Tuesday, August 31, 2021

‘জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসুন’

ফাতেহ ডেস্ক:

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, অকারণে এসব বিতর্কে যাওয়া উচিত নয়। এটা অন্যায়, বেকুবের মত কাজ হবে এটা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’র আলোচনায় সরকারের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান। সভা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সংগঠনের সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিলুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ। এছাড়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ডিইউজে’র সহ-সভাপতি বাছির জামাল, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম’র সভাপতি কালাম ফয়েজি প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে ততটুকু শ্রদ্ধা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করবেন। জিয়াউর রহমান সেখানে আছে- থাকতে দেন। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার লুই আইকানের নকশা, এটা কোরআনের বাণী নয়। লুই আইকানের নকশায় তো মেট্রোরেল ছিল না। এখন কি মেট্রোরেল উঠিয়ে নিয়ে যাবেন? তমিজউদ্দীন সাহেবের কবর উঠিয়ে নিয়ে যাবেন? তমিজউদদীন সাহেবের কোনো অবদান নেই? পাশে যে বাড়িঘর হচ্ছে তা কি লুই আইকানের নকশায় ছিল? কাজেই অকারণে ধাপ্পাবাজি করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন কবর নিয়েও রাজনীতি করার চেষ্টা করছি। পাগল হয়ে গেছি আমরা, উন্মাদ হয়ে গেছি। অর্বাচীনের মত বক্তব্য দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। আজ জিয়াউর রহমানের ডিএনএ টেস্ট করতে হলে তো অনেকেরই ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। আজ যদি কেউ বলে বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিপাড়ায় আছেন কিনা? তাহলে কী তার ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। এটা পাগলামী ছাড়া আর কিছু না, অবাস্তব।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের লজ্জাজনক অবস্থায়। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে কথা বলতে দিতে হবে। এই কথা বলবে- সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের হাত-পা ছেড়ে দিতে হবে। আমরা একটা মুক্ত স্বাধীন দেশ চাই।

 

The post ‘জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসুন’ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8/

টিকা চান কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ফাতেহ ডেস্ক:

কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের করোনার টিকা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সোমবার (৩০ আগস্ট) এর সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিৃবিতিতে বলা হয়, কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরীব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কুরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, যিকির ও দু‘আ সব বন্ধ। সভায় সরকারের নিকট কওমি মাদরাসা অতিদ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়।

The post টিকা চান কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%93%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6/

সিঙ্গাপুরে মুসলিম নারী নার্সদের হিজাব পরার অনুমতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নার্স-সহ সিঙ্গাপুরের জনস্বাস্থ্যসেবাতে কর্মরত মুসলিম নারীদের ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব পরার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং। রোববার (২৯ আগস্ট) তিনি এ অনুমতির ঘোষণা দেন। তবে এ অনুমোদন নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হিজাব পরা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক মুসলিম নারীদের জন্য এটি তাদের বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ধর্মীয় পরিচয়ের প্রকাশ। এটি বিশ্বজুড়ে, দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে, ইসলামের শক্তিশালী ধর্মানুভূতির প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে।

জাতীয় দিবসের সমাবেশে লি বলেন, একটি প্রজন্মের মধ্যে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়েছে। এবং পরিবর্তনটি বেশ সুস্পষ্ট। আর সরকারও মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরার আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি বোঝে। পাশাপাশি অমুসলিমরা মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরতে দেখে বেশি অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের তরুণরা জাতিগত ও ধর্মীয় পার্থক্যকে বেশি গ্রহণ করছে।

সূত্র: আনাদলু এজেন্সি

The post সিঙ্গাপুরে মুসলিম নারী নার্সদের হিজাব পরার অনুমতি appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%a8/

অমুসলিম মেয়েদেরকেও আলাদা স্কুলে পড়ানোর আহ্বান আরশাদ মাদানির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মেয়েদের নিরাপদ রাখতে তাদেরকে সহশিক্ষা স্কুলে না পাঠানোর জন্য অমুসলিম মা-বাবাদের অনুরোধ করেছেন জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ (জেইউএইচ) -এর সভাপতি আরশাদ মাদানি। পাশাপাশি তিনি মেয়েদের আলাদা স্কুলে পড়ানোর ওপর জোর দেন।

সোমবার (৩০ আগস্ট) জেইউএইচ -এর কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা, বিশেষ করে মেয়েদের ধর্মীয় পরিবেশে পৃথক পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমাজ সংস্কারের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকের পর এক প্রেস বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

প্রেস বিবৃতিতে মাদানী বলেন, অনৈতিকতা এবং অশ্লীলতা কোন ধর্মের শিক্ষা নয়। এটি বিশ্বের প্রতিটি ধর্মেই নিন্দিত। কারণ এগুলো সমাজের পবিত্রতা নষ্ট করে। আমরা আমাদের অমুসলিম ভাইদেরকে তাদের মেয়েদের অনৈতিকতা এবং অসদাচরণ থেকে দূরে রাখার জন্য সহশিক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং তাদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে বলব।

মাদানি আরও বলেন, আমাদের এমন স্কুল ও কলেজের খুব প্রয়োজন, যেখানে আমাদের শিশুরা, বিশেষ করে মেয়েরা কোনো বাধা বা বৈষম্য ছাড়াই উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারবে। মুসলমানদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের যে কোনও মূল্যে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।

The post অমুসলিম মেয়েদেরকেও আলাদা স্কুলে পড়ানোর আহ্বান আরশাদ মাদানির appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%85%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%93-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6/

চলতি বছরে ইজরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত ৫৫ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর পশ্চিম তীরে ইজরাইলি বাহিনীর হাতে মোট ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ২২১ জন ফিলিস্তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে পশ্চিম তীরের অঞ্চল সি-তে ফিলিস্তিনের মালিকানাধীন ৫২৭ টি স্থাপনা ভেঙে ফেলেছে ইজরাইলি বাহিনী। যার ফলে বাস্তুভিটা হারিয়ে দেশত্যাগ করেছেন ৭৩৩ জন ফিলিস্তিনি।

ইজরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে অসলো চুক্তি ১৯৯৫-এর আওতায় পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়। এগুলো হলো— এলাকা A, B এবং C।

ইজরাইল পশ্চিম তীরের কিছু অংশে, বিশেষ করে C এরিয়ায় ফিলিস্তিনিদের কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেয় না। এই এরিয়া ইজরাইলের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। এই C এরিয়ায় বর্তমানে ৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের বাসস্থান। এদের অধিকাংশই বেদুইন এবং পালক সম্প্রদায়; যারা প্রধানত তাঁবু, কাফেলা এবং গুহায় বসবাস করে।

আন্তর্জাতিক আইন পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম উভয়কে দখলকৃত অঞ্চল হিসাবে দেখে এবং সেখানে ইহুদিদের বসতি নির্মাণের সমস্ত কাজকে অবৈধ বলে মনে করে।

সূত্র: দ্য মুসলিম নিউজ

The post চলতি বছরে ইজরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত ৫৫ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%9c%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%80/

আফগানিস্তান এখন ‌’পূর্ণ স্বাধীন’ দেশ: তালেবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর শেষ সৈন্যের বিদায়ের পর তালেবান ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তান এখন ‌’পূর্ণ স্বাধীন’ দেশ।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আমেরিকান সৈন্যরা কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। আমাদের জাতি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছে।

প্রায় ২০ বছর অবস্থানের পর মার্কিন বাহিনী ৩১ আগস্টের চূড়ান্ত সময়সীমার এক দিন আগে সোমবার রাতে আফগানিস্তান ত্যাগ করে। দু্ই সপ্তাহ ধরে অপসারণ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমেরিকার ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটে।

শেষ মার্কিন সৈন্য রাজধানী কাবুল থেকে সরে যাওয়া মাত্র কাবুলে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। কাবুল থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা রব ম্যাকব্রাইড সোমবার রাতে বলেন, কাবুলে এখান উল্লাস চলছে। নগরীর আকাশ ফাঁকা গুলির আলোতে উজ্জ্বল।

সারা রাত উল্লাসের পর মঙ্গলবার সকালে কাবুল অবশ্য শান্ত দেখা যায়। কাবুলবাসী তালেবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে সকালে তাদের দিন শুরু করে।

সূত্র : আল জাজিরা

The post আফগানিস্তান এখন ‌’পূর্ণ স্বাধীন’ দেশ: তালেবান appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%ab%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%8f%e0%a6%96%e0%a6%a8-%e2%80%8c%e0%a6%aa%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3-%e0%a6%b8/

Monday, August 30, 2021

অবশেষে আফগানিস্তান ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র, কূটনৈতিক মিশন কাতারে স্থানান্তর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সময়সীমা শেষ হওয়ার একদিন আগেই আফগানিস্তান ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে দেশটি আফগানিস্তানে তার কূটনৈতিক মিশন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সরিয়ে নিয়েছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।

এর আগে ৩০ আগস্ট মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ ফ্লাইটটি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন জানিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে থাকা তার কূটনৈতিক মিশন কাতারে সরিয়ে নিচ্ছে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, আজ আমরা কাবুলে আমাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি স্থগিত করেছি এবং আমরা আমাদের কার্যক্রম কাতারের দোহায় সরিয়ে নিলাম। আফগানিস্তানের অনিশ্চিত নিরাপত্তা পরিবেশ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ।

এখনও প্রায় দুশ মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে আটকে আছে বলে জানান শীর্ষ এ কূটনীতিক। তিনি আরও বলেন, আমরা মার্কিন নাগরিক ও বিদেশি এবং ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের দেশটি থেকে সরিয়ে আনতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাব।

তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন দেশ সেখান থেকে ঝুঁকিপূর্ণ আফগান ও বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। এর মধ্যে দেশের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এখন তারা সরকার গঠনের অপেক্ষায় আছে।

The post অবশেষে আফগানিস্তান ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র, কূটনৈতিক মিশন কাতারে স্থানান্তর appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%ab%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%b2/

এবার পদ্মা সেতুর স্প্যানে ফেরির ধাক্কা!

ফাতেহ ডেস্ক:

পদ্মা সেতুর ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির মাঝখানে ১-বি স্প্যানে ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ ফেরির ধাক্কার লেগেছে। এতে ওই ফেরির মাস্তুল ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকায় পদ্মা সেতুর ২ ও ৩নং পিলারের মাঝখানে ১-বি স্প্যানে ধাক্কা লেগে ফেরির মাস্তুল ভেঙে গেছে। তবে ফেরির কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার আহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, সকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে পাটুরিয়া যাচ্ছিল ফেরি ‘বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’। এ সময় পদ্মা সেতুর ২ ও ৩নং পিলারের মাঝখানে ১-বি স্প্যানের সঙ্গে ওই ফেরির মাস্তুলে ধাক্কা লাগে। এতে ফেরির মাস্তুল ভেঙে যায়।

এর আগে ১৩ আগস্ট মাদারীপুরের বাংলাবাজারঘাট থেকে শিমুলিয়া আসছিল ফেরি কাকলী। সকাল ৮টার দিকে প্রবল স্রোতের কারণে ফেরিটি ১০নং পিলারের আঘাত হানে, এতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ১০ নাম্বার পিলারে আঘাত হানে ফেরি ‘বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’। এ সময় ২০ যাত্রী আহত হন।

গত ২৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ৭ নাম্বার পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায় রো রো ফেরি শাহজালাল, এতে ফেরিতে থাকা ২০ যাত্রী আহত হন। এসব ঘটনায় থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ঘটনা তদন্তে ওই দিনই চার সদস্যর কমিটি গঠন করে বিআইডব্লিউটিসি। তাদের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পেছনে রো রো ফেরির ইনচার্জ মাস্টার আব্দুর রহমান খান ও সুকানী সাইফুল ইসলামের দায়িত্বহীনতা রয়েছে।

The post এবার পদ্মা সেতুর স্প্যানে ফেরির ধাক্কা! appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8/

তুরস্কের নতুন ড্রোন ‘বায়রাকতার আকিনজি’: এর ক্ষমতা কতটুকু?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত রোববার (২৯ আগস্ট) তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ টেকিরদাগে বিশেষ ড্রোন ‘বায়রাকতার আকিনজি’ উদ্বোধন করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, আমাদের নতুন ড্রোন এরই মধ্যে বিশ্ব জয় করেছে। তুরস্ক যুদ্ধ ড্রোন প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ৩-এ উঠে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য সশস্ত্র ড্রোন তৈরি করা। বায়রাকতার আকিনজি এই অঞ্চলে বিশ্বাস, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই শক্তিশালী করবে।

এসময় যুদ্ধ ড্রোনটি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়রাকতার আকিনসির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) সেলসুক বায়রাক্তার, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে, তুরস্কের স্পিকার মোস্তফা সেনটপ, শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা ভারঙ্ক, জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ইয়াসার গুলার।

বায়রাকতার আকিনজির সক্ষমতা কতটুকু?

