর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার ব্যক্তিরা অন্যান্য দেশের হাজিদের তুলনায় বেশি বয়স্ক থাকেন। এছাড়া চলতি বছর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তো আছেই। এ কারণেই মূলত এ বছর এত বেশি ভাড়া রাখতে হয়েছে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘কমানো যেতে পারতো’

এয়ারলাইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের খরচ অনেকটা কমানো যেতে পারে। কিভাবে কমানো যেতে পারে তা উল্লেখ করে বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক নাফিস উদ্দিন ইমতিয়াজ বলেন, ফ্লাইটগুলোকে এয়ারপোর্টকে টাকা দিতে হয় সেখানে কতজন যাত্রী রয়েছেন তা এবং ওজনের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু হজ ফ্লাইটের চারবার যাত্রার দুইবারেরই যাত্রী থাকছে না। এছাড়া যাত্রীরা টার্মিনাল ব্যবহার করায়ও যে ফি বিমানবন্দরকে দিতে হয় তাও দিতে হচ্ছে না দুইবার। এছাড়া হজ ফ্লাইটগুলো পরিচালনার জন্য বিমানবন্দরে বিমান তেমন হ্যাংগিং অবস্থায় রাখার দরকার না হওয়ায় এক্ষেত্রেও বেশকিছুটা টাকা বেঁচে যায় এয়ারলাইনগুলোর। এতক্ষেত্র থেকে টাকা বেঁচে যাওয়ায় সৌদি কর্তৃপক্ষকে হজ র‌য়্যালটি ফি দিতে হলেও স্বাভাবিক হিসেবই বলছে বিমান চাইলে যাত্রীপ্রতি অন্তত ২৫ হাজার টাকা কমাতে পারে বিমান কর্তৃপক্ষ।

ট্র্যাভেল এজেন্সিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া লিখিত আবেদনে বলেছেন, হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া এবার অনেক বেশি ধরা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ব্যয় হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। পাশাপাশি পশু কোরবানির জন্য ন্যূনতম খরচ হবে ২৮ হাজার ৩৯০ টাকা। গত বছর কোরবানির খরচ ছিল ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা। এ বছর বেড়েছে ৮ হাজার ৭০৭ টাকা। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৭২ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজমূল্য ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে হাব। এর সঙ্গে কোরবানির খরচ যুক্ত হবে। এ বছর হজযাত্রী বিমানভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা, যা গত বছর থেকে ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা বেশি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৫ টাকা। যদিও এ বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে। বিমানভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারিত করা হলে হজযাত্রীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে।

এ বিষয়ে আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ ফাতেহকে বলেন, এ বছর হজে খরচ অনেক বেশি ধরা হয়েছে। আগে যেখানে প্রিমিয়াম প্যাকেজের যাত্রীরা ৬-৭ লাখ টাকায় যেতেন, এবার সেখানে সাধারণ প্যাকেজেই খরচ পড়বে ৭ লাখ টাকা। বিশেষ করে বিমানভাড়া অত্যধিক বেশি ধরা হয়েছে। এজন্য হজযাত্রীরা অনেকেই মত পরিবর্তন করেছেন। তারা হজে যেতে পারবেন না বুঝতে পেরে এখন ওমরায় যাচ্ছেন। এ জন্য ওমরাহ যাত্রী এখন অনেক বেড়ে গেছে। হজে বিমানভাড়া সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হতে পারত। কিন্তু প্রায় ৩৮ হাজার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। হজে খরচ এত বেশি ধরায় এবার ৩০ হাজারের বেশি হজযাত্রী পাওয়া যাবে না বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনার আগে যারা হজে যাওয়ার আশায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন তাদের বাজেটে টান পড়েছে। তারা যে বাজেটে হজে যাওয়ার টার্গেট করে রেখেছিলেন তার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবারের হজ প্যাকেজ ও বিমানভাড়া। ২০১৯ সালের তুলনায় এই ২০২৩ সালে হজের মাথাপিছু ব্যয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। সৌদি আরব হজের খরচ না বাড়ালেও টাকার সঙ্গে ডলার ও রিয়ালের বিনিময় হার বেড়েছে। এর চাপ এসে পড়েছে প্যাকেজে। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি বিমানভাড়া কমানোর ব্যবস্থা নেন, তাহলে সংগতি হীন হজযাত্রীদের জন্য হজ করার পথ সুগম হতে পারে। হজযাত্রীরা অনেক উপকৃত হবেন এবং তার জন্য দোয়া করবেন।

