Friday, March 24, 2023

হুমকির মুখে মুসলমানদের প্রথম পাঠশালা : হারিয়ে যাচ্ছে মক্তবের ঐতিহ্য

হাবীব হুবায়বী

ন্যূনতম দ্বীনের জ্ঞান রাখেন এমন ব্যক্তিকে যদি প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে ‘কুরআন শেখার প্রাথমিক পাঠশালা কোনটি?’ নিশ্চয়ই তিনি উত্তর দেবেন, ‘সকালের মক্তব’। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের সহিহ শুদ্ধ করে কুরআন তেলাওয়াত শেখার পাশাপাশি শরিয়তের মৌলিক বিষয়াদি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভের কারখানা হলো ভোরের এই পাঠশালা।

মক্তবের গুরুত্ব

মক্তব থেকে শিশুরা নামাজ রোজার নিয়ম-কানুন, হালাল হারামের ভেদাভেদ, শরিয়তের জরুরি মাসায়িল এবং বিভিন্ন দুয়া কালাম শিখতে পারে। নিকট অতীতেও বাংলার প্রায় প্রতিটি পাড়ামহল্লায় সবাহি মক্তবের ব্যাপক চর্চা ছিল। বাংলার পথে-ঘাটে ভোরের পাখিদের সঙ্গে মক্তবগামী কুরআনের পাখিদের দেখা মিলত। মসজিদের মুসল্লায় বসে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে তারা জপত— বা, অর্ধ বা, যুক্ত বা…

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য ধারা

দুঃখের বিষয় হলো, ধর্মীয় ঐতিহ্যের ধারক ভোর সকালের এসব মক্তব ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক মসজিদে এমনিতেই মক্তবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো মসজিদে যা-ও চালু আছে, সেগুলোতেও আগের মতো জৌলুশ নেই। শিশুদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। নামেমাত্র চলছে সেগুলো। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অবেহলাসহ নানান কারণ উল্লেখ করেছেন মসজিদের ইমাম সাহেবগণ। ফাতেহের কাছে তুলে ধরেছেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা।

মক্তব কেন জৌলুস হারাচ্ছে?

একসময় মসজিদে মক্তব পড়তে আসত শত-শত ছাত্র, আধুনিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর কারণে আজ সেই মসজিদের বারান্দায় দু-চারজন শিশু রেহাল নিয়ে বসে আছে। চিত্রটি বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গল শহরের একটি মসজিদের। মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রব ফাতেহকে জানান, ‘গত সাত আট বছর আগেও মসজিদের বারান্দায় ছাত্রদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হতো না। ছাত্র সংকুলানের জন্য বাইরে কার্পেট বিছানো লাগত। কিন্তু বিগত চার পাঁচ বছরে ছাত্র সংখ্যা কমতে কমতে এই আটজনে এসে ঠেকেছে।’

মাওলানা আব্দুর রব বিগত দেড় যুগ ধরে এই মসজিদে ইমামতি করছেন। পাশাপাশি একটি এতিমখানার দায়িত্বে আছেন তিনি। দিনদিন বাচ্চাদের মক্তববিমুখ হওয়ার পেছনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন— ‘বাচ্চাদেরকে আধুনিক করতে অভিভাবকদের বেপরোয়া অভিপ্রায়ই মূলত এর জন্য দায়ী। যে বাচ্চার ঘুম থেকে উঠে মক্তবে আসার কথা ছিল, তাকে তারা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পাঠাচ্ছেন। সুতরাং সে মক্তববিমুখ হবে, এটা তো স্বাভাবিক।’

দায়ী স্কুলের মর্নিং শিফটও

মাওলানা আব্দুর রব মনে করেন— কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে মর্নিং শিফট চালু হওয়ার পর থেকেই মক্তবগুলো জৌলুশ হারাচ্ছে। শিশুরা ধর্মীয় প্রয়োজনীয় ইলম-কালাম শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে শিশু ঘুম থেকে উঠে নিজে অজু করে মক্তবে যেত, তাকে জোর করে ঘুম থেকে তোলে গোছগাছ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্কুলে। শিশিরভেজা মেঠোপথ অথবা ধুলিউড়া সড়ক মাড়িয়ে এখন কেউ মক্তবে যায় না, কথা বলতে শেখার আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্কুলে। বাচ্চাদের বুকে দ্বীনি জ্ঞান প্রবেশের আর সুযোগ হয়ে ওঠে না।

অভিভাবকদের অবহেলা

ফাতেহের প্রতিনিধি শ্রীমঙ্গল শহরের আরো কয়েকটি মসজিদ পর্যবেক্ষণ করেন। হবিগঞ্জ রোডস্থ অনেকগুলো মসজিদ থেকে সাবাহি মক্তবের প্রচলন উঠে গেছে। অভিভাবকদের অবহেলার কারণে মসজিদের ইমাম সাহেবরা এখন মক্তবে কুরআন পড়ানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলে উল্লেখ করেছেন শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ রোডস্থ পিজিসিবি মসজিদের ইমাম। তিনি ফাতেহকে জানান, সকালের মক্তবে একজন দুজন ছাত্র আসে, তা-ও কোনোদিন আসে না। হুজুরকে বসে থাকতে হয়।

মক্তবে ছাত্র আসে না বা আসতে চায় না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন— ‘বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এখন অভিভাবকেরা কঁচিকাঁচা শিশুদের মক্তবে পাঠাতে চান না। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের স্কুলের কোচিং অথবা ক্লাসের সময় হয়ে যায়, ফলে তার আর মক্তব পড়া হয় না।’

মক্তব হারালে ক্ষতি কী?