‘বায়রাকতার আকিনজি’ তুরস্কের নির্মিত অত্যাধুনিক অস্ত্র। এটি গোটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা ‘অ্যাটাক ড্রোন’। বিক্রির জন্য উন্মুক্ত ড্রোনটি এয়ার লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল বহনে সক্ষম। ড্রোনের উইংস্প্যান ৬৫ ফুট ও এর এন্ডুরেন্স প্রায় ২৪ ঘণ্টা। রেঞ্জ ৩০০ মাইল এবং প্রায় ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। ইন্টারনাল বে’তে ৪০০ কেজি ও এক্সটার্নাল বে’তে ৯৫০ কেজি অস্ত্র বহনে সক্ষম। ইউক্রেনের নির্মিত দুইটি এআই-৪৫০ টার্বোপ্রোপ ৪৫০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এই ড্রোনে।

গত ৮ জুলাই বায়রাকতার আকিনজি ৩৮ হাজার ৩৯ ফুট (১১ হাজার ৫৯৪ মিটার)-এ আরোহণ করে তুর্কি জাতীয় বিমান চলাচলের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এবং একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। এটি ২৫ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট উড়ে ৭ হাজার ৫০৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে।

ড্রোনটির ডিজাইন, সফটওয়্যার, এভিওনিক্স এবং মেকানিক্স সবই বায়রাকতারের। বায়রাকতার টিবি২ ইউসিএভির চেয়ে উন্নত, যা ইউক্রেন, কাতার, আজারবাইজান এবং পোল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে বিক্রি হয়েছে। গত মে মাসে পোল্যান্ড প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক থেকে ড্রোন সংগ্রহ করে।

বায়রাকতারের চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) সেলসুক বায়রাকতার বলেন, তারা বায়রাকতার টিবি২-র জন্য ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের রপ্তানি আয়ের ৭০ শতাংশ সুরক্ষিত করবে। বায়রাকতার আকিনজি টিবি২-এর চেয়ে দীর্ঘ, প্রশস্ত ও কৌশলগত কাজগুলো শেষ করবে। এটির ২০ মিটার (৬৫ ফুট) উইংসপ্যান রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ফ্লাইট কন্ট্রোল এবং ট্রিপল-রিডান্ডেন্ট অটোপাইলট সিস্টেমের জন্য উচ্চ ফ্লাইট নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। এতে দুটি ৪৫০-হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন রয়েছে তবে এটি ৭৫০-হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন বা স্থানীয়ভাবে ২৪০-হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত হতে পারে।

আকিনজি বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র বহন করবে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র যেমন- স্মার্ট মাইক্রো মিউনিশন (এমএএম-এল) তুর্কি ঠিকাদার রোকেটসানের তৈরি। এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সক্রিয় বৈদ্যুতিনভাবে স্ক্যান করা অ্যারে রাডার এবং বায়ু থেকে বায়ু ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হবে।

এটি স্থানীয়ভাবে তৈরি আরও অনেক ধরনের যুদ্ধাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হবে, যেমন রোকেটসান-নির্মিত স্ট্যান্ড-অব মিসাইল, একটি দূরপাল্লার এয়ার-টু-সারফেস ক্রুজ মিসাইল যা ১৫০ মাইল (২৪০ কিলোমিটার) দূরে পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।

বায়রাকতার জানায়, আকেনজি বাতাসে এবং মাটিতে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে। এটি যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি কাজ করতে পারে এবং উড়তে পারে এবং তুরস্কের বিদ্যমান ড্রোনের চেয়ে বেশি সময় ধরে বাতাসে থাকতে পারে।

বায়রাকতার ২০২৩ সালে স্থানীয়ভাবে মানবহীন যুদ্ধবিমান তৈরি করবে। জেটটি অনেক সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেমন- কৌশলগত আক্রমণাত্মক, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট (সিএএস), ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ, শত্রুর বায়ু প্রতিরক্ষা দমন এবং শত্রুর বায়ু প্রতিরক্ষা ধ্বংস।

The post তুরস্কের নতুন ড্রোন ‘বায়রাকতার আকিনজি’: এর ক্ষমতা কতটুকু? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%a1%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9f/

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার

ফাতেহ ডেস্ক:

গত ২৮ আগষ্ট ২০২১ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত “অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়” শীর্ষক সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান এবং শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।

আজ সোমবার (৩০ আগষ্ট) সোমবার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত ও অবারিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ অফিস সম্পাদক, মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি নতুন মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত করবে। এতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবটি মুসলিমসহ সকল ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, যা রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।

আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ মনে করেন, প্রস্তাবটি কুরআন, হাদীস, দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আইন, ২০১৮’ (২০১৮ সনের ৪৮ নং আইন) এর পরিপন্থী।

আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরীব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কুরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, যিকির ও দু‘আ সব বন্ধ। সভায় সরকারের নিকট কওমি মাদরাসা অতিদ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণকে অবিলম্বে মুক্তিদানেরও জোর দাবি জানানো হয়। সাথে সাথে কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।

আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর) মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল ফিরোজী, আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস সম্পাদক মাওলানা মুঃ অছিউর রহমান।

 

 

 

 

 

সর্বশেষ সব সংবাদ

চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউ রহমানের কবর সরানো হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক… …
ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক করা দীনি শিক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে: জমিয়ত
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
জিকিরের উপকারিতা প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে যায়
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩৭২৪
মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার
সহশিক্ষার অসারতা তুলে ধরে ছেলেমেয়েদের পৃথক শিক্ষাব্যবস্থার ঘোষণা তালেবানের
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জরুরি বৈঠক
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে কাবুল যাচ্ছেন তালেবান নেতা হেবাতুল্লাহ আখুন্দ
মাতা-পিতা সন্তানের রোল মডেল

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউ রহমানের কবর সরানো হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক করা দীনি শিক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে: জমিয়ত

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ

জিকিরের উপকারিতা প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে যায়

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩৭২৪

মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার

সহশিক্ষার অসারতা তুলে ধরে ছেলেমেয়েদের পৃথক শিক্ষাব্যবস্থার ঘোষণা তালেবানের

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জরুরি বৈঠক

The post ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%a8/

চা বাগানে তরুণ আলেমদের দ্বীন শিক্ষার কার্যক্রম

ফাতেহ ডেস্ক:

সিলেটের চা বাগানে দ্বীন শিক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছেন সিলেটের কয়েকজন তরুণ আলেম। এই তরুণদের মধ্যে অন্যতম মাওলানা আহমদুল হক, হাবিব মুস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম প্রমুখ ।

মাওলানা আহমদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেট শহর থেকে উত্তরদিকে বড় বড় বেশ কয়েকটি চা বাগান আছে। যেমন- লাক্কা তুরা, মালনিছড়া,আলী বহার, হিলুয়াছড়া, তেলিহাটি বরজান, দুপাগুল, চিকনাগুল চা বাগান সহ আরো অনেক। আমরা গত কয়েকমাস মাস থেকে কাজ শুরু করেছি। এখন চা বাগানে ছুটি চলছে; এই অবসরে ২০জন শ্রমিককে আমরা সম্পূর্ণ খরচ দিয়ে তিন দিনের তাবলীগে পাঠিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তারা এখন চা বাগানে আমাদের তৈরী ‘বরজান’ মসজিদে আছেন। আমাদের পক্ষ থেকে আবুল কালামকে তাদের সাথে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আমাদের কাজের ধারাবাহিকতায় একাধিক টিউবওয়েল দিয়েছি। স্থানীয়দের চাহিদায় তিনটি মসজিদ স্থাপন করেছি। লাক্কাতুরা স্টেডিয়াম থেকে ভেতরে গেলে ৫০টি পরিবার পাওয়া যায়, যাদের আশপাশে কোন মসজিদ নাই, সেখানের একজন মহিলা মসজিদ বানানোর জন্য জায়গা দিয়েছেন, শীগ্রই এটির কাজ হবে। এটি হবে চতুর্থ মসজিদ।

এসব এলাকায় দ্বীন শিক্ষার কার্যক্রম শুরু করতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হননি বলেও জানান তিনি। তারা চাচ্ছেন, ২২টি চা বাগানের প্রত্যেকটিতে মকতব শুরু করতে। যেন কেউ কোরআনি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।

The post চা বাগানে তরুণ আলেমদের দ্বীন শিক্ষার কার্যক্রম appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a3-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%8d/

জিয়াউর রহমানের কবরে তার মৃতদেহ নেই, চ্যালেঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে তার মৃতদেহ নেই বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, যদি প্রমাণ হয় মৃতদেহ আছে, তবে জাতির কাছে নাকে খৎ দিয়ে ক্ষমা চাইব।

সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যা রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে তার মৃতদেহ থাকলে আপনারা ছবি দেখান। ছবি যদি নাও থাকে বিজ্ঞানকে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না। ডিএনএ টেস্ট করলেই পাওয়া যাবে। যদি ওখানে কোনোকিছু থেকে থাকে, ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুক। যদি প্রমাণ হয়, জাতির কাছে নাকে খৎ দিয়ে ক্ষমা চাইব। আমি যদি মিথ্যা কথা বলে থাকি, জাতি বিচার করুক, অন্য কোনো দণ্ড দিলেও মেনে নেব। আমি চ্যালেঞ্জ করি যে, সেখানে তার মৃতদেহ নেই।

তিনি বলেন, কার না কার মৃতদেহ পাওয়া গেল, জিয়ার কবর বলে চালিয়ে দেবেন, এমন মিথ্যাচার চলতে পারে না। একটি মিথ্যা কবরকে জিয়াউর রহমানের কবর বলে চালিয়ে দেবেন, এটি মিথ্যাচার।

মন্ত্রী বলেন, যিনি রাষ্ট্রপতি, তার সবকিছু সবই ধারণ করা থাকে। রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুসারে সবকিছুর ছবি ধারণ করা থাকে। জিয়াউর রহমানের লাশের ছবিটা তাহলে দয়া করে দেখান। মহাসচিব বলেছেন তার পোস্টমর্টেম হয়েছে, ২২টা বুলেট পাওয়া গেছে। যদি সত্য হয়ে থাকে ছবি দেখান, যদি বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে, মুখের ছবি দেখান। ছবি যদি নাও থাকে ডিএনএ টেস্ট করলেই পাওয়া যাবে। ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুক।

মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি আরও একটি কথা বলতে চাই। সেটি হলো মহাসচিব বলেছেন, আমি জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণের কথা বলেছি। তবে আমি বলতে চাই যে, কথাটি আসলে আংশিক সত্য, পুরোপুরি সত্য নয়। বিষয়টি হচ্ছে আমি জাতীয় সংসদে একাধিকবার বলেছি সংসদের নকশার বাইরে যা কিছু আছে, তার সবকিছুই আমাদের অপসারণ করা উচিত। কেননা এটি বিশ্বের মধ্যে একটি অনন্য নিদর্শন। আমি নকশার বাইরে সবকিছুই অপসারণ করতে বলেছি। সেখানে অন্যান্যদের কবরও আছে। শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের কবরকে নির্দেশ করে বলা নয়।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।

The post জিয়াউর রহমানের কবরে তার মৃতদেহ নেই, চ্যালেঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0/

মতলবে বাড়ি বাড়ি হেঁটে করোনার টিকা বিক্রি!

ফাতেহ ডেস্ক:

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় করোনার টিকা বিক্রির অভিযোগে ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন।

মূল অভিযোগ টিকা রক্ষণাবেক্ষণকারীর প্রতি হলেও সে আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাম প্রকাশে না করা শর্তে হাসপাতালের একজন স্টাফ জানায়, টিকা বিক্রি করার ঘটনা এটাই প্রথম না।

জানা যায়, ১৯ আগস্ট উপজেলার মরাদোন গ্রামে ও ২২ আগস্ট ঠাকুরচর গ্রামে টাকার বিনিময়ে বাড়িতে গিয়ে করোনার টিকা দিয়েছে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির। যারা টিকা নিয়েছে তারা টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধনও করেনি।

সেই প্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহর নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাইনুল ইসলাম মোনাসকে আহবায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. জাবেদ ইকবাল ও পরিদর্শক খলিলুর রহমান।

তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির টাকার বিনিময়ে বাড়িতে গিয়ে করোনার টিকা দিয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটি। এই প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ডা. নাইমুল ইসলাম মোনাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে জাকিরের বিষয়ে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। জাকিরের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকিরের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ডিজি বরাবর পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে যদি জাকিরের সাথে কারো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

The post মতলবে বাড়ি বাড়ি হেঁটে করোনার টিকা বিক্রি! appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%bf-%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%81%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b/

ডাচ নাট্য পরিচালক হুবারদিনার ইসলাম গ্রহণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তুরস্কের নেভসেহির শহরে ঘুরতে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছেন নেদারল্যান্ডের ৫১ বছর বয়সী নাট্য পরিচালক হুবারদিনা আলিদা ডোনা রিসা। ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মুসলমান হয়েছে বলে জানান তিনি। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

এক বিবৃতিতে নেভসেহির প্রদেশের দারুল ইফতা বিভাগ জানায়, ডাচ নাট্য পরিচালক রিসা তুর্কি বাগদত্তা গিয়ুনির গিফুন ও তাঁর পরিবারের মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারেন। তুরস্কে ভ্রমণে এসে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানেন। ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানতে পেরে এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন। এরপর তিনি স্থানীয় দারুল ইফতা বিভাগের মাধ্যমে মুসলিম হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

দারুল ইফতার অনুষ্ঠানে রিসা বলেন, ‘স্থানীয় মসজিদের খতিব ও তাঁর পরিবারের মাধ্যমে আমি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। এর আগে আমি দুই বছর যাবত ইসলাম নিয়ে গবেষণা করি। এরপর স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। মুসলিম হিসেবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

ইসলাম গ্রহণকালে রিসাকে কালেমা পাঠ করান স্থানীয় মুফতি আহমদ জালালুদ্দিন আলতুন। এ সময় তিনি রিসার কাছে ঈমানের গুরুত্ব, ইসলামের মূলনীতি ও কালেমা শাহাদাতের অর্থ নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর তাঁর কাছে কালেম পাঠ করে মুসলিম হন এ ডাচ নাট্যকার।

স্থানীয় মুফতি আলতুন ডাচ নাট্যকারকে ইসলাম গ্রহণের সনদ ও পবিত্র কোরআনের একটি কপি উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

The post ডাচ নাট্য পরিচালক হুবারদিনার ইসলাম গ্রহণ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%9a-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%95-%e0%a6%b9%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a6/

আফগানিস্তানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তুরস্ক : এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তুরস্কের পেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে তুরস্ক প্রস্তুত আছে। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় সরকারি সফর শেষে বিমানে করে দেশে ফেরার সময় এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তানের পুনরুদ্ধারের জন্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তিনি আরো বলেন, তুরস্কের একটি নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা এবং অবকাঠামো রয়েছে। এইগুলো ব্যবহার করে আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। আমাদের এ সাহায্য পাওয়ার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ জরুরি। আর এজন্যই তুর্কি গোয়েন্দারা সম্প্রতি তালেবানের সাথে কথা বলেছেন।

আফগানিস্তানে নারীদের অধিকারের বিষয়ে এরদোগান বলেন, আমি মনে করি নারীদের প্রতি তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি এমনটা হবে না ২০ বছর আগে যা ছিল। তারাও এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করবে।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক

 

The post আফগানিস্তানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তুরস্ক : এরদোগান appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%ab%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ac-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8/

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ও ইজরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে কী আলোচনা হল?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ইজরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গানৎজের বৈঠক হয়েছে রোববার (২৯ আগস্ট)। চলতি বছর জুন মাসে ইজরাইলে নতুন সরকার গঠনের পর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের এটাই প্রথম বৈঠক। ফিলিস্তিনের সূত্রের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে গাজা ও পশ্চিম তীরের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো। পরে এক টুইট বার্তায় ইজরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেন, ফিলিস্তিনের অংশে অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করবে ইজরাইল।

আব্বাস ফাতেহ সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য ও ফিলিস্তিনের বেসামরিকবিষয়ক কর্তৃপক্ষের প্রধান হুসাইন আল শেইখ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইজরাইলের সর্ম্পক উন্নয়নে সব ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্প্রতি সীমান্তে ইজরাইলের আধিপত্য বিস্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এসময় ইজরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। এর আগেও বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে সীমান্ত জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশ দুটির মধ্যে।

The post ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ও ইজরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে কী আলোচনা হল? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%93/

Sunday, August 29, 2021

তালেবান সদস্যদের জন্য তৈরী হচ্ছে ইউনিফর্ম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের তালেবান সদস্যদের জন্য একই রঙের ইউনিফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদস্থ তালেবান কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, তালেবান সদস্যদের মধ্যে আরো বেশি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা ‘আওয়া’ এ খবর জানিয়েছে।

তালেবান কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো কোনো দুষ্কৃতকারী তালেবানের পোশাক পরে এবং তালেবানের নাম ভাঙিয়ে জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও প্রতারণা করছে। এ ধরনের প্রতারণা প্রতিহত করার লক্ষ্যে সকল তালেবান সদস্যকে একটি সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্মের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তালেবানের পদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মৌলভি মোহাম্মাদি বলেছেন, জনগণ যাতে সাধারণ মানুষ ও তালেবান সদস্যদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে সেজন্য আমাদের সেনাদের জন্য বিশেষ পোশাক তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

বিশ্বের সব দেশেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আলাদা ইউনিফর্ম থাকে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বাহিনীর বাইরে অন্য কাউকে তা পরার অনুমতি দেয়া হয় না।

সূত্র: পার্সটুডে।

The post তালেবান সদস্যদের জন্য তৈরী হচ্ছে ইউনিফর্ম appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%a6%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a4%e0%a7%88/

প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত ৩১ জুলাই থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। ৩৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে এবার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তার।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এ ছাড়া তার লিভার এবং কিডনিতেও সামান্য সমস্যা ছিল। ফের কোভিড পরীক্ষাও করা হয়েছিল। তবে তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব বয়সজনিত নানা সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

বর্ষীয়ান সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ বহু কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা। তার উল্লেখযোগ্য লেখা, ‘জঙ্গল মহল’, ‘বাবলি’, ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘হলুদ বসন্ত’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’, ‘কুমুদিনী’, ‘খেলা যখন’, ‘চানঘরে গান’ সাহিত্যজগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

‘হলুদ বসন্ত’ উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে তিনি পান আনন্দ পুরস্কার।

The post প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a3-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%a6%e0%a7%87/

রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াই এগিয়ে যাবে হেফাজত: নতুন আমীর

ফাতেহ ডেস্ক :

‘হেফাজত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ঈমানী আন্দোলনের সংগঠন। এই সংগঠনের কোনও রাজনৈতিক উচ্চাবিলাস বা কর্মসুচি নেই। আমরা সেভাবেই হেফাজতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবাে ইনশাআল্লাহ।’

আজ রোববার (২৯ আগস্ট) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির বৈঠকে পঠিত বক্তব্যে হেফাজতের নতুন আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী এসব কথা বলেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা শাহ মুহিব্দুল্লাহ বাবুনগরী। অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকের শুরুতে সদ্য প্রয়াত আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ.-এর মাগফিরাত ও দারাজাত বুলন্দি কামনা করা হয়।

হেফাজত আমীর আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী আরও বলেন, হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ. এর ইন্তেকালে ইসলামী নেতৃত্বে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি একাধারে একজন বিখ্যাত মুহাদ্দিস, শাইখুল হাদীস ও ধর্মীয় আন্দোলনের আপােষহীন সিফাসালার ছিলেন। এমন নেতৃত্ব আগামী শতবছরেও জাতির ভাগ্যে জুটবে কিনা সন্দেহ আছে। আমি মরহুম আমীরের মাগফিরাত কামনা করি। সাথে সাথে দেশ ও সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে মরহুম আমীরের জন্য দুয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

হেফাজত আমীর বলেন, আমি বায়ােবৃদ্ধ মানুষ। সকলে মিলে আমাকে আমীরের দায়িত্ব দিয়েছেন। শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য কঠিন হলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবাে ইনশাআল্লাহ।

হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর ইন্তেকালে দেশবাসী একজন ঈমানদার, সৎ ও সাহসী রাহবারকে হারিয়েছে। তিনি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর হাত ধরে হেফাজতের মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। যথাযথভাবে তিনি সে দায়িত্ব পালন করেছেন। আকস্মিক আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকালে সকলের পরামর্শে আমাদের আরেক প্রধান মুরব্বী, হেফাজতের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমীর ও প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হজরত অসুস্থ শরীর নিয়েই সবার অনুরােধে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আমাদের বিশ্বাস সাবেক আমীরদের মতাে তিনিও দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যাবেন। হেফাজতের সকল কার্যক্রম নিয়ম অনুযায়ী চলমান থাকবে।

The post রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াই এগিয়ে যাবে হেফাজত: নতুন আমীর appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%88%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%9a%e0%a6%bf-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%87/

বিজয়নগরে ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনায় ইসলামী ঐক্যজোটের শোক

ফাতেহ ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, নৌদূর্ঘটনা রোধে যাত্রীদের সচেতন করা, নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন থেকে বিরত থাকা, নৌযানের ফিটনেস, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, চালকদের দক্ষতাসহ সরকারকে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু আমরা প্রায়ই দেখি দূর্ঘটনার পর লোকদেখানো উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও পরে তা আর বাস্তবায়ন করা হয় না। আমরা মনে করি, এই কারণেই দেশে একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটছে।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বিজয়নগরে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে প্রাণহাণির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং উদ্বিগ্ন। যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও হতাহতদের পরিবারকে যথাযত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

The post বিজয়নগরে ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনায় ইসলামী ঐক্যজোটের শোক appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%9f%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a1%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%be/

চার দফা দাবিতে আন্দোলনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। গণহারে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতার পুনঃমূল্যায়ন, দ্রুততম সময়ে বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণসহ মোট চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।

রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হয়ে সড়কে মিছিল বের করে সাত কলেজের স্নাতক ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্নাতক চতুর্থ বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষায় সাত কলেজের ইংরেজি বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে গণহারে শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছেন। অথচ এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৫-২০১৬ সেশনের ইংরেজি বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষে ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। তিতুমীর কলেজের ২৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৩ জন ফেল, ইডেন মহিলা কলেজের ২১০ জনের মধ্যে ১৭৫ জন ফেল, সরকারি বাংলা কলেজের ১১৬ জনের মধ্যে ৯২ জন ফেল, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন ফেল করেছেন। আরো অন্যান্য বিভাগে তো আছেই। এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে কোনো কারণ কলেজ প্রশাসন দেখাতে পারছে না। আমরা চাই খাতাগুলোর আবারও মূল্যায়ন করা হোক।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-

এক. চতুর্থ বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতা সঠিকভাবে পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে, অথবা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষার নোটিশ দিতে হবে।

দুই. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মাধ্যমে ক্লাস যাচাই।

তিন. শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের একাডেমিক সমস্যা নিজ কলেজের মাধ্যমে সমাধান করা।

চার. সব বিভাগের ফল একত্রে প্রকাশ এবং বিভিন্ন বিভাগের আটকে থাকা পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।

অবিলম্বে এসব দাবি না মানা হলে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসবেন বলেও জানান তারা।

The post চার দফা দাবিতে আন্দোলনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%ab%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a7%ad/

১২৪ যাত্রীর জীবন বাঁচানো পাইলট নওশাদ মারা গেছেন

ফাতেহ ডেস্ক:

মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম মারা গেছেন।

ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তার মৃত্যু হয়।

গত শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।

বিমানের পাইলটকে নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।

এর আগে শনিবার ওই হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে জানিয়েছিলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘কোমায়’ আছেন।

The post ১২৪ যাত্রীর জীবন বাঁচানো পাইলট নওশাদ মারা গেছেন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a7%e0%a7%a8%e0%a7%aa-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b/

বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ফাতেহ ডেস্ক:

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বুড়িমারী ইউনিয়নের বুলবুল হোসেনের ছেলে ইউনুস (৩৫) ও পাটগ্রামের সাগর (৩৪)।

রোববার (২৯ আগস্ট) ভোরে বুড়িমারী জিরো পয়েন্টের বাঁধের মাথা ও ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

৬১ বিজিবির বুড়িমারী স্থলবন্দরের ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, দুই বাংলাদেশির মরদেহ ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা অংশে পড়ে আছে। এ বিষয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ভারতীয় অংশে পড়ে আছে।

The post বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a7%80%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%8f%e0%a6%ab/

কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

কক্সবাজারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি নানা পরিকল্পনা করেছিলেন। ঝাউবন স্থাপন করেছেন। তার রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। সে পরিকল্পনারই অংশ কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রাসরণ।

রোববার (২৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের আদলে সাজানো হবে কক্সবাজারকে। ইকোট্যুরিজমের কাজ চলমান রয়েছে, রেললাইনও আসছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে দিন-রাত ফ্লাইট চলবে। এসব দৃশ্যমান হলেই কক্সবাজার বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের পরের সরকার বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করত। যার কারণে কক্সবাজারকে ঘিরে তারা কিছুই করেনি। বরং তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেখান থেকে নতুন করে কক্সবাজারকে ঘিরে পরিকল্পনা হাতে নেই। আস্তে আস্তে সবই দৃশ্যমান হচ্ছে।

কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন শহর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এটিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও পৌঁছে গেছে। এসব পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে কক্সবাজার- যেমনটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন।

ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজার থেকে যুক্ত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠানামা করতে পারবে। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেবিচক।

 

The post কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%b0/

স্বপ্নের মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল শুরু

ফাতেহ ডেস্ক:

স্বপ্নের মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ঢাকাবাসীকে পরীক্ষামূলকভাবে ভায়াডাক্টের (উড়ালপথ) ওপর দিয়ে চালিয়ে দেখানো হচ্ছে ট্রেন। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর এমআরটি-৬ ডিপোতে এই পরীক্ষামূলক পরিচালনা ও পরীক্ষণের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর আগে গতকাল ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, রবিবার (আজ) উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মিরপুর পর্যন্ত এই ‘ট্রায়াল রান’ হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই পরীক্ষামূলক চলাচলে চালকের আসনে রয়েছেন একজন জাপানি নাগরিক।

এর আগে ১১ মে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলের ডিপোর ভিতরে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে এই বৈদ্যুতিক ট্রেন চালিয়ে দেখানো হয়। আর গত শুক্রবার উত্তরা দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চালিয়ে দেখানো হয়, যা ছিল আজকের ট্রায়ালের প্রস্তুতি।

বর্তমানে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী মেট্রোরেলের ডিপোতে দুই সেটের মোট ১২টি কোচ পৌঁছেছে, যার প্রথম সেটের ছয়টি ২১ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় সেটের আরও ছয়টি কোচ ১ জুন ঢাকা পৌঁছায়।

মেট্রোরেলে প্রতিটি সেটে থাকবে চারটি যাত্রীবাহী কোচ, দুই দিকে দুটো ইঞ্জিন। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বর্গমিটারে আটজনের হিসাবে ব্যস্ততম সময়ে প্রায় ১৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। ডিএমটিসিএলের অধীনে ঢাকা ও আশপাশে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি লাইন-৬। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে জাপানে।

ডিএমটিসিএলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার লাইনের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইনের অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

The post স্বপ্নের মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল শুরু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%81/

Saturday, August 28, 2021

তালেবানের অনুমতি ছাড়া আফগানিস্তানে অভিযান চালানো যাবে না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের মাটিতে যেকোনো ধরনের অভিযান চালানোর আগে তালেবানের সঙ্গে আলাপ করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।

আমেরিকা আফগানিস্তানের কান্দাহারে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী দায়েশের (আইএস-কে) অবস্থানে ড্রোন হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়ার পর এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। খবর রয়টার্সের।

মুজাহিদ বলেন, আমেরিকার উচিত ছিল আইএস-খোরাসানের অবস্থানে ড্রোন হামলা চালানোর আগে তালেবানকে সতর্ক করা। আমেরিকার এ হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন তিনি।

জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর তালেবান শিগগিরই কাবুল বিমানবন্দরের পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং অচিরেই সরকার ও মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবে।

পেন্টাগন শনিবার ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানে দায়েশ-খোরাসানের অবস্থানে হামলা চালিয়ে কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালানোর অন্যতম পরিকল্পনাকারীসহ দু’জনকে হত্যা করা হয়েছে। ওই হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির নাগরিকদেরকে কাবুল বিমানবন্দরের গেটগুলো দ্রুত অতিক্রমের আহ্বান জানায়।

The post তালেবানের অনুমতি ছাড়া আফগানিস্তানে অভিযান চালানো যাবে না appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%ab/

দাখিল-আলিম পরীক্ষার্থীদের দুই বিষয়ের ব্যবহারিক খাতা জমা দিতে হবে

ফাতেহ ডেস্ক:

২০২১ সালের দাখিল ও আলিম পরীক্ষার্থীদের দুই বিষয়ের ব্যবহারিক খাতা জমা দিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দাখিল পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুসারে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের যেকোনো দুটি ব্যবহারিক কার্যক্রমের খাতা তৈরি করে নিজ নিজ মাদ্রাসায় জমা দিতে হবে। আর আলিম পরীক্ষার্থীদেরও নৈর্বাচনিক বিষয়ের, অর্থাৎ পদার্থবিজ্ঞান ও রাসায়নের প্রতিটির প্রতি পত্রের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে দেওয়া ব্যবহারিকের দুটি করে ব্যবহারিক কার্যক্রমের খাতা তৈরি করে জমা দিতে হবে।

দাখিল পরীক্ষার্থীরা নির্বাচিত প্রতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে উল্লেখিত ব্যবহারিকের যেকোনো দুটি ব্যবহারিক কার্যক্রমের খাতা (নোটবুক) তৈরি করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জমা দেবে। একইভাবে আলিম পরীক্ষার্থীরা নির্বাচিত বিষয়ের প্রতিটির (যেগুলোতে ব্যবহারিক আছে) প্রতি পত্রের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে উল্লেখিত ব্যবহারিকের দুটি করে ব্যবহারিক কার্যক্রমের খাতা তৈরি করে জমা দেবে।

শিক্ষা বোর্ড আরও বলেছে, ইতিমধ্যে যদি কোনো শিক্ষার্থী ২০২১ সালের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আলোকে প্রতি পত্রে দুটির বেশি ব্যবহারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে, তাহলেও শিক্ষার্থীরা ওই সব ব্যবহারিক খাতা বা নোটবুক জমা দিতে পারবে। নির্দেশনায় দাখিল ও আলিম পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

দাখিল পরীক্ষার্থীদের শুধু পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক করতে হবে। আর আলিম পরীক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ব্যবহারিক করতে হবে।

The post দাখিল-আলিম পরীক্ষার্থীদের দুই বিষয়ের ব্যবহারিক খাতা জমা দিতে হবে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%96%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87/

ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু ৩ সেপ্টেম্বর

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ শুরু হচ্ছে। এই যোগাযোগ শুরু হবে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায়।

শনিবার (২৮ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়।

তবে ট্যুরিস্ট ভিসাধারী যাত্রীদের ওই তারিখ থেকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্পাইস জেট তিনটি, এয়ার ইন্ডিয়া দুটি ও ইন্ডিগোর দুটি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশেরও সাতটি ফ্লাইট থাকবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

The post ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু ৩ সেপ্টেম্বর appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9f-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%81/

Friday, August 27, 2021

তালেবানের প্রস্তাব, এর দোগানের জবাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার ব্যাপারে তুরস্ককে অনুরোধ করেছে তালেবান।

এ ব্যাপারে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার ব্যাপারে তালেবান যে অনুরোধ করেছে সে বিষয়ে এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি আঙ্কারা।

তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বরের পরে কোন ধরনের নীতি গ্রহণ করা হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে তার দেশ।

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সেনা প্রত্যাহার করার কথা রয়েছে। এরপর আফগানিস্তান সম্পর্কে আমেরিকা এবং ন্যাটো জোট কী সিদ্ধান্ত নেয় তার ওপর নির্ভর করছে তুরস্কের ভূমিকা।

শুক্রবার বসনিয়া-হার্জেগোভিনা যাত্রার আগ মুহূর্তে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান আরও বলেন, কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনায় সহযোগিতা শুরুর আগে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সেখানে যে ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে তা ব্যাখ্যা করা মুশকিল।

বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ওই বিস্ফোরণে ১৩ জন মার্কিন সেনাসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।

 

The post তালেবানের প্রস্তাব, এর দোগানের জবাব appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%ac-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%8b/

সুলতানের রোজনামচা

অতনু দাশ গুপ্ত:

আসেন, আসেন… হাউসবিল্ডিং, হাউসবিল্ডিং, ওই আসেন,
আসেন… অহন ই যামুগা, অহন ই যামুগা,
ভাই আসেন, এই গেল হাউসবিল্ডিং, এই গেল
হাউসবিল্ডিং, এই আপু, যাইবেন ??
…আসেন !!

সুনামগঞ্জের এক ছোট্ট গ্রাম থেকে জীবিকার সন্ধানে দেশের কেন্দ্রস্থলে ছুটে আসা কাসেম আলীর ছেলে সুলতান। কাসেম আলি পরিবহন শ্রমিক ছিল। এক সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারানোর পর দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া সুলতানের লেখাপড়ার স্বপ্নও হারিয়ে যায়। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় সরাসরি বাসে হেলপার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সম্ভব না দেখে আপাতত লেগুনার সহকারী হিসেবে কাজ দিল মোহর সাহেব, কাসেমের মালিক। জন্মের সময়েই মাকে হারানো সুলতান এখন এতিম। তাই মালিকের গ্যারেজে অন্যান্য সবার সাথে তারও ঠিকানা ওটাই।

প্রতিদিন সকালটা একইভাবে আরম্ভ হয় সুলতানের। চোখ কচলাতে কচলাতে শার্টটা গায়ে দিয়ে লেগুনার পেছনের পাদানিতে উঠে পড়ে ডাকতে থাকে যাত্রীদের। বসার সীটের নিচে বালটিতে রাখা পানির বোতল থেকে কয়েক ঢোক গিলে নেয়। পেটের বাঁপাশে অল্প অল্প ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। খাওয়া দাওয়ার কোন বালাই নেই। প্রথম প্রথম খিদে পেলে আধ একটু চ্যাঁচামেচি করতো, পরে একদিন ওস্তাদের এক সজোর চপেটাঘাত বেমালুম সব ভুলিয়ে দেয়। এরপর থেকে আর কোন শব্দ করে না খিদে পেলেও। এখানে সোহেল, রাসেল, মাহবুব, মাইল্লা, রসুল, আরও অনেকে সবাই ওর মত লেগুনার হেলপার। রাসেল বয়সে কিছুটা বড়। ওর দাপটও কিছুটা বেশি।

সুলতান যাত্রীদের ডেকে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে লেগুনাতে যাত্রীরা উঠছে। দিয়াবাড়ি লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে খালপাড় আসতে আসতে কিছু যাত্রী থাকলেও প্রায় সময়ই এখান থেকেই গাড়িতে আর বসার জায়গা থাকে না। পেছনে দুপাশে পাঁচজন করে দশজন বসার জায়গা থাকলেও চাপাচাপি করে বারজন উঠানো হয়। সামনে ড্রাইভারের পাশে একজনের জায়গায় দুইজন আঁটসাঁটভাবে বসান হয়। সকালবেলা খালপাড়ে যাত্রীদের ভিড় থাকে আর বিকেলে একই দৃশ্য দেখা যায় হাউসবিল্ডিংয়ে। এই দুই সময়েই তীব্র চাপ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। গাড়িগুলোও এলোমেলোভাবে চলতে থাকে। সুলতান চেয়ে টাকা নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। আকারে ছোট হওয়ায় অতিসহজেই বাইরের পাদানি থেকে লেগুনার ভেতরে ঢুকে যাত্রীদের মাঝের জায়গা দিয়ে দিব্যি হেঁটে ভাড়া উসুল করে নেয় সে। কিছু যাত্রী আছে যারা সবসময়ই দুএক টাকার জন্য তর্কাতর্কি করে।

ভাংতি টাকা যাত্রীদের না দেওয়ার চক্করে মাইল্লা, রাসেল, সোহেলরা বেশ টাকা জমিয়ে নিয়েছে। পাঁচ টাকা না দিয়ে দুটো দুই টাকার নোট দিয়ে পকেটভর্তি ভাংতি টাকা থাকলেও সবসময়ই বলে, “ভাংতি নাই”। আর যে যাত্রীকে প্রথম থেকেই সুবিধাজনক মনে হয় না, তার সাথে কোন চালাকি না। আপু, আন্টিদের কাছ থেকে মাঝে-সাজে দু চার টাকা মেরেও দেয়। আবার কিছু ভদ্রলোক বেশধারী লোক লেগুনাতে উঠে চুপটি মেরে বসে থেকে বেমালুম ভাড়া না দিয়ে নেমে যায়! এক লোককে সুলতান তাড়াও করেছিল, ড্রাইভার ওকে ফেলে রেখেই চলে গেল। না পেল ভাড়া, না পেল ওই ধোঁকাবাজের নাগাল। পরের লেগুনায় সোহেলের সাথে ঝুলতে ঝুলতে ফিরলো সে। ড্রাইভারকেও বললো না। উলটো যদি বলে বসে, ‘উঠার সাথে সাথে ভাড়া নেস নাই ক্যান?’ সোহেল বলছিলো, একদিন এরকম এক ভদ্রলোক থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল। গাড়ি থেকে নেমে গেলে কোথায় ভাড়া ? কোথায় কি ? তাই যাত্রীরা এভাবে সটকে পড়লেও সুলতানের আর দুঃসাহস হয় না পিছু ছোটার।

সকালে খালপাড় থেকে যাত্রীর ভিড় লেগেই থাকে। গাড়ি হাউসবিল্ডিংয়ে পৌঁছার পর সকাল বেলা যাত্রীর ভিড় না থাকায় চৌদ্দজন না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়ে না ড্রাইভাররা। এভাবে খালপাড় থেকে গাড়ি তো ভর্তি হয়েই এদিকে আসে আর সব গাড়ি এদিকে চলে আসে, খালপাড় গাড়ি শূন্য হয়ে দেখা দেয় যানবাহন সংকট। প্রতিদিন দেখে সুলতানের এসব চোখ সওয়া হয়ে গেছে। ও ভাবে, ‘কি রে? ওস্তাদ এরকম করে ক্যান? হগলের আগে পৌঁছাইলে তো আগেই এহানে আসতে পারবো। আরেক টিপ মারতে পারবো, দাঁড়াইয়া থাহে ক্যান।’ সকালে ১০-১১ টার দিকে যাত্রীর চাপ কমে যায়। তখন লেগুনা স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে পাঁচ -দশ টাকার মুড়ি/ চানাচুর খেয়ে নেয় সুলতানরা। এটাই সকালের নাস্তা। মাঝে মাঝে এর ব্যত্যয় ঘটে।

দুপুর ১২- ১ টার দিকে দিয়াবাড়ি থেকে যাত্রীর চাপ বাড়ে। ওইদিকে একটা কলেজ আছে। ছুটি হওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা সব দল বেঁধে বের হয়। অবশ্য এ গ্রুপের কাছ থেকে সুলতান কখনও ঠকেনি। এরা ভাইয়া বা আপু— যে ই হোক না কেন, ভাড়া যা চাওয়া হয়, তা-ই দেয়। এ সময় থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত বেশ ভাল রোজগার হয়। গলা শুকিয়ে আসছে ওর। দিয়াবাড়ি গোলচক্করের লেগুনা স্ট্যান্ডের পাশেই এক হোটেলে খেতে বসে ওর ওস্তাদ ড্রাইভার শওকত। প্রায় সময়ই ভাত—ডিম বা ভাত-আলুভর্তা, ডাল, সবজি এসব দিয়েই হয় ভুরিভোজ। শওকত মাছ/ মাংস সবসময় না খেলেও প্রায়ই খায়। সুলতানের ভাগ্য ভাল থাকলে মাঝে মধ্যে ওর ভাগ্যেও জুটে যায় এক টুকরা মাছ। আজকেও ডিমের ঝোল আর ভাত। গোগ্রাসে খেয়ে যাচ্ছিল ও। পানি খেতে ভুলে যাওয়ায় হঠাৎ হেচকি উঠলো। পুরো এক গ্লাস পানি খেয়ে হিক্কা সামলে নিল। খাওয়া শেষ হলে খুব ইচ্ছে হয় ড্রাইভারের সিটের পেছনে একটা নরম গদি আছে, ওটাতে যদি একটু মাথা রেখে কিছুক্ষণ ভাত ঘুম দেওয়া যেত! যা হোক, সে অবসর কখনই পাওয়া যায় না। কী রোদ, কী বৃষ্টি, কী শীত, সবদিনই ওর কাছে একই রঙের। বিকেল ৩-৪ টার এ সময়ে যাত্রীর তেমন একটা চাপ না থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আর বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। পেছনের দাঁড়ানোর ছোট্ট পাদানিতেও দুই তিনজন উঠে পড়ে, সুলতান ওখান থেকে সরে গাড়ির ভেতরেই দাঁড়িয়ে থাকে। ওর অবশ্য সুবিধাই হয়, গাড়ি ছাড়ার পর চৌরাস্তা পর্যন্ত আসতেই ওইটুকু পথের ভাড়া খুব তাড়াতাড়িই উসুল হয়ে যায়। এ সময়ে অনেক ঝুলন্ত যাত্রীই ভাড়া না দিয়ে ভেগে পড়ে। ছোট্ট সুলতানের গলার আওয়াজ অতদুর পৌছায় না! “ভাড়া দিয়া যান … ভাড়া দিয়া যান” কয়েকবার বলার পর ও আপনাআপনিই থেমে যায়। দৈহিক গড়ন ছোট হওয়ায় কোন যাত্রীই খুব একটা পাত্তা দেয় না ওকে। ভেতরে বসা যাত্রীরা অবশ্য মাঝে মাঝে টাকার হিসাব জিজ্ঞেস করে, টাকা সঠিকভাবে গুনে হিসাব করতে পারে কিনা সেটা দেখে। কেউ বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করে। এটা সেটা করতে করতে দশটা বেজে যায়। এরপর ১১ টা। রাতের খাবার খেয়ে আজকের মত ছুটি। দুপুরে ডিম খেলে রাতে ভর্তা আর ডাল। কোনদিন রাতে চলে যায় কারেন্ট। কয়েল জ্বালিয়ে না নিলে মশার কামড়ে টেকা দায়। তবে কয়েকবার মশার কামড় খাওয়ার পর একবার ঘুমিয়ে পড়লেই হল। এসবের মাঝে ক্লাস থ্রি তে উঠবে এমন স্বপ্ন দেখার কি কোন সময় পাবে ও কখনো ?? হয়তো ওই স্বপ্ন দেখাও বারণ!


একদিন লেগুনায় এক তরুণীর চোখ পড়ে সুলতানের উপর। ওর চেহারাটা খুব পরিচিত ঠেকে ওর কাছে।
জিজ্ঞেস করে বসে, ‘এই পিচ্ছি! কি যেন নাম তোমার?’
ও গোমড়া মুখে বলে, ‘সুলতান’
‘চিনতে পেরেছ? আমি তোমাদের অংক করাতাম। তন্দ্রা ম্যাডাম!’
মুখে কোন কথা নেই, শুধু মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে সে। ম্যাম জিজ্ঞেস করলেন, কেন সে আর স্কুলে আসে না? উনার চেহারা বেমালুম ভুলে গেলেও কারণ বললো। তরুণী সুলতানের লেখাপড়ার খবর জানতে চাইল। সুলতান কোন জবাব দেয় না। গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তন্দ্রা নেমে গেল।

আজকের মত ডিউটি শেষ করে বের হয় তন্দ্রা। ভাবছে, ছোট্ট সুলতানের কথা। আজ কি ওর দেখা পাবে? তাহলে কী করবে? আচ্ছা! ওকে বলার দরকার কি? সরাসরি ওর মালিকের সাথে কথা বললেই তো হয়। কিন্তু বলবে কি ? ওকে স্কুলে পড়তে দিন। না, ও লেখাপড়া আরও করুক এটা চাই। না ! আপনি কি চান না ওর একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ হোক? না! না! বেশি ন্যাকামি হয়ে যাচ্ছে !! আমি চাই ও আরও পড়ালেখা করুক। একজনের কথা বলবো কি করে? হ্যাঁ ! সবার কথাই বলবো। তাহলে প্রস্তাবটা আরও যুক্তিসঙ্গত হবে। আর খরচের অজুহাতে পড়ানো সম্ভব নয় এটা বলে পার পাওয়ার কোন উপায় নেই। খরচের সকল প্রকার ব্যবস্থা আমি কুসুমকলি স্কুল থেকে পেতে পারি।। ওখানকার শিক্ষিকা হওয়ার সুবাধে এটা সহজেই সম্ভব। এখন শুধু প্রধান শিক্ষিকা ফৌজিয়া ম্যামকে রাজি করাতে পারলেই হল। তবে হয়ত আরও অনেক নিয়মকানুন আছে যা নিয়ে তার সাথে বিস্তারিত আলাপেরও দরকার আছে। কালই উনার সাথে কথা বলবে এমনটাই মনস্থির করলো।

পরের সপ্তাহে রবিবারের দুপুর। আকাশে মেঘের আনাগোনা। সকাল থেকেই আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। নিশ্চয়ই কোথাও ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যায় হয়তো এক পশলা ঝড়বে, তারই পূর্ব প্রুস্তুতি এটা। তন্দ্রা লেগুনা স্ট্যান্ডে সুলতানদের দেখতে পেল।

মুড়িভাজা খাচ্ছে সবাই ভাগাভাগি করে। তন্দ্রা সুলতানকে ডেকে দেয়। জানতে চায় ওর মালিক কোথায়? সোজা ড্রাইভারের কাছে নিয়ে যায় ও। তন্দ্রা মালিকের সাথে দেখা করতে চাইলে ড্রাইভার জানায়, যা ব্যাপার সব তাকেই খুলে বলতে। সে-ই সুলতানের সবকিছু দেখাশোনা করে। মালিক শুধু টাকা জমা নেয়। তন্দ্রা জানাল, সুলতানসহ বাকিরা যদি একবেলা করে পড়ালেখা করার সুযোগ পেত তাহলে ওদের জন্য ভাল হত। ড্রাইভার বললো, ‘এটা কখনই সম্ভব না। ওরা পড়তে গেলে লেগুনার হেলপারগিরি কারা করবে? তখন স্কুলে পড়াতে যাবেন কেমনে আপা?’
তন্দ্রা বলে, সবাই একসাথে না গেলেও হয়, কেউ সকালে যাবে, কেউ বিকেলে। ড্রাইভার ওকে আরও হেলপার জোগাড় করে দিতে বললো। ও শেষবারের মত মালিকের সাথে দেখা করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ফিরে এল।

সকাল হতেই সাদা রঙের লেগুনাতে উঠে পড়লো সুলতান। আকাশী রঙের জামাটা বগলের নিচে ফাটা আর প্যান্টটা সাইজে অনেকটাই বড়। নাক দিয়ে পানি পড়ছে। সকালের গোসলের পানি একটু বেশিই ঠাণ্ডা ছিল মনে হয়। ওর ওস্তাদ প্রতিদিনের মত আজও সিগারেট ফুঁকছে। ওদিকে রাসেলরা সব একদিকে জটলা করেছে। গতকালের মুরিভাজাটা বেশ মজাই ছিল। রাসেল তো এক মুঠো মুড়ি আর এক হাতে সিগারেট ফুঁকে দেখাচ্ছিল ওর ওস্তাদ কিভাবে চা-সিগারেট খায়। সুলতানের লেগুনা দিয়াবাড়ি থেকে খালপাড় এসে পৌঁছল। ওখান থেকে তিনজন যাত্রী উঠেছে মাত্র। তবে এখনই গাড়িতে হুড়মুড় করে যাত্রীরা উঠবে। খালপাড়ের ব্রিজে আসার আগেই যাত্রীরা উঠতে থাকে। খালপাড় লেগুনা স্ট্যান্ডে পৌঁছে আর জায়গা খালি থাকে না গাড়িতে। এরপর ময়লার মোড়, বাজার পার হয়ে চৌরাস্তা; সব জায়গায় যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু সীট খালি নেই। ঘড়িতে সময় ৮ টা। সুলতানের পেটের বা পাশের নিচের দিকটায় ব্যথা করছে। একটা বনরুটি আর কলা জুটলো। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিল। আজকে ওস্তাদ চা-ও খাওয়াচ্ছে। চা খেতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে গেল। কার আগে কে খাবে? কিছুক্ষণ চ্যাঁচ্যাঁমিচির পর সবাই বেশ মজা করেই খেল। চা, বনরুটি খেয়ে বেশ চাঙ্গা লাগছে ওর। প্রতিদিনের মত আজও যাত্রীদের সাথে কখনো কথা কাটাকাটি, কখনো হাসি ঠাট্টা, কখনো ভাংতি নিয়ে দর কষাকষিতে সকাল, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হল।

হাউসবিল্ডিংয়ে মাস্কট প্লাজার সামনের রাস্তা থেকে বাঁ পাশে লেগুনাগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো আছে। একটার পর একটা লেগুনা ছেড়ে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরেই রাস্তার লাইটগুলো জ্বলে উঠবে। কিছুক্ষণ হল তন্দ্রা ওখানটায় এসেছে। সুলতানকে খুঁজে ফিরছে ওর সন্ধানী দুই চোখ। আজকে কাজে অনেক জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছে। ব্যাগ থেকে পানির বোতল নিয়ে কয়েক ঢোক খেয়ে নিল। সুলতানের লেগুনা এসে পৌঁছল। তন্দ্রা উঠে বসলো।
‘এই পিচ্চি, কি যেন নামটা তোমার? কিছু খেয়েছ? চলো, খালপাড় গিয়ে মুড়ি ভাজা খাই !!’
‘আইচ্ছা আপু, আপনে ওস্তাদরে বইলেন!’

বিকাল ৫.৩০। খালপাড় জামে মসজিদ। কিছুটা দূরে রাস্তার পাশের একটা দোকানে বসেছে তন্দ্রা আর সুলতান। চায়ের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ওরা মুড়ি ভাজা খাচ্ছে।

তন্দ্রা বললো, আচ্ছা, সুলতান, তুমি জানো ‘সুলতান’ মানে কি?
সুলতান বললো, না!
সুলতান মানে রাজা ! তোমার সুলতান হতে ইচ্ছে করে না?
আগে করত না, তয়, অখন করবো !
বেশ, এর জন্য তোমাকে অনেক পড়ালেখা করতে হবে। স্কুলে যেতে হবে। তুমি যাবে??
হ, যামু ! আপনে ওস্তাদরে রাজি করান। আপনের কতা হুনবো ?

দুজনের চা তৈরি। চায়ে হালকা একটা চুমুক দিয়ে সুলতান দেখে নিল কতটা গরম।
তন্দ্রা বললো, জানি না রে, তবে খুব চেষ্টা করবো। তোমার জন্য নতুন জামা কাপড়, বই খাতা, কলম সব কিনতে হবে। এরপর তোমার বন্ধুদের জন্যও কিনতে হবে।
আইচ্ছা আপা ! সবাই স্কুলে গেলে লেগুনা চলবো কি কইরা ?
সবাই যাবে না। রুটিন করবো। যাতে সবাই যেতে পারে। কার আগে কে যাবে এটা ওখানে লেখা থাকবে।
চায়ের কাপ এক হাতে রেখে আরেক হাতে থাকা বিস্কুটে কামড় বসালো । নোনতা বিস্কুট। মিষ্টি চায়ের সাথে খেতে বেশ লাগে।
লুটিন ? এইডা কি আপা ??
রোজনামচা । আগে তৈরি করে নিই। তারপর তোমাকে দেখাবো। জানো সুলতান, আমার ঠিক তোমার মত দেখতে একটা ছোট্ট ভাই ছিল, ‘তপু’
হে অখন কই, আপা?
হারিয়ে গেছে!!

চা মুড়ি শেষ করে তন্দ্রা ফিরে যাওয়ার পথে আবার ড্রাইভারের সাথে দেখা করলো। উপস্থিত হলেন মোহর আলি। তাকেও অনুনয় বিনয় করে বোঝনোর ব্যর্থ চেষ্টা করলো। বুঝলো শুধুই সময় নষ্ট করছে সে। এরা কোন কথাই শুনবে না। অন্য কোন উপায়ে চেষ্টা করতে হবে। এরপর মিসেস এনাকে নিয়েই হাজির হবে সে। ছোট্ট সুলতানের ক্লান্ত দু-চোখে তন্দ্রা তার ছোট তপুকে খুঁজে ফেরে প্রতিদিন।

আবার সুলতানের লেগুনা ছেড়ে দিল। হাউসবিল্ডিং থেকে আবার রওয়ানা হয়ে গাড়ি যতই খালপাড়ের দিকে এগুচ্ছে, সেখানকার সুউচ্চ অট্টালিকাগুলোও আকারে ছোট হয়ে আসছে। সেই সাথে কি স্তিমিত হয়ে আসছে সুলতানকে নিয়ে দেখা তন্দ্রার স্বপ্ন? কাল থেকে আবার সুলতানের লেগুনা ছেড়ে যাবে। সময়ের কাটাও এগিয়ে চলবে নিজের গতিতে। আর হয়তো একদিন সুলতানের রোজনামচায় আমূল পরিবর্তন আসবে!

উৎসর্গ: প্রয়াত স্কুলশিক্ষিকা রত্নাকে

The post সুলতানের রোজনামচা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%9a%e0%a6%be/

কিতাবুল হায়াত

সাইয়্যেদ তানভীর এনায়েত:

আমারে রাইখা দেও অপঠিত কিতাবের মতো
দুর্বোধ্য ভাষা যার অনুবাদও প্রায় অক্ষম
পাঠকপ্রিয়তা নাই, লেখকেরও নাই শুহরত
কোনো এক মাকতাবে যেইখানে আনাগোনা কম
আমারে কিতাব ভাইবা মুতালায় দেও যদি ধ্যান
ইবারতে পাইবা না সুরুর হইবে না শরহে সদর
বুঝবা না মতন শরাহ মনে হইবে বেমুফিদ জ্ঞান
এরচেয়ে রাইখা দেও ধুলাবালি পড়া বেকদর।

The post কিতাবুল হায়াত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a4/

কিশোরগঞ্জে দুইদিন : ভাটি অঞ্চলের জলজীবন

ইফতেখার জামিল:

অনেকদিন ধরেই কিশোরগঞ্জ যাবো ভাবছি। গতকয়েক বছরে কিশোরগঞ্জ হয়ে ওঠেছে হাওর-পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র। বর্ষায় বৃহত্তর ভাটি অঞ্চলে মেঘালয় পাহাড়ের পানি নেমে আসে, মৌসুমী বন্যায় প্লাবিত হয় বিস্তৃত নিন্মাঞ্চল। ধর্মীয় দিক থেকেও কিশোরগঞ্জ বিশেষ গুরুত্বের দাবী রাখে। প্রখ্যাত আলেম আতাহার আলীর বসবাস ছিল এই জেলাতে, জামিয়া ইমদাদিয়া ও নেজামে ইসলাম পার্টির সূচনা তার হাত ধরেই। কিশোরগঞ্জ যাওয়ার আরেকটি বড় উদ্দেশ্য সাহিবে দিল শফিকুল ইসলাম জালালাবাদীর সাথে সাক্ষাৎ।

কাফেলার সাথে : ভাটি অঞ্চলে

লালমাটিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুন আবদুল্লাহ কাসেমি সপ্তাহখানেক আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সফরে যেতে চাই।’ আগ্রহীদের যোগাযোগ করার কথাও বললেন। জল-জঙ্গলে ঘুরাঘুরির পাশাপাশি কাফেলা আঞ্চলিক ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোও যেয়ারত করবে। ইসলামে প্রাকৃতিক ও ধর্মীয় পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয় : ‘মানুষ চিনুক আল্লাহকে, জানুক তার নেয়ামত। ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক ভ্রমণে লাভ করুক শিক্ষা।’ ইমরান রাইহানের সূত্রে মামুন কাসেমির সাথে পরিচয়, তিনি তার মাদরাসাতেও একবার দাওয়াত করেছিলেন। ইমরান রাইহানই যোগাযোগ-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেন। আমরা কিশোরগঞ্জ যাবো এগারোই আগস্ট, রোজ বুধবার।

বাসা থেকে বের হলাম খুব সকালে, ফজরের পরপর। নাস্তা করবো কিনা ভাবছিলাম, শেষে ফুটপাথ থেকে মাঠা-ছানা কিনে খেলাম। ইমরান রাইহান ফোন ধরছিলেন না। আট-দশবার চেষ্টার পরে জানালেন, নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আধা ঘন্টার মধ্যে গাড়ি আসবে পলাশির মোড়ে। সাড়ে ছয়টার দিকে গাড়িতে উঠলাম। দশ সিটের হাইয়েস, যাত্রীসংখ্যা নয়জন। কিশোরগঞ্জে আমাদের সাথে যোগ দিবেন খোবাইব কাসেমি। বাকিদের কাউকেই চিনি না, বেলায়েতকে ফেসবুকে দেখেছি, লেখালেখি-সাংবাদিকতা করেন।

গাড়ি চলছে। চানখারপোল, ফ্লাইওভার, গুলিস্থান, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা ধরে ক্রমশ নরসিংদী রোডে। গাড়ির নয়জনের সবাই কওমি মাদরাসার। আমাদের কল্পনা-কাহিনীর জগত প্রায় এক। যেসব ঘটনা আমাদেরকে আলোড়িত করে, যেসব স্মৃতি ও ইতিহাস আমাদেরকে ছুঁয়ে যায়, সেগুলোতেও আছে বিশেষ মিল। আগে একটা সময় আমার মনে হত, আমাকে গোত্রীয় কল্পনা-কাহিনী থেকে বের হতে হবে, খুঁজতে হবে সার্বজনীনতার সন্ধান। ইদানীং বিভিন্ন গল্প-জীবনকথায় দেখি সবার অভিজ্ঞতাই আসলে গোত্রীয় সীমারেখায় পরিচালিত হয়।

জীবন কখনো সার্বজনীন হয় না। বিশেষ ঘটনা, গল্প, স্মৃতি ও কল্পনা থেকেই খুঁজে নিতে হয় পরমার্থ, দিব্যজ্ঞান। নিজস্বতা হারালে গল্পে মৌলিকতা থাকে না, থাকে না কাহিনীর আবেদন : আমি আমার জীবনের গল্পটাই বলতে পারবো। বলতে পারবো আমার জটিলতা, সংগ্রাম। আপনি হয়তো আমার জটিলতার সাথে আপনার সংগ্রামের মিল খুঁজবেন, সংগ্রহ করতে চাইবেন বিকল্প উপাদান। কাজটা আপনার; আপনার জীবনের গল্প ও ব্যাখ্যাটা আপনিই ভালো বলতে পারবেন, নিজের গল্পটা অন্য কারো জবানে-বয়ানে উঠে আসে না।

গাড়িতে আমরা বিভিন্ন বিষয়েই কথা বলছিলাম। মাদরাসা কবে খুলবে, সে নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। মামুন কাসেমি দেওবন্দের গল্প বলছিলেন, ‘ছয় বছরের ইলমি অভিযাত্রা : দাওরা, আদব, হাদিস, ইফতা। বাংলাদেশে এমন অভিজ্ঞতা খুবই বিরল। দেওবন্দে বাংলাদেশী পরিচয়ে বিশেষায়িত বিভাগগুলোতে পড়া প্রায় অসম্ভব। পরিচয় গোপন করতে হয়, এই কঠিন কাজটা অনেকেই করতে পারে না। ভাষাগত অদক্ষতা বা আচার-আচরণে ধরা খেয়ে যায়। আমি গম্ভীরতা ধরে রেখেছি সবসময়। উস্তাদদের ছেলেদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কেউ কেউ মনে করতেন, আমার বাবাও বোধহয় দেওবন্দের শিক্ষক।’

নিয়মিত গতিতে গাড়ি চলছিল। নরসিংদী ফলের জন্য বিখ্যাত। রাস্তার পাশে ফলবাজারের ব্যস্ততা। লটকন, পেয়ারা, আমড়া, আম। মৌসুম প্রায় শেষ, তবু রাস্তার পাশে কাঠালের বিশাল বিশাল স্তূপ। কিশোরগঞ্জ কয়েকভাবে যাওয়া যায়। টঙ্গী, তিনশো ফিট, ডেমরা ও সাইনবোর্ড। আমরা ধরেছিলাম ডেমরা রোড। জ্যাম পড়েনি একদম। রাস্তার প্রশস্ততা কম, চালক ও গাড়ির বিষয়টা ঠিক বলতে পারবো না। গাড়ি চলছিল ঘন্টায় পঞ্চাশ থেকে ষাট কিলো বেগে। গতি হওয়া উচিত ছিল ঘণ্টায় সত্তর থেকে আশি কিলোমিটার। যেতে যেতে দুপুর হয়ে যাবে।

রাস্তার পাশে আদিগন্ত ধানক্ষেত। বাতাসে দোলতে থাকা কাঁচা-পাকা ধানগাছে জুড়িয়ে আসে চোখ। আমরা কিশোরগঞ্জ পৌঁছলাম বারোটার দিকে। শহরের খানিকটা আগেই হাওরের শুরু। স্থানীয় রাহবার খোবাইব কাসেমিকে পিক করতে কিশোরগঞ্জ শহরে যেতে হবে। তিনি দাঁড়িয়ে আছেন বিখ্যাত গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে। গাড়িতে উঠে খোবাইব জানালেন, পয়তাল্লিশ মিনিটে যাওয়া যাবে নিকলি, দূরত্ব ছাব্বিশ-সাতাশ কিলোমিটার। আধা ঘণ্টা চলতেই রাস্তার দু পাশে দেখা মিলল আদিগন্ত জলরাশি। আমরা এগিয়ে যেতে লাগলাম, থামবো নিকলি বেড়িবাঁধের শেষমাথায়।

নিকলি হাওর : আদিগন্ত জলাধার

বেলা একটার দিকে নিকলি বেড়ীবাঁধের শেষপ্রান্তে পৌঁছলাম। দুই পাশে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল। প্রচণ্ড বাতাস। জলরাশির বিশালতায় আমরা মুগ্ধ, বিস্মিত। ঠিক হল জোহরের নামাজ পড়ে আমরা রওনা দিব। লকডাউন শেষ হয়েছে গতকাল, পর্যটনের ব্যস্ততা এখনো শুরু হয়নি। ট্রলার-চালকরা আমাদের ঘিরে ধরছিলেন। পর্যটক নেই, দীর্ঘ লকডাউন, মাঝিরা যাত্রী পেতে তাই অত্যন্ত মরিয়া। আবহাওয়া ভালো নয়, গত কয়েক বছর ধরে হাওরে নৌকাডুবির ঘটনা বাড়ছে। গতবছর শিক্ষা সফরে মারা যায় সতেরজন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক। তাই ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে নিচ্ছিলাম। অথই জলরাশিতে সাতার জানলেও বিশেষ লাভ হবে না। সমতলে পৌঁছতে পৌঁছতে লেগে যাবে ঘণ্টা পাঁচেক। আঠারো শো টাকায় সারাদিনের জন্য ট্রলার ঠিক করলাম।

আমরা প্রথমে যাবো ছাতিরচর, নিকলি থেকে পৌনে এক ঘণ্টা দূরত্বে ধনু নদীর তীরে অবস্থিত জল-জঙ্গল। শুরুতে সবাই লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিলাম। বৃষ্টি-বাতাসে হাওর এখন অশান্ত। প্রচণ্ড ঢেউয়ে ট্রলার দুলছে ছোট নৌকার মতো। সাধারণত ছোট-মাঝারি নদীতেও এত ঢেউ থাকে না। এমন বিশালতা-রুক্ষতাই হাওরের প্রধান বৈশিষ্ট্য। দশ মিনিটের মধ্যেই আমরা বিশাল সমুদ্রে গিয়ে পড়লাম, চারদিকে পানি আর পানি, বহুদূরে সমতলের রেখা দেখা যায়। কখনো সেটাও হারিয়ে যায় দূরদিগন্তে। ভাটিঅ ঞ্চলের মানুষরা বছরে তিন-চার মাস পানিবন্দি থাকেন। হাওর জনপদ হয়ে উঠে অত্যন্ত দুর্গম। কর্মহীন মানুষ অলসতায় মগ্ন হন গান-কবিতায়। গ্রামে গ্রামে বাউলগান-মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ভাটি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বাংলা গানের বিশেষ জনরা গড়ে উঠেছে, যেটি ভাটিয়ালি গান নামে পরিচিত।

বাউল শাহ আবদুল করিমের জবানে উঠে এসেছে এর বিবরণ :

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম।
বর্ষা যখন হইত,
গাজির গান আইত,
রংগে ঢংগে গাইত
আনন্দ পাইতাম
কে হবে মেম্বার,
কে বা সরকার
আমরা কি তার খবরও লইতাম
হায়রে আমরা কি তার খবরও লইতাম।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।

একাকী ও কাফেলাভুক্ত সফরের মধ্যে পার্থক্য অনেক। একাকী সফরে সাধারণত মনস্তাত্ত্বিক উপভোগের উপকরণ থাকে বেশী, মানুষ নিজের অতীত-ভবিষ্যতের সামনে এসে দাঁড়ায়। জীবনের মর্ম ও অর্থ নিয়ে প্রশ্ন করতে চায়। হয়তো সমুদ্র-নদীর বিশালতা, নিমগ্ন রাত বা নির্জন ভোরে সে খুঁজে পায় দিব্য ইশারা, বড় কাজের উৎসাহ। কাফেলাভুক্ত সফরে সামাজিক উপকরণ থাকে বেশী। অপরিচিত-আধা পরিচিত মানুষদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয়। মুখোমুখি হতে হয় বিভিন্ন জটিলতা-অনিশ্চয়তার। অপরিচিত বিশ্বাস, আচরণ ও গল্পে মুখ মেলাতে হয়। এটি অনেকের জন্য সহজ কাজ নয়। অনেক সিদ্ধান্ত-বিকল্প বাছাই করতে হয়, কীভাবে একমত ও দ্বিমত প্রকাশ করবেন, কীভাবে মিশবেন আরও দশজনের সাথে, কাফেলাভুক্ত সফরে এসব শেখা যায়। খরচও কমে আসে অনেক।

আমরা ত্রিশ-চল্লিশ মিনিটের মধ্যে ছাতির চর পৌঁছলাম। ধনু নদীর তীরবর্তী জল-জঙ্গল। হাঁটু পানিতে ডুবে আছে গাছের বাগান। দূর থেকে কম মনে হলেও কাছে গেলে বুঝা যায় গাছের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। লাইফ জ্যাকেট পরে নামলাম জলজঙ্গলে। হাতের ওপর ভর করে পানিতে ভাসতে ভাসতে ঘুরলাম জঙ্গলের ভেতরে। সবাই নদীতে গোসল করছে। জঙ্গলের ভেতরে তেমন কেউ নেই, অদ্ভুত রকমের নির্জনতা। একপাশে খাল, আরেকপাশে নদী, নদীর পরে দিগন্তবিস্তৃত হাওর। পানিরও নিজস্ব ঘ্রাণ আছে, টলটল শব্দ আছে। পানিতে পড়ে আছে সারিসারি গাছের প্রতিবিম্ব। ভাসতে ভাসতে কথা জমালাম ইমরান রাইহানের সাথে।

নৌকায় চা বিক্রি হচ্ছিল। পানিতে বসে চা খাবার আনন্দের কোন তুলনা হয় না। নদীতে নামলাম ভেসে ভেসে। জলজঙ্গল পরিষ্কার করার দোহাই দিয়ে প্রতি ট্রলার থেকে বিশ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। অংকটা বড় নয়, তবে এর কোন রকমের বৈধতা নেই। একটু দূরে বিক্রি হচ্ছে গ্রামীণ আখ। মামুন কাসেমি সবার জন্য আখ কিনলেন। মাঝি শুরু করলেন তাড়াহুড়া। আমরা ছাতিরচর থেকে যাবো অনেক দূরে, মিঠামইন। ছাতিরচর থেকে উঠতে মন চাচ্ছিল না। গোসলে এত আনন্দ পেয়েছি খুব কম জায়গায়। যাত্রাবিরতির ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমাদের ট্রলার আবার চলতে শুরু করল।

কাফুলাভুক্ত প্রত্যেক সফরেই অনেক রকম আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে। এটি কাফেলাভুক্ত সফরের বাড়তি প্রাপ্তি, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা-মতামত-সম্পর্ক বিনিময় ও বিনির্মিত হয়। আমরা কথা বলছিলাম ধর্মীয় সাংবাদিকতা নিয়ে। আমি দীর্ঘদিন ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরের দায়িত্বে ছিলাম। মামুন কাসেমি জানতে চাইলেন ধর্মীয় সাংবাদিকতার সম্ভাবনা-জটিলতা সম্পর্কে। আমি বলছিলাম, সবচেয়ে বড় জটিলতা হচ্ছে এখনো অর্থনৈতিক কাঠামো দাঁড় করানো যায়নি, পাশাপাশি পেশাদারিত্বের প্রতিও পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কর্মীদের সম্মানী ও দক্ষতা বাড়াতে জোর দেওয়া হয়নি, তাই শুধু বর্তমান নয়, ধর্মীয় সাংবাদিকতার ভবিষ্যতও অন্ধকার।

যারা কাজ করছেন, আওয়ার ইসলাম, ইনসাফ ও ফাতেহ, তারা কেউই সাংবাদিকতা করছে না। প্রেসরিলিজ-বিজ্ঞপ্তি-কপিপেস্টে শেষ করছেন সাংবাদিকতার কার্যক্রম। ফাতেহে কিছু চিন্তামূলক লেখা আসলেও প্রতিবেদন-অনুসন্ধান উঠে আসেনি তেমন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকিও অনেক, বিগব্রাদারের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছুই প্রকাশ করা যাবে না। পাশাপাশি আমাদের ধর্মীয় সমাজ অনেকক্ষেত্রে সাংবাদিকতা ও ফতোয়া বিভাগে পার্থক্য করত সক্ষম নয়। তারা সাংবাদিকদের থেকেও ফকিহের দূরদৃষ্টি-ধার্মিকতা আশা করেন। এসব কিছু মিলে সাংবাদিকতা জটিল হয়ে উঠেছে।

ট্রলার চলছে একটানা। আধা ঘণ্টার মধ্যে ট্রলারের মেশিন থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে লাগলো। বাড়তে লাগলো মেশিনের আওয়াজ। প্রথমে মাঝিরা অস্বীকার করতে চাইলেও মিনিট পনেরো পর স্বীকার করলেন ট্রলারের মেশিন ঠিকভাবে কাজ করছে না। আমি বাহিরের দিকে তাকালাম। বিস্তৃত জলরাশি। চারদিকে কোথাও সমতলের রেখা দেখা যাচ্ছে না। ভয় পেয়ে গেলাম সবাই। যদি মাঝহাওরে মেশিন বন্ধ হয়ে যায়, আমরা ফিরব কীভাবে ও কোথায়? মাঝি সিদ্ধান্ত নিলেন নিকলি ফিরবেন। ট্রলার আবার চলতে লাগলো আস্তে আস্তে। ক্রমশ সমতলের রেখা দেখা গেল। আমরা নামলাম সাড়ে চারটায়। এখন কী করবো, কী করা যায়?

‘দুলদুলন্ত হাওর’ : জলপথে মিঠামইন

দুপুরে কিছু খাওয়া হয়নি। কথা ছিল মিঠামইনে গিয়ে পেটপূজা করবো, হাওরের খাবারে ঋদ্ধ করবো স্মৃতি। এখন প্রায় বিকেল, কী করা যায় সে নিয়ে সবাই ভাবছিলেন। মিঠামইন যেতে যেতে রাত হয়ে যাবে। আমি জোর দিয়ে বললাম, বেলা অনেক হয়ে গেছে, নিকলিতেই ভারী খানার কাজ শেষ করতে হবে। মাত্রই শেষ হল লকডাউন, পর্যটন হোটেলগুলো ভালোভাবে খুলেনি। মিনিট কয়েক হেঁটে শুধুমাত্র একটি হোটেল খোলা পেলাম। দিনের শেষবেলা, ‘দুপুরের খাবার প্রায় শেষ’, হোটেলের ম্যানেজার বলছিলেন। আমাদের পেটে তীব্র ক্ষুধা, হোটেলে দেশীয় মাছ ছিল কয়েক পদের। চিংড়ি, চাপিলা, কয়েক পদের মাছ চিনতেও পারলাম না। শেষে নিলাম হাসের মাংশ। মোটামুটি বলা যায় হাওরের খাবারের স্বাদ পেয়ে গেলাম। নিকলি বাঁধে দাঁড়াতেই তীব্র বাতাস লাগলো শরীরে, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। মাঝি তাড়া দিচ্ছিলেন, ‘যেতে হবে অনেকদূরে।’

ট্রলারে উঠার দশ মিনিটের মধ্যে বুঝলাম পরিস্থিতি ভালো নয়। হাওর অশান্ত, ক্রমশ ঢেউ বাড়ছে। আগেই বলেছি, হাওর কোন নিরীহ জলাধার নয়। পদ্মা-মেঘনায় যেতে আপনার যেমন প্রস্তুতি লাগবে, হাওরেও তার কাছাকাছি নিরাপত্তাই গ্রহণ করতে হবে। ইউটিউবে ভ্রমণভ্লগগুলো দেখলেই বিষয়টা ধরতে পারবেন। আমাদের ট্রলারের অবস্থা যদিও এখনো এত খারাপ নয়, তবে দূরে দানা বেঁধে আছে তীব্র মেঘ, মিঠামইন যেতে লাগবে আরও ঘণ্টা দেড়েক, আমরা পড়ে যেতে পারি তীব্র স্রোতে। আমার ও ইমরান রাইহানের প্রস্তুতি ছিল, আমরা উভয়েই ঢাকা থেকে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে গেছিলাম। সকালের ট্রলারেও ছিল লাইফ জ্যাকেট। এখন, তাড়াহুড়ায় এই দিকে খেয়াল করা হয়নি। ট্রলার এগিয়ে যাচ্ছিল। শেষবিকেলের ফ্যাকাসে আলো, ফুঁসতে থাকা হাওর, আকাশে কালো মেঘ।

একটু দূরে যেতেই শুরু হল বজ্রপাত। চারদিকে কোন স্থাপনা না থাকায় মনে হচ্ছিল আশেপাশেই চমকাচ্ছে মেঘ, মচমচ করে ভেঙ্গে যাবার শব্দ আসে প্রথমে, পরে আলো ঝলকায়, সর্পিল আকারের ভয়ঙ্কর আলোয় চোখে ধাঁধা লেগে যায়। স্রোত কমে আসলেও বজ্রপাত কমছিল না কোনভাবেই। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে শত শত মানুষ মারা যায়, দুই হাজার ষোল সালে সরকার বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে। আমরা বসেছিলাম ট্রলারের ছাদে, কীভাবে এড়ানো যায় বজ্রাঘাত, সে নিয়ে গুগল করছিলাম। ছাদটা ছিল লোহার, তাই ভয় ছিল অনেক বেশী। একটা প্লাস্টিকের পাটিতে সবাই গোল হয়ে বসলাম। আমরা ভুলে গেছিলাম ট্রলারের নীচতলা ছিল কাঠের তৈরি, সুতরাং অনেক বেশী নিরাপদ। খোবাইব আমাদেরকে সান্ত্বনা দিতে চাইল, মাঝির থেকে আদায় করতে চাইল আশ্বাস। ‘চাচা, এদিকে বজ্রপাত কম হয়, তাই না?’ মাঝির উত্তরে আমাদের ভয় আরও বাড়ল, ‘দিনদশেক আগে কয়েকজন জেলে মারা গেছে বজ্রাঘাতে।’ আমরা কথা বলছিলাম, মাঝেমাঝে দোয়া পড়ছিলাম। ভাবছিলাম, কখন শেষ হবে অপেক্ষা, মিঠামইন কতদূর? পৌনে সাতটায় পৌঁছলাম সমতলে। নামতেই প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টি নামলো। হাওর অগ্নিমূর্তির আকার ধারণ করলো।

মিঠামইনের শেষমাথায় ছোট একটা দোকান। চা-সিগ্রেট-ঝাল ডাল-চানাচুর পাওয়া যায়। আমরা সবাই গুটিয়ে বসলাম দোকানের ভেতরে। কেউ কেউ চা খেল, কয়েকজন খেলাম কফি। দ্বিতীয়পর্যায়ে চলল চিপস ও ঝাল ডাল খাবার পালা। অন্ধকার নেমে গেছে আগেই, দোকানে হালকা পাওয়ারের লাইট জলছে। আমরা বসে আছি বিচ্ছিন্ন এক চরে, বৃষ্টি থামছে না, রাত বাড়ছে ক্রমশ। দোকানদাররাও সতর্ক করলেন, ‘এই বর্ষায় হাওরে ট্রলার চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’ সবার বয়স বিশের বেশী। ছোট বিপদে ভীত হবার মত নই কেউই, আমাদের দুইজনের আছে লাইফজ্যাকেট, তাই দুশ্চিন্তা কমে এসেছে অনেক। বৃষ্টিতে দোকানদার ঝাপ ফেলে দিলেন, গ্রামীণ দোকানে বসে আছি আমরা পাঁচ-সাতজন। দোকানিরা তিনজন, বাবা, ছেলে ও চাচা। আমরা এখন আছি রাষ্ট্রপতির এলাকায়। আমরা মেতে উঠলাম আড্ডায়, জানতে চাইলাম এলাকার ইতিহাস ও গল্প।

বৃষ্টি কমে আসলো আটটার দিকে। আমরা ট্রলারের ভেতরে গিয়ে বসলাম। ভেতরের কাঠামো কাঠের হওয়ায় বজ্রাঘাতের ভয় অনেক কম। অন্ধকারে বসে আছি দশজন মানুষ, ট্রলার এগিয়ে যাচ্ছে, বাইরে গা ছমছমে অন্ধকার, আশেপাশে মাইল পাঁচেকের মধ্যেও নেই কোন জনপদ। কেউ কেউ ঘুমানো শুরু করলো, সারাদিনে ধকল গেছে অনেক। আমি লাইফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে বাইরে এসে বসলাম, ট্রলারের অগ্রভাগে চেয়ার বসিয়ে শুরু করলাম গল্প। পাশে বসে আছে খোবাইব কাসেমি। আমাদের কিশোরগঞ্জের রাহবার। খোবাইবরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী, অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ নয়। নেত্রকোনায় তাদের নিজস্ব মাদরাসা আছে। ভাই-বোনদের বিয়ে হয়েছে কিশোরগঞ্জেই। বাবা কিশোরগঞ্জের প্রভাবশালী আলেম, হেফাজতের ঘটনায় এই বছর জেলেও ছিলেন কিছুদিন। বৃষ্টি-বজ্রপাত থেমে গেছে আগেই। আমরা হাওর-বাহিত নদী দিয়ে এগিয়ে চলছি। মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস, চারদিকে অদ্ভুত রকমের নীরবতা। খোবাইব আমাকে একে একে বলতে লাগলেন কিশোরগঞ্জের ইতিহাস, রাজনীতি ও ঐতিহ্যের কথা, টানাপোড়েন ও জটিলতা। সবকিছুই মায়াময় লাগছে, হাওর এখন শান্ত, ভাবছিলাম যদি সারারাত ট্রলারটা চলতে থাকতো!

‘মাঝি ও দোকানদার’ : ভাটি অঞ্চলের জলজীবন

হাওর শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, ভাটি অঞ্চলে বসবাস করে বিপুল পরিমাণ মানুষ। আমরা যারা সেসব অঞ্চলে ঘুরতে যাই, তারা কখনোই সেই মানুষদের কথা ভাবি না, কখনো জিজ্ঞাসা করি না তারা কেমন আছে, স্থানীয় অর্থনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ কতটুকু, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বাস্তবতাও বুঝার চেষ্টা করি না। আমার কাছে মনে হয়, স্থানীয় সংস্কৃতি ও জটিলতা জানাও পর্যটনের ধর্মীয় তাৎপর্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা শিক্ষাঅর্জনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণে উৎসাহিত করেছেন। আপনি যদি স্থানীয়দের সাথে কথা না বলেন, তাদের জীবন-জীবিকার কথা না জানতে চান, তবে কীভাবে প্রতিতুলনা করবেন, কীভাবে লাভ করবেন শিক্ষা?

আমরা স্থানীয় অনেকের সাথেই কথা বলতে চেষ্টা করি। এখানে দ্বিতীয় ট্রলারের মাঝি ও মিঠামইনের দোকানদারের বয়ান তুলে ধরতে চেষ্টা করবো। মাঝির নাম লাইল মিয়া, আগে কৃষিকাজ করতেন, করোনার প্রকোপে জীবন-জীবিকায় অন্ধকার দেখতে থাকেন, শালাসহ পঞ্চান্ন বছর বয়সে পেশা পরিবর্তন করেন। তার জমিন আছে অনেক, তবে পানি বাড়লে কিছুই করার থাকে না। নিকলিতে একশোর ওপরে ট্রলার আছে, মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় সবাই পেয়ে যান কাস্টমার। সেই হিসাব করলে প্রতিদিন গড়ে হাজার দুয়েক মানুষ নিকলিতে ঘুরতে আসেন। হাওরের পানি লিজ নিয়ে নেয় প্রভাবশালীরা, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাওরের পাশে বসেও লাইল মিয়ার মত সাধারণরা মাছ ধরতে পারেন না। মাটিতে মালিকানা থাকে, জলের ভোগান্তিও পোহাতে হয়, সুফলটুকু তারা পান না।

লাইল মিয়া জানালেন, তিনি স্থানীয় পীরের ওরসে যান, অষ্টগ্রামে আগামী সপ্তাহে বসবে মজমা, তিনি যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, সেই জটিলতাও আছে। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কেন দল পরিবর্তন করেন না? লাইল মিয়া এই বয়সে মতপরিবর্তন করতে চান না, ‘আমার গায়ে তো লেগে আছে দলীয় সাইনবোর্ড।’ লাইল মিয়া নিয়মিত নামাজ না পড়লেও স্ত্রীর কথায় ছোট দুই সন্তানকে দিয়েছেন মাদরাসায়, তারা থাকুক আল্লাহর রাস্তায়, শিখুক ধর্ম, এটাই লাইল মিয়ার আশা। জানালেন স্থানীয় ভাটিয়ালি সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, গান-কবিতা-মুরসিয়ার জলসায় মানুষের আগ্রহ অনেক কমে গেছে। লাইল মিয়ার দুই ছেলে ঢাকায় জুতার কারখানায় কাজ করে, মেয়ের জামাই দুইজন বিক্রি করে জুতা। দুই মেয়ের এখনো বিয়ে হয়নি। জিজ্ঞাসা করলে জানালেন, তারা পড়াশোনা করে না। ‘পড়াশোনার খরচ অনেক। স্কুলে যদিও টাকা লাগে না, সরকার বরং কিছু টাকা দেয়, তবে সেই টাকায় কোচিং এর খরচই উঠে না।’ লাইল মিয়া দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন, ‘অনেক কষ্টের মধ্যে আছি ভাই।’

দোকানদার সাব্বির মিয়া রাষ্ট্রপতির এলাকার লোক। ছেলেকে দিয়েছেন মাদরাসায়, তিনি স্ত্রীর কথায় নয়, ধর্মীয় আবেগ ও চেতনা থেকেই ছেলেকে পাঠিয়েছেন মাদরাসায়। গ্রামে ধর্মীয় শিক্ষার অবস্থা সুবিধার নয়, গরীব বলে ছেলেকে শহরেও পাঠাতে পারেন না। একসময় মাদরাসায় গরিবদের অপার সুযোগ ছিল, গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে এখন স্কুলের থেকে মাদরাসার খরচ বেশী। নিন্ম মধ্যবিত্তদের অনেকে এখন মাদরাসায় সন্তান দেবার সক্ষমতাও হারিয়েছেন। যেহেতু সমাজে চাহিদা আছে, তাই প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা এখন আর অবৈতনিক নয়। আপনি যদি সন্তানকে ভালো কোন মক্তব বা হেফজখানায় পড়াতে চান, তবে অনেকক্ষেত্রেই স্কুলের থেকে বেশী খরচ করতে হবে। আবাসিক মাশুল, খোরাকি ও বেতন—এই তিনে খরচ অনেক বেড়ে যায়। দোকানদারের ছোট ভাই স্কুলে পড়েন, সেভেনে, করোনায় পড়াশোনা বন্ধ করে দিছেন। দোকানের বয়স খুব বেশী দিন নয়, আগে করতেন কাঠের ব্যবসা, এখন দুই মাস আগে মুদি দোকান দিলেন। নামলেন নতুন ভাগ্যপরীক্ষায়।

ভাটি অঞ্চলের মানুষরা ভালো নেই। গুগল করে জানতে পারলাম হাওর লিজ দেওয়া আইনত নিষিদ্ধ হবার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে কৃষক-জেলেদের ঠকাচ্ছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ-প্রশাসনের লোকেরা।

সৈয়দ আবুল মকসুদ লেখেন:

‘হাওর লিজ দেন জেলা প্রশাসক, কিন্তু তাঁর মাথার ওপর থাকেন প্রভুর মতো এমপিরা। সুতরাং যেকোনো অন্যায় ও অপকর্মের দায় শুধু কর্মকর্তাদের ওপর চাপিয়ে রেহাই পাওয়া যাবে না। , , , জলমহাল ইজারা দেওয়ার যে নীতিমালা আছে, তাতে উন্মুক্ত হাওর লিজ দেওয়ার বিধান নেই, সে কথা ২৯ ধারায় বলা আছে। বঙ্গীয় ক্ষমতাবানেরা আইনের বিধান মানতে বাধ্য নন। , , , ক্ষমতাবানদের বুদ্ধির ঘাটতি আছে, সে কথা কোনো বেকুব ভোটারও মনে করেন না। বলা আছে, উন্মুক্ত জলাধার ইজারা দেওয়া যাবে না, কিন্তু যদি কোনো উন্মুক্ত জলাধারকে চারদিকে একটা বাঁধের মতো দিয়ে বদ্ধ জলাশয় বানানো যায়, তাহলে আইনও মানা হলো, ইজারাও নেওয়া গেল। এইভাবেই বাংলার নদ-নদীর পাড়, বালুচর, খাল-বিল, বনভূমি সব ক্ষমতাবানদের হাতে চলে যায়। , , , এমনিতেই তাঁদের বিপুল রোজগার এবং সুযোগ-সুবিধা সীমাহীন। জেলা প্রশাসক যখন হাওর লিজ দেন, তখন তাঁর তদন্ত করে দেখা উচিত যিনি লিজ চাইছেন, তিনি ও তাঁর পূর্বপুরুষ জেলে ছিলেন কি না? স্বাধীনতার আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো স্লোগান দিয়েছে, ‘জাল যার জলা তার’।’

জামেয়া ইমদাদিয়া, শহীদি ও পাগলা মসজিদ

ট্রলার থেকে নামলাম সোয়া নয়টার দিকে। এবার শহরে ফিরতে হবে। নিকলি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে খানিকটা দূরে, গ্রামের হিসেবে রাতও হয়েছে অনেক। চারদিকে ঝুম নীরবতা, অন্ধকার, আমাদের হাইয়েস এগিয়ে চলছে। চলছে খুচরা আড্ডা, হাসি-বিতর্ক। পৌনে এগারোটার দিকে আমরা খোবাইবের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছলাম। বাড়ি-ফার্নিচার দেখলেই বুঝা যায় পারিবারিক ইতিহাস, বনেদী ঐতিহ্য। খাবার খেয়ে গেলাম পাগলা মসজিদে, কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি অবস্থিত। নদীর পাশে বসে ঈসা খাঁর অধস্তন পুরুষ জিলকদর পাগল ইবাদত করতেন, সেই পাগলের ইবাদতের স্থানে মসজিদ নির্মিত হয়, কালক্রমে এর নাম হয়ে যায় পাগলা মসজিদ। এখনো, স্থানীয়রা পাগলের বরকতকে ভুলতে পারে না। অনেকে এখানে মান্নত করে, বিধর্মীদেরকেও এখানে দান করতে দেখা যায়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় লাখ খানেক টাকা এখানে জমা হয়। সব বিদআত এখনো নিয়ন্ত্রণ না করা গেলেও মসজিদটি এখন আলেমদের নেতৃত্বেই পরিচালিত, নিয়ন্ত্রণে জেলাপ্রশাসন। যেহেতু অর্থবৈভবের অভাব নেই, তাই মসজিদের অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে চোখধাঁধানোর মতোই।

এবার যাবো জামিয়া ইমদাদিয়ায়, কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন নেজামে ইসলাম পার্টির সাবেক সভাপতি আতহার আলী। প্রথমে এটি শহীদী মসজিদে একটি ছোট্ট মাদ্রাসা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নামানুসারে মাদ্রাসার নামকরণ করা হয়। আতাহার আলী শিক্ষাসমাপ্তির শেষে শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন, তবে তাঁর মধ্যে ছিল বিশেষ উচ্চাভিলাষ। থানবির নির্দেশে কিশোরগঞ্জের একাধিক জমিদারের দাওয়াত গ্রহণ করেন, জমিদারিতে ধর্মপ্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে বিশেষ কিছু শরিয়ত বিরোধী কাজে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন, জমিদারির এলাকা থেকে সরে আসেন। মুর্শিদের নির্দেশে কিশোরগঞ্জের একটি ছোট মসজিদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বুঝান, জনসাধারণের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। প্রতিষ্ঠিত হয় জামিয়া ইমদাদিয়া।

আমরা রাতে ঘুমাব জামেয়া ইমদাদিয়ার মেহমানখানায়। বিশাল হলরুম। দরজার ওপরে লেখা ‘খানকাহে আতহারিয়া ও মেহমানখানা’। মাদরাসায় আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানালো মুজিব হাসান। মুজিব ফাতেহে কিছুদিন কাজ করেছিল। মুজিবের মাধ্যমে মাদরাসার প্রভাবশালী শিক্ষক শুয়াইব আব্দুর রউফের সাথেও আমার ভালো পরিচয় আছে। তিনি আমাদের সময় দিবেন বলেছিলেন, তবে ইতিমধ্যে শুয়াইব সাহেবের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হল, তিনি সন্তানসম্ভবা। তিনি ফোনে দুঃখপ্রকাশ করলেন, পরদিন দুপুরের খানার দায়িত্ব নিলেন। শুয়াইব সাহেব আরবেও ছিলেন অনেকদিন, তাঁর হাত ধরে জামেয়া ইমদাদিয়ায় অনেক উন্নতি হয়েছে। শুধু জামেয়া ইমদাদিয়াই নয়, তাঁর হাত ধরে কিশোরগঞ্জে অনেক ধর্মীয় অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। মসজিদ-মাদরাসা-জনকল্যাণ। জামিয়া ইমদাদিয়া ও শহীদি মসজিদ এখন তাই নতুন ও পুরাতনের স্মৃতি বহন করে।

জামিয়া ইমদাদিয়ার সাথে কিশোরগঞ্জের প্রভাবশালীদের সম্পর্ক অনেক দ্বান্দ্বিক। মাওলানা আতাহার আলী মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা পোষণ করতেন, সংগ্রামের পরে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। জেল থেকে বের হয়ে নিজের প্রিয় মসজিদ-মাদরাসা ছেড়ে তিনি ময়মনসিংহ চলে যান, জামিয়া ইসলামিয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শেষজীবন কাটান সেখানেই, জামিয়া ইসলামিয়াতেই তাঁর কবর। ছেলে আযহার আলী আনোয়ার শাহকে রাজনীতিতে না জড়াতে অসিয়ত করে যান। আনোয়ার শাহ আগলে রাখেন জামিয়া ইমদাদিয়া, মাদরাসা পরিচালনায় জেলপ্রশাসনকেও যুক্ত করেন। যুক্ত হয় আওয়ামীলীগের নেতারাও। সর্বশেষ হেফাজতের মোদী বিরোধী আন্দোলনে জামিয়া ইমদাদিয়ার ছাত্ররাও অংশগ্রহণ করে, মিছিল থেকে আওয়ামি লীগের জেলা অফিসে আক্রমণ করা হয়। প্রভাবশালীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অনেক মসজিদ-মাদরাসার শিক্ষক-ইমামদের গ্রেফতার করে। কিশোরগঞ্জে প্রায় পঞ্চাশজনের মতো ইমামকে জেলে যেতে হয়। এত ঝড়ঝাপটার মধ্যেও রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে জামিয়া ইমদাদিয়া বিপর্যয় রেখে রক্ষা পায়। আমাদের সফরের সময়েও হেফজখানা চালু ছিল।

জামিয়া ইমদাদিয়ার পাশেই শহীদি মসজিদ। এখান থেকেই জামিয়া ইমদাদিয়া ও নেজামে ইসলাম পার্টির কার্যক্রম শুরু হয়। ঐতিহাসিক মসজিদটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। তাছাড়া দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান-ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান এই মসজিদের কাছেই অবস্থিত। দুইতলা ভবন বিশিষ্ট মসজিদটির উপরে রয়েছে ৫ তলা সমান সুউচ্চ বিশাল এক মিনার। মিনারটি নির্ধারিত ছিল আতাহার আলী রহ.- এর গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য। এখনো মিনারে সেই কথা লেখা আছে। কিশোরগঞ্জে একসময় হিন্দুরা অনেক প্রভাবশালী ছিল। একবার নামাজ চলাকালীন সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মসজিদের সামনে পূজা উৎসব পালন করা হয়, তাতে স্থানীয় মুসল্লিরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হিন্দুদের/ মতান্তরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় একজন মুসুল্লি। মসজিদের ভেতরে এখনো টিকে আছে অসংখ্য গুলির দাগ।

মসজিদের দুতলায় থাকেন শফিকুল ইসলাম জালালাবাদী। জামিয়া ইমদাদিয়ায় হাদিস পড়ানোর পাশাপাশি তিনি শহীদি মসজিদে মক্তবেরও দায়িত্বশীল। শাইখুল হাদিস মক্তবেও পড়াবেন, বাংলাদেশে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। দ্বিতীয়দিন বিকেলে আমরা তাঁর সাথে দেখা করতে যাই। দেশের সার্বিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করলেন, হাসিখুশি মানুষ, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। সবার কাছে দোয়া চাইলেন, ‘কতদিন বাঁচি জানি না, ঈমানের সাথে যেন কবরে যেতে পারি।’ জালালাবাদির বিষয়ে আরও বিশদে লেখার ইচ্ছা আছে। এই সফরে সেটা সম্ভব হয়ে উঠলো না। আগামিবার চেষ্টা করবো।

‘আফটার স্কুল মাকতাব : প্রাথমিক ধর্মশিক্ষায় নতুন প্রয়াস’

ফজরের পর আমরা একটা বিশেষায়িত মক্তবে গেলাম। কিশোরগঞ্জের তরুণ আলেম আবদুল কাইয়ুম দেখছিলেন দেশে প্রচলিত মক্তব বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। সাধারণ পড়াশোনার চাপে ছাত্ররা কুরআন শিখতে পারছে না, হালাল-হারাম-দোয়া-কালাম জানছে না। তাই তিনি দুই হাজার নয় সালে আফটার স্কুল মুনাজ্জাম মাকতাব নামে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষার কার্যক্রম শুরু করেন। একই উদ্দেশ্যে তিনি ভারত ও শ্রীলংকায় সফর করেন, গবেষণা-চর্চার আলোকে নিজস্ব বিশেষ সিলেবাস দাঁড় করাতে সক্ষম হন।

আফটার স্কুল মুনাজ্জাম মাকতাবে কায়েদা-কুরআন-আকিদা-হাদিস-মাসায়েল-দোয়া শেখানো হয়। প্রতিদিন মাত্র এক ঘণ্টা সময়ে ছাত্ররা শিখে নেয় এই পাঁচ বিষয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে কেউ চাইলে হেফজও পড়তে পারে। কিশোরগঞ্জে তাদের দশটি শাখা আছে। এর মধ্যে আমরা তিনটি শাখায় যাই। ছাত্রদের কুরআন তিলাওয়াত সন্তোষজনক। প্রধান শাখায় চৌদ্দজনের মতো হেফজ পড়ছে। আমরা কয়েকজনকে পড়া জিজ্ঞাসা করলাম, মুখস্তের মানও খুব একটা খারাপ নয়। উদ্যোগটি অভিভূত হবার মতোই।

উদ্যোক্তা আবদুল কাইয়ুম জানালেন, তারা সারা দেশেই আফটার স্কুল মুনাজ্জাম মাকতাব চালু করতে চাচ্ছেন। জেলায় জেলায় সফর করছেন, ইমাম-খতিব-মুহতামিমদের সাথে বসছেন। কেউ চাইলে তাদের সিলেবাস-সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে। পোস্টার-বিলবোর্ড থেকে শুরু করে সবকিছুই তারা তৈরি করে রেখেছেন। তাদের ব্র্যান্ডনেম ও প্রোডাক্ট ব্যবহার করে খুব দ্রুত আফটার স্কুল মাকতাব চালু করা সম্ভব। তারা শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রেখেছেন, ‘এই উদ্যোগে শিক্ষক অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন, ফলে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।’ শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য সাপ্তাহিক হামদ-নাত চর্চা ও গল্পের আসরের পর্বও রেখেছেন। যুবক বয়সী মাওলানা আবদুল কাইয়ুমের ব্যক্তিত্ব-ব্যবহারও মুগ্ধ হবার মতো, কিশোরগঞ্জে তরুণদের সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।

ফিরে আসি : অসমাপ্ত সফর

আফটার স্কুল মাকতাব পরিদর্শন শেষে আমরা খোবাইবের বোনের বাসায় নাস্তা করলাম। ঘণ্টা খানেক লেগে গেল। এবার যাবো বালিখলা, কিশোরগঞ্জ শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে। মাথার ওপর প্রচণ্ড রোদ। ইচ্ছে ছিল আজকেও গোসল করবো, তাপের তীব্রতায় সকল উৎসাহ হারিয়ে ফেললাম। চারদিকে বালি, রুক্ষ পরিবেশ। রোদের প্রচণ্ডতায় আমরা কখন বালিখোলা ছাড়বো, সেটা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে গেলাম। বালিখলা থেকে গেলাম ঈসা খাঁর জঙ্গলবাড়ি। মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁ ছিলেন বাংলার বার ভূঁইয়াদের প্রধান। জঙ্গলবাড়ি প্রকৃতপক্ষে ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল।কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলাধীন কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে নরসুন্দা নদীর তীরে দুর্গটির অবস্থান।

দুর্গটির এখন বেহালদশা, পাশেই একটি প্রাচীন মসজিদ। বাকি স্থাপত্যগুলো সংরক্ষণের কেউ নেই। কয়েকটি স্থাপত্য দখল করে রেখেছে স্থানীয়রা। আমরা ঢুকতে গিয়ে দেখলাম জেনানা মহলে এসে পড়েছি। অনেকগুলো বাড়ি এখনো টিকে আছে, প্রধান ঘরটিকে কেউ গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার করছে। এভাবে অযত্নে-অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁর স্মৃতিচিহ্নগুলো। ইমরান রাইহান বলছিলেন, ভাবতে পারেন ঈসা খাঁ ভরা বর্ষায় মানসিংহের মোঘল বাহিনীকে হাওরের দুর্গম অঞ্চলে যুদ্ধ করতে বাধ্য করছিলেন। দিল্লীর যোদ্ধাদের জন্য সে ছিল এক অসম্ভব পরীক্ষা এবং সে পরীক্ষায় তারা পরাজিত হন।

শহরে ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে গেল। মুজিব জানালেন শুয়াইব সাহেব আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন, শহরের কোন অভিজাত হোটেলে মুজিব আমাদেরকে খাওয়াতে চায়। আজকেই হোটেল খুলেছে, বিকেল বলে খানা প্রায় শেষ। এখানে আমাদের সাথে এসে যোগ দিলেন কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান তানভীর এনায়েত। তিনি এসেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আমাদের হাসাতে লাগলেন। হোটেলে খানা পেতে পেতে ও খেতে খেতে অনেক দেরী হয়ে গেল। এখন আসর পড়বো। আসর বাদ রওনা দিব ঢাকার উদ্দেশ্য, সেই চিরচেনা ঠিকানায়।

The post কিশোরগঞ্জে দুইদিন : ভাটি অঞ্চলের জলজীবন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a6%97%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%87%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%85/