Tuesday, June 30, 2020

করোনা মোকাবেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো সরকার

ফাতেহ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো সরকার। এখনকার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল বুধবার (১ জুলাই) থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চলবে অফিস, গণপরিবহন। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন রাত ১০টার পর থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।

৩ আগস্ট পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়েছে।

আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাত ৮টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন তা আরও শিথিল করা হলো।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) বাসস্থানের বাইরে আসা যাবে না। বাসস্থানের বাইরে মাস্ক পড়া, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত দোকান-পাট, শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যদিও এতদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল।

মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহনও। পরে এই ব্যবস্থা ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। সেই মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে।

-এ

The post করোনা মোকাবেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো সরকার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%8d/

ইরানে ক্লিনিকে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ১৯

ফাতেহ ডেস্ক:

ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি ক্লিনিকে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যাস লিকের কারণে তেহরানের সিনা আথার নামক ক্লিনিকটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গেছে, বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকল বাহিনীর কর্মীরা । হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

তেহরান দমকল বাহিনীর মুখপাত্র জালাল মালেকি ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনাকে বলেন, হতাহতদের মধ্যে অনেকে ক্লিনিকে উপরের তলায় অপারেশন রুমে ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তাপ এবং ঘন ধোঁয়ায় তারা প্রাণ হারিয়েছেন।

-এ

The post ইরানে ক্লিনিকে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ১৯ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af/

স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ায় ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ড

ফাতেহ ডেস্ক: ভুয়া পদ সৃষ্টি করে স্ত্রীকে চাকরি দেয়ার ঘটনায় ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলনকে তিন বছরের স্থগিত কারাদণ্ডসহ মোট পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। অর্থ আত্মসাৎ এবং তথ্য গোপন করার অপরাধে তার স্ত্রী পেনেলোপকে দেয়া হয়েছে তিন বছরের স্থগিত কারাদণ্ড।

এই কেলেঙ্কারির জন্য ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে ছিটকে যান ফিলন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি অফিস থেকে ১০ বছরের জন্য দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

বিচারক রায় ঘোষণার সময় জানান, অল্প কাজের বিনিময়ে ফিলন তার স্ত্রীকে হাজার-হাজার ইউরো বেতন দিয়েছেন।

‘যে কাজ করা হয়েছে তার সঙ্গে এই পারিশ্রমিক বেমানান,’ মন্তব্য করে প্রধান বিচারক বলেন, ‘মিসেস ফিলনকে যে পদে নিয়োগ দেয়া হয় তার কোনো ব্যবহারই হয়নি।’

সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির অধীনে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফিলন। ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন তিনি। ওই দল থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হলেও তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে প্রথম দফার ভোটেই তিনি বাদ পড়েন।

The post স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ায় ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ড appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ab%e0%a7%8d/

অ্যাপ ছাড়া আমিরাতের মসজিদে ঢুকতে মানা

ফাতেহ ডেস্ক:

বুধবার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় পুনরায় চালু হচ্ছে মসজিদ। তার আগে মুসল্লিদের জন্য দেশটির সরকার ‘কঠোর নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মসজিদে প্রবেশের আগে সবাইকে অবশ্যই সরকারি করোনা ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।

আমিরাতের এই (ALHOSN UAE) অ্যাপ দেশটির স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গুগল প্লেস্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমেই সেখানকার সাধারণ মানুষ করোনা সংক্রান্ত সব সেবা পাচ্ছেন। কারো কভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হলে অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। ফলাফলও অ্যাপে পাওয়া যায়।

সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন মসজিদে ধারণ ক্ষমতার ৩০ শতাংশ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জুম্মার নামাজ বন্ধ থাকবে।

অসুস্থ বয়স্ক নাগরিক এবং ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গাইডলাইনে আর যা আছে:

-মাস্ক বাধ্যতামূলক। সর্বনিম্ন দূরত্ব থাকবে ৩ মিটার।

-ভিড় এড়াতে হবে। ওজু করতে হবে বাড়িতে।

-জায়নামাজ নিজেকেই আনতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় মসজিদে রেখে যাওয়া যাবে না।

-পবিত্র কুরআন পড়তে হবে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে। সেটা বাড়ি থেকে আনতে হবে। সরাসরি কুরআন নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না।

-কোনো মসজিদ থেকে নতুন সংক্রমণের খবর আসলেই আবার বন্ধ করা হবে।

The post অ্যাপ ছাড়া আমিরাতের মসজিদে ঢুকতে মানা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a6%9c%e0%a6%bf/

রোহিঙ্গা নিপীড়নে ৩ সেনা কর্মকর্তাকে শাস্তি দিল মিয়ানমার

ফাতেহ ডেস্ক:

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় তিন সেনা কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত।

আলজাজিরা জানায়, দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জাতিসংঘের আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ আসার পর কোনো সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে এমন বিরল ব্যবস্থা নিল দেশটি।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সাড়ে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাদের ওপর গণহত্যা, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ঘটানোর অভিযোগ আনা হয় দেশটির বিরুদ্ধে।

অধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে, নিরাপত্তা বাহিনী অনেক রোহিঙ্গা গ্রামে নৃশংসতা চালায়। যার মধ্যে গু দার পাইন গ্রামে মিলেছে অন্তত পাঁচটি গণকবর।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী শুরুতে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও গত সেপ্টেম্বরে একটি সামরিক আদালত বসায় এবং স্বীকার করে যে, গ্রামটিতে নির্দেশনা অনুসরণে সেনাদের মধ্যে দুর্বলতা ছিল।

মঙ্গলবার কমান্ডার-ইন-চিফ অফিস ঘোষণা করে যে, সামরিক আদালত তিনজন সেনা সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং শাস্তি দিয়েছে।

তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। ফলে সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগে সেনা সদস্যদের দোষী সাব্যস্ত করা হলো এবং তাদের কী ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে সেসম্পর্কে কিছ জানা যায়নি।

-এ

The post রোহিঙ্গা নিপীড়নে ৩ সেনা কর্মকর্তাকে শাস্তি দিল মিয়ানমার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%80%e0%a7%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a7%a9-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95/

অচিরেই উন্মুক্ত হতে পারে মসজিদে হারাম

ফাতেহ ডেস্ক:

চলতি বছর শুধুমাত্র সৌদি আরবে বসবাসকারীরা ‘অত্যন্ত সীমিত’ পরিসরে হজের অনুমতি পাবেন। হজে আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই হারামাইন প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ তাওয়াফ ও নামাজের জন্য মসজিদে হারাম খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মসজিদে হারাম খুলে দেওয়া হলে স্বল্প পরিসরে উমরাপালনও শুরু হবে।

সৌদি আরবের প্রভাবশালী দুই পত্রিকা ওকাজ ও সৌদি গেজেট এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, নামাজ, তাওয়াফ ও উমরার জন্য মসজিদে হারাম খুলে দেওয়া হলেও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর অন্যতম হলো- মসজিদে হারামে ধারণ ক্ষমতার ৪০ শতাংশ মুসল্লি প্রবেশের সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া মসজিদে আগতদের সুরক্ষার পাশাপাশি, মসজিদ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় পদ্ধতি অবলম্বনসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। মসজিদে প্রবেশের সময় মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

পরিকল্পনা করা হচ্ছে, মসজিদে হারামে যে সব মুসুল্লি আসবেন; তাদের প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় তথ্য ও ফোন নম্বর সংরক্ষণ করা হবে। তাওয়াফ ও নামাজের সময় অবশ্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। বিগত ১৪ দিনের মাঝে করোনার উপসর্গ ছিল এমন কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

ইতোমধ্যে মসজিদের হারামের প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। থার্মাল ক্যামেরায় আগতদের শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হবে। যাদের উচ্চতাপমাত্রা পাওয়া যাবে, তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

প্রবেশ পথে মুসল্লিদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিষয়ে অবহিত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। তারা স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, হ্যান্ডশেক পরিহার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হাঁচি-কাশির বিষয়ে সচেতন করবেন আগতদের। প্রবেশ পথসহ স্থানে স্থানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।

উমরাপালনকারীদের জন্য নির্দেশনা। পরিকল্পনায় রয়েছে, পবিত্র উমরাপালন করতে আসা মুসল্লিলের কিং ফাহাদ গেট দিয়ে মাতাফে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তারা বের হবেন আল সাফা গেট কিংবা আন নবী গেট সংলগ্ন ব্রিজ দিয়ে।

সাধারণ তাওয়াফকারীদের জন্য নির্দেশনা। সাধারণ তাওয়াফকারীরা ৮৯ ও ৯৪ নম্বর গেট দিয়ে মাতাফে প্রবেশ করবেন এবং আজইয়াদ গেট দিয়ে বের হবেন।

আর দক্ষিণ ও পশ্চিম থেকে আগত মুসল্লিদের মাতাফের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করতে হবে আজইয়াদ ফ্লাইওভার এবং শোবাইকা ফ্লাইওভার দিয়ে। তারা বের হবেন চলন্ত সিঁড়ি (এস্কেলেটর) ও আল সাফা ব্রিজ দিয়ে।

মসজিদে হারাম খুলে দেওয়ার পর উমরাপালনকারী ছাড়া অন্যদের মাতাফে যেতে দেওয়া হবে না। মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয়তলা তাওয়াফকারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। হুইল চেয়ার ও বয়স্করা দ্বিতীয়তলা ব্যবহার করতে পারবেন।

ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য তাওয়াফের স্থানগুলোতে প্লাস্টিকের অস্থায়ী দেয়াল বানিয়ে দেওয়া হবে। সাফা-মারওয়াতেও আলাদা আলাদা লেন করে দেওয়া হবে।

জনসমাগম এড়াতে মক্কার প্রবেশ পথে কড়াকাড়ি আরোপ করা হবে। বিশেষ করে শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদে হারামে যাওয়ার পথগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। স্থানীয়দের নিজ নিজ মহল্লার মসজিদে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করা হবে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ৫ মার্চ থেকে মসজিদে হারামে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে জামাত, জুমা, তারাবি, ঈদের নামাজ ও সালাতুল কুসুফ আদায় করা হয়েছে। মসজিদে হারামের চারপাশে পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৫৯৯ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১১৮ জন।

The post অচিরেই উন্মুক্ত হতে পারে মসজিদে হারাম appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%85%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87/

১ জুলাই থেকে খুলছে আরব আমিরাতের সব মসজিদ

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণরোধে বন্ধ থাকা মসজিদগুলো ১ জুলাই থেকে আবার খুলে দিচ্ছে আরব আমিরাত। মসজিদের সঙ্গে সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়গুলোও খুলে দেওয়া হবে। তবে মেনে চলতে হবে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি। আর উপস্থিত হতে পারবে ৩০ শতাংশ প্রার্থনাকারী।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, আপাতত মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হলেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জুমার নামাজ স্থগিত থাকবে। এখন শুধু ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা।