The post বাংলাদেশি হাজিদের বিমানভাড়া এত বেশি কেন? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ad/

Friday, February 24, 2023

বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাল রাশিয়া

ফাতেহ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত রেজুলেশনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাব পাস হয়। ইউক্রেনের উপর মস্কোর আগ্রাসনের বর্ষপূর্তিতে রাশিয়াকে হামলা বন্ধ করতে এবং তার প্রতিবেশী দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার জন্য প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়।

কিন্তু জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে ‘অ্যাবস্টেনশান’তথা ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।
এ কারণে এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাকার রাশিয়া দূতাবাস।

১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৪১ সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেয় ৭ দেশ। বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া দেশগুলো হল- রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, মালি, নিকারাগুয়া ও সিরিয়া।

তবে ভারত-চীন-বাংলাদেশসহ ৩২টি সদস্য এই ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি। ভোটদানে বিরত থাকা দেশগুলো হল-আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, আরমেনিয়া, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিক, চীন, কঙ্গো, কিউবা, এল সালভাদর, ইথিউপিয়া, গ্যাবন, গিনি বিসাউ, ভারত, ইরান, কাজাখাস্তান, কিরগিজিস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তাজিকিস্তান, টোগো, উগান্ডা, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে।

উল্লেখ্য, গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।

The post বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাল রাশিয়া appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a7%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b2/

Thursday, February 23, 2023

বইমেলায় ইসলামি প্রকাশনী: গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ বিক্রি

রাকিবুল হাসান নাঈম:

ঢাকার বাতাসে এখন নতুন বইয়ের ঘ্রাণ আর মলাট উলটানোর শব্দ। দেশের সবচেয়ে বড় বইয়ের মেলা এখন বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সপ্তাহ খানেক পরই বইমেলার পর্দা উঠবে। এবারের বইমেলায় গত বইমেলার তুলনায় দ্বিগুণ বই বিক্রি হয়েছে ইসলামী প্রকাশনীর স্টলগুলোতে। প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ বলছেন, গতবারের তুলনায় এবারের বিক্রিবাট্টা বেশ ভালো। সেটা দ্বিগুণেরও বেশি।

অমর একুশে এ গ্রন্থমেলায় প্রায় ছয়শটি স্টল থাকলেও ইসলামি প্রকাশনীগুলোর মধ্যে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে মাত্র আটটি প্রকাশনী। স্টল বরাদ্দ পাওয়া ইসলামি প্রকাশনাগুলো হলো: রাহনুমা প্রকাশনী, সিয়ান পাবলিকেশন, হুদহুদ প্রকাশন, সন্দ্বীপন প্রকাশন, সত্যায়ন প্রকাশন, বইঘর, বিশ্বকল্যান পাবলিকেশন্স এবং বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স।

কথা হয় সন্দ্বীপন প্রকাশনের কর্ণধার রুকনুদ্দিনের সঙ্গে। বইমেলার বেচাবিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘এবার বেশ ভালো বই বিক্রি হচ্ছে।’ ভালো বলতে দ্বিগুণ হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হবে।’

এবারের মেলায় সন্দ্বীপনের নতুন দুটি বই ‘প্রাচ্যবাদের ইতিকথা’ এবং ‘ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স’ বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিক্রি হচ্ছে ‘বিপদ যখন নেয়ামত’ এবং ‘হিজাব আমার পরিচয়’ বই দুটি। মেলার শেষ শুক্রবারে ‘প্রোপাগান্ডা’ এবং ‘মিশন ইসলাম’ নামে আরও দুটি বই প্রকাশ পাবে। তবে সন্দ্বীপনের শিশুতোষ বইগুলো বেশ ভালো যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণের বেশি বিক্রি হয়েছে সত্যায়নের বইও। এবার প্রকাশনীটি থেকে আরিফ আজাদের ‘কুরআনে থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে। ফলে তাদের বিক্রিও বেড়েছে আশাতীত। প্রকাশনী সূত্রে জানা গেছে, এবার মেলায় তাদের বিক্রির তালিকায় বেশ ভালো অবস্থানে আছে ‘পরিমিত খাবার গ্রহণ’ ‘থামুন, পথ দেখাবে কুরআন’ এবং ‘ইসলামি জীবন ব্যবস্থার মূলনীতি’ বইটি।

