Thursday, June 30, 2022

লবনের বাজার ঠিক, চামড়ার দাম বাড়ার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের

ফাতেহ ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম বাড়ায় এবার কোরবানি ঈদে চামড়ার দাম বাড়বে বলে মনে করছেন চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি। তারা আশা করছেন। কাঁচা চামড়ার গুণগত মান বজায় রাখা ও লবনের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বাংলাদেশ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপিত মো. আফতাব খান।

বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোক্তা অধিদপ্তর এর আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, গরীব মানুষ চামড়ার ন্যায্য দাম পাবেন এবার। কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ীরাও সেটা চান। এছাড়া বাজারে চামড়ার চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর দাম বাড়তে পারে।

তিনি জানান, গত বছর লবণ দেওয়ার আগে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৩০০ আর সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায়। গড়ে এসব চামড়া ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া লবণযুক্ত চামড়ার দর ছিল ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা। চামড়ার মোট মূল্যের ২০ শতাংশই যায় লবণ আর কেমিকেলে। সেসবের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলে চামড়া সংরক্ষণে সমস্যা হবে না। ভালো দাম পাওয়া যাবে।

বাজারে লবণের সংকট নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টন লবণ মজুত আছে। সেখানে এই ঈদে লবণের প্রয়োজন হবে ৫৫ থেকে ৫৬ হাজার টন। তাই চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের কোনো সংকট হওয়ার কথা নয়। আবার সরকার লক্ষাধিক টন লবণ আমদানির অনুমতি দিতে যাচ্ছে। সেটা ঈদের পরপরই বাজারে আসবে। তাই সরবরাহ নিয়ে চিন্তা নেই।’

গরম আবহাওয়ার কারণে পশু জবাইয়ের পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে কোরবানিদাতাদের চামড়ায় লবণ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আফতাব খান বলেন, ‘২০১০ সালের আগে চামড়ায় এখনকার চেয়ে চার গুণ বেশি দাম পাওয়া যেত। এরপর দাম কমতে থাকে। তবে এবার চামড়ার দাম একটু বাড়বে। কিন্তু মৌসুমি লবণ ব্যবসায়ীরা যাতে দাম বাড়াতে না পারেন, তা নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। যেহেতু গরমকাল, চামড়া দ্রুত সংরক্ষণও করতে হবে। তাতে সবাই লাভবান হবেন।’

লবণের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজারে অভিযান চালানো হবে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সারা বছরের চামড়ার অর্ধেক এই ঈদে পাওয়া যায় এবং এটা জাতীয় সম্পদ। তাই এটি সংরক্ষণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। লবণের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়। বলা হচ্ছে, এই দাম যৌক্তিক। চাষিদের সুরক্ষারও প্রয়োজন আছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের বাণিজ্য নীতি বিভাগের সহকারি প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, লবণ দেওয়ার পর চামড়ার মূল্য কত হবে, তা নির্ধারণ করা দরকার। এখন বিশ্ববাজারে চামড়ার বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই এবার চামড়ার দাম ভালো হওয়ার কথা।

উল্লেখ্য, ঈদুল আযহা উপলক্ষে লবণের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখা এবং কাঁচা চামড়ার গুণগত মান বজায় রাখতে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার-সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সভায় চামড়ার দাম ও লবণের মজুদ নিয়ে আলোচনা হয়।

The post লবনের বাজার ঠিক, চামড়ার দাম বাড়ার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a0%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%be/

ঈদে রেলের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু কাল থেকে

ফাতেহ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামীকাল শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হবে। আগামী ১০ জুলাই ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি হবে। ট্রেনে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। টিকিট কিনতে দেখাতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার পাঁচ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। সে অনুযায়ী, ট্রেনের ৫ জুলাইয়ের টিকিট ১ জুলাই, ৬ জুলাইয়ের টিকিট ২ জুলাই, ৭ জুলাইয়ের টিকিট ৩ জুলাই, ৮ জুলাইয়ের টিকিট ৪ জুলাই এবং ৯ জুলাইয়ের টিকিট ৫ জুলাই বিক্রি হবে।

এছাড়া ১১ জুলাইয়ের ট্রেনের ফিরতি টিকিট ৭ জুলাই, ১২ জুলাইয়ের টিকিট ৮ জুলাই, ১৩ জুলাইয়ের টিকিট ৯ জুলাই এবং ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকিট ১১ জুলাই বিক্রি করা হবে।

The post ঈদে রেলের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু কাল থেকে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d/

সিলেটে বন্যায় ৪০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ৪০ হাজারের বেশি কাঁচা বাড়িঘর আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন ব্যতীত জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়ছে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বা অনুদান প্রদানের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত জেলার ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন লোক আশ্রয় গ্রহণ করেন। প্রত্যক্ষভাবে গ্রামীণ জনপদের ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবার বিভিন্নভাবে ঘরবাড়ি ভেঙে এবং ফসল নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সিলেট জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় নগরীসহ ১৩টি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভা প্লাবিত হয়। এতে জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

এদিকে আগামী কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরেক দফা বন্যার পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আগামী কয়েক দিন সিলেট বিভাগে ভারী থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এছাড়া একই দিন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বিডব্লিউডিবি) জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের (জলপাইগুড়ি, সিকিম) বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাসহ উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের নিচু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে সর্বশেষ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে স্বাধীন আবহাওয়া গবেষণা দল বাংলাদেশ ওয়েদার অবসারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি পরে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হওয়ার পূর্বাভাস নেই।

The post সিলেটে বন্যায় ৪০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a7%aa%e0%a7%a6-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0/

চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ, জানা যাবে ঈদ কবে

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা কবে উদ্‌যাপিত হবে, তা জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার। ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ ও হিজরি ১৪৪৩ সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনার জন্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

আজ ১৪৪৩ হিজরি সনের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আগামী ১০ জুলাই (১০ জিলহজ) পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। চাঁদ দেখা না গেলে শুক্রবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সে ক্ষেত্রে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে আগামী শনিবার (২ জুলাই) থেকে। আর দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে ১১ জুলাই (১০ জিলহজ)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র যিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। টেলিফোন নম্বর​: ​০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর​:​০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।

এদিকে সৌদি আরবে গতকাল বুধবার পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসাবে দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে আগামী ৯ জুলাই, শনিবার। সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে।

The post চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ, জানা যাবে ঈদ কবে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a0%e0%a6%95-%e0%a6%86%e0%a6%9c-%e0%a6%9c/

Wednesday, June 29, 2022

‘র‌্যাগ ডে’ নিষিদ্ধ: ঢাবিতে নতুন নামে ফিরছে র‌্যাগ ডে কালচার

ফাতেহ ডেস্ক:

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র‌্যাগ ডে’-র নামে অপসংস্কৃতির অভিযোগ নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনার এক পর্যায়ে উচ্চ আদালতে গড়ায় বিষয়টি। হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগ ডে’র নামে বুলিং, নগ্নতা ও অপসংস্কৃতি বন্ধের নির্দেশ দেন। অবশ্য এর আগেই ২০২০ সালেই র‌্যাগ ডে নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই ‘র‌্যাগ ডে’র বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ফিরে আসছে নাম পরিবর্তন করে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ এই র‌্যাগ ডে কালচারের নতুন নামকরণ করেছে ‘শিক্ষা সমাপনী উৎসব’। আর এই উৎসব পালনে আটটি নীতিমালাও তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভা।

বুধবার (২৯ জুন) বিকালে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে এখন থেকে এটি ‘শিক্ষা সমাপনী উৎসব’ নামে চলবে এবং এ ক্ষেত্রে আটটি নিয়মও মানতে হবে। নিয়মগুলো হলো- ‘র‌্যাগ ডের পরিবর্তে একদিনের এ অনুষ্ঠানটির নামকরণ হবে ‘শিক্ষা সমাপনী উৎসব’; সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় চেয়ারম্যান বা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও ছাত্র উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভা করে অনুষ্ঠান সূচি চূড়ান্ত করবে; নিজ নিজ বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের ভবন চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা যাবে; টিএসসিতে সমবেত হয়ে পথচারীদের চলাচল স্বাভাবিক রেখে র‍্যালি করা যাবে এবং ক্লাস চলাকালীন উচ্চস্বরে বাদ্য-বাজনা পরিহার করতে হবে।

এছাড়াও বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্টতায় দুপুরে অথবা রাতে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা যাবে, শিক্ষা সমাপনী উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাত ১০টার মধ্যে শেষ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল-২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে র‌্যাগ ডে অনুষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করে। পরে উপ-উপাচার্যকে (প্রশাসন) প্রধান করে গঠিত কমিটি ৯টি নীতিমালা তৈরি করে সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে।

The post ‘র‌্যাগ ডে’ নিষিদ্ধ: ঢাবিতে নতুন নামে ফিরছে র‌্যাগ ডে কালচার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%97-%e0%a6%a1%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf/

বিদেশিদের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় ফের শীর্ষ ব্যয়বহুল শহর ঢাকা

ফাতেহ ডেস্ক:

বিদেশি কর্মীদের বসবাসের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এই অঞ্চলের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে তুলনা করে মার্সারের জরিপে ফের শীর্ষ স্থানে ঢাকার নাম উঠে এসেছে।

জানা গেছে, ব্যয়বহুল শহর নির্ধারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের প্রায় ২০০টি পণ্য ও সেবার মূল্য বিবেচনা করা হয়েছে এই জরিপে। মার্সারস কস্ট অভ লিভিং সার্ভে ২০২২- শীর্ষক এ জরিপে চিহ্নিত প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের ব্যয়বহুলতম ১০০ নগরীর মধ্যেই রয়েছে ঢাকা। তবে আগের চেয়ে ৫৮ ধাপ নেমেছে ঢাকার অবস্থান।

চলতি বছরে ঢাকা প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশ্বের ৯৮তম সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হয়েছে। ২০২১ সালে হয়েছিল ৪০তম ও ২০২০ সালে ২৬তম। এতে ঢাকা বিদেশিদের জন্য কম ব্যয়বহুল হচ্ছে এমন ইঙ্গিত মেলে।

তবে বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের তুলনায় এখনো ঢাকায় বসবাসের খরচ বেশি বিদেশিদের। যেমন মার্সারের তালিকায় ১৮১তম হচ্ছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, কাতারের দোহা ১৩৩তম, সৌদি আরবের জেদ্দা ১১১তম, কানাডার ভ্যাংকুভার ১০৮তম, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ১০৬তম ও অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ১০৪তম।

বুধবার (২৯ জুন) প্রকাশিত এ জরিপে বিশ্বের চার শতাধিক শহরের তথ্য-উপাত্ত স্থান পেয়েছে। এ বছরের র্যাংকিং তালিকায় স্থান পেয়েছে মোট ২২৭টি শহর। এসব শহরের আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, পোশাক, গৃহস্থালি পণ্য ও বিনোদনসহ ২০০ ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য তুলনা করে র্যাংকিং করা হয়।

সকল তুলনার মূল ভিত্তি ধরা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরকে। আর আর্থিক মূল্য গণনা করা হয়েছে মার্কিন ডলারে। চলতি বছরের মার্চে মার্সার যে জরিপ চালিয়েছিল, সাম্প্রতিক জরিপে সেই তথ্যের অন্তর্ভুক্তি আছে।

The post বিদেশিদের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় ফের শীর্ষ ব্যয়বহুল শহর ঢাকা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a6%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%a3-%e0%a6%8f%e0%a6%b6/

 আরব দেশে হজের ব্যয় বৃদ্ধি: কোন দেশে কত বাড়ল

রাকিবুল হাসান নাঈম:

২০১৯ সালে বিশ্বের ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালনের সুযোগ পেলেও পরবর্তী দুই বছর করোনার বিধিনিষেধের কারণে কেবল সৌদির কিছু মুসল্লি হজ পালন করতে পেরেছেন। এর মধ্যে ২০২০ সালে মাত্র এক হাজার মুসল্লি এবং ২০২১ সালে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় সৌদিতে অবস্থানকারী বিদেশিসহ ৬০ হাজার মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে এ বছর করোনার টিকা নেওয়া আছে এমন মুসল্লিরা যে কোনো দেশ থেকেই সৌদি আরবে এসে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সৌদি আরবে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় এ মওসুমে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ৭ জুলাই থেকে সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এ বছর বিশ্বের সব দেশেই বেড়েছে পবিত্র হজের ব্যয়। আরব দেশগুলোও এ বাড়তি খরচের বাইরে নয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সৌদি আরব হজযাত্রীদের কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় এ বছর হজের খরচ বেড়েছে।

কেন বেড়েছে হজযাত্রার ব্যয়

এই মওসুমে হজের উচ্চ খরচের জন্য বেশ কয়েকটি কারণ দায়ী। এরমধ্যে কিছু বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অন্যগুলো সৌদি আরবের উচ্চব্যয় এবং ফি সম্পর্কিত। সিরিয়ার হজ উচ্চ কমিটি উচ্চব্যয়ের জন্য ৫টি কারণ চিহ্নিত করেছে।

১. বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি, যা বিভিন্ন মূল্যকে প্রভাবিত করে। এবার বিশেষ করে এটি সৌদি আরবের বাসস্থান এবং খাবারে প্রভাব ফেলেছে।

২. বাধ্যতামূলক পরিষেবার দাম বৃদ্ধি। যেমন এরমধ্যে রয়েছে শেয়ারিং পরিষেবা এবং পরিবহন পরিষেবা।

৩. নতুন বাধ্যতামূলক পরিষেবা যোগ করা। যেমন জরুরি সেবা, স্বাস্থ্য বীমা এবং ভিসা ফি।

৪. সৌদি আরবে মূল্য সংযোজন করের হার ৫% থেকে ১৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে।

৫. বিশ্বের সমস্ত কোম্পানিতে এয়ারলাইন টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।

নিচে ১৯ টি আরব দেশের হজের খরচের বিশদ বিবরণ তুলে ধরা হলো। এবারের হিসাব প্রতিতুলনা করা হয়েছে ২০১৯ সালের হজের খরচের সঙ্গে। তালিকাটি দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কোন দেশের খরচ কত বেড়েছে।

কোন দেশে কত বেড়েছে

এবার সৌদি হাজিদের খরচ হচ্ছে ১০২৩৮ রিয়াল (২৭২৮ ডলার) থেকে ১৪৭৩৭ হাজার রিয়াল (৩৯২৭ ডলার)। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হজের ন্যূনতম খরচ ধরা করা হয়েছে ২৫ হাজার দিরহাম। বিলাসবহুল হজভ্রমণের খরচ পড়বে ৬০ হাজার দিরহাম। আমিরাতে ২০১৯ সালে এই খরচ ১৮ হাজার থেকে ৪৫ হাজার দিরহামের মধ্যে ছিল। এদেশে হজের খরচ ৩৩% থেকে ৩৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাতারি হাজিদের হজের খরচ হবে ৩২০০০ কাতারি রিয়াল (৮৭৮৮ ডলার) থেকে শুরু করে ৭০০০০ রিয়াল (১৯২২৫ ডলার) পর্যন্ত। কুয়েতি হাজিদের হজের সর্বনিম্ন খরচ হল ১৬৫০ কুয়েতি দিনার (৫৩৭৫ ডলার)। আগের মওসুমে এই খরচ ছিল প্রায় ১৩০০ দিনার (৪২৩৪ ডলার)। কুয়েত হজ ও ওমরার সুপ্রিম কমিটির তথ্যানুসারে, এ বছর হজের খরচ প্রায় ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর কুয়েতে হজের খরচ ২২৫০ দিনার (৭৩২৯ ডলার) থেকে ৩০০০ দিনার (৯৭৭২ ডলার) এর মধ্যে থাকবে। যা গত হজ মৌসুমের তুলনায় ৩০% বৃদ্ধির ইঙ্গিত করে।

ওমান থেকে মদিনা পর্যন্ত আকাশপথে হাজিদের রাহা খরচ ৭৫৭৭ সৌদি রিয়াল (২০১৯ ডলার), জেদ্দা গেলে বিমান পথের খরচ ৭৩৮০ সৌদি রিয়াল (১৯৬৬ ডলার), এবং স্থলপথে মদিনা বা মক্কায় গলে খরচ ৫৯১৫ রিয়াল (১৫৭৬ ডলার)।

এই মওসুমে ইয়েমেনি হাজিদের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৮২০ সৌদি রিয়াল (৩৪১৬ ডলার)। মহামারীর আগে গত মৌসুমে ইয়েমেনে হজের গড় খরচ ছিল ২৩০০ ডলার। ইয়ামানি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মতে, গত মওসুমের তুলনায় এবার ৩০% খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইরাকি হাজিদের আকাশপথে হজের খরচ প্রায় ৪২০০ ডলার এবং স্থলপথে হজের খরচ ৩৪৫০ ডলার পড়বে। ২০১৯ সালে স্থলপথে এই খরচ ছিল ২৫৩৫ ডলার, আকাশপথে খরচ ছিল ৩,৩২২ ডলার। গত মওসুমের তুলনায় এবারের খরচ আকাশপথে ২৬.৪% এবং স্থলপথে ৩৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের হাজিদের খরচ পড়বে ২৭০০ জর্দানিয়ান দিনার (৩৮০৮ ডলার) থেকে শুরু করে ২৮০০ জর্ডানিয়ান দিনার (৩৯৪৯ ডলার) পর্যন্ত। গাজা থেকে খরচ পড়বে প্রায় ৩২০০ দিনার (৪৫১৩ ডলার)। এখানে খরচ বাড়ার কারণ বিভিন্ন ক্রসিং, ভ্রমণ ফি। জর্ডানের ধর্ম মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের হজযাত্রা দেখাশোনা করে।

এই মওসুমে সিরিয়ার হাজিদের খরচ ৩৭০০ ডলার পড়বে। ২০১৯ সালের শেষ হজ মৌসুমে এটি ছিল প্রায় ৩ হাজার ডলার। গত মওসুমের তুলনায় এবার খরচ ২৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।

জর্ডানে এই মরসুমে হজের খরচ পড়ছে ২০০০ দিনার (২৮২০0 ডলার) থেকে ২২০০ দিনার (৩১০৩ ডলার) পর্যন্ত। গত মওসুমে এই খরচ ছিল প্রায় ২১০০ দিনার (২৯৬১ডলার)। এবার খরচ বেড়েছে প্রায় ৫%।

লেবাননে এ বছর হজের খরচ ছিল সর্বনিম্ন ৬ হাজার ডলার। এবং তা বেড়ে ১২ হাজার ডলার হতে পারে। ২০১৯ সালে খরচ ছিল ২৩০০ থেকে ৩ হাজার ডলার। গত মওসুমের তুলনায় এবার খরচ ১৬০% থেকে ৩০০% বেড়েছে।

মিশরের হাজিদের এই মওসুমে হজের খরচ ৮২০০০ পাউন্ড (৪৩৭৫ ডলার) থেকে শুরু করে ১৭৭৫০০ পাউন্ড (৯৪৪৫ ডলার) পর্যতন্ত পড়বে। গত মওসুমের তুলনায় খরচ এবার ৩০% থেকে ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই মওসুমে সুদানী হাজিদের জন্য সর্বনিম্ন খরচ হল দুই মিলিয়ন ১১৭ হাজার সুদানিজ পাউন্ড (৪৬৩৭ ডলার)। সর্বোচ্চ খরচ দুই মিলিয়ন ৮৫৭ হাজার পাউন্ড (৬২৫৮ডলার)।

এ বছর লিবীয় হজযাত্রীদের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে দেশটির সরকার। এ জন্য দেশটির সরকার ২০ কোটি দিনার বা ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার বরাদ্দ রেখেছে।

তিউনিসিয়ার হাজিদের এই মৌসুমে হজের খরচ ধরা করা হয়েছে ১৬৪০০ দিনার (৫২৭৯ ডলার)। ২০১৯ মৌসুমে এটি ছিল১৩৮৯৬ দিনার (৪৪৭৩ডলার)। গত মওসুমের তুলনায় এবার খরচ প্রায় ১৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

আলজেরিয়ার হাজিদের হজের খরচ৮৫৬০০০ দিনার (৫৮৬৬ ডলার) নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এটি ছিল ৫৬৫০০০ দিনার (৩৮৭২ডলার)। তার মানে এই বছরের জন্য খরচ ৫১.৫%।

মরক্কোতে এই মৌসুমে হজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৩৮০০ দিরহাম (৬৩৩৭ ডলার)। গত হজ মৌসুমে এই পরিমাণ ছিল ৪৬৫৫১ দিরহাম (৪৬২৩ ডলার)। এবার খরচ ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।

মৌরিতানিয়ায় এই বছর হজের খরচের পরিমাণ ছিল ২২৩০০০ আউন্স (৬১০৬ ডলার)। ২০১৯ সালে এই খরচের পরিমাণ ছিল ১৪৯২০১আউন্স (৪০৮৫ ডলার)। এবার খরচ ৪৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

The post  আরব দেশে হজের ব্যয় বৃদ্ধি: কোন দেশে কত বাড়ল appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%ac-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a7%83%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%bf/

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতের বৈঠকে ৫ দাবি

ফাতেহ ডেস্ক:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে বৈঠক করছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেফাজতের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন নেতারা।

দাবিগুলো হলো:

১. আগামী ঈদুল আজহার আগে হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আটককৃত আলেম-ওলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। এ সময় বন্দী আলেমদের অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হুইলচেয়ারে আদালতে আসার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও আলেম-ওলামাদের অনেকে গ্রেফতার থাকার কারণে তাদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের দুরাবস্থার বিষয়টিও মন্ত্রীকে জানানো হয়।

২. গত কিছুদিন পূর্বে কথিত গণকমিশন নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন দেশের ১১৬ আলেম ও ১০০০ হাজার মাদরাসার নামের লিস্ট তৈরি করেছে। তারা এটির নাম দিয়েছে ”শ্বেতপত্র”। ইতোমধ্যে তারা এই শ্বেতপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনেও জমা দিয়েছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই এটি দেশের আলেম-ওলামা ও মসজিদ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা কথিত শ্বেতপত্রে দেশের প্রায় সকল মাদরাসাকে জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত করেছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে কথিত এই শ্বেতপত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এবং গণকমিশন নামের কথতি এই সংগঠনের লোকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করার চক্রান্ত্র করছে।

৩. শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ:-এর সময় থেকে বারবার বলা হয়েছে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত ২০১৩ ও ২০১৬ সালের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে তার একটিও প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং গত বছর যে সকল আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার করা হয়, তাদের প্রায় সকলকেই ২০১৩ ও ২০১৬ সালের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে নতুন আরো অনেক মামলা দেয়া হয়েছে। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান নেতারা।

৪. সম্প্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতা মানবতার মুক্তির দূত হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা রা: সম্পর্কে চরম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছে। এই ঘটনায় পুরো মুসলিম বিশ্ব প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। বাংলাদেশের নবীপ্রেমীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমরা আপনার মাধ্যমে সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেন এই ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়।

৫. আমরা জানতে পেরেছি শিক্ষা আইন-২০২২ -এর খসড়া চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এই শিক্ষা আইনে যেহেতু কওমি মাদরাসাসহ সকল ধরনের শিক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তাই আমাদের দাবি হচ্ছে, খসড়া কমিটিতে কওমি মাদরাসার ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধিত্ব যেন থাকে।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আপনাদের কয়েকজন নেতা কারাগারে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে আমি বিষয়টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।

গণকমিশনের শ্বেতপত্র বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর কোনো কার্যকারিতা নেই এবং এটা আর অগ্রসর না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সম্প্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই নেতা কর্তৃক মানবতার মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা:-কে কটূক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আমরাও এই ঘটনায় ব্যথিত হয়েছি। ওই সময়টায় আমি অসুস্থ ছিলাম। আপনাদের দাবি আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবো।

শিক্ষা আইন-২০২২-এর খসড়া কমিটিতে আলেমদের অন্তর্ভুক্তির জন্য আল হাইয়াতুল উলইয়ার মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পরামর্শ দেন। এ সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ মন্ত্রণালয়ের অনেক দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন।

হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া ও হেফাজত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন, নায়েবে আমির মাওলানা ফুরকানউল্লাহ্‌ খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী।

The post স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতের বৈঠকে ৫ দাবি appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/

১ জুলাই থেকে পোস্তগোলা ব্রিজে টোল নেয়া বন্ধ

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ, আড়িয়াল খাঁ ব্রিজ ও ধলেশ্বরী ব্রিজে কোনো যানবাহন পারাপারে আলাদা করে টোল নেওয়া হবে না। এক্সপ্রেসওয়ের টোলের সঙ্গে এসব টোল একীভুত হয়ে যাবে।

আজ বুধবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে বিষয়টি হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

মাঈনুল হাসান বলেন, টেন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও টোল আদায় করা হচ্ছিল। কয়েকজন আইনজীবী বিষয়টি জানালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এরপর নির্দেশ অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে এসব ব্রিজে আলাদা করে আর টোল দিতে হবে না।

এদিকে আগামী ১ জুলাই থেকে টোলের আওতায় আসছে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯৫ টাকা।

গত সোমবার (২৭ জুন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

The post ১ জুলাই থেকে পোস্তগোলা ব্রিজে টোল নেয়া বন্ধ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a7-%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%8d/

Tuesday, June 28, 2022

দেশে উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশই আম-কাঁঠাল-কলা

ফাতেহ ডেস্ক:

বাংলাদেশে দেশি–বিদেশি ৭৮ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। তবে উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশ আম, কাঁঠাল ও কলা। সঙ্গে তরমুজ, পেয়ারা এবং আনারস ধরলে সেটি হবে ৭৭ শতাংশ। এসব ফলের অধিকাংশই মৌসুমি ফল। এ কারণে সারা বছরের উৎপাদিত ফলের ৫৪ শতাংশই আসে মৌসুমের চারমাসে (মে থেকে আগস্ট)। বাকি আটমাসে (সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল) পাওয়া যায় মাত্র ৪৬ শতাংশ ফল।