এ ছাড়া মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন- জামাতের সময় প্রতি ২ কাতারের মধ্যে এক কাতার ফাঁকা রাখতে হবে, প্রতি ২ ব্যক্তির মধ্যে ১.৫ মিটার ফাঁক রাখতে হবে, মসজিদের প্রবেশের সময় সবাইকে গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, মুসল্লিরা নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে আসবেন, কোনো হ্যান্ডশেক করতে পারবে না, তবে দূর থেকে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবেন, নামাজের আগে বা পরে মুসল্লিরা একত্রিত হতে পারবেন না, দ্বিতীয় জামাত করা যাবে না, জামাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ ত্যাগ করতে হবে, যারা কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আছেন তারা অন্য মুসল্লিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মসজিদে আসবেন না এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন তাদেরও অন্যদের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়সী বয়স্ক এবং ১২ বছরের নিচে বাচ্চাদের তাদের নিজের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজের জন্য আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

মসজিদগুলো আজানের সময় থেকে জামাতে ফরজ নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ২০ মিনিটের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, ফরজ নামাজ আজানের পরপরই আদায় করা হবে।

মসজিদের কোনো ধরনের খাবার, পানীয় কিংবা প্রচারপত্র বিতরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারীরা মসজিদে আসবেন না। মসজিদের বাথরুম এবং অজুখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

করোনাভাইরাস সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৭ মার্চ থেকে আরব আমিরাতের মসজিদগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে মসজিদগুলোতে শুধুমাত্র আজান দেওয়া হতো।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়েক হাজার মসজিদ, ৪০টিরও বেশি খ্রিস্টান গির্জা ও হিন্দু মন্দির রয়েছে।

আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩১৪ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৬ জন।

-এ

The post ১ জুলাই থেকে খুলছে আরব আমিরাতের সব মসজিদ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a7-%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%ac-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf/

পাকিস্তানে হামলার পেছনে ভারত দায়ী, দাবি ইমরান খানের

ফাতেহ ডেস্ক:

একদিন আগে করাচির স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে হামলার সাথে ভারত জড়িত। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) পাকিস্তানের সংসদে তিনি একথা বলেন।

সোমবার (২৯ জুন) গ্রেনেড নিয়ে চারজন বন্দুকধারী পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা চালায়। এতে দুজন নিরাপত্তারক্ষী ও একজন পুলিশ নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের প্রত্যেককে হত্যা করেছে।

এদিকে ভারত জানিয়েছে, এ ঘটনার সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তবে ইমরান খান বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে এই হামলার পেছনে ভারতের হাত আছে। গত দুই মাস যাবত আমার মন্ত্রীসভা জানতো যেকোনো একটি হামলা হবে। আমি আমার মন্ত্রীদের জানিয়েছিলাম। আমাদের সব সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিল।

The post পাকিস্তানে হামলার পেছনে ভারত দায়ী, দাবি ইমরান খানের appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%a8%e0%a7%87/

স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি সংসদে

ফাতেহ ডেস্ক:

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে সরিয়ে অন্য কাউকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। এক্ষেত্রে সাবেক কৃষিমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুর রহমান (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত দুরাবস্থার মধ্যে আছে। মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে। জনগণ মনে করে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি মিনা কার্টুনের টিয়া পাখির দ্বারা চলছে। তিনি বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরি। সেইসব গ্রামের মানুষ আমাকে বলেছেন, আপনি তো সংসদে কথা বলতে পারেন। আপনি প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে দিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দেওয়ার কথা বলেছেন সাধারণ জনগণ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের এই কথাটি জানালাম।

এরআগে বিএনপির মো. হারুন অর রশীদ সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে চরম অব্যবস্থা-অনিয়ম চলছে। সরকারের লোকজন, বিএমএ বলছে, করোনায় মৃত্যুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি করেছেন? ১০ দিন ধরে ফোন করে ও বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাড়া মিলছে না। ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন। কমিটমেন্ট আছে, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন।

সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার জানান, দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির নয়জন সংসদ সদস্য এই ছাটাঁই প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা সময় বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাজেট পাসের আগে ওই দু’টি ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা।

The post স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি সংসদে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f/

কাশ্মীরকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বানানোর কার্যক্রম শুরু

রাকিবুল হাসান:

কাশ্মীরকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বানানোর কার্যক্রম শুরু করেছে ভারত। গত ১৮ মে’র পর থেকে এই পর্যন্ত পঁচিশ হাজার ভারতীয়কে কাশ্মীরে বসবাসের সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। এতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলে জনসংখ্যার একটা ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এই আবাসন সার্টিফিকেট একপ্রকার নাগরিকত্ব অধিকার। এই অধিকার বলে এখন তারা কাশ্মীরে বসবাস, সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারবে।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ভারতীয় সংবিধানের ৩৫ (এ) অনুচ্ছেদের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ভারত। এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের বাইরের কারো কাশ্মীরে এসে সরকারি চাকরি, নাগরিকত্ব অধিকারের জন্য আবেদন করতে পারতো না। কিন্তু এখন নতুন আইনে বলা হয়েছে, যে কেউ কাশ্মীরে যদি ১৫ বছর ধরে বসবাস করে অথবা এই অঞ্চলে সাত বছর ধরে পড়াশোনা করে এবং দশম বা দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়, তাহলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে। ভারতীয় সরকারি কর্মচারীদের যে সন্তানরা কাশ্মীরে দশ বছর পরিষেবা দিয়েছে, তারাও এই আবেদন করতে পারবে।

ভারতশাসিত কাশ্মীরের শীর্ষ আমলা রয়েছেন ৬৬ জন। এরমধ্যে ৩৮ জনই কাশ্নীরের বাইরের, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের। এরা কাশ্মীরে ব্যাংক, ডাকঘর, টেলিযোগাযোগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছে।

কাশ্মীর হবে আরেক ফিলিস্তিন

গত শুক্রবার ভারতের বিহার রাজ্যের আদিবাসী নবিনকুমার চৌধুরীকে দেয়া কাশ্মীরের আবাসন সার্টিফিকেটের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই টনক নড়ে সবার। শ্রীনগরের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম আল জাজিরাকে বলেন, ‘কাশ্মীর আরেকটি ফিলিস্তিনে পরিণত করার সর্বশেষ কার্যক্রমটি শুরু হলো। খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। আমাদের এমন একটা সময় আসবে, যখন আমরা ঘরেও নিরাপদ থাকবো না।’

শ্রীনগরের মানবাধিকার কর্মী খুররাম পারভেজ বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপটি পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয়কর। লকডাউনের সুযোগে সরকার খুব তাড়াতাড়িই কাজটি সারতে চাইছে।’

গত শুক্রবার এক টুইট বার্তায় ভারতের এই উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের পেছনে ঘৃণ্য নীল নকশা দেখতে পাচ্ছি।’

কাশ্মীরে হিন্দুদের আবাসন সার্টিফিকেট দেয়ার উদ্যোগটি আরএসএস-বিজেপির ‘হিন্দুত্ববাদী’ এজেন্ডার অংশ বলে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কাশ্মীরিরা এই বোগাস আধিপত্য সার্টিফিকেট প্রত্যাখ্যান করবে। কারণ ভারতের এই নিয়ম অবৈধ। জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহ এবং চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই নিয়ম কাশ্মীরিদের তাদের নিজস্ব ভূমিতে সংখ্যালঘুতে পরিণত করবে।’

কোন অঞ্চলে কতটি আবাসন সার্টিফিকেট বিতরণ

সবচে বেশি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে জম্মুতে। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু অঞ্চলের ১০ টি জেলায় আবাসন সার্টিফিকেটের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৩৩ হাজার। এরমধ্যে পঁচিশ হাজার জনকে সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। দোদা জেলায় দেয়া হয়েছে সাড়ে আট হাজার। এ জেলায় মুসলিম ৫৩.৮১ শতাংশ এবং হিন্দু ৪৫. ৭৬ শতাংশ। রজৌরি জেলায় দেয়া হয়েছে ৬২১৩ টি সার্টিফিকেট। এ জেলায় মুসলিম ৬২. ৭১ শতাংশ এবং হিন্দু। সীমান্ত জেলা পুঞ্চেতে সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে ৬১২৩টি। এখানে ৯০. ৪ শতাংশ মুসলিম।

কাশ্মীর অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিমদের হার ৯৬.৪ শতাংশ। এ অঞ্চল থেকে আবাসন সার্টিফিকেটের আবেদন জমা পড়েছে ৭২০ টি। আবেদন ইস্যু করা হয়েছে ৪৩৫টি।

শ্রীনগরের মানবাধিকার কর্মী খুররাম পারভেজ আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, কাশ্মীরের স্থানীয় সরকারকে নয়াদিল্লি আদেশ দিয়েছে—১৪ দিনের ভেতরেই যেন আবাসন সার্টিফিকেটের আবেদনগুলো ইস্যু করা হয়। নয়ত কর্মকর্তাদের জনপ্রতি ৫০ হাজার রুপি জরিমানা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অথচ আসামে বিজেপি সরকার প্রতিটি নাগরিকত্ব আবেদন যাচাই করে দেখেছে। ফলে ২ মিলিয়ন মানুষ চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কিন্তু কাশ্মীরে তার বালাই নেই। আাসামে তো একজনের নাগরিত্ব নিয়ে আরেকজন ভ্যাটো দিতে পারে। কিন্তু কাশ্মীরে তাও পারে না। যা হচ্ছে, সব মেনে নিতে হচ্ছে। বরং যারা এর বিরোধিতা করবে, তাদেরকে জেলে বন্দী করারও হুমকি দেয়া হয়েছে।’

সূত্র : আল জাজিরা

The post কাশ্মীরকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বানানোর কার্যক্রম শুরু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%81-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%97/

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবি: ২৭ ঘন্টা পর আরো এক মরদেহ উদ্ধার

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ২৭ ঘন্টা পর আরো এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের কাজ করছে। ইতোমধ্যে ১০টি এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহার করে পাম্প দিয়ে ডুবে যাওয়া নৌযানটিকে কেরানীগঞ্জের বরফ কলের তীরে নেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, নৌযানটি উদ্ধারে যৌথভাবে কাজ করছেন তারা। ইতোমধ্যে ডুবে যাওয়ার স্থান থেকে এয়ার লিফটিং ব্যাগের লাগিয়ে তীরে দিকে কিছুটা সরিয়ে আনা হয়েছে লঞ্চটিকে। এরপর বিআইডব্লটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ দুরন্ত দিয়ে টেনে তোলা হবে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে তাতে হয়তো আজ দিনের মধ্যেই মর্নিং বার্ড লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

সোমবার সকালে অর্ধশতাধীক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ছোট লঞ্চ মর্নিং বার্ড বুড়িগঙ্গার ফরাশগঞ্জ ঘাটে চাদঁপুরগামী ময়ূর দুই লঞ্চের ধাক্কা ডুবে যায়।