বইমেলায় ইসলামী বই গতবারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেছেন হুদহুদ প্রকাশনের কর্ণধার দিলাওয়ার হোসাইনও। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘এবারের বেচাবিক্রি বেশ ভালো। বলা যায়, দ্বিগুণের চেয়ে বেশি গতবারের তুলনায়।’ কারা বেশি বই কিনছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত পাঠক যারা, তারা অনলাইন কিংবা বাংলাবাজার থেকেই বেশি বই কেনেন। বইমেলায় যারা বই কিনছেন, তাদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। মাদরাসা পড়ুয়া না। তারা সোৎসাহে বই কিনছেন। এতে আমাদের পাঠকমহল বড় হচ্ছে।’ তাদের মোটিভেশনাল বইগুলো সবচে বেশি বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

রাহনুমা কর্তৃপক্ষ জানায়, এবারের মেলায় তাদের বইও বেশ ভালো যাচ্ছে। মেলার শেষ শুক্রবার রাহনুমা থেকে প্রকাশিত হবে ‘ভিন্ন চোখে’ এবং ‘নারী নাস্তিক মিডিয়াও সংস্কৃতি’ নামে কবি মুহিব খানের দুটি বই। এছাড়াও প্রকাশিত হবে ৮ খণ্ডে রচিত ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভীর বই ‘আশারায়ে মুবাশশারা’, সাবের চৌধুরীর অনূদিত বই ‘অটুট পাথর’। আনাস চৌধুরীর অনূদিত বই ‘কুরআন অনুধাবন’।

কয়েকটি ইসলামি প্রকাশনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মেলায় স্টল বরাদ্দ না পেলেও বিভিন্ন স্টলকে পরিবেশক রেখে বই বিক্রি করছে। তাদের বইও কন্টেন্ট ভেদে ভালো বিক্রি হচ্ছে।

এবারের মেলায় বই দ্বিগুণ কেন বিক্রি হলো, জানতে চাইলে সন্দ্বীপন প্রকাশনের কর্ণধার বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা কন্টেন্টের জোর। আমাদের ইসলামি লেখকরা দারুণ দারুণ সব কন্টেন্ট লিখছেন। যেগুলো মানুষকে খোরাক দিচ্ছে। যেগুলো মানুষকে কিছু শেখাচ্ছে, কিছু ভাবাচ্ছে। ফলে মানুষ এসব বই কিনে মনে করে নিজের উপকার হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই বইয়ের বিক্রি বেড়ে যাচ্ছে। মানুষকে যদি আমরা তেমন ভালো কন্টেন্ট দিতে না পারতাম, তাহলে বই এত বিক্রি হতো না।’

The post বইমেলায় ইসলামি প্রকাশনী: গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ বিক্রি appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a7%80/

Wednesday, February 22, 2023

এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল তাজিকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ৩৭ মিনিটে দেশটিতে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হনে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি তাজিকিস্তানে ভূমিকম্পের এই তথ্য সামনে এনেছে।

চীনা এই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তাজিকিস্তানে সকাল ৫টা ৩৭ মিনিটে প্রায় ৭ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।

সিসিটিভি আরও জানিয়েছে, ভূমিকেন্দ্রটির কেন্দ্রস্থল ছিল চীনের নিকটতম সীমান্ত থেকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে এবং জিনজিয়াং অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চলের কাশগড় ও আর্টাক্সে তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।

এর পর গত মঙ্গলবার তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬ দশমিক ৪ ছিল বলে সেসময় জানায় ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সেন্টার। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৮ জনে।

The post এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল তাজিকিস্তান appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%87/