শুভ্র-শান্ত সকালটাকে গিলে ফেলেছে আধুনিক শিক্ষার নামে নানান প্রতিষ্ঠান। দ্বীনি ঐতিহ্যবাহী প্রাক প্রাথমিক এ পাঠশালাগুলো যদি এভাবে হারিয়ে যেতে থাকে, তাহলে ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষার ঐতিহ্যগত প্রতিষ্ঠান চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে মাওলানা আব্দুর রব বলেন, ‘যদি মক্তব এভাবে তার জৌলুশ হারাতে থাকে, তাহলে এর প্রভাবে মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞানশূন্য একটি বিশাল জনগোষ্ঠী তৈরী হবে।’

দ্বীনের সামান্যতম জ্ঞান না থাকায় একসময় মুসলিম ছেলেমেয়েরা ঈমান হারাও হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এই সংকট থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে চাইলে এই ইমাম বলেন— ‘সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, দায়িত্ববান অভিভাবকদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রভাতি মক্তবগুলো জমজমাট রাখার ব্যবস্থা করা। এবং যেই মক্তবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোও চালু করা। পাড়ায় পাড়ায় নতুন নতুন সাবাহি মক্তব প্রতিষ্ঠা করা।’

বঙ্গ দেশে ইসলাম ওলী-দরবেশদের মাধ্যমে এলেও ইসলামের প্রচার প্রসারের ক্ষেত্রে মক্তব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ তৈরীর জন্য মক্তব চালু করার বিকল্প নেই। নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে গড়ে তোলার পেছনে মক্তব শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সহজেই সুহ্রদয় দিয়ে সকল প্রতিবন্ধকতার সহজ সমাধান করে মক্তবগুলো আবার আমরা চালু করতে পারি। এতে সমাজের সকল শ্রেণীর শিশুদের জন্য দ্বীনি শিক্ষার বুনিয়াদ গড়ে ওঠবে। আবারও পাড়ামহল্লায় ছোট ছোট শিশুর কন্ঠে কুরআনের ধ্বনি উচ্চারিত হবে। তারা পাবে একটি সুন্দর দ্বীনি পরিবেশ। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত। মক্তব বেঁচে থেকে বাঁচিয়ে দেবে আমাদের ঈমান, আদর্শ, আত্মগৌরব।

The post হুমকির মুখে মুসলমানদের প্রথম পাঠশালা : হারিয়ে যাচ্ছে মক্তবের ঐতিহ্য appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa/

Sunday, March 19, 2023

রমজানে তারাবি পাচ্ছেন না হাফেজগণ

যুবাইর ইসহাক

দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। এ সময়ে অন্যদের মতো হাফেজদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। তাদের অনেকে তারাবির জন্য মসজিদ ঠিক করছেন, তারাবির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  রমজানের তারাবি হাফেজদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। তারাবির মাধ্যমে হাফেজরা সারা বছরের তেলাওয়াতের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠেন।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক হাফেজ তারাবি পাচ্ছেন না। আগে তারাবি পড়ালেও বর্তমানে তারাবির বাইরে থেকে যাচ্ছেন তারা। হাফেজদের তুলনায় পর্যাপ্ত মসজিদে খতমে তারাবি না হওয়ার পাশাপাশি স্বজনপ্রীতিসহ নানান কারণ উল্লেখ করেছেন হাফেজগণ। ফাতেহের কাছে তুলে ধরেছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।


কেন তারাবি হচ্ছে না?

হাফেজ মাওলানা মামনূন মারজান। বর্তমানে কওমি ধারার উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। হিফজ শেষ করেছেন ১২ বছর আগে। এরপর থেকে নিয়মিত খতমে তারাবি পড়িয়ে আসছিলেন। কিন্তু দুই হাজার বিশ ও বাইশ সালে তার তারাবির পড়ানো হয় নি। এবার এখনো তারাবির ব্যাপারে নিশ্চিত নন।

তারাবি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি ফাতেহকে জানান, ‘আমাদের দেশে এখন হাফেজের সংখ্যা অনেক। প্রতি বছর নতুন অনেকে হিফজ শেষ করে বের হচ্ছেন। কিন্তু সে অনুপাতে মসজিদগুলোতে খতমে তারাবি হচ্ছে না। বিশেষ করে, করোনার পর সে সংখ্যা আরো কমে গেছে। আগে অনেক জামে মসজিদে খতমে তারাবি হলেও এখন তারা নিজেদের ইমাম দিয়ে সুরা তারাবি আদায় করেন।’

মামনূন মারজান সহজে তারাবির না পাওয়ার ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ‘ অনেক মসজিদে কমিটির  প্রভাবশালীরা নিজেদের পরিচিত হাফেজ রাখতে চান। কখনো এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয়। ফলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থেকে বাঁচতে খতমে তারাবি বন্ধ হয়ে যায়।’

হাফেজ মাওলানা উবায়দুল্লাহ তাসনিম প্রতি বছর নতুন হাফেজ বের হচ্ছে, একে ইতিবাচক চিত্র হিসেবেই দেখেন। তবে তাদের তারাবি না হওয়ার পেছনে স্বজনপ্রীতিকে উল্লেখ করেন। তার মতে, তারাবি দিন দিন চাকরির বাজারের মতো হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজন না থাকলে যেমন চাকরি হয় না, এখন দেখা যাচ্ছে, আত্মীয়-স্বজন না থাকলে তারাবিও হয় না।’  বিপরীতে যাদের হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সাপোর্টার অথবা আত্মীয়স্বজনের সুবাদে সুযোগ মিলছে।  মানে, ব্যাপারটা পুরো চাকরির বাজারে পরিণত হয়েছে।’ 

হাফেজ মাওলানা ফয়সল আহমদ হাফেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি মসজিদের নিয়মিত ইমাম ও মুসল্লিদের অনীহার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক ইমাম সাহেব মসজিদে খতমে তারাবি চান না। এতে রমজানে তার সুযোগ কমে যায়। অবশ্য এ সংখ্যা নগন্য। পাশাপাশি অনেক মসজিদে বৃদ্ধ মুসল্লিদের কথা ভেবে খতমে তারাবির আয়োজন করা হয় না। আবার কোনো কোনো দরিদ্র এলাকায় মুসল্লিগণের জন্য হাদিয়া দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই তারা খতমে তারাবি পড়তে চান না।’