The post বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবি: ২৭ ঘন্টা পর আরো এক মরদেহ উদ্ধার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b2%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a-%e0%a6%a1%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a7%a8%e0%a7%ad/

১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার: সুমন বললেন, ‘নিঃশ্বাস আল্লাহ দিসে’

ফাতেহ ডেস্ক:

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে সুমন ব্যাপারীকে। এ নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। যেখানে মানুষের পক্ষে এক থেকে দেড় মিনিটের বেশি পানির নিচে থাকা সম্ভব নয়, সেখানে সুমন ছিলেন ১৩ ঘন্টা। কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে আজ দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুমন ব্যাপারী বলেন, পানির নিচে নিঃশ্বাস আল্লাহ দিসে, আমি কিছু জানি না।

গতকাল রাতে সুমন ব্যাপারীকে উদ্ধার করে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে তেমন কোনো সমস্যা নেই। সাধারণ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই হয়তো তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ডুবন্ত থাকা ১৩ ঘণ্টার বর্ণনা দিতে গিয়ে সুমন ব্যাপারী বলেন, লঞ্চের মধ্যে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠি, কিন্তু মুহূর্তেই ডুবে যাওয়ার কারণে বের হতে পারিনি। তারপর কীসের মধ্যে ছিলাম, কীভাবে ছিলাম তা বলতে পারবো না। তবে একটা রড ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এটুকু মনে আছে।

তিনি আরো বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ১০ মিনিট ভেতরে ছিলাম। পরে জানলাম সময়টা ১৩ ঘণ্টা। কীভাবে এই সময় পার করেছি তা আল্লাহই ভালো জানে। বের হওয়ার সময়ও কিচ্ছু বুঝি নাই, আল্লাহই তার কুদরতে আমাকে বের করে এনেছেন। তার কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া।

কীভাবে নিঃশ্বাস নিয়েছেন- এমন প্রশ্নে সুমন ব্যাপারী বলেন, নিঃশ্বাস আল্লাহ দিসে। আমি কিছু বলতে পারবো না। এর ব্যাখ্যা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। পুরো ঘটনাটাই আমার কাছে অলৌকিক মনে হচ্ছে।

-এ

The post ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার: সুমন বললেন, ‘নিঃশ্বাস আল্লাহ দিসে’ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a7%e0%a7%a9-%e0%a6%98%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%b2/

দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৬ বছর

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু কিছুটা বেড়ে ৭২ দশমিক ৬ বছর হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস’র সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) ৩য় পর্যায়’ প্রকল্পের মাধ্যমে এ জরিপ পরিচালিত হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের জরিপে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু পাওয়া গিয়েছিল ৭২ দশমিক ০৫ বছর।

প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক বলেন, এবারের জরিপে পুরুষের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৭১ দশমিক ১ বছর এবং নারীদের ৭৪ দশমিক ২ বছর হয়েছে।

আগের জরিপে পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক ৬ বছর আর নারীদের ৭৩ দশমিক ৫ বছর।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে। শিশুমৃত্যুর হার কমে আসায় এবং দেশে জটিল রোগের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়া এর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

The post দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৬ বছর appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%a4/

দেশে একদিনে রেকর্ড ৬৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৮২

ফাতেহ ডেস্ক:

চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১৮ হাজার ৪২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৬৮২ জনের শরীরে।

এই নিয়ে দেশে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৪৭ জন।

আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। এর মধ্যে নতুন ১ হাজার ৮৪৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৯ হাজার ৬২৪ জন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।

দেশে করোনায় মৃত্যুর আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ১৬ জুন, ৫৩ জন। আর শনাক্তের রেকর্ডটি হয়েছি ২৯ জুন, ৪ হাজার ১৪ জন।

চব্বিশ ঘণ্টার হিসেবে দেশে করোনভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.৯১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৪০.৯৮ শতাংশ।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ, ১২ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন; সাতজন করে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের, দুজন করে বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের।

হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছেন ৫১ জন, বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত্যুবরণ করা সর্বোচ্চ ২১ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। ১৬ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে।

চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৪৪৯ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ৫৪৪ জন; বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ১৪৫ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন।

The post দেশে একদিনে রেকর্ড ৬৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৮২ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a7%ac%e0%a7%aa-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4/

কওমি মাদরাসায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘গায়েবি’ অনুদান

রাকিবুল হাসান :

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মরহুম শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ কিছু কওমি মাদরাসার জন্য আর্থিক অনুদান বরাদ্দ করেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সে নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি। অনেকেই অনুদানের বিষয়টা জানেন না। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ এই অনুদান গ্রহণ করছেন। গ্রহণ না করার তালিকাটাও দীর্ঘ। যারা অনুদান গ্রহণ করেননি তাদের বক্তব্য—ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই অনুদান বিষয়ে তাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগই করেনি।

কিছু নিউজ পোর্টালের খবরে প্রকাশ—ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অনুদানপ্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে- চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা,জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদরাসা, জামিয়া রাহমানিয়া সাতমসজিদ-মোহাম্মদপুর, ফরিদাবাদ মাদরাসা, মারকাযুদ দাওয়াতিল ইসলামিয়া হযরতপুর কেরানীগঞ্জ, শায়েখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, দারুল উলুম মাদরাসা খুলনা, আল জামেয়াতুল ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ, জামেয়া শরইয়া মালিবাগসহ আরও কয়েকটি মাদরাসা।

তালিকাটি প্রকাশের পরই প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জামিয়া রাহমানিয়া সাতমসজিদ-মোহাম্মদপুর মাদরাসা অনুদান গ্রহণ করেনি বলে জানান। এই পোস্টকে ঘিরে কওমি মহলে তৈরী হয় রহস্য। সেই রহস্যের জট ভাঙতে অনুসন্ধান চালিয়েছে ফাতেহ টুয়েন্টি ফোর।

যারা অনুদান গ্রহণ করেননি

শুরুতেই কথা হয় লালবাগ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও শুরা সদস্য মুফতি ফয়জুল্লাহর সঙ্গে। ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরকে তিনি বললেন, ‘লালবাগ মাদরাসা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুদান গ্রহণ করেনি।’

একই সুরে কথা বললেন জামিয়া রাহমানিয়া সাতমসজিদ-মোহাম্মদপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক। ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরকে তিনি বললেন, ‘পত্রিকায় আমরা অনুদান গ্রহণ করেছি বলে যে খবর এসেছে, তা ভুল। অনুদান বিষয়ে তো আগে জানতে হবে। বিষয়টা আমরা জানিই না, অনুদান গ্রহণ তো দূরের কথা। জামিয়া রাহমানিয়া অনুদান গ্রহণ করেনি।’

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুদান প্রসঙ্গটি খানিক খোলাসা করে বললেন শায়েখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরকে তিনি বললেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন সচিব আমার হোয়াটসঅ্যাপে অনুদানের তালিকাটি পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে আমার মাদরাসার নামটিও ছিল। হোয়াটসঅ্যাপ চেক করিনি বলে তালিকাটিও চোখে পড়েনি। একদিন একজন ফোন দিয়ে অনুদান প্রসঙ্গটি তুললো। তখন হোয়াটসঅ্যাপ চেক করে দেখি এই খবর। অনুদান তালিকায় অনুদান গ্রহণের শেষ তারিখ ছিল ৩০ জুন। এই সময়ে অনুদান গ্রহণ না করা হলে সরকারের ফান্ডে চলে যাবে। কিন্তু আমি আর আগ্রহ দেখাইনি। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকেও যোগাযোগ করা হয়নি আর।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অনুদান আমরা চাইনি। ধর্ম মন্ত্রণালয় ইচ্ছে করে দিয়েছে। এখন যারা যারা গ্রহণ করতে চায়, করতে পারে। শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই।’

‘আমি কিছু জানি না’

অনুদানপ্রাপ্তির তালিকায় নাম আছে জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদসারাও। ফরিদাবাদের নায়েবে মুহতামিম মুফতি নুরুল আমিন সাহেব বিষয়টি জানেন না বলে স্বীকার করেছেন। ফরিদাবাদ মাদরাসা অনুদান গ্রহণ করেছে কিনা জানতে চাইলে ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ এরপর কথা হয় ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কু্দ্দুস সাহেবের ছেলে মুফতি যুবায়ের সাহেবের সঙ্গে। তিনি ফরিদাবাদ মাদরাসার শিক্ষকও। ফাতেহকে তিনি বললেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

মারকাযুদ দাওয়াতিল ইসলামিয়া অনুদান গ্রহণ করেছে কিনা জানতে যোগাযোগ করা হয় মুফতি যাকারিয়া আব্দুল্লাহর সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বললেন, ‘এমনটি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমি সঠিক জানি না।’

দারুল উলুম হাটহাজারি মাদরাসা রয়েছে অনুদানপ্রাপ্তির তালিকার শীর্ষে। ফাতেহ থেকে আল্লামা আহমদ শফি সাহেবের ছেলে মাওলানা আনাস মাদানিকে ফোন করা হয় বেশ কয়েকবারই। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে হাটহাজারি মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলি নিজামপুরী ফাতেহকে বলেছেন, ‘হাটহাজারির আশপাশের কয়েকটি মাদরাসা এই অনুদান গ্রহণ করেছে। তবে হাটহাজারি গ্রহণ করেছে কিনা, তিনি জানেন না।’

জামিয়া শরইয়াহ মালিবাগের মুহতামিম মুফতি বুরহানুদ্দিন সাহেবের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রথম কয়েকবার রিং হলেও কল রিসিভ হয়নি। পরে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। বন্ধ পাওয়া যায় মাদরাসার ফোন নাম্বারটিও। তবে মালিবাগ মাদরাসার মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুম ফাতেহকে বলেন, মাদরাসা অনুদান গ্রহণ করেছে কিনা তিনি সঠিক জানেন না।

বাধ্য হয়ে অনুদান গ্রহণ

তবে যারা অনুদান গ্রহণ করেছেন, তারাও খুব স্বস্তির সঙ্গে অনুদান গ্রহণ করেননি। যোগাযোগ করা হয় তালিকায় থাকা জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জে। মাদরাসাটির মুহাদ্দিস মাওলানা শোয়াইব আবদুর রউফ ফাতেহকে বলেন, ‘আমরা দুদল্যমানায় ছিলাম অনুদান নিব কিনা। কিশোরগঞ্জের আরও বিভিন্ন মাদরাসা অনুদান নিয়েছে। পরে আমরাও নিয়েছি।’