দেশে সার্বিক ফল উৎপাদনের মধ্যে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ আম। ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাঁঠাল এবং ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কলা। এছাড়া ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ তরমুজ, ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ পেয়ারা এবং ৪ দশমিক ৫ শতাংশ আনারস চাষ হচ্ছে।

সম্প্রতি এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও বাবুল চন্দ্র সরকার। জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান তিনি।

ওই প্রবন্ধে আরও বলা হয়, শুধু এ কয়েকটি মৌসুমি ফল উৎপাদনের আধিক্যের পাশাপাশি আরও কিছু কারণে ফলের অপচয়ও বাংলাদেশে অনেক বেশি। দেশে সবচেয়ে বেশি সংগ্রহোত্তর ক্ষতি হচ্ছে মৌসুমি ফলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নষ্ট হচ্ছে পেঁপে, যা সাড়ে ৫১ শতাংশ। এছাড়া ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ লিচু, ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ আম, ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ কলা এবং ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ কাঁঠাল নষ্ট হচ্ছে প্রতি মৌসুমে।

The post দেশে উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশই আম-কাঁঠাল-কলা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%89%e0%a7%8e%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%ab%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a7%ac%e0%a7%a6-%e0%a6%b6%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%82/

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: মসজিদে যেতে পারবে না শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থরা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে নয়টি নির্দেশনা মানতে হবে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেও অনুসরণীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে করোনায় আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গত ২৬ জুনের ডিওপত্রে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নয়টি নির্দেশনা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।
৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।
৯. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এদিকে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা, যথাসম্ভব জনসমাগম বর্জন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনসহ ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ ছয়টি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

The post করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: মসজিদে যেতে পারবে না শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থরা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%a3-%e0%a6%ac%e0%a7%83%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a6%9c/

দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ২০৮৭, মৃত ৩

ফাতেহ ডেস্ক:

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩ জন মারা গেছেন। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৭ জন। গতকাল শনাক্ত ছিল ২ হাজার ১০১ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আজকের ৩ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ১৪৫ জনের এবং মোট শনাক্ত হলেন ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ জন।

এদিন সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৮৪টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৮৯টি। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

মারা যাওয়া তিন জনের মধ্যে পুরুষ একজন এবং নারী দুই জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন আছেন।

তাদের মধ্যে একজন ঢাকার, দুই জন চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

The post দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ২০৮৭, মৃত ৩ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be-5/

ইভিএমে ভোট চায় আ’লীগ, অধিকাংশই ইভিএমের বিপক্ষে

ফাতেহ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাখঢাক করার কিছু নেই। উল্লেখযোগ্য হারে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমরা ইভিএমের পক্ষে এবং এটি জোরালো ও স্পষ্ট।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ইভিএমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি বাড়াতে হবে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিপক্ষেই বেশি কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, কিছুদিন পর থেকেই ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্রপত্রিকায় চাউর হয়েছিল। এর বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে। শুরু থেকে ইভিএম সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। এরই মধ্যে ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন মোটামুটি ধারণা আছে।’

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিকেল ৩টায় ইভিএম সংক্রান্ত সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগে আমরা দুই দফা সংলাপ করেছি। অনেকেই ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সলিউশন (সমাধান) দিয়ে বলেছেন, আরও উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম যদি কেনা যায়, তাহলে আরও ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন, তারা ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলে নির্বাচনে যাবেন না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো। তবে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো, সেটা আমাদেরই (ইসি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

The post ইভিএমে ভোট চায় আ’লীগ, অধিকাংশই ইভিএমের বিপক্ষে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%8b%e0%a6%9f-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%95/

সাড়ে ৬ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করল আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

ফাতেহ ডেস্ক:

বন্যা দুর্গতদের মাঝে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মোট ১০৩২.৩২৮ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। যার সিংহভাগ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু মালামাল এখনো বিতরণ চলছে। যা দুয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাত পরিচালক শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, প্রাথমিক ত্রাণে এখনো পর্যন্ত মোট ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৪৮ টাকা ব্যয় হয়েছে। শীঘ্রই ব্যপকভাবে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করবো আমরা ইন শা আল্লাহ। এটা প্রাথমিক হিসাব। চূড়ান্ত হিসাব (পুনর্বাসনসহ) পুরো কার্যক্রম শেষ হলে সচিত্র প্রতিবেদনে জানানো হবে ইন শা আল্লাহ।

তিনি আরও বলেছেন, বাজারের তুলনামূলক ভালো জিনিসটা আমরা যথাসাধ্য কম দামে কেনার চেষ্টা করেছি। বাজার ওঠানামার কারণে স্বল্প বিরতিতে কেনা একই জিনিসের কোনো কোনোটির দামে কিঞ্চিৎ হেরফের হয়েছে। নষ্ট হওয়ার আশংকা থেকে দ্রুত পঁচনশীল কোনো কিছু দেওয়া হয়নি। চালটা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হওয়ায় চাল বেশি করে বিতরণ করা হয়েছে। খুব বেশি উল্লেখযোগ্য কোন বড় ফিগারের দান আমাদের জানা মতে তহবিলে জমা হয়নি। আপামর সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানেই গড়ে উঠেছে কোটি টাকার তহবিল।

উল্লেখ্য, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যে কোনো প্রজেক্ট পরিচালনা শেষে বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করে থাকে।

The post সাড়ে ৬ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করল আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%ac-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%95/

স্কুলের তুলনায় মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে: ব্র্যাকের গবেষণা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারির মধ্যে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার কমেছে। তবে এই সময়ে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার বেড়েছে। আবার করোনাকালে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়লেও পড়াশোনার জন্য এসব প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে কম। একইভাবে টেলিভিশনে সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের ব্যবস্থা থাকলেও তা শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে পারেনি।

‘করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধের সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা—প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের (আইইডি) উদ্যোগে গবেষণাটি করা হয়। এ গবেষণার জন্য গত বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৬১টি গ্রাম ও ৩৯টি শহর এলাকা ১১ হাজার ৯৯৯টি পরিবারের ওপর জরিপ চালানো হয়। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৪ হাজার ৬৮৯ জন শিক্ষার্থী এবং ৩৯৮ জন শিক্ষক (প্রাথমিক ও মাদ্রাসা) অংশ নেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে প্রাক্‌-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ছিল ৬২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং প্রাথমিকে ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২১ সালে তা কমে হয় ৪৯ দশমিক ৬ এবং ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ করোনার সময়ে (২০২১ সালে) প্রাক্‌-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার কমেছে। অন্যদিকে একই সময়ে কওমি, হাফেজিয়া ও নূরানি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার বেশি ছিল। ২০২০ সালে মাদ্রাসায় ৫ বছরের শিশুদের ভর্তির হার ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ। সেটি ২০২১ সালে বেড়ে হয় সাড়ে ৯ শতাংশ। এ ছাড়া ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুদের মধ্যে ২০২০ সালে মাদ্রাসায় ভর্তির হার ছিল ১১ শতাংশ। এক বছর পর (২০২১ সাল) তা বেড়ে হয় ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।

মাদ্রাসার ভর্তি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, করোনার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও মাদ্রাসা খুব বেশি দিন বন্ধ ছিল না। অনেক অভিভাবক ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ের পরিবর্তে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার বাড়ছিল। গ্রামাঞ্চলে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। ফলে যেসব শিক্ষার্থী সরকারি বিদ্যালয়ের বাইরে থাকছে, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

গবেষণাটি করেছেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম হেড সমীর রঞ্জন নাথ।

The post স্কুলের তুলনায় মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে: ব্র্যাকের গবেষণা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f/

Monday, June 27, 2022

ঈশ্বরগঞ্জের ‘শান্তি কমিটি’র তালিকায় জেলা আ.লীগ সভাপতির নাম!

ফাতেহ ডেস্ক:

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্বাধীনতাবিরোধী শান্তি কমিটির তালিকা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তালিকা প্রণয়নকারী তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। এ তালিকার পক্ষে–বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা।

জানা গেছে, শান্তি কমিটির তালিকায় ২৪ জনের নাম আছে। তালিকার ২ নম্বরে রয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমানের বাবা মৃত আব্বাছ আলীর নাম। ৪ নম্বরে আছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের বাবা জাবেদ আলী ব্যাপারীর নাম। ২০১৭ সালে প্রণীত এ তালিকায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তিন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষর আছে। তাঁরা হলেন তৎকালীন সহকারী কমান্ডার মো. নুরুল হক, সহকারী কমান্ডার মো. আবদুল হাই ও সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান আকন্দ।

তালিকায় স্বাক্ষরকারী কমান্ডার মো. হাবিবুর রহমান আকন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ঈশ্বরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম সংগ্রহ করেছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের সহায়তা করেছেন।

কয়েক দিন আগে শান্তি কমিটির এ তালিকা নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসে। এরপর তালিকা প্রণয়নকারী তিন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে গত বুধবার আদালতে মানহানির মামলা করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম।

The post ঈশ্বরগঞ্জের ‘শান্তি কমিটি’র তালিকায় জেলা আ.লীগ সভাপতির নাম! appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%88%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a6%97%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9f/

শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করলো দশম শ্রেণির ছাত্র!

ফাতেহ ডেস্ক:

আশুলিয়ায় নিজ স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতো দশম শ্রেণির এক ছাত্র (১৬)। একইসঙ্গে তার চলাফেরা ছিল উচ্ছৃঙ্খল। এসব কারণে ওই স্কুলের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার ছাত্রকে শাসন করেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষককে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ওই ছাত্র। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

সোমবার (২৩ জুন) রাতে এসব কথা জানিয়েছেন নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার। নিহত উৎপল কুমার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানী গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন। একই স্কুলের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্র ওই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্র ও আশুলিয়ার চিত্রাশাইল এলাকার বাসিন্দা।

স্কুলের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, নিহত শিক্ষক শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হওয়ায় স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে আচরণ ও চলাফেরা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন। অভিযুক্ত ছাত্র স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও বিশৃঙ্খলা করতো। এসব কারণে তাকে শাসন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই অসীম কুমার বাদী হয়ে ওই ছাত্রকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় আরও দুই-তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই স্কুলছাত্র ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

The post শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করলো দশম শ্রেণির ছাত্র! appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%b0/

পদ্মাসেতু উদ্বোধন : সরকার ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরে এসেছে?

রাকিবুল হাসান নাঈম:

২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সারা দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার প্রবেশমুখ রাজধানীর ধোলাইপাড় মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ভাস্কর্য নিয়ে ধর্মীয় মহলের আপত্তি ও বিরোধিতার মুখে ভাস্কর্যটি নির্মাণের কাজ স্থগিত সরকার। তারপর একবছর পেরিয়ে গেছে। উদ্বোধন হয়েছে স্বপ্ন ও প্রত্যাশার পদ্মা সেতু। দেশের গণমাধ্যম এবং কর্তারা মেতে আছেন সেই উৎসবের আমেজে। ধোলাইপাড়ের ভাস্কর্য নিয়ে সবাইকে চুপ দেখে ধারণা হতে পারে, ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরকার এসেছে। আসলেই কি তাই? সংশ্লিষ্টগণ বলছেন, ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরকার সরে আসেনি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আরও দেরী হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

সরেজমিন ধোলাইপাড় মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, টিন দিয়ে আগের মতোই ঘিরে রাখা হয়েছে ভাস্কর্যের জন্য নির্ধারিত স্থানটি। ভাস্কর্যের বেদি পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ। এর ওপরে শুধু ভাস্কর্য স্থাপন বাকি। তবে শেষ পর্যন্ত ওই জায়গায় পূর্ব নির্ধারিত ‘মুজিব ভাস্কর্য’ হবে কিনা সেটি কেউ নিশ্চিত করে বলেতে পারেননি। এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণাও নেই। বরং ভাস্কর্যটি স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে গোপনীয়তা দেখা যাচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ কী বলছেন?