হাফেজ জাকির সোহরাব হাফেজের আধিক্যতা ও স্বজনপ্রীতির পাশাপাশি কমিটির চাহিদার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কমিটির চাহিদা থাকে বেশি। দেখা যায়, বর্তমানে খুব ছোটবেলায় ছাত্ররা হিফজে ভর্তি হয়ে দশবারো বা তারচেয়েও কম বয়সে হাফিজ হয়ে যায়। এ বয়সে দাড়ি না থাকা বা গায়েগতরে একটু কমজোর হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এটা কমিটির প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।”হাফিজ সাহেব তো ছোট! দাড়ি নেই। পড়াতে পারবেন তো?” তারা আরো নানান যুক্তি দেখান।’

তারাবি না পড়ানোর ক্ষতি 

মাওলানা মারজান মনে করেন, তারাবি পড়ানোর ফলে সারা বছর নিয়মিত তেলাওয়াত না করায় যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়, সেটা কাটিয়ে উঠা যায়। তারাবির জন্য প্রস্তুতি নিলে হিফজের দুর্বলতা কেটে যায়। বিপরীতে তারাবি না হলে  সে সুযোগ হয়ে উঠে না। ফলে হিফজ দুর্বল হতে থাকে। 

উবায়দুল্লাহ তাসনিম বলেন, ‘সবচে’ বড় সমস্যা আমার কাছে যা মনে হয়, তারাবি না হওয়ায় আমরা কুরআন নাজিলের মহিমান্বিত মাসেও কুরআন তিলাওয়াতের সাথে জুড়তে পারি না।  আলসেমি বা দুনিয়ার নানা জঞ্জালে পড়ে বলতে গেলে সারা বছর আমাদের কুরআন তিলাওয়াতের সাথে সম্পৃক্ততা থাকে না। রমজানই যা ভরসা। দেখা যায়, তারাবি না হলে এ মাসেও খুব একটা তেলাওয়াত হয় না’

ফয়সল আহমদ তেলাওয়াতের ঘাটতির পাশাপাশি সামাজিক তাচ্ছিল্যের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় যে হাফেজ সাহেবদের তারাবি হয় না, তাদেরকে সমাজে কিছুটা ছোট করে দেখেন।’

জাকির সোহরাবের মতে, ‘ মুখস্থ শক্তির হ্রাস পায়, এটি প্রধান সমস্যা। এক বছর তারাবি না পড়ালে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়, তা পরবর্তী বছর তারাবি পড়াতে গেলে বুঝা যায়। হিফজ শেষ করে হাফিজ সাহেবরা কেউ কেউ কিতাব বিভাগে অধ্যায়নে যান। কেউ কেউ অন্যান্য পেশায় নিজেকে জড়িয়ে নেন। এ কারণে কোরআন শরিফের পেছনে প্রয়োজন অনুযায়ী মেহনত করা হয় না। এছাড়া তারাবি না হলে আশেপাশের লোকদের খোঁচানো, কটু কথায় রীতিমতো মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’

সমাধান কি সম্ভব? 

মামনূন মারজান মনে করেন, প্রত্যেক জামে মসজিদে যথাসম্ভব খতমে তারাবির আয়োজন করতে হবে। যেসব মসজিদে হাদিয়ার কারণে তারাবি হয় না, সেক্ষেত্রে তিনি হাফেজদের অর্থনৈতিক মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার কথা বলেন। হাফেজ নিয়োগে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, তিনি এ বিষয়েও জোর দেন।

ফয়সল আহমদ বলছেন, তারাবির ক্ষেত্রে দুয়েকজন হাফেজ নির্ধারণ না করে তিনচার জন হাফেজ নিয়োগ দিলে তারাবি না পাওয়া হাফেজের সংখ্যা অনেক কমে আসবে। তাছাড়া যে এলাকায় হাদিয়ার জটিলতায় তারাবি হচ্ছে না, তারা যদি আগে বলে হাদিয়া ছাড়া পড়াতে রাজি এমন হাফেজ নিয়োগ নেন, তাহলে সেখানেও তারাবি আয়োজন সম্ভব। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটির মধ্যে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।

তারাবির বাইরে থাকা হাফেজগণ তারাবিতে ফিরতে চান। তারা রমজান মাসে নিজেকে কুরআন তেলাওয়াত ও কুরআনের খেতমতে ব্যস্ত রাখতে আগ্রহী। তারাবি না হলে হাফেজরা ভুগেন নানাবিধ সামাজিক-ব্যক্তিগত জটিলতায়।

The post রমজানে তারাবি পাচ্ছেন না হাফেজগণ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%be/

Thursday, March 9, 2023

কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্রের ধরন বদলেছে

রাকিবুল হাসান নাঈম:

বেফাক এবং হাইয়াতুল উলয়ার চলতি বছরের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পরিবর্তন এসেছে। কয়েকজন শিক্ষক ফাতেহকে জানিয়েছেন, এবারের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্রের ধরণ বদলেছে। যারা গাইডনির্ভর পড়াশোনা করেছে, তারা ভালো করতে পারছে না। বরং যারা মুল কিতাব ভালো করে পড়েছে, তারাই ভালো করছে।