অনুদান গ্রহণ করেছে দারুল উলুম খুলনা। মাদরাসাটির ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল হাফিজ ফাতেহকে বলেন, ‘আমরা অনুদান গ্রহণ করেছি।’ তবে অনুদান গ্রহণের অস্বস্তিকর গল্পটি বলেছেন এ মাদরাসারই শিক্ষক মুফতি মাহফুজুল হক। ফাতেহকে তিনি বললেন, ‘রমজানে সরকারের পক্ষ থেকে যে অনুদান দেয়া হয়, তা গ্রহণ করতে আমরা অস্বীকৃতি জানাই। দু’বার অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দেই। কিন্তু ডিসি মহোদয় বললেন, আপনারা হয়তো জামাত-শিবির, তাই অনুদান নিচ্ছেন না। বাধ্য হয়েই আমরা তখন অনুদান গ্রহণ করি। এবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুদানটিও গ্রহণ করি। আমরা গিয়ে আনিনি। আমাদের তহবিলে চলে এসেছে।’

মৃত্যুর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য মন্ত্রীর তহবিল থেকে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান বরাদ্দ দিয়েছেন। অনুদানের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ৩৫৯টি প্রসিদ্ধ কওমি ও আলিয়া মাদরাসাসহ হেফজখানা এবং এতিমখানার নাম রয়েছে। তালিকায় নাম থাকলেও অনেক মাদরাসাকে জানানোই হয়নি। যাদেরকে জানানো হয়েছে, তাদের কেউ বাধ্য হয়ে গ্রহণ করেছে, কেউ করেনি। তবে খবরে প্রকাশিত বিভিন্ন মাদরাসার মুহতামিমগণ তারা অনুদান গ্রহণ করেছেন বলে যে খবর বেরিয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, ‘সত্য না জেনে নিউজ করা সাংবাদিকতার নীতিপরিপন্থী। অনুদানের ক্ষেত্রে এই নীতিপরিপন্থী কাজটাই হয়েছে।’

The post কওমি মাদরাসায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘গায়েবি’ অনুদান appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%93%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d/

Monday, June 29, 2020

আশুলিয়ায় আগুন: ওয়ার্কশপের ৫ দোকান ভস্মীভূত

ফাতেহ ডেস্ক:

সাভারের আশুলিয়ায় ভয়াবহ আগুনে টিনশেডের মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপের পাঁচটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ীতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক সংলগ্ন মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভোরে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।

এ সময় আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি থাকায় ও আশপাশে পানির উৎস খুঁজে পেতে আগুন নেভাতে তাদের বেগ পেতে হয়।

পরে তাদের তিনটি ফায়ার ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে গ্যারেজের ভেতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, প্রধান মোটরসাইকেল নামে পুড়ে যাওয়া একটি ওয়ার্কশপের ভেতরে ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

পরে গ্যারেজের ভেতরে রাখা অকটেন জাতীয় জ্বালানির সংস্পর্শে আসলে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়। তবে আগুন পার্শ্ববর্তী হাবিব হাসপাতাল ও কাঠের দোকানে ছড়ানোর পূর্বে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে বলে জানান তিনি।

The post আশুলিয়ায় আগুন: ওয়ার্কশপের ৫ দোকান ভস্মীভূত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%b6%e0%a6%aa%e0%a7%87/

মহামারি পরিস্থিতি ‘অবসানের ধারে কাছেও নেই’

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। লাতিন আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। কিন্তু এখনই এই মহামারির শেষ দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গাব্রিয়েসাস বলেছেন, পরিস্থিতি মহামারির অবসানের ধারে কাছেও নেই!

গত বছরের শেষ দিকে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনাকাঙ্ক্ষিত মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আক্রান্ত ছাড়িয়েছে এক কোটি, আর মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতির চাকা সচল করতে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ শিথিল করার পথে হাঁটছে অধিকাংশ দেশ। এর মধ্যে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা শোনালেন ডব্লিউএইচও প্রধান।

সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আধানম বলেন, “আমরা সবাই চাই এটা শেষ হোক। আমরা সবাই আমাদের স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে চাই।”

“কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো- পরিস্থিতি শেষ হওয়ার ধারে কাছেও নেই। যদিও অনেক দেশে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক বিবেচনায় এই মহামারি প্রকৃতপক্ষে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, ছয় মাস আগে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকায়। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্য তুলে ধরে এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২ হাজার মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

বিশ্বের মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্ত ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যু ১ লাখ ২৬ হাজার। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের অবস্থাও ভয়াবহ। আক্রান্ত-মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে দেশটি।

করোনাভাইরাস মহামারির অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিনও বাজারে আসেনি।

ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান জানান ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কেবল টিকা নির্ভর হলে চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

“করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিরাপদ এবং কার্যকর টিকা পাওয়ার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বের দেশগুলোকে বিভিন্ন পন্থায় ভাইরাস সংক্রমণ রোধে লড়াই করে যেতে হবে।”

The post মহামারি পরিস্থিতি ‘অবসানের ধারে কাছেও নেই’ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a8/

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহতের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নৌ পুলিশ ঢাকা জোন সূত্রে এই খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এমভি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেওয়া লঞ্চ ময়ূরী ২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াত ও চালকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নৌ পুলিশ মামলা করেছে।

রাজধানীর শ্যামবাজারসংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটের এমভি মর্নিং বার্ড নামে দোতলা লঞ্চটি ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ লঞ্চটির ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

লঞ্চডুবির পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা সম্মিলিতভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ৮০ জন ধারণক্ষমতার ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তারা। লঞ্চডুবির পর যাত্রীদের মধ্যে কজন সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন সেটিও নিশ্চিত না হওয়ায় এখনো ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।

এ ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে একটা বলা যায় যে, পরিকল্পিতভাবে মর্নিং বার্ড লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, বড় লঞ্চটি ছোট লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দিচ্ছে। এজন্য যারা দায়ী তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের স্বজনদের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর লাশ দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্র্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, ‘ময়ূর-২ নামে একটি লঞ্চ সদরঘাট লালকুঠি ঘাট থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই লঞ্চটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। দুই লঞ্চের চালকদের অসতর্কতায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান শেষে এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’

ডুবে যাওয়া লঞ্চটির অবস্থান শনাক্তের পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা সম্মিলতিভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। বুড়িগঙ্গার তলদেশে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচ থেকে একটার পর একটা লাশ তুলে আনে তারা।র

The post বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b2%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%be/

রাজধানীর ওয়ারী লকডাউনের নির্দেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজধানীর ওয়ারীর রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এই বিষয়ে সোমবার নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিএসসিসি’র ওয়ারী এলাকায় রেড জোন হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএসসিসি ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) এবং ইনার রোড হিসেবে লালমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, রানকিন রোড এবং নওয়াব রোড রেড জোন হিসেবে লকডাউন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রেড জোন এলাকা ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হচ্ছে, সেখানে থাকছে সাধারণ ছুটি।

করোনাভাইরাসের জন্য অধিক সংক্রমিত এলাকাকে চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত ১২ জুন হতে পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়।

The post রাজধানীর ওয়ারী লকডাউনের নির্দেশ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0/

করোনায় দেড় কোটির বেশি পরিবারকে সরকারের ত্রাণ সহায়তা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এক তথ্য বিবরণীতে সোমবার বলা হয়, ৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রোববার পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ টন এবং বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৮২ টন।

এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৮ হাজার ১৫১ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৭ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৯ জন।

নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাধারণ ত্রাণ হিসেবে নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৮৮ কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা।

এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯২ এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজার ৫১৩ জন।

শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ১৯ হাজার ২৪১ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৮ লাখ ১৮ হাজার ৩২৯ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৮ হাজার ৬১৬ জন।

The post করোনায় দেড় কোটির বেশি পরিবারকে সরকারের ত্রাণ সহায়তা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a7%9c-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf/

মাত্র এক বছরে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করলেন তুরস্কের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী

ফাতেহ ডেস্ক:

তুরস্কের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রী “রাভজানুর কাচাকার” মাত্র ১২ মাসে কুরআন হেফজ করেছেন।

প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও তুরস্কের এই মেয়ে প্রতিদিন প্রতিদিন পবিত্র কুরআনের ১১ পৃষ্ঠা মুখস্থ করেছেন। রাভজানুর কাচাকার তুরস্কের কারাপানার শহরের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি হাইস্কুলে পড়াশোনা করছেন।

তুরস্কের আনাতোলিয়া বার্তা সংস্থাটি টুইটার পাতায় ঘোষণা করেছে রাভজানুর কাচাকার বর্তমানে হাইস্কুলে অধ্যয়নরত রয়েছে। প্রতিদিন ১১ পৃষ্ঠা মুখস্থ করে মাত্র এক বছরে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছেন। সূত্র: আনাদলু এজেন্সি

The post মাত্র এক বছরে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করলেন তুরস্কের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3-%e0%a6%95%e0%a7%81/

বাজেট নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সমাপনী ভাষণে বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি বাজেট নিয়ে সরকারের অবস্থান বাখ্যা করেন।

জিডিপির হার সংশোধান

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বলেন, চলতি ২০২০ সালে উদযাপিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগামী বছর ২০২১ সালে জাতি পালন করতে যাচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কিন্তু এই মাহেন্দ্রক্ষণে গোটা বিশ্ব এক ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্ব অথর্নীতি আজ মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে মর্মে প্রাক্কলন করেছে। তা ছাড়া, করোনার প্রভাবে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্য ১৩ থেকে ২০ শতাংশ হ্রাস, বিশ্বব্যাপী ১৯ কোটি ৫০ লাখ কর্মীর পূর্ণকালীন চাকরি হ্রাস, বৈশ্বিক এফডিআই প্রবাহ ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস এবং বৈশ্বিক রেমিটেন্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে মর্মে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৮ মার্চ এবং ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৬ মার্চ হতে ৩০ মে পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি কার্যকর ছিল। গণপরিবহন এবং কল-কারখানা এ সময়ে বন্ধ থাকে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি মন্থর হয়। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ সব বিবেচনায় নিয়ে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে।

আশা করা যায়, ২০২১ সালে বিশ্ব এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি কোভিড-১৯ প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসবে। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের অর্থনীতি তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে ধরে নিয়ে আগামী ২০২০-২১ অথর্বছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

একই সঙ্গে নিম্ন মূল্যস্ফীতি ধরে রাখার পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

বাজেট যে কারণে ‘উচ্চাভিলাসি’

অনেকে বলছেন বাজেট একটু বেশি আশাবাদি, বা উচ্চাভিলাসি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সবসময় আমাদের একটা লক্ষ্য থাকতে হবে। আজকে কোভিড-১৯ এর জন্য সবকিছু স্থবির। তবে আমরা আশাবাদি যে, এ অবস্থা থাকবে না। এর থেকে উত্তরণ ঘটবে। আজকে যদি হঠাৎ সে অবস্থার উত্তরণ ঘটে যায় তাহলে আগামীতে আমরা কী করব, সেটা চিন্তা করেই এ পদক্ষেপটা আমরা নিয়েছি। সেখানে কোভিড যদি শেষ না হয়, তাহলে হয়ত আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব না, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতিটা থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি এবং সে জন্য উচ্চাভিলাসি বাজেটই আমরা দিয়েছি।

প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমানসমূহ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা হলো:

(ক) করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আমাদের অর্থনীতির উৎপাদন ব্যাহত হলেও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধ-বিগ্রহের সময় হয়ে থাকে।

(খ) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে কর্মসৃজন ও ব্যক্তি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়বে এবং প্রণোদনার প্যাকেজসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হলে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা মহামারি পূর্বাবস্থায় চলে আসবে।

(গ) অক্টোবর/নভেম্বর মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা বাজারে চলে আসলে ইউরোপ-আমেরিকায় জীবনযাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং আমাদের রপ্তানি আয় কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসবে।

(ঘ) বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রবাস আয়ে বর্তমান সঙ্কট কেটে যাবে।

করোনা সঙ্কট মোকাবিলার উদ্যোগ

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এ সঙ্কট মোকাবেলায় নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে অর্থনীতির ওপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে আমরা একটি সামগ্রিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।

যার মধ্যে কিছু কাজ আমরা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি, কিছু স্বল্পমেয়াদে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি এবং কিছু কাজ দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়ন করবো। আমাদের এ কর্মপন্থার চারটি প্রধান কৌশলগত দিক রয়েছে। এগুলো হলো

(ক) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি: কর্মসৃজনকে প্রাধান্য দেওয়া ও বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিত করা এবং কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় পিছিয়ে দেওয়া।

(খ) আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ প্রণয়ন: বাজেট বরাদ্দ এবং ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনা ও স্বল্প সুদে কতিপয় ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা যাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত হয়, কর্মসংস্থান ঠিক থাকে এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

(গ) সামাজিক সুরক্ষার আওতা সম্প্রসারণ: হত দরিদ্র, কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি।

(ঘ) বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করা, একই সাথে মূল্যস্ফীতি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি, কলকারখানা বন্ধ থাকা এবং সর্বোপরি ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির থাকায় দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ সাময়িকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ে। সে কারণে করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা খাতের ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।

প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ আমি এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করছি:

(১) রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল প্রদান করেছিলাম যার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মচারির কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ তহবিল হতে ৩৫ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারির এপ্রিল ও মে মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমুদয় অর্থ শেষ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিশেষ বিবেচনায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা হতে মাত্র ২ শতাংশ সুদে আরও ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জুন মাসের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।

(২) ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আমরা ৩০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করেছি। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ; এর মধ্যে অর্ধেক ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণ গ্রহীতা এবং অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে। এ সুবিধার ফলে শিল্প ও সেবা খাতের আনুমানিক ৬০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান টিকে থাকবে।

(৩) কুটির শিল্পসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও আমরা ২০ হাজার কোটি টাকার আরও একটি স্বল্প সুদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা চালু করেছি। ৯ শতাংশ সুদের এ ঋণ সুবিধার ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে অবশিষ্ট ৪ শতাংশ প্রদান করবে ঋণ গ্রহীতা। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ধরে রাখা সম্ভব হবে।

(৪) শিল্পের কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের আকার আমরা ৩দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত এবং এর সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি।

(৫) রপ্তানিকারকদের প্রি-শিপমেন্ট খাতের ব্যয় অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার নতুন একটি রিফাইন্যান্স স্কিম চালু করেছি।

(৬) করোনা রোগীদের সেবা প্রদানের কাজে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সকলকে দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ বিশেষ সম্মানী প্রদান করা হবে। এ খাতে আমরা ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি।

(৭) করোনা রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ এ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারী দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং মৃত্যুবরণ করলে তাদের পরিবারকে এর পাঁচগুন ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। এ খাতে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

(৮) হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে আমরা খাদ্য বিতরণ করছি। এ লক্ষ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে দেশব্যাপী মোট ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ রেখেছি। এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৯ লক্ষ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

(৯) নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমরা খোলাবাজারে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় শুরু করেছি; এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চাল বিক্রয় করেছি এবং এ কার্যক্রম এখনও অব্যাহত আছে। এ বাবদ ২৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

(১০) করোনাভাইরাসজনিত কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দেশের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে আমরা সারাদেশে নির্বাচিত ৫০ লাখ উপকারভোগীর প্রত্যেককে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অনুদান ট্রেজারি থেকে সরাসরি তাদের ব্যাংক বা মোবাইল একাউন্টে প্রদান করছি।

(১১) দেশের অতি দরিদ্র ১০০টি উপজেলায় বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচির আওতা শতভাগে উন্নীত করা হবে। এর আওতায় নতুন ৫ লাখ বয়স্ক ভাতা এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচির আওতায় সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে আরও ২ লক্ষ ৫৫ হাজার নতুন ভাতাভোগী যুক্ত হবে।

(১২) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সব গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

(১৩) কৃষকের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা ও বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সরাসরি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরো ২ লক্ষ টন বাড়িয়ে মোট ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।

(১৪) ধান কাটা ও মাড়াই কাজ যান্ত্রিকীকরণে আমরা ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ইতোমধ্যে প্রদান করেছি। এ ছাড়াও আগামী অর্থবছরে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

(১৫) কৃষির সার্বিক উন্নয়ন, কৃষককে প্রণোদনা প্রদান এবং দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করেছি।

(১৬) কৃষকের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার একটি কৃষি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছি।

(১৭) নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার অপর একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম আমরা গঠন করেছি।

(১৮) বিদেশ ফেরত প্রবাসী শ্রমিক, প্রশিক্ষিত তরুণ এবং বেকার যুবকদের ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনকে আমরা মোট ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছি। এতে আনুমানিক ৯ লক্ষ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

(১৯) সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে এপ্রিল ও মে মাসের সুদ আদায় স্থগিত করা হয়েছে। এ দু‘মাসের মোট সুদের মধ্যে আমরা সরকারের পক্ষ হতে ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করবো এবং ঋণ গ্রহীতাগণ অবশিষ্ট অংশ সমান ১২টি কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। এ কর্মসূচিতে প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ঋণ গ্রহীতা উপকৃত হবেন।

দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী যেন উপকৃত হয় সে লক্ষ্য নিয়েই পরিকল্পিতভাবে এবং যথাযথ সময়ের পূর্বেই প্রতিটি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রণয়ন করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় ইতোমধ্যে ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা পেয়েছে এবং ১৯টি প্যাকেজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে ১২ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ সুবিধা পাবে। এ ছাড়া প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ কর্ম সুরক্ষা ও নতুন কর্ম সৃজন হবে।

দেশকে আওয়ামী লীগ সরকারের উপহার

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে সাময়িক প্রয়োজন উদ্ভূত হয়েছে তা মেটানো এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষয়-ক্ষতি সৃষ্টি হবে তা পুনরুদ্ধারের কৌশল বিবেচনায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন।

এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭তম এবং বর্তমান মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সরকার পরিচালনা করেছিলেন সেখানে তিনটি বাজেট দেওয়ার সযোগ পেয়েছিলেন। সে হিসেবে এটি আওয়ামী লীগের ২০তম বাজেট। যেটি আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশকে উপহার দিয়েছে। এ বাজেটে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জীবন ও জীবিকা রক্ষার উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাছাড়া, বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসৃজন ও সামাজিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচনী ইশতেহার, ২০১৮ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও লক্ষ্যসমূহ অর্জনের প্রয়াস চালানো হবে। আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) অনুমোদন করেছি। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উত্তরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

হয়তো তখন আমরা বেঁচে থাকবো না কিন্তু কাজ আমরা করে যাচ্ছি, কর্মপন্থা দিয়ে যাচ্ছি ভবিষ্যতে যারা আসবে তারা যেন এটা অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

এ ছাড়া, আমরা আগামী অর্থবছর হতে ৫ বছর মেয়াদি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো যার মূল প্রতিপাদ্য হবে দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্য কমিয়ে এনে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা।

বাংলাদেশ বিগত ১২ বছরে গড়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষম হলেও কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে চলতি অর্থবছরে এ ধারায় কিছুটা হয়তো ছন্দপতন হতে পারে। এ মহামারির কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম থমকে যাওয়ার প্রভাবে আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারি মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকে করেছেন।

কিন্তু অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আমরা যে সুবিশাল আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করে বাস্তবায়ন শুরু করেছি, তার মাধ্যমে আমরা এ সম্ভাবনাকে অনেকটাই রোধ করতে সক্ষম হবো বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের অতি দরিদ্র পরিবারকে সরাসরি নগদ অনুদান, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারিদের চাকরি সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ইত্যাদি সময়োপযোগী পদক্ষেপের দ্বারা আমরা দারিদ্র্য হার বৃদ্ধিকে রোধ করতে সক্ষম হব। আগামী অর্থবছরে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার মাধ্যমে আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের হার পূর্বের ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।

স্বাস্থ্য

কোভিড-১৯ মোকাবেলা এবং এর অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা গতানুগতিক বাজেট হতে সরে এসে সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। স্বাস্থ্য খাতকে এবার সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে জনজীবনকে সুরক্ষার লক্ষ্যে ন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন আরম্ভ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তাছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দের দিক দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অবস্থান পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে যা গত অর্থবছরে ছিল অষ্টম স্থানে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা অত্যন্ত অল্প সময়ে ২ হাজার ডাক্তার ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। আরো ২ হাজার ডাক্তারের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যাদের শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়া হবে। হেল্থ টেকনোলজিস্ট, কার্ডিওগ্রাফার এবং ল্যাব এটেনডেন্টের ৩ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সরাসরি নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে হোটেলে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, টেস্ট কীট ও সরঞ্জামাদি ক্রয় এবং করোনা চিকিৎসার সুবিধা আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা দ্রুততম সময়ে ২ হাজার ৫ শত কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি।

আরো একটি প্রকল্প বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এগুলো বাস্তবায়নের ফলে আমাদের করোনা মোকাবেলার সামর্থ্য আরও বাড়বে। ২৮ জুন ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ২ হাজার জন। তন্মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৬৪৪ জন। বিশ্বে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ৫.০১ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ৫৫ হাজার ৭২৭ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন যদিও একটি মৃত্যুও আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, আমরা চাই না, এভাব একজনও মৃত্যুবরণ করুক। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া যায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার বার জনগণকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা এবং অপরকে সুরক্ষিত রাখাটা সকলের দায়িত্ব। তাই আশা করি সকলে সিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।

আক্রান্তের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ভারতে ৩. দশমিক শূণ্য ৮, পাকিস্তানে ২ দশমিক শূণ্য তিন, যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক শূণ্য ৩ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৫ শতাংশ। এ পরিসংখ্যান হতে দেখা যায় যে যথাযথ কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করায় বাংলাদেশে আমরা করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যুহার নিম্ন পর্যায়ে রাখতে পেরেছি।

কৃষি

আগামী বাজেটে আমাদের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হচ্ছে কৃষি। কৃষিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে আমরা চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