ভাস্কর্যটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়নের কথা ছিল তার প্রকল্প পরিচালক সবুজ উদ্দিন খান। তাকে ফোন দিলে তিনি বিষয়টিকে ‘স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি ফাতেহকে জানিয়েছেন,

‘ভাস্কর্যটি মূল প্রকল্প থেকে এখনো বাদ দেয়া হয়নি। যখন সময় হয়, তিনি কথা বলবেন। এখন আর এটি নিয়ে কথা বলবেন না। বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনী কাজ করছে।’

বর্তমানে বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ভাস্কর্য স্থাপন করতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন নিতে হয়। চলতি বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য একং কিউরেটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছিলেন, জাতির জনকের কোনো ভাস্কর্য করতে হলে এখানে (ট্রাস্টে) আবেদন করতে হবে। বাছাই কমিটিতে বাছাই হবে। তারপরে মূল কমিটি যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, যিনি এই ট্রাস্টের সভাপতি, সেখানে একটা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমার জানামতে আলোচিত ওই ভাস্কর্য স্থাপনের কোনো আবেদন এখানে করা হয়নি।

আজ তাকে ফোন দিলে তিনি জানান, ‘তিনি কোভিডে আক্রান্ত। এখন হোম অফিস করছেন, অফিসে যাচ্ছেন না।’তবে ফাতেহকে তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের আবেদন এখনো জমা পড়েছেন কিনা, তিনি জানেন না। তিনি ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। দুঃখজনক হলো, মাশুরা হোসেনের সঙ্গে যোগযোগ করা যায়নি।

তাই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং ট্রাস্টের এসিস্ট্যান্ট কিউরেটর কাজী আফরীন জাহানের সঙ্গে ফাতেহের পক্ষ থেকে কথা বলা হয়।

তিনি প্রতিবেদককে জানান, ‘কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের আবেদন জমা দিয়েছেন।’আবেদনের পর অনুমোদনের কাজ কতদূর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। বিষয়টিতে সময় লাগবে।’

ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য মসজিদ স্থানান্তর

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নেমে সোজা এগোলে ধোলাইপাড় মোড়ে ভাস্কর্যের বেদিটি টিন দিয়ে ঘিরে রাখা। পূর্ব পাশে রাস্তা ঘেঁষে বাইতুশ শারফ জামে মসজিদ। মসজিদটি আগে রাস্তার ওপরই ছিল। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের সময় রাস্তা সম্প্রসারণের সময় এর বেশির ভাগ অংশই ভাঙা পড়ে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরেকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, ধোলাইপাড় মোড়ে আগের জায়গাতেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার আগে সেখানকার একটি মসজিদ স্থানান্তর করা হবে। মসজিদের জন্য নতুন জায়গা ইতোমধ্যেই দেখা হয়ে গেছে।

মসজিদ স্থানান্তরের কারণ জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, মসজিদটি সরকারি রাস্তার ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল, তাই এটির বৈধতা ছিল না। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের সময় মসজিদের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলতে হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজি মো. আজাদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাস্তা নির্মাণের সময় আমাদের এই মসজিদটি ভাঙা পড়েছিল। পরে হেফাজতের আন্দোলনের সময় এটি পুনর্নির্মাণের দাবি উঠেছিল। তখন এটি আবার ব্যবহারোপযোগী করে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু ছয়-সাত মাস আগে এমপি সাহেব আমাদের ডেকে বললেন, আমাদের মসজিদটা আরও বড় করে বানিয়ে দেবে সরকার। এ জন্য পাশেই একটা জায়গা দেখা হয়েছে। আমরাও এই বিষয়ে কোনো আপত্তি করিনি, কারণ যদি আরও বড় মসজিদ হয়, তাহলে বেশি মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবে।’

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাস্তা বড় করার জন্য মসজিদ ভাঙা হয়েছিল। তাই এখন নতুন মসজিদ করে দেয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার প্রবেশমুখ রাজধানীর ধোলাইপাড় মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের নভেম্বরে ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে আন্দোলন হয়। ধর্মীয় মহল ভাস্কর্যকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে এটি প্রতিরোধে মাঠে নামে। মাঠে নামেন চরমোনাই পির ফয়জুল করীম, কড়া হুমকি দেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। সর্বশেষে হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী রহ.ও ঘোষণা করেন কঠিন হুশিয়ারি। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে তখন আলেমদের মতবিনিময়ও হয়। এর পরপরই সরকার ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ স্থগিত করেন।

The post পদ্মাসেতু উদ্বোধন : সরকার ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরে এসেছে? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/

ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৯০ শতাংশই ফেল

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে কৃতকার্য হয়েছেন ৫ হাজার ৬২২ জন। পাসের হার ৯.৮৭ শতাংশ।

পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন ৯০.১৩ শতাংশ। ১ হাজার ৭৮৮টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৫৬ হাজার ৯৭২ জন।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।

যেভাবে ফল জানা যাবে

‌‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর এর মাধ্যমে https://ift.tt/ei8xrjP ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে
পারবেন।

এছাড়া রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক নম্বর থেকে DU KHA <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে প্রেরণ করে ফিরতি SMS-এ শিক্ষার্থী তার ফলাফল জানতে পারবেন।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ

(ক) পাসকৃত শিক্ষার্থীদের আগামী ৪ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ২১ জুলাই বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।

(খ) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ১৭ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম কলা অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে এবং যথাযথভাবে পূরণ করে উক্ত সময়ের মধ্যে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে।

(গ) ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।

ভর্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে খ-ইউনিট এর নোটিশে পাওয়া যাবে।

গত ৪ জুন এই ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

 

The post ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৯০ শতাংশই ফেল appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%96-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a6%b2-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%95/

Sunday, June 26, 2022

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

আসন্ন ঈদুল আজহায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করতে সব সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মুহাম্মাদ তাজুল ইসলাম। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে সারা দেশে পশুর হাট বসবে বলেও জানান মন্ত্রী।

রবিবার (২৬ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বাস্তবায়ন এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে পশুর হাট বসানো যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকরা পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন।

মুহাম্মাদ তাজুল ইসলাম জানান, বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার কম থাকলেও কয়েকদিন ধরে সংক্রম বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পশুর হাট বসাতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

The post ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a8%e0%a7%aa-%e0%a6%98%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0/

ঈদ সামনে রেখে বাড়ছে পণ্যের দাম

ফাতেহ ডেস্ক:

ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চক্রের সদস্যরা এবার কুরবানির ঈদ ঘিরে বাড়তি মুনাফা করতে ছক তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে কারসাজিতে বাড়িয়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম। এতে মাসের ব্যবধানে সব ধরনের চাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মসলাজাতীয় পণ্য, এমনকি মাংসসহ একাধিক পণ্য কিনতে ক্রেতার ভোগান্তি বেড়েছে। এর মধ্যে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে আছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

রোববার সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে- মাসের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে ১৬ পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি চাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৪.২৯ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আটা ৭.১৪ শতাংশ, ময়দা ৩.৮৫ শতাংশ, প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন তেল ২.৫৩ শতাংশ, প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল ৩.৯২ ও মসুর ডাল ৪ শতাংশ, আলু ২৭.৯১ শতাংশ, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১৮.৭৫ ও ২১ শতাংশ, শুকনা মরিচ ১০.৬৪ শতাংশ, হলুদ ২৭.৭৮, আদা ৮.৩৩ শতাংশ, তেজপাতা ১২.৯০ শতাংশ, দেশি মুরগি ১.৯০ শতাংশ, গুঁড়া দুধ ৬.৪৩ শতাংশ, চিনি ৩.৮০ শতাংশ ও ফার্মের ডিম ১.২৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতল ও খোলা সয়াবিন রোববার পর্র্যন্ত ২০৫ ও ১৮৫ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও এ দামে বিক্রি হয়নি। নির্দেশ অমান্য করে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা, যা এক মাস আগে ২০০ টাকা ছিল। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকা, যা আগে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্যাকেটজাত আটা ৫৫ টাকা এবং কেজিতে দুই টাকা বেড়ে প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল ৭০, কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ছোট দানা মসুর ডাল ১৩৫, কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৫০ এবং কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেড়ে শুকনা মরিচ ৩০০, ৪০ টাকা বেড়ে হলুদ ২৪০, আদা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০, তেজপাতা কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২০০, দেশি মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ৫৫০-৫৭০ এবং চিনি কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে ৮৪-৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদ ঘিরে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজার তদারকি জোরদার করা হয়েছে। অনিয়ম পেলে অসাধুদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

The post ঈদ সামনে রেখে বাড়ছে পণ্যের দাম appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%88%e0%a6%a6-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87/

অনির্দিষ্ট কালের জন্য পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ

ফাতেহ ডেস্ক:

সোমবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। রোববার (২৬ জুন) রাতে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করেছে সেতু বিভাগ।

তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে সেতু বিভাগের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

রোববার ভোর থেকেই সব ধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। এরপর থেকে অনেকেই বাইক ও প্রাইভেটকার নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে সেতু দিয়ে। তবে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি।

সেতু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমদিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল।

এদিকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন মারাত্মক আহত হয়েছেন। রোববার (২৬ জুন) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারাত্মক আহত হয়ে দুজন সেতুর ওপর পড়ে আছেন। পাশে রক্তের ছোপ। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

The post অনির্দিষ্ট কালের জন্য পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%aa%e0%a6%a6/

Saturday, June 25, 2022

ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে লবণের দাম

ফাতেহ ডেস্ক:

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহৃত অপরিশোধিত লবণের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে চাহিদা বাড়ায় নারায়ণগঞ্জের পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র নিতাইগঞ্জ লবণ বাজারে লবণের দামও বেড়েছে। সেখানে প্রতি বস্তা (৭৪ কেজি) অপরিশোধিত লবণ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৭৪ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা লবণ ১ হাজার ৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক মাস আগে তা ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।বাজারের চাহিদা অনুযায়ী লবণ না থাকা, উৎপাদন খরচ, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ও কক্সবাজারের লবণ চাষি-ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেও দাম বেড়েছে। অপরিশোধিত লবণের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

এ ছাড়া, আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে লবণের চাহিদা বাড়তে পারে। এই সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী লবণের দাম বাড়াচ্ছেন।

বিসিক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে লবণের চাহিদার কথা ভেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অগ্রিম লবণ আমদানির চিঠি দেওয়া হয়েছে। লবণ নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কেউ যদি দাম বাড়িয়ে দেয় আমার কী করার আছে? দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আমি আর কী বলব?’

বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার জেলায় ৬১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই জেলায় ১৮ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদিত হয়েছে।

গত এক দশকের মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। গত ৫ বছরে লবণ চাষের জমি ও চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

বিসিক জানায়, কক্সবাজারে বাণিজ্যিকভাবে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ১৯৬০ সালে। বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয় কক্সবাজার জেলায়। মোট উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশ লবণ আসে এই জেলা থেকে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাকি লবণ উৎপাদিত হয়।

The post ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে লবণের দাম appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a6%ac/

৩৮ হাজার ৮৮৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন

ফাতেহ ডেস্ক:

চলতি বছর এ পর্যন্ত (২৬ জুন রাত ২টা) ৩৮ হাজার ৮৮৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৮৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫ হাজার ৫০৪ জন গিয়েছেন।

হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মোট ১০৮টি ফ্লাইটে সৌদি গেছেন ওই হজযাত্রীরা। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৬১টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৫টি।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৪ হাজার জন (রাষ্ট্রীয় খরচ ও গাইডসহ), অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোটা ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৫ জুন শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।
অপরদিকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন ঢাকার বিউটি বেগম, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলির খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, নোয়াখালী জেলার নুরুল আমিন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪ ও মদিনায় ২ জন হজ যাত্রী মারা গেছেন।

The post ৩৮ হাজার ৮৮৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a9%e0%a7%ae-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a7%ae%e0%a7%ae%e0%a7%af-%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%b8/

ঈদুল আযহায় ১৯ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

ফাতেহ ডেস্ক:

গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং ঈদুল আযহা ও আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে ২৮ জুন থেকে টানা ১৯ দিন বন্ধ থাকবে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছুটি শেষে ১৬ জুলাই থেকে ফের শুরু হবে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ছুটি তালিকায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৬-২৩ মে নির্ধারিত ছিল। শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি প্রদানের সুবিধার্থে পূর্বে নির্ধারিত গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৬ থেকে ২৩ মে’র পরিবর্তে ২৮ জুন থেকে ৫ জুলাই সমন্বয়পূর্বক নির্ধারণ করা হলো।

এমতাবস্থায়, আগামী ২৮ জুন থেকে ৫ জুলাই গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ৬ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহা এবং আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে বিদ্যালয়ে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

The post ঈদুল আযহায় ১৯ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয় appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%86%e0%a6%af%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a7%a7%e0%a7%af-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95/

গুলি করে ফিলিস্তিনি কিশোরকে ইজরাইলের হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবার সিলওয়াদের কাউন্সিলর এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে রামাল্লাহর সিলওয়াদ গ্রামের মোহাম্মদ হামাদ নামে ১৬ বছরের ওই কিশোরকে গুলি করে ইসরাইলি সেনারা। এর ঘণ্টাখানেক পর তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে ইসরাইলি সেনারা কোনো মন্তব্য করেনি।

কাউন্সিলর বলেন, কিশোরটি প্রতিবেশী ওফারা এলাকায় যাওয়ার সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যকার উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

সূত্র : আরব নিউজ

The post গুলি করে ফিলিস্তিনি কিশোরকে ইজরাইলের হত্যা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8b/

২০ বছর পর একই সময়ে হজ ও খেজুরের মৌসুম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

২০ বছর পর প্রথমবারের মতো খেজুরের ফসল ও হজ মৌসুম একসাথে হচ্ছে। এবার হজযাত্রীরা মদিনা মুনাওয়ারায় তাজা খেজুর পাবেন এবং তা খেতেও পারবেন। একইসাথে এ সময়ে খেজুর বেশ কম দামে পাওয়া যাবে। সৌদি মিডিয়ার বরাতে ডেইলি জং এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মদিনা মুনাওয়ারায় জুন মাসে তাজা খেজুর গাছ থেকে নামানো হয়। এ কারণে বাজারে প্রতিদিন তাজা খেজুর পাওয়া যায়।

বর্তমানে মদিনায় রোতানা, আজওহা, লুনা ও রাবিয়া ছাড়াও কয়েক ধরনের খেজুর রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, রোতানা খেজুরটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।

The post ২০ বছর পর একই সময়ে হজ ও খেজুরের মৌসুম appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a8%e0%a7%a6-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%9c-%e0%a6%93-%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a7%81/

বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, সিলেটেই ৫১

ফাতেহ ডেস্ক:

সারাদেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন নয়জন। বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এদের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে।

শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ৪ হাজার ৬১৬ জন আক্রান্ত থাকলেও শনিবার তা বেড়ে ৫ হাজার ২০২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ১৭ মে থেকে ২৫ জুন দুপুর পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৬৪ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন। এক্ষেত্রে কারও মৃত্যুর খবর নেই।

বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ছয়জন। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের।

বন্যায় সিলেট বিভাগে ৫১, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৭ ও রংপুর বিভাগে চারজনসহ মোট ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৫ জুনের মধ্যে এখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।

অন্যদিকে, নেত্রকোনা ও জামালপুরে মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। ময়মনসিংহে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এছাড়াও শেরপুরে চারজন, কুড়িগ্রামে তিনজন ও লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।

The post বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, সিলেটেই ৫১ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a7%9c%e0%a7%87/

দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ১২৮০

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ১৩৮ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৩ জন।

শনিবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০২ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৫১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৪৫৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৪৯২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১০ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

The post দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ১২৮০ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-5/

ভ্রুণ হত্যা নিষিদ্ধ করল আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অবশেষে গর্ভপাত অধিকার আইন বাতিল করেছে আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালত। প্রায় পাঁচ দশকের পুরনো একটি আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়ার ফলে আমেরিকায় আবার গর্ভপাত নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ নারী আর আইনি সুরক্ষায় থেকে তাদের গর্ভের ভ্রুণ হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করতে পারবেন না।

স্থানীয় সময় গতকাল (শুক্রবার) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়া প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো একটি আইনি সিদ্ধান্ত উল্টে দিয়ে ভ্রুণ হত্যাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই রায়ের ফলে আমেরিকার প্রায় অর্ধেক রাজ্যেই গর্ভপাত নিষিদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। প্রতিটি রাজ্যই এখন নিজস্বভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারবে।

এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে রক্ষিত একটি গোপন খসড়া নথি ফাঁস হয়। তাতে বলা হয়, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের আইনি অধিকারকে বাতিল করতে যাচ্ছে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের সামনে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার পক্ষে মিছিল করেন একদল নারী। এরপর আদালতের রায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভ্রুণ হত্যার প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামেন অপর একদল নারী।

৯৮ পৃষ্ঠার খসড়া নথিতে বিচারক স্যামুয়েল আলিতো লিখেছেন, ১৯৭৩ সালের ‘রো বনাম ওয়েডের’ মামলার সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গর্ভপাতকে বৈধ করাটা বিরাট ভুল ছিল। এই আইন বাতিল হওয়ায় দেশটিতে কয়েক দশক ধরে চলে আসা রক্ষণশীল আন্দোলনের বড় ধরনের বিজয় হিসেবে বিবেচিত হলো।

The post ভ্রুণ হত্যা নিষিদ্ধ করল আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ad%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a3-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%b2-%e0%a6%86/

কাগজের সংকটে পাকিস্তানে নতুন পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চলতি বছর আগস্টে পাকিস্তানে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। তবে এ বছর শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কারণ কাগজের অভাবে পাঠ্যপুস্তক ছাপা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’।

দেশটিতে কাগজ সংকটের কারণ বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি হলেও বর্তমান সরকারের ভুল নীতি ও স্থানীয় কাগজ শিল্পের একচেটিয়া আধিপত্যকেই এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিন্টিং গ্রাফিক আর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ (পিএপিজিএআই) এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠন, যারা এর সঙ্গে যুক্ত তারা শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ কায়সার বাঙ্গালির সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে। এতে মুদ্রণ ব্যবসায়ী, প্রকাশক ও কাগজ ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বর্তমান সংকটের কারণে স্কুল-কলেজের আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঠ্যবই ছাপানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। রাজনৈতিক গোলযোগের মধ্যে দেশটির অর্থনীতি ধসে পড়ার মুখে। এরই মধ্যে দেশটিতে কয়েক দফা বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। আর জিনিসপত্রের দাম তো তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

The post কাগজের সংকটে পাকিস্তানে নতুন পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87/

পদ্মা সেতুর টোল: খরচ উঠবে ৩৫ বছরে

ফাতেহ ডেস্ক:

পদ্মা সেতুর টোলের টাকায় সেতুর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, নদীশাসন ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া ঋণও পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর জন্য অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে যে ঋণচুক্তি হয়েছে, তার মেয়াদ ধরা হয়েছে ৩৫ বছর।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, সেতু নির্মাণে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ৩৫ বছরে সুদসহ ৩৬ হাজার কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

লোন রিপেমেন্ট শিডিউল অনুযায়ী প্রথম বছরেই ৫৯৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আবার কোনও কোনও বছর পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত।

গত ১৭ মে পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করছে প্রথম বছরে টোল আসবে ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা।

জানা গেছে, সেতু কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে চুক্তির অনুচ্ছেদ ২ মোতাবেক ঋণের অর্থ প্রকল্প সমাপ্তির পর বার্ষিক ১ শতাংশ হারে সুদসহ ৩৫ বছরে ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। নকশা প্রণয়নের সময় নেওয়া ২১১ কোটি টাকার বিপরীতে পরিশোধ করতে হবে ৩৪০ কোটি টাকা।

গত ১৭ মে সেতু কর্তৃপক্ষের জারি করা টোল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুতে বড় বাসের টোল হবে ২ হাজার ৪০০ টাকা, মোটরসাইকেলের ১০০ টাকা, কার ও জিপের ৭৫০ টাকা, পিকআপের ১ হাজার ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসের জন্য ১ হাজার ৩০০ টাকা। মাঝারি বাসের টোল হবে ২ হাজার টাকা, চার এক্সেল ট্রেলারের ৬ হাজার টাকা এবং মিনিবাসের (৩১ সিট বা তার কম) টোল ১৪০০ টাকা।

 

The post পদ্মা সেতুর টোল: খরচ উঠবে ৩৫ বছরে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%9f%e0%a7%8b%e0%a6%b2-%e0%a6%96%e0%a6%b0%e0%a6%9a-%e0%a6%89%e0%a6%a0%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a7%a9/

পদ্মা সেতুর দুয়ার খুললো

ফাতেহ ডেস্ক:

নতুন ভোর শুরু হলো বাংলাদেশে। খুললো পদ্মা সেতুর দোর। পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সেতুর উদ্বোধনী ভাষণ দিতে মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম, সিলমোহর ও ১০০ টাকার স্মারক নোট উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর গাড়িবহর নিয়ে ১১টা ৫৫ মিনিটে টোল প্লাজায় টোল প্রদান করেন তিনি। ১১টা ৫০ মিনিটে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১১টা ৫৯ মিনিটে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে পদ্মা সেতু।

এর আগে শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেতুর টোল প্লাজার কিছুটা আগে এক পাশে অস্থায়ী প্যান্ডেলে আয়োজন করা হয় সমাবেশের।

 

The post পদ্মা সেতুর দুয়ার খুললো appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%b2%e0%a7%8b/

Friday, June 24, 2022

শিক্ষানীতি : ইসলামপন্থী ও বামপন্থীদের প্রধান মতপার্থক্যসমূহ

 ইহতেশামুল হক:

বাংলাদেশের জন্মলগ্ন হতে আজ অবধি শিক্ষানীতি নিয়ে দুটি শ্রেণীর মাঝে তুমুল বিতর্ক চলে আসছে। আদর্শগতভাবে এই দুটি শ্রেণীর অবস্থান দুই মেরুতে। দুটি শ্রেণীই পৃথক পৃথক বলে বলীয়ান। এর মধ্যে একটি শ্রেণী একটি এদেশের জাতীয় বিশ্বাস তথা ধর্ম ও দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর পক্ষ হয়ে বিতর্ক করেন। আরেকটি শ্রেণী পশ্চিমা মতাদর্শ প্রভাবিত বুদ্ধিজীবীতার পক্ষ হয়ে লড়াই করেন। এই দ্বিতীয় শ্রেণীটির হাত ধরে স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৪ সন থেকে নিয়ে ২০০৯ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ৭টি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি কমিশনই ধর্মীয় শিক্ষাকে যারপর নাই সঙ্কুচিত করে রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। যার ফলে ধর্মীয় মহলগুলো এই রিপোর্টগুলোর বিরুদ্ধে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং প্রস্তাবিত রিপোর্টের বিরোধীতা করেছেন। ২০০৯ এর শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বর্তমানে ২০২২ সন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে। সে সমস্ত পাঠ্যক্রমে সুকৌশলে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাদ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ মে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের রূপ রেখার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ রূপরেখার কোন স্তরে ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। মূল্যবোধ ও নৈতিকতা দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাক্রমে রাখা হলেও তা হবে সেক্যুলার। কোন ক্রমেই ধর্মশিক্ষা নয়। একে কেন্দ্র আবার সেই পুরনো বিতর্ক জেগে উঠেছে, যার সূচনা হয়েছি ১৯৭৪ সনে ড. কুদরত-এ-খোদার শিক্ষানীতি প্রকাশ পাওয়ার পর।

ধর্মীয় মহল ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে শিক্ষানীতি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে তা মূলত দুটি বিপরীতমুখী আদর্শের দ্বন্দ্ব। একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র, অপরদিকে ইসলাম। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবন দর্শন ইসলাম হলেও যাদের হাতে শিক্ষানীতি, শিক্ষাক্রম গঠিত হচ্ছে তারা হলেন বাম ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা। তাই শিক্ষানীতিতে ঘুরে ফিরে বার বার এই চিন্তারই প্রতিফলন ঘটেছে। ধর্মীয় মহলগুলোর সাথে তাদের সবচেয়ে বড় মতপার্থক্য এই জায়গাটিতেই ছিলো যে, বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা কোন আদর্শ ভিত্তিক হবে?

শিক্ষার আদর্শ কি হবে

ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থিদের মত ছিলো শিক্ষা হবে ধর্মীয় প্রভাব থেকে মুক্ত। নীতি শিক্ষার অধীনে কখনো কখনো ধর্মশিক্ষার কিঞ্চিত রাখা গেলেও শিক্ষাকে ব্যপকভাবে ধর্মের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। তাদের ধারণা, ধর্মমত শিক্ষাকে একদেশদর্শী, সংকীর্ণচেতা, সেকেলে এবং অলৌকিক ও অতি-প্রাকৃতিক বিষয়াদি দ্বারা ভারাক্রান্ত করে দেয়। অথচ শিক্ষাকে হতে হবে সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ, ব্যবহারিক এবং লৌকিক জীবনের সার্বিক উন্নয়ন ও সুখ-সাচ্ছন্দ্য বিধানে সহায়ক। অলৌকিক বা অতি-প্রকৃত বিষয়াদির জ্ঞান নিত্যনৈমিত্তিক জীবন সমস্যার সমাধানে মানুষকে কিছুমাত্র পথ দেখাতে পারে না। কিভাবে মাটির গভীর তলা খুঁড়ে তেল কয়লা গ্যাস কিংবা অন্যান্য খনিজ সম্পদ অবিষ্কার ও উত্তোলন করতে হবে, কিভাবে সমুদ্র গর্বে ডুব দিয়ে মণিমুক্তা আহরণ করতে হবে, কেমন করে আণবিক বোমা তৈরী করতে হবে এবং শক্তিশালী শত্রু পক্ষকে দমন বা খতম করার জন্যে নতুন নতুন মরণাস্ত্র নির্মাণ করতে হবে, ধর্ম তা মানুষকে শেখাতে পারে না; বরং অনেক সময় ধর্মমত মানুষকে এই সব কাজ থেকে বিরতই রাখতে চায়। তাহলে ধর্মকে শিক্ষার ক্ষেত্রে টেনে আনাই ভুল। টেনে আনা হলে বরং জীবনের বিকাশ, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে চরম পশ্চাদপদতাকেই মেনে নিতে হবে।

কিন্তু ইসলামপন্থীদের বক্তব্য হলো, ইসলাম এমন কোন ধর্ম নয়, যাকে পশ্চিমের খৃষ্টধর্মের মতো খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। বরং ইসলাম একটি জীবন দর্শন, যা পশ্চিমের জনপ্রিয় অন্যান্য জীবনদর্শনগুলোকে রীতিমতো চেলেঞ্জ করে। ইসলামকে বুঝার জন্য এখানে ড. আলিয়া আলীর ব্যাখ্যাটা প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, “জগৎ ভাবনা পরিক্রমায় তিনটি মাত্র পথ বিবেচ্য: ধর্মীয়(খ্রিষ্টধর্মীয়), বস্তুবাদী ও ইসলামী। এই তিনটি পথ তিনটি মূলগত সম্ভাব্যতার নির্দেশক- চৈতন্য, প্রকৃতি ও মানুষ যা যথাক্রমে খ্রিষ্টবাদ, বস্তুবাদ ও ইসলামের কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রাচীনতম কাল থেকে আজ অবধি প্রচারিত সকল দর্শন ও শিক্ষা এই তিনটি মৌল ভাবনাবৃত্তের যে কোন একটিতে পড়তে বাধ্য। প্রথম ও দ্বিতীয়টির পরিক্রমণ শুরু হয়েছে যথাক্রমে আত্মা ও বস্তুকে মূল ধরে এবং তৃতীয়টির বিকাশ ঘটেছে একাধারে আত্মা ও বস্তুকে সাথে নিয়ে। যদি শুধু আত্মাই সর্বাত্মক হতো, জীবন হয়ে পড়তে নৈতিকতাহীন ও মানবিক অনুভূতিশূন্য। অপরদিকে যদি শুধু বস্তুই সবকিছু মূল হত তাহলে বস্তুবাদই হত দর্শনের একমাত্র উপসংহার। ইসলাম আত্মা ও বস্তুর স্বাভাবিক ঐক্যের এক নাম, যার সর্বোচ্চ রূপ স্বয়ং মানুষ। মানব জীবন সম্পূর্ণ হয় তখনই যখন তা শারীরিক ও আধ্যাাত্মিক আকাক্সক্ষা-উভয়ই আত্মগত করে। মানুষের যে ব্যর্থতা তা হয় জৈব প্রয়োজনের প্রতি ধর্মাশ্রয়ী বিমূখতা থেকে, নয়তো আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি বস্তুবাদী প্রত্যাখ্যান থেকে।”

মানব জীবন বিজ্ঞান বা আধ্যাত্মবাদ এ দুয়ের খণ্ডাংশকে লালন করে জীবনের পূর্ণঙ্গায়নে অবদান রাখতে পারে না। তাই এমন কোন তৃতীয় ধারার ব্যবস্থাপনা আবশ্যক যা এই দু’টি দৃষ্টিভঙ্গির একক সন্নিবেশ ঘটিয়ে অতঃপর এদের ওপরে স্থান পেতে পারে? ড. আলিয়া আলী বলেন যে, ইসলামই সেই তৃতীয় ধারার ব্যবস্থা যা বিপরীত নীতি সমূহের সমন্বয় ঘটিয়ে এমন একটি অবকাঠামোতে এসে দাঁড়ায় যার মধ্যে জীবন বিকশিত হয় স্বতঃসিদ্ধ স্বাভাবিকতায়। একটি উপযুক্ত, স্থায়ী ও কল্যাণকর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য জীবন দর্শন হিসেবে একমাত্র ইসলামকেই সামনে রাখা যায়। বস্তুবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা বা সাম্যবাদ কোনটিই সামগ্রিকতা ও ফলপ্রসুতার বিচারের ইসলামের সমকক্ষ হতে পারে না।

মুসলিম শিক্ষাবিদ ড. মাজেদ উরসান কিলানীর মতে, ধর্মভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ের ক্ষেত্রে পাঁচটি মৌলিক জিজ্ঞাসাকে আমলে আনা আবশ্যক। এই জিজ্ঞাসাগুলোর সুসম বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ইসলামী শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হতে পারে। জিজ্ঞাসাগুলো হলো, স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সম্পর্ক কী? মানুষে মানুষে সম্পর্ক কী? মহাজগতের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কেমন হবে? পরকালে মানুষের বিশ্বাস কি হবে? মানুষ ও জীবনের সম্পর্ক কী?

এই জিজ্ঞাসাগুলোর মাধ্যমে মূলত শিক্ষা ব্যবস্থায় দু’টি বিষয়ের অন্তুর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। আর তা হলো আধ্যাত্মিকতা ও প্রগতি। নিশ্চিত করা হয়েছে সেই বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিরও, প্রগতি ও বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে যা ক্রিয়াশীল থাকবে। উপরের সম্পর্কপঞ্চকে এখানে একটি শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা যায়। আর তা হলো ইবাদাহ। ইবাদাহ হলো মানুষের চিন্তা, কর্ম, কথা, আবেগ ও অনুভূতির একটি বিশেষ অবস্থার নাম যার প্রতিফলন ঘটে ব্যক্তির চিন্তা ও অন্তর্জগত থেকে শুরু করে তার ব্যক্তি জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে এবং সামরিক জীবনে। ইবাদাহর তিনটি প্রকাশস্থল রয়েছে। ধর্মীয়, সামাজিক ও মহাজাগতিক। ধর্মীয় ইবাদাহ বলতে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সম্পকর্কে বোঝায়। স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, রসূলগণ, ফেরেশতাগণ, আসমানী কিতাবসমূহ ও ধর্মীয় আচার অনুশীলন হলো এস্তরের অন্তর্ভুক্ত।
ইবাদাহর দ্বিতীয় প্রকাশস্থল হলো সামাজিক। সমাজের সংহতি রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সমাজের বৈশিষ্ট্যাবলী জানা ও সে অনুপাতে আচরণ করা। এ স্তরের পূর্ণতার জন্য আবশ্যক হলো শিক্ষাব্যবস্থায় সমাজ গঠনের উপাদানসমূহ নিয়ে আলোচনা করা, সভ্যতা ও নগর সমূহের উত্থান-পতনের কারণ সমূহকে জানা এবং ঘটনা সমূহের পারস্পরিক সম্পর্ক, ফলাফল ও অনুঘটক সমূহ নিয়ে চিন্তা করা। এর মাধ্যমে জানা যাবে সমাজের উত্থান-পতন ও ধ্বংস-বিনির্মাণে আল্লাহ তাআলার কোন রীতিটি কর্যকর থাকে।

ইবাদাহর তৃতীয় প্রকাশস্থল হলো মহাজাগতিক। এর অর্থ হলো মহাজগতের গতিপ্রকৃতি অনুধাবন করে নিজের ধর্মীয় সত্ত্বাকে আরো গতিশীল করা। মহাজাগতিক ঘটনাবলী নিয়ন্ত্রণ করে যে সকল আইন-কানুন, সেগুলো বৈজ্ঞানিক সূত্র আবিষ্কার করা। অতঃপর ঐশ^রিক নির্দেশনা অনুসারে সেগুলো থেকে থেকে সর্বোচ্চ উপকার লাভ করার জন্য সচেষ্ট হওয়া। ইবাদাহর উপরোক্ত ব্যাখ্যা থেকে ধর্মীয় জ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও মহাজাগতিক বিজ্ঞানের অসংখ্য শাখা প্রশাখা বের হয়। শিক্ষানীতিতে সেগুলোর সন্নিবেশ ঘটলে একটি ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার অবয়ব দাঁড়াতে পারে।

অতএব, প্রগতির পথে ধর্ম অন্তরায় বলে সেক্যুলার মহলে যে কানাঘুষা রয়েছে ইসলাম ধর্মের বেলায় তা একেবারেই বেমানান। ধর্মীয় মহলগুলোর দাবি হলো, বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সেক্যুলার বা অন্য কোন মতাদর্শ নয়, বরং ধমীয় মতাদর্শকেই প্রাধান্য দেয়া আবশ্যক। বিশেষতঃ শিক্ষাকে যদি গণমুখী করতে হয় তাহলে এছাড়া কোন উপায় নেই। কেননা, বাংলাদেশের সিংহাভাগ মানুষ বিশ্বাসের দিক থেকে ধর্মীয়। ধর্মনিরপেক্ষতা বা বামপন্থার প্রতি গুটি কয়েক বুদ্ধিজীবীর আস্থা থাকলেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আস্থা নেই। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য কমিশনগুলো বরাবরই একটি যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন যে, বাংলাদেশ বহুজাতিক দেশ, এখানে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাই একমাত্র অবলম্বন। এক্ষেত্রে মুসলিমগণের বক্তব্য হলো, ইসলামী শিক্ষা-দর্শনের অন্যতম একটি বিশেষত্ব হলো এটি সার্বজনীন। নারী-পুরুষ, শহরবাসী-গ্রমাবাসী, মুসলিম-অমুসলিম সকলরই জন্য এ শিক্ষা অবাধ ও নিরপেক্ষ। এ ব্যাপারে রূপ শ্রেণী-বর্ণ-গোত্র-ধর্ম ইত্যাদি কোন প্রতিবন্ধক হতে পারে না।

ইসলামপন্থিদের বক্তব্য, পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশের আড়াই কোটি শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে শিক্ষা নিতে যায়। যদি কতক বামপন্থিদের চাহিদা অনুযায়ী সেখান থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে দূরে রাখা হয় তাহলে দেশের এই প্রজন্ম ধর্মশিক্ষা থেকে বি ত হয়ে যায়। একটি স্বাধীন ও মর্যাদাবান জাতির জন্য এটি কেবল বেদনাদায়কই নয়, লজ্জাকরও বটে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ সকল মানুষের চাহিদা থাকে, তাদের সন্তান যেনো ধর্মশিক্ষা লাভ করে বেড়ে উঠে। সন্তানের ধর্মহীন ভবিষ্যত গড়ে উঠুক এটা কোন অভিভাবকেরই কাম্য নয়। অতএব, বাংলাদেশের আপামর জনতার আন্তরিক দাবি এটিই যে, ধর্মকে পুঁজি করে তাদেরকে সুন্দর নৈতিকতাপূর্ণ একটি শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দেয়া হোক।

বাঙালী জাতীয়তা

২০০৯ সালে গঠিত অধ্যাপক কবির চৌধুরির শিক্ষানীতির অধীনে যে পাঠ্যবই পরবর্তিতে রচিত হয়েছিলো তাতে ব্যাপকভাবে ইসলামী ভাবধারার প্রবন্ধ-নিবন্ধ, নটক ও গল্প-কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে। তার স্থলে আনা হয়েছে ব্রাহ্মণ্যবাদী ও বিজাতীয় সংষ্কৃতির বিভিন্ন গল্প-কবিতা ও নাটক-রচনা। যেমন দ্বিতীয় শ্রেণীতে আগে পড়ানো হতো ‘সবাই মিলে করি কাজ’ শিরোনামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.) এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। তৃতীয় শ্রেণীর বইয়ে ইসলামের প্রথম খলিফা ‘খলিফ হযরত আবু বকর’ শিরোনামের সংক্ষিপ্ত জীবনী। চতুর্থ শ্রেণীতে দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাযি. এর জীবনী পড়ানোর ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু কবির চৌধুরীর শিক্ষানীতির অধীনে প্রণতি পাঠ্যবই থেকে মহানবী (সা.) এবং ইসলামের প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার জীবনী বাদ দেয়া হয়েছে। একইভাবে পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবই থেকে মহানবী সা. এর এর জীবনী, কাজী কাদের নেয়াজের ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ শীর্ষক কবিতা, ‘শহীদ তিতুমীর’ নামক একটি জীবনীর পরিবর্তে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা পবিত্র কোরআন বিরোধী বলে পরিচিত।

ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে ধর্মীয় শিক্ষণীয় ঘটনা সম্বলিত ড. শহীদ উল্লাহর সততার পুস্কার নামক একটি লেখা, কায়কোবাদের লেখা ‘প্রর্থনা’ কবিতা বাদ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে দেবী দূর্গের প্রশংসা সম্বলিত কবিতা ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ এবং ‘লালগরুটা’ নামক ছোট গল্প, যাতে গরুকে দেবতার আসনে বসানো হয়েছে। একই শ্রেণীতে পাঠ্য ‘নীলনদ আর ‘পিরামিডের দেশ’ নামক ভ্রমণ কাহিনীর পবির্তে ‘রাঁচির ভমণ কাহিনী’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর বই থেকে মরু ভাস্কর নামক শেষ নবী (সা.) এর জীবন চরিত বাদ দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে পাঁঠা বলি দেয়ার নিয়মকানুন সম্বলিত লালু নামক একটি গল্প। অষ্টম শ্রেণী থেকে বাবরের মহত্ত্ব ও বেগম সুফিয়া কামালের লেখা ‘প্রার্থনা’ কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে সংযোজন করা হয়েছে রামায়ণের সংক্ষিপ্ত কাহিনী। নবম-দশন শ্রেণীর জন্য লিখিত বই থেকে কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা বন্দনা, কবি আলাওলে ‘হামদ’ ও আব্দুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’, ‘জীবন বিনিময়’ এবং কাজী নজরুল ইসলামের ‘ওমর ফারুক’ নামক কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে একই শ্রেণীর বইয়ে বেদী অন্নপূর্ণার প্রশংসা সম্বলিত মঙ্গল কাব্য আমার সন্তান, সাঁকোটি দুলছে ও রাঁধা-কৃষ্ণর লীলা কীর্তন সুখের লাগিয়া প্রভৃতি কবিতা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সাঁকোটা দুলছে কবিতাটিতে ৪৭-এর ভারত বিভক্তিকে হেয় করা হয়েছে।

পাঠ্যসূচী পরিবর্তনের এই দীর্ঘ ফিরিস্তি যখন জনসম্মুখে হাজির হয় তখন ইসলামী মতাদর্শী বাঙালী মুসলিম ও বাঙালী জাতিয়তাবদী সেক্যুলাদের মাঝে নতুন বিতর্ক আরম্ভ হয় যে, জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তি কী হবে? হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি নাকি ইসলাম। এই বিতর্কের মূল জায়গাটা আসলে এখানে যে, বাঙালী জাতীয়তাবাদ বা বাঙালী সংস্কৃতি মূলত কী? যা প্রতিবিম্বিত হবে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে?

১৯৪৭ সালে যখন দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হয় তখন এই প্রশ্ন সমানে আসে যে, বাঙালী মুসলমানের আত্মপরিচয় কী হবে? বাঙালী নাকি মুসলমান? অথবা কতখানি বাঙালী বা কতখানি মুসলমান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একটি শ্রেণী তাদের ইসলামী পরিচয়কে বিলীন করে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞানের আলোয় নিজেদের সত্তা ও অস্তিত্বকে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন। তারা বাঙালী সংস্কৃতির নামে ইসলামী আদর্শ বিবর্জিত সংস্কৃতিতে নিজেদের পরিচয় খুঁজতে চেয়েছেন। তারই প্রকাশ ঘটেছে সেই মতাদর্শীদের হাতে রচিত পাঠ্যক্রমের পাতায় পাতায়।

বাঙালী সংস্কৃতির বয়ানে ইসলামপন্থিদের তাত্ত্বিক অবস্থান মজবুত। তারা বলেন, সাতচল্লিশের দেশ ভাগ কেন, তার আগে বা পরেও এদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্কট দেখা দেয়নি। বরং একটি শ্রেণী কৃত্তিম সঙ্কট তৈরী করে ভিন্নতরো পথে বাঙালী জাতীয়তাবাদের ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। ঢাকায় প্রকাশিত ‘ফেলে আসা দিনগুলো’ বইয়ে ইব্র্রাহিম হোসেন লিখেছেন যে, কমিউনিজম মতাদর্শে বিশ্বাসী একটি শ্রেণী পরিকল্পিতভাবে বাঙালী জাতিয়তাবাদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। সাতচল্লিশের দেশ ভাগের সময় তারা পাকিস্তানের পক্ষে আন্দোলন করেছেন। পাকিস্তান হয়ে গেলে তারা বলতে শুরু করলেন এটা নাকি ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক দেশ এবং সর্বপ্রকার প্রগতি বিরোধী মধ্যযুগীয় কান্ড-কারখানা। ইব্রাহিম হোসেনের বই থেকে জানা যায়, তাদের জাতীয়তাবাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলা ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের জন্ম তারাই দিয়েছিলেন। এরপর কালক্রমে তারা মনোযোগ দেন মুসলমানদের ধর্ম ও ধর্মীয় সংস্কৃতি বদলে দেয়ার দিকে। কৃত্তিম উপায়ে ডিম ফোঁটানোর মতো বাংলাভাষী মুসলমানদের ধর্ম ও ধর্মীয় সংস্কৃতি বদলে দেয়ার মূল কর্মসূচি হিসেবে তারা আনলেন বাঙালী জাতীয়তাবাদ এবং বাঙালী সংস্কৃতির কথা। ধর্মভিত্তিক হোক, ভাষা ভিত্তিক হোক, কিংবা অ ল ভিত্তিক হোক যে কোন নামে তারা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পছনে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রতিবেশী সমাজের হিন্দুদের লেখা তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্ম ও ধর্মীয় সংস্কৃতিপ্রধান সাহিত্যকে আমাদের সাহিত্য ও পাঠ্যক্রম হিসেবে গ্রহণ করছেন। বিপরীতে এদেশীয় মুসলমানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্ম ও ধর্মীয় সংস্কৃতিকে সম্প্রদায়িক বলে প্রচার করতে শুরু করেছে।

নারী শিক্ষা

ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ইসলামপন্থীদের আরেকটি মতপার্থক্য হলো নারী শিক্ষা নিয়ে। এমনিতে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ইসলামের বক্তব্য হলো, তা পুরুষের শিক্ষার মতোই জরুরী। নারীদেরকে অনগ্রসর রেখে কোন জাতিই পৃথিবীতে অগ্রসর হতে পারে না। তবে এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষানীতিতে যে সহশিক্ষার কথা আছে সেখানেই ইসলামপন্থীদের মতভেদ। তাদের বক্তব্য হলো, পাশ্চাত্যের মতো শিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য নারীদের পুরুষ সেজে বিদ্যালয়ে আসার অর্থ হয় না। তাদের শিক্ষাব্যবস্থাটা তাদের স্বভাবের দাবি ও প্রয়োজন অনুযায়ীই হওয়া উচিত। পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তাদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ছেলে ও মেয়ে জন্মগত ভবেই স্বতন্ত্র দৈহিক ও মানসিক যোগ্যতা এবং ভাবধারার বাহক হয়ে থাকে। জীবনের পরিণত স্তরে স্বাভাবিক দায়িত্ববোধের তাগিদেই তারা স্বতন্ত্র কর্মক্ষেত্র গ্রহণে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে কোন মিলই থাকে না ছেলে ও মেয়ের জীবনে। কিন্তু তা সত্তে¡ও উভয়কে ঠিক একই বিষয় একই ধারায় শিক্ষা দেয়ার কুফল যে কত ভয়াবহ তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

পরিশিষ্ট

ঘানার বুদ্ধিজীবি ড. কুফি বুসিয়া বলেন, ‘কোন স্বাধীন জাতি যদি কোন বিদেশী শিক্ষাব্যবস্থার অনুসরণ করে তাহলে তাদের স্বাধীন সত্তার পরিস্ফুটন ঘটবে না।’ বাঙালী জাতি হলো একটি স্বাধীন জাতি। ধর্মীয় দিক থেকে স্বতন্ত্র আত্মপরিচয়ের অধিকারী। তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যিক, ও ঐতিহাসিক পরিচয় আছে। তাদের জাতীয় ধর্ম আছে এবং জাতীয় বিশ্বাস আছে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে কিংবা পাঠ্যক্রম নির্ধারণে তাদের সেই স্বাধীন চেতনার মূল্যায়ন করা আবশ্যক বলে ইসলামপন্থীরা মনে করেন।
এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকার লেখক শিক্ষার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘একটি সমাজের পুঞ্জিভূত জ্ঞান ও মূল্যবোধের হস্তান্তর হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য’। তাই দেশীয় ধার্মীকশ্রেণী মনে করেন, আধ্যাত্মিক, মানবিক, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতিই শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ হওয়া উচিত। ঐশী চেতনায় লালিত আদর্শ ও মূল্যবোধ ছাড়া শুধু ইহজাগতিক ও বস্তুতান্ত্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে রচিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কোন আদর্শ ও সৎ নাগরিক তৈরী হতে পারে না।

তথ্যসূত্র
এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা
মাজেদ উরসান কিলানী, ফালসাফাতুত তারবিয়াতিল ইসলামিয়া
উস্তায মুহাম্মাদ কুতুব,মানহাজুত তারবিয়াতুল ইসলামিয়া
শিক্ষকমিশন সমূহের রিপোর্ট সমূহ

 

The post শিক্ষানীতি : ইসলামপন্থী ও বামপন্থীদের প্রধান মতপার্থক্যসমূহ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%80-%e0%a6%93/

কবীর চৌধুরী শিক্ষা কমিশনে ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষা

এহসানুল্লাহ জাহাঙ্গীর:

বলা হয় যে— শিক্ষা জাতির দর্পণ। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। সে হিসেবে জাতীয় শিক্ষানীতির গুরুত্ব একটি দেশের জন্য নিঃসন্দেহে অপরিসীম। মূলত শিক্ষা হলো অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের মতোই মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। উপযুক্ত শিক্ষা ছাড়া যেমন কোনো জাতির যথাযথ বিকাশ সম্ভব নয়। তেমনি জাতি হিসেবে পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্যেও শিক্ষা অপরিহার্য। ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখা যায়, কোনো জাতির পশ্চাৎপদতার সবচেয়ে বড় কারণ প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাব। তবে সেই শিক্ষা কোনো গৎবাধা শিক্ষা নয়। হতে হবে নৈতিকতা, আদর্শ, চেতনা ও বিশ্বাসে সমুন্নত। আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উন্নীত। এখন কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের শিক্ষানীতি আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যে পূরণে কেমন ভূমিকা রাখছে? বিশাল একটি জাতিগোষ্ঠী মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষায় কতটুকু পৃষ্ঠপোষকতা করছে? এসব জানতেই আমরা এখন খতিয়ে দেখব বাংলাদেশের সর্বশেষ শিক্ষা কমিশন— জাতীয় অধ্যাপক ‘কবীর চৌধুরী শিক্ষা কমিশন’ এর শিক্ষানীতি।

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর শিক্ষা কমিশন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত আরো ৬টি শিক্ষা কমিশন কমিটির মাধ্যমে শিক্ষানীতি প্রণীত বা সংস্কার হলেও কোনো শিক্ষানীতি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। দু-একটি আংশিক বাস্তবায়ন হলেও অধিকাংশই আলোর মুখ দেখেনি। কারণ প্রতিটি সরকারই মেয়াদের শেষ দিকে এসে শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলে সেটি সম্ভব হয়নি। এবং পরবর্তী সরকারও পূর্ববর্তী সরকারের প্রণীত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব দেখাতে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এভাবেই সর্বশেষ বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৭২ সালের ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট এবং ২০০০ সালের ড. শামসুল হক শিক্ষা কমিশন রিপোর্টকে সামনে রেখে ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল অধ্যাপক কবির চৌধুরীকে চেয়ারম্যান এবং ড. খালেকুজ্জামানকে কো-চেয়ারম্যান করে ১৮ সদস্যের শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়া ২রা সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে সরকারের কাছে পেশ করে এবং ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে এই শিক্ষানীতি পাস হয়। সরকার শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ২৪ টি সাবকমিটির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।

অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত প্রাক- কথন এবং শিক্ষামন্ত্রী প্রদত্ত মুখবন্ধ সহ এতে মোট ২৮টি অধ্যায় এবং ২টি সংযোজনীসহ সাধারণের সামনে আসার পর দুধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। একদল এর ঘোর বিরোধিতা করে। কেননা এই শিক্ষানীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে সেক্যুলারতন্ত্র এবং ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধবিরোধী চেতনা। তাদের কথা হচ্ছে, ১৯৭৪ সালে প্রণীত ড. কুদরতে খুদা, ১৯৯৭ সালে ড. শামসুল হক শিক্ষা কমিশনই হচ্ছে বর্তমান শিক্ষানীতির মূল ভিত্তি। আর এই দু’টি নীতিই দেশের আপামর জনসাধারণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কারণ উক্ত নীতির লক্ষ্য হিসেবেই বলা হয়েছিল, সমাজতান্ত্রিক ধ্যান ধারনায় বিশ্বাসী এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের নীতিমালা সম্পন্ন চরিত্রবান নাগরিক গড়ে তোলা। শামসুল হক শিক্ষা নীতিও প্রায় এক ও অভিন্ন নীতির উপরই প্রতিষ্ঠিত। অবশ্য আরেকটি দল এর স্বপক্ষে আঁটঘাট বেঁধে নেমে যায়। তাদের মতে এতে আছে, প্রগতি, সেক্যুলারতন্ত্র, নারীবাদ ও স্বাধীনতামুখী শিক্ষা। এই শিক্ষা পেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে, প্রান্তিক, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক চিন্তা থাকবে না। জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ডক্টর মো. আখতারুজ্জামান—তিনি তার একটি প্রবন্ধে বলেন, “শিক্ষানীতির সমালোচনা করে কিছু পেশাজীবী সংগঠন স্ববিরোধী বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তারা বলেন, ‘‘ইতোপূর্বেকার কুদরাত-ই-খুদা ও শামসুল হক শিক্ষা কমিশনে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা গুরুত্ব না পাওয়ার বরাবরই এ-জাতি সে বিষয়ে আপত্তি তুলেছে। বর্তমানে প্রণীত শিক্ষানীতি ২০১০-কেও খুদা এবং হক কমিশনেরই প্রতিরূপ (replica) বলে মনে হয়েছে। এজন্যই এ শিক্ষানীতিতে অনেক ভাল প্রস্তাব থাকার পরও জাতি তা মেনে নিতে প্রস্তুত বলে মনে হয় না।’’ তারা আরো বলেন, ‘এ শিক্ষানীতি বাস্তাবায়িত হলে একজন সাধারণ ধারার শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবনের সূচনা হতে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে এ-শিক্ষানীতি কোন অবস্থাতেই বাস্তবায়িত হতে পারে না।’’ (জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, পর্যালোচনা মন্তব্য ও পরামর্শ, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ, ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর ২০১০, পৃ.৪, ১৬) প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ একমাত্র শিক্ষানীতি যেখানে শিক্ষাধারা নির্বিশেষে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ‘ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়টি বাধ্যতামূলক। সুতরাং উল্লিখিত মন্তব্য যে ভিত্তিহীন, মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক তাতে কোন সন্দেহ নেই।”

এ থেকে সহজেই অনুমেয় যে, অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর শিক্ষা কমিশনের শিক্ষানীতি ধর্মীয় শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করেইনি, বরং কৌশলে এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে ইসলামফোবিয়া ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও দাবি করা হয়েছে, ‘ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়টি বাধ্যতামূলক।’ কিন্তু স্কুলগুলোতে একটু খোঁজখবর নিলেই জানা যায়, বাস্তবে ‘ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ কতটা উপেক্ষিত। প্রথমত ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিজ্ঞ ও সর্বজন স্বীকৃত কোনো ধর্মীয় ব্যক্তি এর সিলেবাসের কাজে যুক্ত নেই। দায়সারাভাবে করা হয়েছে এর কাজ। দ্বিতীয়ত পাঠদানের ক্ষেত্রে রয়েছে অভাবনীয় শিথিলতা। এমনও সংবাদ শোনা গেছে, ‘ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বই পড়ান কোনো হিন্দু শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা। হিন্দু ধর্ম শিক্ষা কী কোনো মুসলিম পড়ান কিনা সেটা অবশ্য আমার জানা নেই! ধর্মীয় বইগুলো হয়তো সপ্তাহে একদুইবার ক্লাস করানো হয়। কোথাও তো মাসের পর মাস যায় ধর্মীয় বই কোথায় থাকে শিক্ষার্থীরা জানেই না। এক তো এই সমস্ত বইয়ে ধর্ম সম্পর্কে যথাযথ পাঠও নেই। যা আছে কেবল দায়সারাগোছের। তারপর পড়ানও ধর্মের মর্ম সম্পর্কে অনবগত কোনো ব্যক্তি। যার নিজেরই ধর্ম ও নৈতিকতা নিয়ে জানাশোনা নেই—তিনি কীভাবে ধর্মের সঠিক প্রতিনিধিত্ব করবেন? সুতরাং এমন ‘ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ পড়ানোর ফলাফল কী আসবে এবং কী আসছে—সেটা অবশ্য সবারই জানা। সুতরাং শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত একটি স্বাধীন দেশের যে জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে উপযুক্ত ধর্মীয় শিক্ষা আবশ্যিক হিসাবে থাকবে না, সেটা জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয় কিভাবে?

জাতীয় শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়ার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার কৌশল ৪-এ বলা হয়েছে, ‘মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সকল ধর্মের শিশুদেরকে ধর্মীয় জ্ঞান, অক্ষরজ্ঞানসহ আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদানের কর্মসূচি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে’।(পৃষ্ঠা: ১০) এই নীতির মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা উপেক্ষার চূড়ান্ত রূপ ফুটে উঠেছে। মূলত এর মাধ্যমে ধর্মশিক্ষাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে আলাদা করার বিশেষ এক কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। কেননা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যেসব মক্তব চালু আছে সেসবের হাল-হাকিকত সকলেরই জানা থাকার কথা। নিয়মতান্ত্রিক চালু এমন মক্তব খুবই কম। তাছাড়া সংখ্যায় এত কম যে এগুলো মূল চাহিদার দুই পার্সেন্টও পূরণ করতে পারছে না। এরপর এইসব মক্তবের পড়াশোনা এতটাই মানহীন যে—দায়িত্বশীল কোনো অভিভাবক এগুলোতে নিজ সন্তান পাঠায় না। অনেক জায়গায় এমনও দেখা যায়, মক্তবের পরিচিতি দিয়ে বোর্ড টানিয়ে রেখেছে ঠিকই আদতে এখানে পড়াশোনার কোনো বালাই নেই। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মক্তবের বোর্ড টানিয়ে নতুন একটি খাত তৈরি করে দলীয় নেতাকর্মীদের টাকা কামানোর একটি উপযুক্ত পন্থা ছাড়া এগুলো আর কিছুই নয়।

জাতীয় শিক্ষানীতির ‘শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য’ শীর্ষক অধ্যায়ে একটি ধারায় বলা হয়েছে, “প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার ধারা নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত বিষয়ে অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজি, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, গণিত, প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিচিতি এবং তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বাধ্যতামূলকভাবে পড়তে হবে;” অথচ কার্যক্ষেত্রে ১ম ও ২য় শ্রেণীতে ‘ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষার কোন ব্যবস্থা না থাকায় একজন শিশু তৃতীয় শ্রেণীতে উঠার পূর্ব পর্যন্ত তিন বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একবারের জন্যও আল্লাহ, নবি-রাসূল, জান্নাত-জাহান্নাম, খেলাফাহ-জিহাদ ইত্যাদির মতো ইসলামী শব্দগুলো শুনতে পাবে না। অথচ তার কচি হৃদয়ে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে— বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট কল্পকাহিনী। শিল্প-সাহিত্য চর্চার নামে তাদেরকে শেখানো হচ্ছে— ইসলামে নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রাণীর ছবি আঁকাআঁকি। সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে, অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা। ধর্মীয় চেতনা ও অক্ষরজ্ঞানহীন এই শিক্ষার্থী বড় হয়ে যখন জানতে পারবে প্রাণীর ছবি আঁকা ইসলামে নিষিদ্ধ, ধর্মীয় ব্যক্তিরা জিহাদের কথা বলে, প্রেম-ভালোবাসা হারামের কথা বলে— তখন সে ইসলামের বিধানের ওপর আঙুল তোলবে। বলবে, হুজুররা সেকেলে। এখনো অন্ধকারেই পড়ে আছে। জিহাদকে সন্ত্রাস কিংবা নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করবে। আর এভাবেই কী বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে জাতীয় শিক্ষানীতির অন্যতম উদ্দেশ্য; যা বলা হয়েছে— ‘শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য’- “এই শিক্ষানীতি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে সেক্যুলার, গণমুখী, সুলভ, সুষম, সর্বজনীন, সুপরিকল্পিত এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে সক্ষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি ও রণকৌশল হিসেবে কাজ করবে।”(পৃষ্ঠা:৭)

দেশের ৯০% মুসলিমরা তো এদেশে সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা চায় না। দেশের মানুষের আশা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, চিন্তা-চেতনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আক্বীদা-বিশ্বাস, কৃষ্টি-সভ্যতা ইত্যাদির সমন্বয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা। তাহলে শিক্ষানীতির ‘মুখবন্ধ’ -এ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের বক্তব্য ‘‘এটা কোন দলীয় শিক্ষানীতি নয় – জনগণ তথা জাতির আকাঙ্খা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি।” কোনদিনে ইঙ্গিত করছে? গুটিকয়েক সেক্যুলারের আকাঙ্ক্ষাই কি তাহলে ৯০% মুসলিমের আকাঙ্ক্ষার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ? এটা কি তাহলে “চোরের মন পুলিশ পুলিশ” আচরণ নয়?

অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর শিক্ষানীতির পূর্বের শিক্ষানীতি যদিও মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা সঠিকভাবে কিছুটা করেছে বলেও দাবি করা যায় না; তবুও এই শিক্ষানীতির মতো এতটা সেক্যুলারঘেষা ছিল না। এই শিক্ষানীতি ধর্মহীনতার ক্ষেত্রে এতটা এগিয়ে গেছে—গভীরভাবে ভাবতে গেলে বিস্ময়ে থ বনে যেতে হয়। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও চেতনাকে এমনভাবে চেপে গেছে—ভাবতেও অবাক লাগে। পূর্বের শিক্ষানীতিতে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকে ছিল এমন ১৭টি রচনা বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং নতুন যুক্ত করা হয়েছিল সেক্যুলার ও হিন্দুত্ববাদী চেতনাসম্পূর্ণ ১২টি কবিতা, গল্প ও বিভিন্ন রচনা। অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর শিক্ষা কমিশনের শিক্ষানীতির সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন লক্ষ্যে ২০১২ সালে পাঠ্যবইয়ে এমন ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এরপর যখন ২০১৩ সালে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায় এই নতুন বই—তখন বিভিন্ন মহল থেকে জোর প্রতিবাদ আসে। বিশেষত হেফাজতে ইসলাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আন্দোলনের দাবি ছিল এমন,“স্কুল-কলেজ পাঠ্যপুস্তক থেকে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের বিষয়গুলো বাদ দিয়ে তদস্থলে বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠির ধর্মীয় চিন্তা ও আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ইসলামী ভাবধারা এবং মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ মূলক রচনা, গল্প ও কবিতা যুক্ত করতে হবে।” বিবৃতিতে হেফাজত নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, “সরকার নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের শিক্ষায় ভরপুর বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি পরিহার না করলে, উলামা-মাশায়েখের নেতৃত্বে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রসমাজ এবং সাধারণ তৌহিদী জনতার অংশগ্রহণে সম্মিলিতভাবে দূর্বার কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলে দাবী পুরণে বাধ্য করা হবে।”

শেষ পর্যন্ত গণমানুষের তুমুল আন্দোলনের মুখে সর্বশেষ ২০১৭ সালে পুনরায় আগের পাঠ্যবইয়ের আদলে নতুন পাঠ্যবই তৈরি করা হয়। কিন্তু পূর্ব থেকে চলে আসা অসঙ্গতিগুলো বাদ পড়েছে? যারা সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায় তারাই কি আর থেমে গেছে? প্রগতিশীল শিক্ষক নিয়োগের নাম দিয়ে কি সেক্যুলার শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশের কাজ যথারীতি চলছে না?

এখন আমি এই শিক্ষানীতির কয়েকটি মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মোটা দাগে দেখাব— যেগুলো ইসলামের সাথে মৌলিকভালো সাংঘর্ষিক।
১. সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
২. জনগণের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতাবোধ জাগ্রতকরণ।
৩. অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার্থী গঠন।
৪. সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে সম-মৌলিক চিন্তা চেতনা সৃষ্টিকরণ।

এখানে প্রথম পয়েন্টটি সবশেষে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা মানেই যেখানে ধর্মের কোনো বাঁধন থাকবে না। ধর্মের সঙ্গে এর আলো অন্ধকারের সম্পর্ক। একটি থাকলে অপরটি থাকা সম্ভব নয়। পরবর্তী পয়েন্টগুলো এর সংযোগী। কারণ ধর্মনিরপেক্ষ এর সাধারণ অর্থ হলো ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা। অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের ভ্রাতৃত্ববোধে সে বিশ্বাসী হতে পারবে না। ধর্মের ভিত্তিতে এক হওয়া যাবে না। মুসলিম জাতিগতভাবে বিজয়ী হওয়ার কোনো প্রচেষ্টাও করতে পারবে না। বলা যাবে না, ইসলামই একমাত্র সঠিক ধর্ম। বলা যাবে না, আমাদের রাসূল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। অথচ আল্লাহতে বিশ্বাসী একজন মুসলিমের পক্ষে ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকার কোনই সুযোগ নেই। তৃতীয় পয়েন্ট—তথা অসম্প্রদায়িক বলতে তারা কী বোঝায়? ধর্মের ভিত্তিতে কোনো চিন্তা করা যাবে না? ধর্মীয় চেতনায় বিশ্বাসী হওয়া যাবে না। ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায় গড়া যাবে না? সমস্ত ধর্মের লোকদেরই তো সম্প্রদায়ভুক্ত থাকতে দেখা যায়। কুরআনের-হাদিসের ভাষ্য থেকেও তো বোঝা যায়, ইসলাম সাম্প্রদায়িক চিন্তায় বিশ্বাসী। ইসলাম তো বলে ইসলামই একমাত্র সঠিক ধর্ম। আমরা কি তাহলে কুরআন-হাদীস ছেড়ে সেক্যুলার চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে যাব?ইসলামের শিক্ষাই হচ্ছে, নিজ ধর্ম বা আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা, বিশ্বাস, ভালবাসা, মমত্ববোধ এবং অপর ধর্মের প্রতি পরম সহিষ্ণুতা। সুতরাং সাম্প্রদায়িক-অসাম্প্রদায়িক এসব প্রশ্ন তোলা এখানে অবান্তর। চতুর্থত সম-মৌলিক চিন্তাবিশ্বাসী হতে বলা হয়েছে। সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে সম মৌলিক চিন্তা-চেতনা গড়ে তোলার নীতি যৌক্তিক ও বাস্তবানুগ নয়। কারণ মানুষের চিন্তা ও চেতনা তার ধর্মীয় বিশ্বাস, কর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এক্ষেত্রে বরং শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব ধারার শিক্ষার ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্য রক্ষা করে মৌলিক বিষয়ের সমমানের জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা করাই যুক্তিযুক্ত। মূলত সম-মৌলিক চিন্তাবিশ্বাসী বলতে কি বুঝানো হচ্ছে? প্রগতিশীল সেক্যুলার, পুঁজিবাদী, সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী চিন্তা? অথবা অসম্প্রদায়িক চিন্তা? কিংবা ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা? নাকি হিন্দুত্ববাদী চিন্তা? আমরা তো এসব চিন্তায় বিশ্বাসী নই। আমরা নিরেট কুরআন-সুন্নাহর চিন্তায় বিশ্বাসী। কে কীভাবে যুক্তি দিল সেটা আমরা যাচাই করি কুরআন-সুন্নাহর কষ্টিপাথরে। সুতরাং এসব অনৈতিক কথা আমাদের মৌলিক আদর্শ ও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। আচ্ছা, এরপরও কীভাবে বলা যায়, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী শিক্ষা কমিশন প্রণীত শিক্ষানীতি ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষার আনুকূল্যে ছিল?

The post কবীর চৌধুরী শিক্ষা কমিশনে ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%8c%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a6%a8/