বেফাক এবং হাইয়ার উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলরা বলছেন, এই পরিবর্তন সচেতনভাবেই করা হয়েছে। ছাত্রদের গাইডমুখী প্রবণতা কমাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় পটিয়ার মাদরাসার সহকারী মুফতি যুবাইর হানিফের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘কওমি সনদ প্রবর্তিত হবার পর থেকেই গাইড প্রবণতা বেড়েছিল। এ প্রবণতা তৈরী করে দিয়েছে আল ফাতাহ’র মতো কিছু আধুনিক প্রকাশনী। তারা বিগত বছরের সব প্রশ্ন এবং উত্তরের বই করে ছড়িয়ে দেয়। ফলে এটার প্রভাব বেশ প্রকট হয়ে উঠে। গত বছর যখন এক মাদরাসায় হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষা নিতে যাই, তখন দেখি পরীক্ষার আগেই ছাত্ররা তাদের মূল কিতাব লাইব্রেরীতে জমা দিয়ে কেবল গাইড নিয়ে বসে আছে। ভাষাভাষা দৃষ্টিতেও কিতাব দেখে না। অমাদের মাঝে বারবার আলোচনা হতো, কিভাবে ছাত্রদেরকে গাইডবিমুখ করা যায়। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোতে ছাত্রদেরকে গাইডবিমুখ করার একটা প্রচেষ্টা দেখা গেছে।’

সেই প্রচেষ্টা কেমন জানতে চাইলে মুফতি যুবাইর হানিফ বলেন, ‘আগে হাইয়াতুল উলয়ার প্রশ্নে থাকতো, ‘হরকত যুক্ত করো এবং তরজমা করো।’ কিন্তু এখন কেবল এতটুকুই বলা হয় না। বরং তরজমাকৃত আরবি অংশের দুএকটি শব্দ উল্লেখ করে সেগুলোর ব্যাখ্যা এবং উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া হয়। প্রতিটি প্রশ্নে এমন কিছু অংশ যুক্ত করা হয়, মূল কিতাব পড়া না থাকলে সেগুলোর উত্তর দিতে পারবে না কেউ। খানিকটা সৃজনশীল প্রশ্নের মতো। হয়ত উত্তরটা কোনো হাশিয়াতে ছিল, কিংবা আরবি মূল মতনে ছিল। কিন্তু গাইডে তো ভাষাভাষা উত্তর দেয়া থাক। কোনো জিনিসকে গভীর করে বোঝানো হয় না। তাই গাইড পড়ে এবার যারা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, তারা সমস্যায় পড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাইয়াতুল উলয়া যে প্রচেষ্টা করছে, তা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি, এর মাধ্যমে ছাত্ররা গাইড ছেড়ে কিতাবমুখী হবে। কারণ, যে সহজ ও সংক্ষিপ্ত উত্তরগুলো চাওয়া হচ্ছে, তা কেবল কিতাব পড়লেই পাওয়া যাবে। গাইড পড়ে পাওয়া যাবে না।’

এ প্রসঙ্গে কথা হয় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহকারী পরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমাদের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘এবারের প্রশ্নগুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন, যারা গাইড নির্ভর পড়াশোনা করেছে, তারা আটকে যাচ্ছে। তারা লিখতে পারছে না। আমরা এবার প্রশ্নপত্রের ধরণ বদলে দিয়েছি। ফলে মূল বই না পড়ে পরীক্ষায় বসলে সে লিখতে পারবে না। সামনে এটা আরও পরিবর্তন হবে।’

ছাত্রদের অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম পরীক্ষা যাবার পর এক ছাত্রের বাবা ফোন দিয়েছে আমাকে। বাবা বলছে, তার ছেলে পরীক্ষা দিতে ভয় করছে। কারণ, প্রশ্ন তো গাইড থেকে করা হচ্ছে না। আমি তাকে বললাম, ছেলেকে গাইড না পড়ে কিতাব পড়তেদ বলবেন, তাহলে এ সমস্যায় পড়তে হবে না।’

কওমি মাদরাসায় গাইড প্রবণতার কথা উল্লেখ করে মাওলানা যুবায়ের আহমাদ বলেন, ‘একটা সময় গাইড-নোট ছিল স্কুল-আলিয়ার নিদর্শন। আমরা ভাবতাম, এগুলো পড়েদে কেবলে স্কুল-কলেজ এবং আলিয়া মাদরাসার ছাত্ররা। কিন্তু এখন এই প্রবণতা কওমি মাদরাসাতেও ঢুকেছে। ফলে সেটাকে বের করা দরকার। তাই মুরুব্বিরা প্রশ্নপত্রে পরিবর্তন এনেছেন। আশা করি, এতে ভালো ফল আসবে।’

The post কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্রের ধরন বদলেছে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%b0/

Wednesday, March 8, 2023

বধিরদের কুরআন শেখায় যে মাদরাসা

রাকিবুল হাসান নাঈম:

দুটি রুমে শ খানেক ছাত্র। কিন্তু পুরো রুমজুড়ে নীরবতা। কোথাও কোনো শব্দ নেই। টিকটিকি ডাক দিলে সে শব্দও শোনা যায়। তাদের কেউ কুরআন পড়ছে, কেউ অংক করছে, কেউ দোয়া-কালামের বই পড়ছে। নীরবতার কারণ—তারা সবাই বধির এবং বোবা। তাদের মুখে যেমন বোল নেই, কানে নেই শ্রবণশক্তি। তারা আঙুলের ইশারায় কুরআন পড়ছে, অংক করছে, দোয়া মুখস্থ করছে।

দৃশ্যটি রাজধানীর মাতুয়াইলে অবস্থিত আল নূর এডুকেশন কমপ্লেক্সের দ্বীনিয়াত বধির মাদরসার। এর প্রতিষ্ঠাতা মুফতি সালমান আহমাদ জানালেন, ‘এখানে প্রায় শ খানেক বধির ও বোবা পড়াশোনা করে। তারা যেমন কুরআন হেফজ করছে, তেমনি দোয়া-কালাম মুখস্থ করছে। পড়ছে বাংলা-অংক-ইংরেজিও।’

মাদরাসাটিতে বিভিন্ন বয়সের ছাত্র রয়েছে। কেউ নতুন, কেউ পুরাতন। তারা কথা বলতে পারে না। কথা শুনতে পারে না। তবে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তাদের মুখের ভাঁজে ফুটে উঠে কথা বলতে না পারার দুঃখ, কথা শুনতে না পারার বেদনা। কিন্তু এতসব অক্ষমতা ও শারীরীক বাধা সত্ত্বেও তারা কুরআন হেফজ করতে এসেছে। তিনজন শিক্ষক সবসময় তাদের তদারকি করেন। শিক্ষকদেরও কথা বলতে হয় মূক ভাষায়।

তারা মুখস্থ করে কিভাবে? জানতে চাইলে মুফতি সালমান আহমাদ ছাত্রদের কাছে নিয়ে গেলেন। ছাত্ররা কুরাআন পড়ে শোনালো। মুখস্থ হাদিস শোনালো। নামাজে কিভাবে কেরাত পড়ে, দেখালো। সবকিছুই করছে তারা ইঙ্গিতে। মুখের বদলে ব্যবহার হচ্ছে দুই হাত। শিক্ষকদেরও পড়াতে হয় ইঙ্গিতে।

দ্বিতীয় বর্ষে পা রেখেছে এই বধির মাদরাসা। ইতোমধ্যে ১৫ জন বধির দুতিনবার করে কুরআন খতম করেছে। এখানের প্রায় সব ছাত্রই ১০টি করে সুরা মুখস্থ পারে। দোয়া-কালাম মুখস্থ পারে। মুখস্থ পারে ২০ করে হাদিস। এখানে বাংলা-অংক-ইংরেজি পড়ানো হয় স্কুলের সিলেবাসে।

এখানে যারা পড়তে আসে, তাদের সবাই নিম্নবিত্ত পরিবারের। তাই তাদের মাসিক পুরো খরচ বহন করেন মুফতি সালমান আহমাদ। সবাই যখন প্রাইভেট মাদরাসা খুলছে, তখন বধিরদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে কিভাবে হলো? মুফতি সালমান আহমাদ বললেন, ‘দ্বীনিয়াত কোর্সের মাধ্যমে শুরু থেকেই চেষ্টা করছি জেনারেল সমন্বয়ে প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষাটা যেন সবাই পায়। আমাদের সুষ্ঠু পরিমার্জিত এবং পরিকল্পিত একটা সিলেবাসও আছে। পুরো বাংলাদেশেই এটা কয়েক হাজার কেন্দ্রে চলছে। এখানে শিশুদের জন্য যেমন সিলেবাস রয়েছে, তেমনি বড়দের জন্যও সিলেবাস রয়েছে। সব স্তরের মানুষকে নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বধিরদের নিয়ে কাজ শুরু করা।’

তিনি বলেন, ‘সবাই মেধাবীদের নিয়ে কাজ করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লক্ষ বধির রয়েছে, যারা শারীরীক সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে, কথা বলতে পারে না, কথা শুনতে পারে না। দেখা যাচ্ছে, তারা সব কাজ করতে পারে, কিন্তু অজুর নিয়মটা জানে না। গোসলের ফরজটা জানে না। যেহেতু আমরা সমাজের শতভাগ মানুষের কাছে ধর্মীয় শিক্ষাটা পৌঁছতে চাই, তাই বধিরদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি।তারাও তো শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষিত হতে পারে। সমাজের বোঝা কমাতে পারে।’

বধিরদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা কী? জানতে চাইলে মুফতি সালমান আহমাদ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। তবে তারা যেহেতু শুনতে পায় না, কথা বলতে পারে না, তারা অনেক সময় অনেক কিছু বুঝতে চায় না। তাদের সামলে রাখতে হয়। আমাদের শ্রম বেশি দিতে হয়। তবে দিনশেষে তারা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা পাচ্ছে, এটাই সবচেয়ে আনন্দের।’

মুফতি সালমান আহমাদ আরও বলেন, ‘কারও সন্ধানে যদি এমন কোনো বধির থাকে, তারা তাদেরকে আমাদের কাছে নিয়ে আসতে পারে। ইনশাআল্লাহ, আমরা তাদেরকে গ্রহণ করবো।’

The post বধিরদের কুরআন শেখায় যে মাদরাসা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%86%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%ae/

Tuesday, March 7, 2023

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো আরও ৯ দিন

ফাতেহ ডেস্ক:

কোটার অর্ধেকও পূরণ না হওয়ায় চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও ৯ দিন বাড়ানো হয়েছে। নিবন্ধনের সময় আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিবন্ধনে সাড়া পাওয়ায় পরে সময় আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও নিবন্ধনের হার ছিল খুবই কম। পরে নিবন্ধনের শেষ সময় বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। কিন্তু কোটার বিপরীতে এখনও অর্ধেক হজযাত্রীও নিবন্ধিত হয়নি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিবন্ধনের সময় আজ ৭ মার্চ পর্যন্ত ছিল। আমরা আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। এরমধ্যে যদি কোটা পূরণ না হয়, সেটা আমরা বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের হাতে সময় আছে।’

এদিকে, সন্ধ্যার পর নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চূড়ান্ত ও শেষবারের মতো বর্ধিত করা হলো। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৬০৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।

পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৯০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।

নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে ওই ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আগামী ১৬ মার্চে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংককে অফিস সময়ের পরেও প্রস্তুতকৃত ভাউচারসমূহের অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ২৪২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও কোটার অর্ধেকের বেশি খালি রয়েছে।

The post হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো আরও ৯ দিন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-3/

Monday, March 6, 2023

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৫, নিখোঁজ বহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পর ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। সোমবার (৬ মার্চ) দেশটির দক্ষিণ চীন সাগর তীরবর্তী নাতুনা অঞ্চলে এ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকাটিতে তীব্র বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিপর্যয় প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে সেরাসান দ্বীপের বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে ভূমিধস এবং ঘরবাড়ির ওপর মাটি ও ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিধসের কারণে দুর্যোগকবলিত এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে দুর্গত লোকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।

নাতুনা অনসুন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান আবদুল রহমান বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।

রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র জুনাইনাহ বলেছেন, আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। এখনো বাতাস জোরে বইছে, সঙ্গে ঢেউ হচ্ছে প্রচণ্ড।

এর আগে, সোমবার বিকেলে ৬০ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী ও উদ্ধারকারী দল দুর্গত এলাকার উদ্দেশে নৌকায় চড়ে রওয়ানা হয়। গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের সাত থেকে আট ঘণ্টা লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

The post ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৫, নিখোঁজ বহু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%a8/

Sunday, March 5, 2023

পঞ্চগড় কীভাবে কাদিয়ানী আস্তানায় পরিণত হল?

মুনশী নাঈম:

গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকার বকশীবাজারের পরিবর্তে পঞ্চগড়ে বাৎসরিক ধর্মীয় সমাবেশ করে আসছে কাদিয়ানীরা। শুক্রবার থেকে তাদের তিনদিনব্যাপী সালানা জলসা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এটা ছিল আহমদিয়াদের ৯৮তম জলসা। কিন্তু স্থানীয় মুসলমানদের প্রতিবাদের জেরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জলসা এ বছরের জন্য স্থগিত করে পুলিশ।

কিন্তু কথা হলো, পঞ্চগড় কীভাবে কাদিয়ানী আস্তানায় পরিণত হল?

স্থানীয় আলেমরা বলছেন, পঞ্চগড়ে আগে জায়গার দাম অন্য জেলার তুলনায় অনেক কম ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা সেখানে জমি কিনে বসতি গড়তে শুরু করে। ঢাকায় বকশীবাজারের জায়গা ছোট হওয়ায় পঞ্চগড়ে তাদের নিজস্ব জমিতে নিয়ে যায় বার্ষিক জলসার আয়োজন। তাদের ভাষ্যমতে, অন্য সব সময়ের চেয়ে এবারের জলসা অনেক বড় হতো।

যেভাবে পঞ্চগড়ে এল তারা

স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে জেলাটিতে জনসংখ্যা কম ছিল, অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে থাকতো। আবার এ অঞ্চলে জায়গার দামও ছিল কম। ফলে এই অঞ্চলটি তাদের বসবাসে আকৃষ্ট করে। তৎকালীন সময়ে নোয়াখালী, নরসিংদী, সিলেট, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পঞ্চগড়ে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা মুখলিছুর রহমান কাছেমীর ভাষ্যমতে, ‘১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় মাত্র গুটি কয়েক কাদিয়ানি ছিল। পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান হাতে আগত কাদিয়ানী আমলাদের সাহায্যে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে আরম্ভ করে। আইয়ুব খানের শাসনামলে তার ব্যক্তিগত উপদেষ্টা ছিল মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দৌহিত্র এম. এম. আহমদ। এম. এম. আহমদ আইয়ুব খানকে দিয়ে পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী এলাকায় কাদিয়ানীদের জন্য দু-শ একর জমি বরাদ্ধ করিয়েছিল। সেখানে এখন আহমদ নগর নাম দিয়ে কাদিয়ানীদের বিরাট কলোনী গড়ে উঠেছে। পাকিস্তান আমলে জনৈক কাদিয়ানী অফিসাররের চেষ্টা তদবীরের ফলে চুয়াডাঙ্গায় ও কাদিয়ানীদের এক বিরাট এলাকা গড়ে ঊঠে। অনেকের ধারনা, বর্তমানে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার চেয়ে চুয়াডাঙ্গায় কাদিয়ানীরা সংখ্যায় বেশী রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ও সমগ্র বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের সংখ্যা কয়েক হাজারের বেশী ছিল না। আর বর্তমানে তাদের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের প্রশ্ন, এসব কাদিয়ানী কোত্থেকে এসেছে? এরা কি পাকিস্তান থেকে মাইগ্রেশন করে বাংলাদেশে এসেছে? মোটেই না। এদেশের কোন হিন্দু,খৃষ্টান কিংবা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কি কাদিয়ানী ধর্ম গ্রহণ করেছে বলে কেউ বলতে পারে? তারা মুসলমান ব্যাতীত অন্য কেন ধর্মাবলম্বীদের নিকট তাদের ধর্মমত প্রচার করে না, আর ঐ সব ধর্মাবলম্বীদের কেউ তাদের ধর্ম গ্রহণও করে না। সুতরাং বলতে হবে, আজ বাংলাদেশে লক্ষাধিক কাদিয়ানী রয়েছে, এরা সকলেই এদেশের মুসলমান। নানা কলা কৌশল ও লোভ প্রলোভনের মাধ্যমে তাদেরকে ধর্মচ্যুত করে কাদিয়ানী ধর্মমতের জালে আবদ্ধ করে কাফির বানিয়েছে। কাদিয়ানী ধর্মমতালম্বীদের তৎপরতা যে কি ভয়াবহ রূপ ধারণা করছে তা কল্পনা ও করা যায় না।’

পঞ্চগড় নূরুন আলা নূর কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ্য মাওলানা আবদুর রহমান ফাতেহকে বলেন, ‘পঞ্চগড়ে জমির দাম কম ছিল। অনেক জায়গা ফাঁকা ছিল। তাই কাদিয়ানীরা জায়গা কিনে এখানে কলোনী গড়ে তোলে। তবে পঞ্চগড়ের ফুলবাড়ী, শালসিঁড়ি ও আহমদীয়া নগরে কাদিয়ানীদের বসবাস বেশি।’

সংখ্যায় কম হলেও তাদের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংখ্যায় কম হলেও তাদের হাতে শক্তি বেশি। কারণ, তাদের সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের সহযোগিতা আছে। প্রশাসনের প্রহরাতেই তাদের জলসাগুলো হয়।’

তবে এত বছর তাদের সাধারণ বসবাস থাকলেও গত কয়েক বছর আগে তারা তাদের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য তারা পঞ্চগড়ে ৪০ একর জমি কেনে। ঢাকার বখশিবাজার থেকে তাদের বার্ষিক জলসা নিয়ে আসে পঞ্চগড়ে। কাদিয়ানীদের বরাতে বিবিসি বাংলায় বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় বকশীবাজারে আমাদের জায়গাটা ছোট। জানযটে যাতায়াতে মানুষের কষ্ট হয়। এখানে আমাদের নিজস্ব একটা জায়গা কেনা হয়েছে। সেখানে আমরা জলসার জায়গা করেছি, যাতে মানুষজন একে একটু খোলামেলা পরিবেশে তিনদিন জলসা করবে। এবার আমাদের অনেক বড় আয়োজন ছিল।’

The post পঞ্চগড় কীভাবে কাদিয়ানী আস্তানায় পরিণত হল? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%97%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a7%80%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/

Saturday, March 4, 2023

সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে একটি ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও কয়েকজন।

রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনতলা ভবনটির আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন-শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-পথচারী খাইরুল, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হান্নান ও শিক্ষার্থী পায়েল।

এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার।

The post সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d/

Thursday, March 2, 2023

কেন সরব হচ্ছে না খতমে নবুওত সংগঠনগুলো?

মুনশী নাঈম:

কাদিয়ানীদের তথাকথিত ‘ইজতেমা’ বন্ধের দাবিতে পঞ্চগড় শেরে বাংলা পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড় জেলা শাখার নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে জেলার আলেমা-উলামা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বছর থেকে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের বার্ষিক সম্মেলন হতে দেয়া হবে না।

পঞ্চগড়ের জনসাধারণ কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে পথে নেমে এলেও এবার তেমন সরব দেখা যায়নি খতমে নবুওত আন্দোলন শিরোনামের সংগঠনগুলোকে। প্রশ্ন উঠছে—কেন এই নীরবতা?

এ প্রসঙ্গে কথা হয় মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওতের দায়িত্বশীল মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানির সঙ্গে। নীরবতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘আমরা নীরব নই। সবাই তো মাহফিলে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেই। যে যার জায়গা থেকে কথা বলছে। কাদিয়ানীদের নিয়ে কথা বলা শুধু খতম নবুওত সংগঠনের দায়িত্ব নয়। এটা বরং সবারই দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। যেন কাদিয়ানীদেরকে অনুসলিম ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে পজেটিভ। তবে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চাইলেই কোনো দলকে অমুসলিম ঘোষণা করা যায় না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এবার হেফাজতও কাদিয়ানীদের অমুসলিম দাবিতে কোনো কথা বলেনি। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আবদুল কাইয়ুম সুবহানি ফাতেহকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সব দলকে একটি সম্মেলন করার। কিন্তু তার আগো জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করতে হবে। জনগণকে এরসাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। নয়ত সর্বদলকে নিয়ে সম্মেলন করলেও লাভ হবে না।’

তবে কাদিয়ানীদের চলতি বছরের সম্মেলন হচ্ছে কিনা, সেই তথ্যটিই জানেন না খতমে নবুওত আন্দোলন পরিষদের দায়িত্বশীল মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া। ফলে তার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বছর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি৷ ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘জানলে পদক্ষেপ নিতাম।’

এদিকে পঞ্চগড় জেলায় আয়োজিত কাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা। গতকাল এক যুক্তবিবৃতিতে তারা বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের (আহমদিয়া জামাত) পক্ষ থেকে আগামী ৩, ৪, ৫ মার্চ পঞ্চগড় জেলায় ‘জাতীয় ইজতেমা’ নামে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ঈমান আকিদা বিধ্বংসী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে তা বন্ধের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, আল্লামা আব্দুল আওয়াল, আল্লামা আবুল কালাম, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মুবারকুল্লাহ্, মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী পীর সাহেব শর্ষিনা, মাওলানা শাব্বীর আহমাদ রশীদ, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আনওয়ারুল করীম যশোর, মাওলানা শওকত হুসাইন সরকার, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা ইমাদুদ্দীন, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মুফতি মাসউদুল করীম ও মুফতি কামাল উদ্দিন।

The post কেন সরব হচ্ছে না খতমে নবুওত সংগঠনগুলো? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%ac-%e0%a6%b9%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%96%e0%a6%a4%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%93/

এক বছরে ভোটার বাড়লো ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার

ফাতেহ ডেস্ক:

সারাদেশে তালিকা হালনাগাদের পর ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন। সে হিসাবে বর্তমানে দেশে মোট ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জনে। এ বছর ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

২০২২ সালের ২ মার্চ দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। চলতি বছরের একই সময়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জনে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ জন। আর মৃত ভোটার কর্তন করা হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন আর নারী ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।

The post এক বছরে ভোটার বাড়লো ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a7%ab%e0%a7%ae-%e0%a6%b2%e0%a6%be/

Wednesday, March 1, 2023

টিকটক ভিডিও করা নিয়ে দুই গ্রামে ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ, নিহত ১

ফাতেহ ডেস্ক:

টিকটক ভিডিও করা নিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক যুবক নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত সাইফুল ইসলাম (৩৫) মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর ছেলে। রাতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত মামুন ও সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল ও আফতাব উদ্দিনসহ আহত আরও কয়েকজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় দুই তরুণ-তরুণী টিকটক ভিডিও করছিলেন। এ সময় তাদের বাধা দেন ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে রাজ্জাক, আহমদ আলীর ছেলে মান্নাসহ তাদের সহযোগীরা। এ নিয়ে মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মামুনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। চার ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।

সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় গোল চত্বর এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি একটি পিকআপভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। ছাতক থানা পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

The post টিকটক ভিডিও করা নিয়ে দুই গ্রামে ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ, নিহত ১ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%95-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%87/

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন?

মুনশী নাঈম:

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার নৃপেন্দ্র নারায়ণ এন এন হাইস্কুল মাঠে ২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে কাদিয়ানিদের বার্ষিক সম্মেলন। জেলার ৪৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মুসলমানদের অনুকরণে এই সম্মেলনকে তারা ‘ইজতেমা’ বলে অভিহিত করে থাকে।

আলেমরা বলছেন, খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারী কাদিয়ানিরা সু্স্পষ্টভাবে অমুসলিম তথা কাফের। ইসলামবিদ্বেষী আন্তর্জাতিক অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাদিয়ানিরা মুসলিম নাম ও পরিভাষা ব্যবহার করে সাধারণ মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার মিশন চালাচ্ছে। তারা এই সম্মেলন বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি এক ভাষণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘কাদিয়ানিরা সর্বসম্মতক্রমে কাফের। তারা অমুসলিম পরিচয়ে তাদের কার্যক্রম চালালে আমরা বাধা দিব না। কিন্তু তারা মুসলিম পরিচয়ে মুসলিম পরিভাষায় তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয়, তাই সরকারের উচিত, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা।’

অমুসলিম ঘোষণার দাবি সবার

দলমত নির্বিশেষে সবার দাবি—কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা। অনেকদিন ধরেই কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বাংলাদেশের আলেমগণ। আন্দোলনের নিমিত্তে ‘খতমে নবুওয়ত আন্দোলন’ শিরোনামে তৈরী হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় আলেম লেখক ও অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা না থাকার কারণে কাদিয়ানিরা নিজেদের মুসলিম পরিচয় প্রদানের সুযোগ পায়। আর এই পরিচয়কে ব্যবহার করে তারা হজ ও ওমরার মতো ইসলামের একান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদতে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। অথচ অমুসলিমদের জন্য হজ ও ওমরা পালনের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু মুসলিম পরিচয়ের কারণে তারা এই সুযোগটা ব্যবহার করে। এ ছাড়া এই পরিচয়ের কারণে কাদিয়ানিরা মৃত্যুর পর মুসলিমদের কবরস্তানে দাফন এবং জানাজা পড়ার আইনি বৈধতাও পেয়ে যায় । তাই তাদেরকে এই কাজ থেকে নিবৃত করতে হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার কোনো বিকল্প নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাদিয়ানিদের যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়, তাহলে আমাদের ইবাদত ও রীতিনীতির নামানুসারে তারা তাদের ধর্মের ইবাদত ও রীতিনীতির নামকরণ করতে পারবে না। সাধারণ মুসলিমও আর ধোঁকা খাবে না। তারা বুঝতে পারবে, ওরা যা করছে তার সঙ্গে ইসলামের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ফলে আমাদের ধর্মীয় অধিকারও আর ক্ষুণ্ন হবে না, যে ব্যাপারে সংবিধানে বলা আছে।’

কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে একমত আহলে হাদীস আলেমরাও। জমঈয়তে আহলে হাদিসের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শহীদুল্লাহ মাদানী ফাতেহকে বলেন, ‘কাদিয়ানিরা যে অমুসলিম, এ ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সকল ওলামায়ে কেরাম একমত। কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনও তারা মুসলিম হিসেবে স্বীকৃত, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা না থাকার কারণে কাদিয়ানিরা এ দেশের সাধরণ মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে চলেছে। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য হলেও কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা জরুরি।‘

কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণার দাবিতে বেরলবি ঘরানার নৈতিক সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন সোনাকান্দা দরবার শরীফের খলিফা মাওলানা আবূ তাহের মুহাম্মাদ ছালেহ উদ্দিন। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘কাদিয়ানিরা আমাদের মহানবি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবি হিসেবে মানে না। তাই তারা কোনোভাবেই মুসলিম থাকতে পারে না। তারা কাফের। অতএব বাংলাদেশে তারা বসবাস করতে চাইলে অমুসলিম পরিচয়েই বসবাস করতে হবে। রাষ্ট্রকে এ ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা অমুসলিম।’

‘খতমে নবুওয়ত আন্দোলন’ কেন সফল হচ্ছে না?

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে ‘খতমে নবুওয়ত আন্দোলন’ শিরোনামে তৈরী হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এ দাবির প্রতি আছে সবার সমর্থন। তবুও কেন এই আন্দোলন সফল হচ্ছে না?

এ প্রশ্নের জবাবে ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্টের আমির মুফতি শোয়াইব ইবরাহিম ফাতেহকে বলেন, ‘আন্দোলন কিভাবে, কার নেতৃত্বে, কখন কোন কর্মসূচি চলবে, তার পরিকল্পনা লাগে। লাগে ধারাবাহিক কর্মসূচি। কিন্তু আমাদের যতগুলো সংগঠন আন্দোলন করে, তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই নেই। হুট করে হুজুগ আসে, উপলক্ষ তৈরী হয়, ঝটপট একটা সমাবেশ কিংবা মিছিল হয়ে যায়। পরে সব চুপচাপ। এখন মাঝেমধ্যে আমরা সভা-মিছিল করি, মানুষ ভাবে এটা বুঝি কেবল হুজুরদের আন্দোলন। অথচ, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার আন্দেলনটি সবার। সবাইকে এখানে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ ফাতেহকে বলেন, ‘রাষ্ট্রকে দিয়ে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করাতে হলে তিনটি কাজ নিয়মিত করতে হবে। এক. আন্দোলনে ধারাবাহিক কর্মসূচি লাগবে। দুই. দেশের শীর্ষ আইনজীবীদের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিষয়। তিন. পার্লামেন্টারি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। তাদেরকে বিষয়টি বুঝাতে হবে। সবাই মুসলিম। আমার যে দাবি, স্পিকারেরও একই দাবি। তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলে তাদের কাছে বিষয়টির গুরুত্ব আরও প্রকটভাবে ধরা পড়বে।’

The post কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%98%e0%a7%8b%e0%a6%b7/