এফএও ইতোমধ্যে তাদের একটি পর্যালোচনা দিয়েছে সেখানে আমাদেও প্রায় ৩ কোটি ৯৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। যা আমাদের চাহিদার চেয়েও ২৫ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত।

করোনাত্তোর কৃষিখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎপাদন, বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করার মাধ্যমে খাদ্য সঙ্কট যাতে তৈরী না হয় সেদিকে নজর দেওয়াই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনভাবেই যাতে খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি না হয় সে জন্য এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আমি কৃষি মন্ত্রণালয় ও তার সব সহযোগী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছি- কোনো জমি ফেলে রাখা যাবে না কারণ বিশ্বজুড়ে মহাদুর্ভিক্ষ হতে পারে। দেশবাসীকে আমি আহ্বান জানাব যার যেখানে যেটুকু জমি আছে সেখানে যে যা পারেন তাই উৎপাদন করেন, উৎপাদন বাড়ান,নিজের খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত করেন। সরকার যা যা করার তা করবে।

কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং খাদ্যশস্য সংরক্ষণের স্থান বৃদ্ধি ও মান উন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে ও কৃষি প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

চলতি বোরো মৌসুমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান কাটার লক্ষ্যে হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে আমরা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদান করেছি।

পাশাপাশি আমি ছাত্রলীগের কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছিলাম তারা যেন তাদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে কৃষকদের ধান কাটায় সহায়তা করে। ছাত্রলীগের কর্মীগণ ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বর্ষা মৌসুমের আগেই ধান কেটে ঘরে তুলতে সহায়তা করেছে। একইসঙ্গে যুবলীগ, কৃষকলীগ ও যুব-মহিলা লীগের কর্মীরাও স্ব-স্ব এলাকায় কৃষকদের ধান কাটায় সহায়তা করেছে।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১লা আষাঢ় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের ৫৫ লাখ কর্মীর প্রত্যেককে একটি ফলজ, একটি ঔষধি এবং একটি বনজ বৃক্ষ অর্থাৎ তিনটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছি। এর ফলে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সীমিত হয়ে আসায় খাদ্যশস্যসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কট ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সঙ্কটের শুরু থেকেই আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ ছিলাম।

গত এক দশকে আমাদের সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা আমরা প্রায় ২২ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে পেরেছি এবং এর ফলে করোনা সঙ্কটের শুরুতে সরকারি গুদামে রেকর্ড পরিমাণ ১৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল। দীর্ঘ ৬৬ দিন সারাদেশে ছুটি ও চলাচল সীমিত থাকলেও দেশের কোথাও খাদ্য ঘাটতি বা নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্কট আমরা হতে দেইনি। উপরন্তু দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আমরা খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। আগামী অর্থবছরেও খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছি।

চলতি বোরো মৌসুমে আমরা ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছি যা গত বোরো মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুস।

সামনে যে সংকটই আসুক না কেন আওয়ামী লীগ সরকার তা শক্তভাবে মোকাবেলা করবে এবং দেশের কোনো মানুষকে অভুক্ত থাকতে দেবে না। কারণ আমাদেন খাদ্য চাহিদা ৩ কোটি ৭৫ লাখ মেট্রিক টন সেখানে উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ মেট্রিক টন। ২৫ লাখ উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং এই উৎপাদন আমরা অব্যাহত রাখব কাজেই আল্লাহর রহমতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কাযর্ক্রমের আওতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীরসংখ্যা ১১ লাখ ৫ হাজার জন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল হিসেবে তৎকালীন ১৯টি থানায় ‘পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম’ শুরু করেন যা বর্তমানে দেশের সব জেলায়, প্রত্যেক উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা এবং গ্রামে বসবাসরত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম এর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হলো ১২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার জন যাদের মূল তিনটি কার্যক্রমে বিভক্ত করা যায়: (ক) বিভিন্ন প্রকার ভাতা পাচ্ছেন ১ কোটি ৭ লাখ ২৬ হাজার; (খ) খাদ্য সহায়াতা পাচ্ছেন ৮ কোটি ৭২ লাখ ৭১ হাজার; এবং (গ) উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় আছেন ২ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার জন।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আগামী অর্থবছরে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা মোট বাজেট বরাদ্দের ১৬.৮ শতাংশ এবং জিডিপি’র ৩.০১ শতাংশ।

ত্রাণ বিতরণ

করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট দুর্যোগে দেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে মানবিক সহায়তা হিসেবে আমরা বিস্তৃত পরিসরে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছি যার আওতায় এ পর্যন্ত আমরা সারাদেশে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি।

এ যাবৎ সারাদেশে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে ১ লাখ ৮৪ হাজার ১২২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

চালের পাশাপাশি, আমরা নগদ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি প্রায় ১২৩ কোটি টাকা; এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার।

শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছি ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং এতে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫২৫টি পরিবার উপকৃত হয়েছে।

এ ছাড়া সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময়ে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকায় এবং দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে পারায় আমরা তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি।

এর বাইরেও জেলা প্রশাসকদের কাছে ইউনিয়ন অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য দুধসহ শিশু খাদ্য কেনায় আমি বরাদ্দ দিয়েছি।

শিক্ষা

শিক্ষা খাতকে সব সময়ই আমরা অগ্রাধিকার প্রদান করে থাকি। তবে এবার শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমের গুনগত মান উন্নয়নই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে ৯৫ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা জিডিপির ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ১৭ শতাংশ।

করোনার এই মহামারির মধ্যেও আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করেছি। এ ছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন পোশাক, জুতা ও ব্যাগ ক্রয়ের জন্য ১ হাজার টাকা করে আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রদান করা হবে।

নন এমপিওভুক্ত যারা তাদের জন্যও আমরা ৪৬ কোটি টাকার ওপরে বরাদ্দ দিয়েছি।

অবকাঠামো খাতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ব্যাপকভাবে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যোগাযোগ, বন্দর ইত্যাদি অবকাঠামো গড়ে তোলার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। আমরা আগামী অর্থবছরের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবো।

এ ছাড়া ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও চাহিদা মেটাতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ

দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক/মহাসড়কগুলোকে পর্যায়ক্রমে ৪ লেনে উন্নীতকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন, দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এ সকল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে তা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির জন্য ব্যাপক সুফল বয়ে আনতে সক্ষম হবে।

দুর্নীতি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে, এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

মাননীয় স্পীকার, আমি আপনার মাধ্যমে মহান সংসদকে জানাতে চাই যে, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং আমাদের অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখতে সরকার দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে।

বিনিয়োগ

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বেগবান করার জন্যে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা ও ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উৎকৃষ্ট অবস্থান অর্জন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছি।

আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করার লক্ষ্যে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনব। আমরা ইতোমধ্যে তা করেছি। বিগত এপ্রিল ২০২০ হতে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ কার্যকর হয়েছে। এর ফলে ঋণের ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাগণের করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি এবং করহার কিছুটা হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ বার্ষিক আয়ের ৩ লাখ টক পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে নিম্ন-আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ আসবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।

উন্নয়ন সহযোগীগণ ইতোমধ্যে ৫.১৬ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং গতকাল পর্যন্ত ১.৭৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৪ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা সরকারি খাতে জমা হয়েছে। অত্যন্ত স্বল্প সময়ে আমাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য আমি এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, আই এম এফ, এ আই আই বি, বিশ্বব্যাংক, জাপান, ইইউসহ সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেইস সঙ্গে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

কর্মসংস্থান আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো, প্রতি বছর আনুমানিক যে ২০ লাখ তরুণ শ্রম বাজারে যুক্ত হচ্ছে তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষেই এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে আমরা অতীতে কখনও ব্যর্থ হইনি এবং ভবিষ্যতেও হবো না।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন মাননীয় স্পীকার, আমরা কখনও হতাশায় ভুগি না। আমরা সব সময় একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাই। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় কখনও কখনও সে পরিকল্পনা প্রয়োজন অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করতে হয় এবং সে কারণেই আজকে বাজেট ঠিক রেখেছি এবং প্রণয়নও করেছি এবং আশাকরি এটা আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর তার মধ্যেই

আমরা প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর মত বৈশ্বিক মহামারীর মোকাবেলা করছি। আম্পানের মত ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করছি হয়তো আগামীতে বন্যা আসবে সেটাও মোকাবেলা করতে হবে। সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে, আমরা নিচ্ছি।

আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আমরা সফলভাবে এ মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠে উন্নয়নের অভিযাত্রায় পুনরায় শামিল হবো। কারণ, বিশ্ব মানদ-ে আমাদের রয়েছে শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক অবস্থান।

গত ২ মে, ২০২০ দ্যা ইকনোমিস্ট একটি গবেষণা প্রতিবেদনে চারটি মানদ-ের ভিত্তিতে সবল অর্থনীতির ৬৬টি দেশের তালিকা করেছে; সেখানে বাংলাদেশ শক্তিশালী নবম অবস্থানে রয়েছে।

চলতি জুন মাসেই আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ৩৫ বিলিয়ন এবং প্রবাস আয় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করে এবং আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পেশকৃত জনবান্ধব, উন্নয়নমুখী ও সুষম এই বাজেট এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ। যত বাধা আসুক তা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: বাসস।

-এ

The post বাজেট নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5/

বুড়িগঙ্গা ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৩৬

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস সূত্র এ তথ্য জানায়।

নিহতদের মধ্যে আট নারী ও তিন শিশু রয়েছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে এক শ’র বেশি যাত্রী ছিল। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক একে এম আরিফ উদ্দিন জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর ফরাশগঞ্জ ঘাট বরাবর মাঝ নদীতে ময়ূর-২ নামে একটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউউটিএ উদ্ধার তৎপরতা চালায়।

এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, সত্যরঞ্জন (৬৫), মিজানুর (৩২), সাইদুল (৬২), সুফিয়া বেগম (৫০), মনিরুজ্জামান (৪২), সূবর্ণা আক্তার (২৮), মুক্তা (১২), গোলাম হোসেন ভূঈয়া (৫০), আবজাল শেখ (৪৮), বিউটি (৩৮), ময়না (৩৫), আমির হোসেন (৫৫), মো: নাইম (১৭), শাহাদাৎ (৪৪), শামমীম বেপারী (৪৭), মিল্লাত (৩৫), আবু তাহের (৫৮), দিদার হোসেন (৪৫), হাফেজা খাতুন (৩৮), সুমন তালুকদার (৩৫), আয়শা বেগম (৩৫), হাসিনা রহমান (৪০), আলম বেপারী (৩৮), মোসা. মারুফা (২৮), শহিদুর হোসেন (৪১), তালহা (২), ইসমাইল শরীফ (৩৫), তামিম ও সাইদুল ইসলাম (৪২)। বাকি ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন ও পিপিপি সেল) মো. রফিকুল ইসলাম খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।

দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি কোন দূর্ঘটনা নয়, বিষয়টি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছ। কমিটি আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। অনেক দুর্ঘটনায়ই উৎসুক জনতার ভিড় হয়ে যায়। এখানেও খুব ভিড়। আমি বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলাম। তখন আমার বোটেও মানুষজন উঠে গিয়েছিলেন যাওয়ার জন্য। বোটটি প্রায় ডুবে যাচ্ছিল তখন। আমি অনুরোধ করব, এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ভিড় না করতে।

-এ

The post বুড়িগঙ্গা ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৩৬ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%ad%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9-%e0%a6%b2%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0/

মাদরাসায় মেধাবী শিক্ষক সংকট : করোনা আরেকটি পেরেক ঠুকে যাবে

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর:

সংকটের শুরুটা আগেই হয়েছিল, করোনা এসে সেই সংকটের গোড়ায় জোরসে আরেক ধাক্কা মেরে দিল। বলছিলাম কওমি মাদরাসায় মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক সংকটের কথা। বেশ ক’ বছর ধরে বন্ধু-বান্ধব যারা মাদরাসায় পড়ান তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি বিষয়টা নিয়ে—কওমি মাদরাসায় কি সত্যিই মেধাবী শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে? এদিক সেদিক ঘুরিয়ে তাদের সকলের স্বীকারোক্তিই ছিল ইতিবাচক—হ্যাঁ, মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদরাসা থেকে পাশ করে মাদরাসায় শিক্ষকতার চেয়ে অন্যকোনো পেশা নির্বাচনে অধিক আগ্রহী হচ্ছেন।

কেন এভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় পড়ানোর মতো ‘সম্মানজনক’ পেশা ছেড়ে অন্য পেশাকে নিজেদের গন্তব্য করছেন? এর উত্তর বিবিধ। মাদরাসাগুলোতে ‘অসম্মানজনক’ বেতন-ভাতা, বেতন পরিশোধে দীর্ঘসূত্রিতা, মাদরাসায় মুহতামিম/প্রিন্সিপাল/পরিচালকদের একচ্ছত্র আধিপত্য, শিক্ষক নির্বাচনে পরিচালকদের স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি আরও নানা ধরনের বিষয় আছে যেগুলো একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে মাদরাসার শিক্ষক হতে অনুৎসাহিত করছে।

আশংকা করা হচ্ছিল, এর ফলে মাদরাসাগুলোতে পাঠদান এবং শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী হতে পারে। মাদরাসার দীর্ঘকালীন শিক্ষাধারাও পড়তে পারে নানা সংকটের মুখে। করোনা এসে সেই শংকায় আরেকটি পেরেক ঠুকে দিল।

দুই

করোনা মহামারী পরবর্তী সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর সকলেই মনে করেছিল, মাস-দুই মাস পর হয়তো পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মাদরাসাগুলোও তখন সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। কারণ, যখন মাদরাসা বন্ধ হয় তখন পরীক্ষা পূর্ববর্তী প্রস্তুতিমূলক ছুটি (খেয়ার) চলছিল এবং তার পর রমজান মাস সমাগত ছিল, যে সময়টাতে মাদরাসাগুলো এমনিতেও পুরোপুরি বন্ধ থাকে। কিন্তু রমজানের পরও যখন ছুটি দীর্ঘ হতে লাগল তখন স্বাভাবিকভাবে টনক নড়তে লাগল মাদরাসার শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরও।

দুর্যোগকালীন অবস্থায় পরিবারের ভরন-পোষণ এবং বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মাদরাসার শিক্ষকগণ নানামুখী ব্যবসা, কৃষি বা বিকল্প আয়ের দিকে ঝুঁকতে লাগলেন। এরই মধ্যে কেউ কেউ বিকল্প চাকরি বাকরিও জুটিয়ে নিয়েছেন। অবশ্য এ ছাড়া উপায়ই বা কী ছিল!

এই লকডাউনের সময়টাতে অধিকাংশ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার ব্যাপারে আশানুরূপ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অনেক মাদরাসা ছুটির সময়টাতে শিক্ষকদের এক টাকাও বেতন দেয়নি, কোনো কোনো মাদরাসা এক-দুই মাসের বেতন দিলেও পরবর্তীতে শিক্ষকদের আর কোনো খবর রাখেনি, হাতেগোনা কয়েকটি মাদরাসা মাত্র তাদের শিক্ষকদের শতভাগ বেতন পরিশোধ করেছে।

মাদরাসাগুলো পরিচালনা করে যেসব শিক্ষাবোর্ড, তারাও এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। অবশ্য সাহায্যের ঘোষণা এসেছিল বলে শুনেছিলাম, কিন্তু কোনো শিক্ষক সেই সাহায্যের টাকা পেয়েছেন কি-না, আমার জানা নেই।

রইল বাকি সরকার মহোদয়। সংবাদমাধ্যমে যতদূর জানতে পেরেছি, সরকার কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য আট কোটির অধিক অর্থ সহায়তা তহবিল ঘোষণা করেছিল। তারপর একবার শুনলাম, বোর্ড কর্তৃপক্ষ নাকি মিটিং করে সেই ‘খয়রাতি’ টাকা নেবে না—এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ ওই টাকা নাক সিঁটকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। বড়ই মহৎ আঞ্জাম। ‘শির দেগা নেহি দেগা আমামা’ টাইপের স্লোগান প্রযোজ্য হবে এখানে। মাদরাসার শিক্ষকগণ পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকুক তাতে কী? সরকারের সঙ্গে আমরা তো কোনো আপোস করতে পারি না!

ওদিকে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্রতি মাসে বেতন পাচ্ছেন। ঈদে বোনাস পেয়েছেন, সামনের ঈদেও পাবেন। কওমি মাদরাসার শিক্ষকগণ গত ঈদেও বেতন-বোনাস পাননি, কুরবানির ঈদেও পাবেন না। সুতরাং খেয়ে-পরে বাঁচতে হলে বিকল্প আয়ের সন্ধান ছাড়া উপায় কী?

মাদরাসাগুলো তো আর তাদের মা-বাপ না যে ঘরে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে।

তিন

এবার তাহলে একটা সিদ্ধান্তে আসা যাক। আমিই বরং প্রশ্ন করি—কেন তাহলে মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থী/শিক্ষকগণ মাদরাসায় পড়াবেন? তার যথোপযুক্ত বেতন নেই, সঠিকভাবে তার মেধার মূল্যায়ন নেই, তার সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াবার মতো কেউ নেই; না মাদরাসা আর না মাদরাসার হর্তাকর্তা বোর্ড গোত্রীয় কেউ। তবু আপনি তাকে ধর্মরক্ষার অজুহাত দিয়ে, ইসলামি জ্ঞান বিস্তারের মহান দায়িত্বের কথা বলে, ইলমি দরস-তাদরিসের আকাবিরীয় হেকায়েত শুনিয়ে মাদরাসায় পড়ানোর জন্য আটকে রাখবেন! কোন যুক্তিতে?

এটা কি এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং হয়ে গেল না? সোজাকথায়, ধর্মের কাঁধে বন্দুক রেখে আপনি একজন কওমি শিক্ষককে কেন বছরের পর বছর সামান্য বেতনের আশায় ব্ল্যাকমেইলিং করবেন? এগুলো কি অনৈতিকতা নয়? শিক্ষকদের অল্পেতুষ্টির কথা বলে মাদরাসার প্রিন্সিপাল টয়োটা/নোয়াহ গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করবেন, এগুলো তো ভালো কথা নয়। শিক্ষকদের বেতন হয় না ছয় মাস/আট মাস ধরে অথচ মাদরাসার নতুন ভবন ঠিকই উপরের দিকে উঠছে। এমনতর অবিচার এবং অমানবিক আচরণ মাদরাসায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মাদরাসা—যেটি ইসলামের সকল বিধি-বিধান শিক্ষার আতুড়ঘর, সেখানেই যদি ইসলাম পরিপালন না হয় তাহলে মানুষ ইসলাম আর কোথায় গিয়ে খুঁজবে?

চার

যে কাজটি ভবিষ্যতে আবশ্যিকভাবে করতে হবে, হয় শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে, নয়তো মেধাবী শিক্ষক ছাড়াই কল্পনা করতে হবে কওমি শিক্ষাব্যবস্থার আগামী। যে শিক্ষক বিকল্প পেশায় গিয়ে নিজের আয়ের বন্দোবস্ত নিজেই করে নিয়েছেন, তাকে আবার মাদরাসার শ্রেণিকক্ষে ফেরানো যাবে কি-না, এটা ঘোরতর সন্দেহের বিষয়। মেধাবী শিক্ষকদের বড় একটি অংশ এই করোনা পরবর্তী সময়ে মাদরাসা থেকে দূরে সরে যাবেন। এটা আপনার মানতে কষ্ট হলেও বাস্তব সত্য এমনই। যিনি নিজে শ্রম দিয়ে মাসশেষে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন, তিনি কেন মাদরাসার আট-দশ হাজারী বেতনের জন্য তীর্থের কাকের মতো প্রিন্সিপালের সুমর্জির অপেক্ষায় তিন মাস/ছয় মাস ধরে বসে থাকবেন?

‘সম্মানজনক বেতন’ যদিও একটি আপেক্ষিক শব্দ, তবে আমি মনে করি এ ব্যাপারে সরকারি বেতন স্কেলকে মানদণ্ড ধরা যেতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রবেশনারি শিক্ষকের শুরুর বেতন হয় কমপক্ষে ১৮ হাজার টাকা। মাদরাসার শিক্ষকদের জন্যও এই বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হোক। প্রতি বছরই সরকারি বিধি মোতাবেক যেভাবে নির্দিষ্ট হারে বেতন বাড়ে সেভাবে মাদরাসায় বেতন বাড়াতে হবে এবং বছরের বিভিন্ন ছুটি ও উৎসবে নির্ধারিত ভাতার বন্দোবস্তও থাকা বাঞ্চনীয়। যদি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় তাহলে হয়তো মাদরাসায় মেধাবী শিক্ষক সংকট কিছুটা হলেও রোধ করা যাবে।

সম্মানজনক জীবিকা সবার কাম্য। মাদরাসায় শিক্ষা প্রদানও অন্যতম সম্মানজনক পেশা। কিন্তু সেই পেশাকে ধর্মের কথা বলে, আকাবির আর নববি ইলমের দোহাই দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করা শিক্ষার নামে সবচে অসম্মানজনক কাজ। এই প্রবণতা থেকে বের হতে না পারলে কওমি শিক্ষাব্যবস্থার সামনে অপেক্ষা করছে অশনি সংকেত।

The post মাদরাসায় মেধাবী শিক্ষক সংকট : করোনা আরেকটি পেরেক ঠুকে যাবে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%b8/

অনলাইনে ধর্মীয় শিক্ষা : যেতে হবে অনেক দূর

রাকিবুল হাসান:

কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশের কওমি শিক্ষাব্যবস্থা এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। মহামারী থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে মার্চ থেকেই বন্ধ মাদরাসাগুলো। পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলে সহসা খুলবেও না। তাই মাদরাসার ক্লাসরুম তালাবদ্ধ থাকলেও অনেকেই খুলে বসেছেন অনলাইন ক্লাসরুম। অনলাইনেই চলছে বিভিন্ন কিতাবের নিয়মিত ক্লাস। কওমির শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে দেখছেন ইতিবাচক হিসেবেই।

আন নুহা ফাইভ মিনিট মাদরাসা—একটি অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম। কওমি মাদরাসার সিলেবাসভুক্ত দশটি কিতাবের নিয়মিত ক্লাস করানো হচ্ছে এখানে। করোনার কারণেই কি অনলাইন ক্লাস শুরু করা? অনলাইন মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘করোনার আগে থেকেই প্লান ছিল এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরী করার, যেখানে কওমি মাদরাসার সিলেবাসভুক্ত কিতাবগুলোর অধ্যায়ভিত্তিক যাবতীয় ক্লাস রেকর্ডেট থাকবে। শুধু ক্লাস নয়, একজন কওমি ছাত্রকে যুগোপযোগী করে তোলার সম্ভাব্য সব নির্দেশনা-গাইডলাইনও থাকবে। কিন্তু করোনার কারণে সব মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও শুরু করা যাচ্ছে না ক্লাস। তাই আমরা ফেসবুকে লাইভ ক্লাসের ব্যবস্থা করি। ইতোমধ্যে দশটি কিতাবের নিয়মতি ক্লাস চলছে। লাইভ ক্লাসগুলো আমরা ফেসবুকের সঙ্গে ইউটিউবেও আপলোড করছি।’

অনলাইন মাদরাসাটির পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘করোনার প্রয়োজনে লাইভ ক্লাসগুলো করছি। কিন্তু আমাদের মূল পরিকল্পনা—কওমি মাদরাসার সব কিতাবের গুরুত্বপূর্ণ সব অধ্যায়গুলোর ভিডিও তৈরী করা। ইতোমধ্যেই ভিডিও তৈরী শুরু করে দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, ৪০ শতাংশ কাজ এগিয়েও গেছে। আগামী সাত-আট মাসের মধ্যে ভিডিওগুলো তৈরী করে ফেলতে পারলে আমরা অ্যাপ লঞ্চ করবো। কারণ, কন্টেন্ট না হলে তো অ্যাপ লঞ্চ করে লাভ নেই।’

বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কওমি বিশেষজ্ঞরা। আপদকালীন এই সময়ে অনলাইন ক্লাসকে নতুন একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে হিসেবেও অভিহিত করেছেন তারা। কওমি মাদরাসার শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমাদ চৌধুরী বলেন, ‘করোনাকালীন এই অনলাইন ক্লাস ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। এই অবরুদ্ধ সময় আমাদেরকে প্রযুক্তির প্রতি সচেতন করে তুলেছে। এখন অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। একসময় পূর্ণাঙ্গ অনলাইন মাদরাসাও শুরু হবে।’ বেফাক অনলাইন ক্লাস নিয়ে কিছু ভাবছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘বেফাক অনলাইন ক্লাস করবে না। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কওমি শিক্ষকগণ অনলাইনে যে ক্লাস করছেন, তা চলতে পারে। ক্লাস না হওয়ার চেয়ে অনলাইনে ক্লাস হওয়া ভালো।’

তবে অনলাইন ক্লাস ও শিক্ষাদানের সংকট ও সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। সম্ভাবনার চেয়ে সঙ্কটই এখন সবচে বেশি দৃশ্যমান। ধীরে ধীরে সঙ্কট কেটে গেলে সম্ভাবনার পাল্লা ভারী হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। সংকটের কথা তুলে ধরে ‘আন নুহা ফাইভ মিনিট মাদরাসা’র প্রধান ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘যারা কাজ শুরু করে, তাদের সঙ্কট মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হয়। আমরাও কিছু সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছি। এক—অনেকে ক্লাসে ভালো পড়াতে পারেন। কিন্তু রেকর্ডেট ক্লাসে সময় মেপে কথা বলতে পারেন না। ফলে তাদেরকে আমাদের অনলাইন ক্লাসে আনলেও এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। দুই—আমাদের শিক্ষকগণ কম্পিউটার শিক্ষাটা তেমন জানেন না। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি। ফলে যা পড়াবেন, তা স্লাইড করে আনতে পারেন না। আমাদের নিজেদের তা তৈরী করতে হয়। তিন—দক্ষ টিম নেই। তবে আমরা টিম গঠন করতে শুরু করেছি। আরবি জানা, কম্পিউটার জানা কোনো দক্ষ আলেম আমাদের টিমে যুক্ত হতে পারেন।’

অন্য একটি সঙ্কটের কথা বললেন জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসার একজন মুহাদ্দিস। তিনি বললেন, ‘কওমি মাদরাসার অধিকাংশ ছাত্রই ঢাকার বাইরে থাকে। অনেকে থাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। অনলাইনে ক্লাস করার মতো তাদের অনেকের কাছে ডিভাইস নেই, নেট এভেইলেবল না। ফলে অনেকে চাইলেও ক্লাসে যুক্ত হতে পারবে না।’ একই কথা বলেছেন বেফাকের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু।

এই সংকট প্রসঙ্গে আন-নুহার প্রধান ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘সময়মতো হয়তো অনেকেই এসব অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে পারবে না। কিন্তু এর বিকল্পও আছে। কেউ ক্লাসে অংশ নিতে না পারলে পুনঃপ্রচার দেখার সুযোগ আছে, এ ছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউবেও দেখে নেয়া যায়। তবে আমরা আরও ভাবছি। সময় নিচ্ছি। ছাত্রদের কাছে যত সহজে ক্লাসগুলো পৌঁছানো যাবে, ততই ভালো হবে।’

মাত্রই শুরু হলো এই অনলাইন ক্লাসরুমের যাত্রা। যারাই অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছেন, পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু করেছেন। তাই এখানে সংকটগুলো যেমন চোখে পড়ছে, সম্ভাবনাগুলোও আশা দেখাচ্ছে। ক্লাসরুমের বিকল্প এই পথে অভ্যস্ত হতে আরও অনেকদূর পথ চলতে হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

The post অনলাইনে ধর্মীয় শিক্ষা : যেতে হবে অনেক দূর appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a7%87/

সেনা অভিযানের আতঙ্ক, রাখাইন ছেড়ে পালাচ্ছে হাজারো মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘শুদ্ধি অভিযানের’ পরিকল্পনা করেছে, স্থানীয় প্রশাসন কয়েক ডজন গ্রামপ্রধানকে এমন সতর্কবার্তা দেয়ার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের হাজার হাজার গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক। খবর রয়টার্স।

বুধবার লেখা একটি চিঠিতে গ্রামপ্রধানদের ওই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছিল। রাথেডাং পৌরসভার প্রশাসক অং মাইন্ট থেইনের স্বাক্ষরিত চিঠিটিতে গ্রামপ্রধানদের বলা হয়েছে, পৌরসভার কায়ুকতান গ্রাম ও এর নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে এমন সন্দেহে সেখানে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে তাকে (প্রশাসককে) অবহিত করা হয়েছে। বাহিনীগুলো ওই গ্রামগুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালাবে। অভিযান চলাকালে ‘এএ’ সন্ত্রাসীদের সাথে যদি লড়াই শুরু হয় তাহলে গ্রামে না থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকবেন।’

এখানে ‘এএ’ বলেতে আরাকান আর্মিকে বোঝানো হয়েছে, এরা রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী, যারা আরাকান নামে পরিচিত রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের বেশি স্বায়ত্তশাসন আদায়ের জন্য লড়াই করছে।

নতুন অভিযানের আশঙ্কায় কায়ুকতান থেকে ৮০ জন লোক রাথেডাং পৌরসভার অন্য এলাকায় চলে গেছে বলে জানিয়েছেন মিন থান। সেনাবাহিনী তাদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মানবাধিকার গোষ্ঠী রাখাইন এথনিক কংগ্রেসের সম্পাদক জ জ হতুন জানিয়েছেন, অন্তত এক হাজার ৭০০ লোক পাশের পন্নাগিয়ুন পৌরসভায় পালিয়ে গেছে। আরো এক হাজার ৪০০ লোক আশপাশের গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে আর তারা তীব্র খাদ্যসঙ্কটে আছে বলে রাথেডাং পৌরসভা থেকে জানিয়েছেন পার্লামেন্টের স্থানীয় প্রতিনিধি ওও থান নায়িং।

শনিবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতাই ফেইসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, সরকার সামরিক বাহিনীকে ‘শুদ্ধি অভিযান’ পরিভাষাটি ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিল। লোকজনকে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া চিঠিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

The post সেনা অভিযানের আতঙ্ক, রাখাইন ছেড়ে পালাচ্ছে হাজারো মানুষ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a4%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%95-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%96%e0%a6%be/

করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিনা হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সচিবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভাষানী মির্জা বলেন, ‘সকাল পৌনে ৯টার দিকে আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।’

তিনি জানান, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর গত ১৯ মে আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীকে সিএমএইচ ভর্তি করা হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৬ জুন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ১৮ জুন থেকে তিনি শতভাগ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।

The post করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0/

করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে। জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বব্যাপী এই সমস্যা।

তিনি বলেন, তবে দেশের সব ধরনের মানুষ যাতে উপকৃত হয় এ জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এজন্য আমরা ১৯টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা উপলক্ষে নেওয়া সরকারের যাবতীয় পদক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহামারী কভিড-১৯ মহাদুযোর্গের কারণে আজকে বিশ্ব অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি চার দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে প্রাক্কলন দিয়েছে। করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ১৯ কোটি ৫০ লাখ কর্মীর চাকরি হ্রাস, বৈশ্বিক এফডিআই প্রবাহ ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস এবং বৈশ্বিক রেমিটেন্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আমরা বাংলাদেশে একটি বাজেট প্রণয়ন করেছি। এই বাজেট প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ কাজ ছিল। এই বাজেট প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।”

সাধারণ ছুটির মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, “জীবন ও জীবিকা রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে প্রয়োজনীয় অফিস-আদালত-কলকারখানা চালু করার পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কভিড-১৯ মোকাবিলায় যে কোনো জরুরি চাহিদা মেটাতে ২০২০-২১ সালের অর্থবছরে ১ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দিয়েছি। দুর্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আমরা মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম না করে টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচার করেছি। তবে মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়া হবে। এ দেশে কেউ গরীব, গৃহহীন থাকবে না।”

করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারির হাত থেকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসী যেন মুক্তি পান। চিকিৎসাধীনরা যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।”

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে এটি দ্বিতীয় বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ২০টি বাজেট দিয়েছে। বাজেটে আমরা স্বাস্থ্য, কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা এগুলোতে জোর দিয়েছি।”

The post করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf/