Monday, October 31, 2022

রফতানি ছাড়া বিদেশ থেকে আসা সব ডলারের দরই ১০৭ টাকা

ফাতেহ ডেস্ক:

এতদিন বিদেশে যাওয়া চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ব্যাংকার, নার্সসহ উচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে বিনিময় রফতানি বিলের সমান হারে অর্থাৎ ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা (প্রতি ডলার) দিচ্ছিল ব্যাংকগুলো। কিন্তু এখন থেকে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উচ্চ আয়ের প্রবাসী পেশাজীবীদের পাঠানো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ১০৭ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো আপাতত রেমিট্যান্স আহরণ বাবদ কোনও চার্জ বা মাশুলও নেবে না।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের মধ্যে সোমবার হঠাৎ করেই এ বৈঠক ডাকা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী ছাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, ব্যাংকগুলোর পক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ।

ব্যাংকাররা জানান, এতদিন উচ্চ আয়ের পেশাজীবীরা দেশে প্রবাসী আয় পাঠালে ডলারের দাম পেতেন রফতানি আয়ের জন্য নির্ধারিত দরের সমান, ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। এতে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছিলেন। এ কারণে তাদের জন্য ডলারের দাম বাড়িয়ে ১০৭ টাকা করা হয়েছে।

The post রফতানি ছাড়া বিদেশ থেকে আসা সব ডলারের দরই ১০৭ টাকা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%86/

কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রসারণ এবং উলামা মাশায়েখ সম্মেলনের ডাক হেফাজতের

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সোমবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় কারাবন্দি আলেম-ওলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। এ দাবিতে এবং বিগত ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তার বরাবরে চিঠি দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর কমিটির আকার বাড়ানো হয়। গঠন করা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর আহ্বায়ক কমিটি। এছাড়া সারাদেশে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামকে সুসংগঠিত করতে মহাসচিবের নেতৃত্বে আরো একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সকাল ১০টায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেইসাথে হেফাজতে ইসলামের করণীয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। এসব বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করতে সকাল ১০টায় হেফাজতের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে কয়েক ঘণ্টা পর রহস্যজনক কারণে সেই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। বেলা ২টায় হাটহাজারীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রাতে বৈঠকের বিষয়ে প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভার কিছু সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলিল, মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবাহানী, মুফতি কিফায়েতুল্লাহ আজহারী, সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, মাওলানা রাশেদ বিন নূর।

বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহনগর কমিটি সম্প্রসারণ এবং পুনঃবিন্যাস করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী ও কেন্দ্রীয় দাওয়া সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানীকে যুগ্মসচিব করা হয়। এছাড়াও মুফতী কিফায়েতুল্লাহ আযহারীকে প্রচার সম্পাদক ও মাওলানা রাশেদ বিন নূরকে দফতর সম্পাদক করা হয়। অন্যদিকে মাওলানা তাজুল ইসলামকে আহবায়ক এবং মাওলানা লোকমান হাকিমকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

বৈঠকে ব্যক্তি উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ের যেকোন কাজে হেফাজতের পদ পদবী ব্যবহার না করার জন্য আমিরে হেফাজত সকল দায়িত্বশীলদের সতর্ক করেন। সারাদেশে জেলা কমিটি গঠন করার জন্য মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়। এতে আরো আছেন মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও মুফতী কিফায়েতুল্লাহ আজহারী।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা- মুফতী আরশাদ রহমানী, মাওলানা আবদুল বাসির (সুনামগঞ্জ), মাওলানা শাহাদত হোসেন রাঙ্গুনিয়া, মাওলানা খোবাইব, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আবদুল কাদের (আমলাপারা), মাওলানা ইউনুস (রংপুর), মাওলানা শওকত হোসেন সরকার (নরসিংদী), মাওলানা সাঈদ নূর (মানিকগঞ্জ), মাওলানা আকরাম আলী (ফরিদপুর), মাওলানা হেলাল উদ্দিন (ফরিদপুর), ড. নুরুল আবসার আজহারী, মাওলানা তৈয়ব হালীম, মুফতী মাসুদুল করীম, মাওলানা নূরুর রহমান বেগ (বরিশাল), মাওলানা নিজামদ্দীন (নোয়াখালী), মাওলানা আবদুল মা’বুদ (বাগেরহাট), মাওলানা মুসলিম (কক্সবাজার), মাওলানা বোরহান উদ্দীন কাসেমী (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আনওয়ার চকরীয়া, মাওলানা কেফায়েতউল্লাহ (টেকনাফ), মাওলানা ইয়াহহিয়া (নাজিরহাট), মাওলানা শাসমুল ইসলাম জিলানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ (পোরশা), মাওলানা শরিফ (ঠাকুরগাঁও), মাওলানা তাফহিমুল হক (হবিগঞ্জ), মাওলানা জুনাইদ বিন ইয়াহিয়া, মাওলানা রাশেদ বিন নূর।

ঢাকা মহানগর কমিটিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- মাওলানা মুহাম্মদ ফারুক (মুহতামীম, লালমাটিয়া মাদরাসা), মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ (সাভার), মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা ওয়াহিদুর রহমান (পীরজঙ্গি মাদরাসা), মাওলানা যুবায়ের আহমদ (ওয়াহেদীয়া মাদরাসা, মোহাম্মদপুর), মাওলানা জসীমউদ্দীন (খতীব, চকবাজার ছোট মসজিদ), মুফতী জুবায়ের রশিদ (খতীব, দুদক জামে মসজিদ)।

চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি- আহবায়ক মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা ফোরকানুউল্লাহ খলীল, মাওলানা আলী ওসমান, মাওলানা হারুন, মাওলানা মুনীর উদ্দিন, মাওলানা ইয়াসিন, মাওলানা হাসান মুরাদাবাদী, মুফতি শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আনোয়ার রব্বানী, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ, মাওলানা সায়েমুল্লাহ, মাওলানা ফয়সাল বিন তাজুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, মাওলানা জয়নাল কুতুবী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা মানজুরুল কাদের।

The post কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রসারণ এবং উলামা মাশায়েখ সম্মেলনের ডাক হেফাজতের appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%be/

বেআইনিভাবে ধর্মঘট ডাকলে বা সমর্থন দিলে জেল-জরিমানা

ফাতেহ ডেস্ক:

‘অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা আইন, ২০২২’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়া আইনে বেআইনিভাবে অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘটে ডাকলে বা সমর্থন দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মন্ত্রিসভা এই আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল। খসড়াটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে সংসদে যাবে। এরপর গেজেট আকারে এটি জারি করবে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটিতে ১৪টি ধারা আছে। ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে সরকার কোন বিষয়গুলোকে অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা হিসেবে ঘোষণা করবে। ৫ ধারায় বলা হয়েছে কিছু চাকরিতে কর্মরতদের নির্দিষ্ট এলাকা ত্যাগ না করার ক্ষমতা, আরেক ধারায় বলা হয়েছে ধর্মঘট, লকডাউন বা লে-অফ নিষিদ্ধ করার কথা। অনেক সময় শিল্প প্রতিষ্ঠানে লে-অফ বা নক আউট করা হয়। সরকার যদি মনে করে এগুলো জাস্টিফায়েড না তাহলে এগুলো নিষিদ্ধ করতে পারবে।

‘যে সেবাগুলোকে সরকার মনে করবে অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা সেগুলোর নাম ঘোষণা করা যাবে। কয়েকটি সেবার নাম এখানে উল্লেখ করা আছে। যেমন ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ই-কমার্স, ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল সেবা। সরকার মনে করে এই সেবাগুলো যখন খুশি তখন বন্ধ করে দিতে পারবে না।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল আর্থিক সেবা যেমন মোবাইল আর্থিক সেবা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন এবং এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে গ্যাস ও কয়লা। এগুলো অত্যাবশ্যক সেবা। এগুলোর বিষয়ে যদি কোনো অচলাবস্থা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে সরকার ইন্টারফেয়ার করতে পারবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কল্যাণে সরকার যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবে পরিচালিত হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্থল, জল, রেল ও আকাশপথের যাত্রী বা পণ্য সেবাও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বলে পরিচিত হবে। স্থল, সমুদ্র, নদী বা বিমানবন্দরের পণ্য খালাস, সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনায় কোনো প্রতিষ্ঠান বা এ সংক্রান্ত পরিষেবা। এর বাইরেও সরকার মনে করলে যে কোনো সেবাকে অত্যবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করতে পারবে। কোনো কারণে বাস বা ট্রাক চলাচলে কেউ হরতল করলো তখন সরকার এখানে ইয়ে.. (পদক্ষেপ নিতে) করতে পারবে। এটি অমান্য করলে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘যদি কেউ এ জাতীয় অপরাধ করে তাহলে সাধারণ ভাবে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আবার বেআইনি ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য যদি সমর্থন দেয় তাহলে এক বছরের কারাদণ্ড ও অনূধ্র্ব ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অনেকগুলো অপরাধের কথা এখানে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি বেআইনি লেআউট চালু করে সেক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৬ মাস জেল ও অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা দুটোই করা যাবে। কেউ যদি প্ররোচনা দেয় তাহলে মূল অপরাধে যে শাস্তি সেই শাস্তিই পাবে। বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে যদি সরকারি কোনো অফিস হয়। যেমন কোনো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এমডি যদি লেঅফ ঘোষণা করেন তাহলে এর বাইরেও ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং হবে।’

The post বেআইনিভাবে ধর্মঘট ডাকলে বা সমর্থন দিলে জেল-জরিমানা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%98%e0%a6%9f-%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%87/

ইসলামি বইমেলা: পরিধি বাড়ানোর বিকল্প নেই

রাকিবুল হাসান নাঈম:

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে জমে উঠেছে মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলা। পবিত্র রবিউল আওয়াল মাস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও মেলার আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই বিক্রি কেন্দ্র, রাহনুমা প্রকাশনী, বই ঘর, সমকালীন প্রকাশন, কালান্তর প্রকাশনী, চেতনা প্রকাশন, মাকতাবাতুল ফোরকান, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, সালসাবীল পাবলিকেশন্স, ইত্তেহাদ পাবলিকেশন্স, রফরফ প্রকাশনীসহ ৬৪টি স্টল রয়েছে। এ বছরই প্রথম ‘লেখক কর্নার’ চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

মেলায় আসা প্রকাশক এবং পাঠকরা বলছেন, এবারের মেলা অন্যবারের তুলনায় বেশি জমে উঠেছে। প্রকাশিত হচ্ছে অনেক নতুন বই। তবে মেলার পরিধি খুব ছোট হবার কারণে বইকেন্দ্রীক অনেক আয়োজন সু্ষ্ঠুভাবে করা যাচ্ছে না। তারা জোর দাবি জানিয়েছেন, মেলার পরিধি বাড়ানোর।

পাঠকদের উপচে পড়া ভিড়

মেলা পুরো জমে উঠেছে। প্রায়শই মেলায় যাচ্ছেন প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার, লেখক, শিল্পী ও ওয়ায়েজগণ। তারা পাঠকদের বই পড়তে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করছেন। বই সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা যেদিন মেলায় যাচ্ছেন, সেদিন বাঁধ ভেঙে পড়ছে পাঠকদের।

বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন জাগ্রত কবি মুহিব খান। মেলার এক ফাঁকে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, দেশের ৯৫ শতাংশ নাগরিক মুসলমান। সুতরাং এই বইমেলা দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণের। এখানে সবাইকে আসতে হবে। এটাকে ইসলামিক বলে ক্ষুদ্র একটি গণ্ডিতে যদি কেউ আবদ্ধ করতে চায়, তা ঠিক হবে না। আমি বলি, এখানে কেবল মুসলমানরাই আসবে তা নয়, বরং এখানে অমুসলিমরাও আসুক। তারাও এসে দেখুক ইসলাম নিয়ে কী কাজ হচ্ছে, তারাও পড়ুক। আর মেলাটা তো আমাদের। আমাদের প্রখ্যাত ব্যক্তিদেরও উচিত, নিয়মিত মেলায় আসা। এতে জনগণের আগ্রহ বাড়বে। এই আগ্রহ তাদেরকে বই কেনায় উদ্বুব্ধ করবে।

এবারের মেলায় পাঠকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাড়তি ছাড়ে বই বিক্রি করছে স্টলগুলো। অনেক স্টল সৌজন্য উপহারও প্রদান করছে পাঠকদের। অনেকেই আবার আয়োজন করেছেন সিরাত কুইজ প্রতিযোগিতার। নতুন বই এলে তার মোড়ক উন্মোচন করা হচ্ছে বাইতুল মোকারমের সেহানে। মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে পাঠকদের দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ছাড় এবং উপহার।

মেলাপ্রাঙ্গনে রাহনুমার বই দেখতে দেখতে আইইউটির প্রফেসর ড. এম আব্দুল আজিজ বলেন, বইমেলার আসার আগে ভাবছিলাম, দেশের মুসলিম জনগণের কাছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হলো একটা ইসলামিক ইনস্টিটিউট। তারা ইসলাম নিয়ে কাজ করে, গবেষণা করে, বইপত্র প্রকাশ করে। সে হিসেবে এই বইমেলায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটা ব্যাপক সমাগম থাকবে। সেটা দেখার জন্যই এলাম। আমি ইসলামি বইমেলায় এসে প্রকৃতপক্ষে আনন্দিত। কারণ, আগের বছরগুলোতে এতটা সাড়া দেখিনি। এবার এসে দেখি উপেচে পড়া ভীড়। এখানে একটা জিনিস প্রমাণিত হলো, দেশে ইসলামি বই এবং এর বাজারের একটা চাহিদা আছে। আমি মনে করি, এটা আমাদের অত্যন্ত ইতিবাচক। এই বইমেলা বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং মুসলিম আকাঙ্খার সাথে অত্যন্ত মানানসই।

আসছে নতুন বই

মেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে নতুন নতুন বই। এই নতুন বইগুলো মেলার প্রতি পাঠকদের আগ্রহী করে তুলছেন বলে মনে করেন প্রকাশকরা। তারা আশা করছেন, এখন হয়তো কয়েকটি প্রকাশনী বই প্রকাশ করছে। সামনে ইসলামি বইমেলায় যদি প্রকাশনা বাড়ে , তাহলে পাঠকরা আরও বেশি আগ্রহী হবে।

এবার মেলায় রাহনুমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি বই, আরও একটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স দুইটি, মুহাম্মদ পাবলিকেশন প্রকাশ করেছে চারটি বই, আরও বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। চেতনা প্রকাশন প্রকাশ করেছে চারটি বই। এছাড়াও বই প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আজহার, মাকতাবাতুল আসলাফ, ইত্তেহাদ, কালান্তর, সমকালীন এবং সিয়ানসহ আরও অনেক প্রকাশনী।

বইপ্রকাশ প্রসঙ্গে কথা হয় মাওলানা যাইনুল আবিদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, একটা অভিযোগ আছে মানুষ বই কিনছে, কিন্তু পড়ছে না। অভিযোগ শুনে হতাশ হলে চলবে না। আমি মনে করি, এই যে বই কিনছে মানুষ, সে যদি বইটা এখন না পড়ে, সে উপকৃত হবে না। কিন্তু তার পরবর্তী প্রজন্মের কেউ না কেউ বইটা পড়বে। কিংবা বইগুলো আখেরে কোথায় যায়। সারাজীবন তো অপঠিত থেকে যায় না। হয়তো কোনো লাইব্রেরীতে যায়। সেখানেও কিন্তু পঠিত হয়। সুতরাং, বই বেচাবিক্রি এবং কেনাকাটার একটা সুদূরপ্রসারী লাভ আছে। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে মানুষকে বই পড়ানোর।’

চেষ্টাটা কেমন হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসলামি বইমেলার প্রকাশকরা যদি সম্মিলিত পরিকল্পনা করেন, সেটা সম্ভব হতে পারে। যেমন সবাই মিলে ঘোষণা দিল, যারা আগামী বছর এই দুইশ বই পড়তে পারবে, তাদেরকে আগামী বইমেলায় প্রকাশিত সবকটি বই উপহার দেয়া হবে, তাহলে তরুণরাও কিন্তু চেষ্টা করবে। একজন প্রকাশক হয়তো সবগুলো বই দিতে পারবেন না। কিন্তু সবাই মিলে যদি করে, তাহলে বিষয়টি সহজ হবে। এছাড়াও বইয়ের রিভিউ, বই থেকে প্রশ্ন নিয়ে যদি বিভিন্ন ইভেন্ট করা যায়, যেখানে পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকে, তাহলেও মানুষ উদ্বুব্ধ হবে।

প্রখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলেম মাওলানা গজি সানাউল্লাহ রাহমানি বলেন, বইমেলায় অনেক বই প্রকাশ হচ্ছে। বিষয়টি আনন্দের। কিন্তু এই উৎসব আনন্দের মাঝেও আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে, কয়টা মানসম্মত বেই বের হচ্ছে। বই যদি মানসম্মত না হয়, তা টিকে থাকবে না। মানসম্মত হলে টিকে থাকবে।

মেলার পরিধি বাড়ানোর দাবি

ইসলামি বইমেলা যেভাবে জমে উঠেছে, তাতে মেলার জায়গায় সংকুলান হচ্ছে না পাঠকদের। এই প্রেক্ষিতে মেলার পরিধি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আলেমরা। তারা বলছেন, কোটি মানুষের বসবাসের এই শহরে এতটুকু জায়গায় মেলা অত্যন্ত বেমানান।

মেলা পরিদর্শন শেষে দেশের বিখ্যাত দাঈ আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বছরে দুইবার মেলা করে। এই মেলা যেভাবে জমজমাট হয়ে উঠছে, তাতে আমাদের দাবি হলো, মেলার পরিধি বাড়ানো। বাইতুল মোকাররমের পশ্চিম দিকের যে পথ, সেটা যদি মেলার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে আরও অনেক স্টল আমরা বসাতে পারবো। এই দাবি বাস্তবায়নে প্রমাণ দেখাতে পাঠকদেরও। পাঠকদের উচিত, বেশি বেশি মেলায় এসে একথা প্রমাণ করে দেয়া, এতটুকু জায়গা আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় আলেম লেখক ও গবেষক ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইনের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘মেলা মানেই নতুন কিছু। ইসলামি বইমেলায় এখন নতুন অনেক বই প্রকাশ হয়। সেখানে গিয়ে এখন নতুন নতুন বই দেখে কেনা যায়। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। কিন্তু যে বিষয়টা আমাদেরকে পীড়া দেয়, তা হলো জায়গার সংকট। পাঠকরা আসে, বই দেখে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বইমেলায় যেসব কার্যক্রম চলে, ঠিকমতো সেসব করা যায় না। বিখ্যাত কোনো লেখক এলে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। জায়গার সংকটের কারণে দোকানদারদের বেগ পোহাতে হয়। জায়গা সংকটে বড় লেখকমঞ্চ করা যায় না, যেখানে আমাদের লেখকরা বসে কথা বলবেন। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে দাবি, তারা যেন মেলার পরিধি বাড়ায়। মসজিদের আশপাশে অনেক জায়গা আছে। সেগুলো মেলার জন্য ছেড়ে দিলে আরও অনেক স্টল বসানো যাবে।

মেলায় এবার ড. এনায়াতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবের নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মোড়ক উন্মোচনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বইমেলা হচ্ছে। কিন্তু এই বইমেলায় যেভাবে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা দরকার, তা নেই। মিডিয়ায় প্রচার নেই। এই আচরণকে তিনি বিমাতাসুলভ আচরণ বলেও অভিহিত করেন।

একটি সমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, ইসলামি বইমেলার পরিধি বৃদ্ধি, বইমেলাকে আরও গোছানো, আরও সমৃদ্ধকরণ ইত্যাদি বিষয়ে মেলার পরপরই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে বাংলাবাজারের ইসলামি প্রকাশনীগুলোর বসবার কথা রয়েছে। ফাউন্ডেশনের ডিজি মহোদয়ও বসার সম্মতি দিয়েছেন।

The post ইসলামি বইমেলা: পরিধি বাড়ানোর বিকল্প নেই appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be/

Sunday, October 30, 2022

মাহফিলের স্টেজ: গাইরে আলেমদের ঔদ্ধত্যে ক্ষুব্ধ আলেমসমাজ

মুনশী নাঈম:

প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মুফতী আরিফ বিন হাবীবের গঠনমূলক বয়ানের অসম্মানজনকভাবে বিরোধিতা করে নিকৃষ্ট উদাহরণ তৈরী করলেন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব) আক্তারুজ্জামান রঞ্জন। মাহফিলের স্টেজে দাঁড়িয়েই তিনি মাওলানার বক্তব্য নিয়ে মুসল্লিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে উত্তেজিত মুসল্লিরা তাকে জুতা নিক্ষেপ করে । শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের গচিহাটা কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ৪১ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় মুফতী আরিফ বিন হাবীব পবিত্র কুরআন ও সহিহ্ হাদিসের প্রমাণ দিয়ে কিছু জাল হাদিস এবং বহুল প্রসিদ্ধ কিছু ভুল তথ্য নিয়ে গঠনমূলক বয়ান করেন মাহফিলে। বয়ান শেষে সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান রঞ্জন মাইক হাতে নিয়ে অসম্মানজনকভাবে এই বয়ানের বিষয়ে আপত্তি তোলেন। একপর্যায়ে উপস্থিত জনতা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা নিক্ষেপ করা শুরু করেন।

দেশে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেনি। প্রায়শই বিভিন্ন মাহফিলে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্তৃক বক্তাকে অপমান করার ঘটনা ঘটে। দেশের বক্তারা বলছেন, এমন ঘটনা দেশের জন্য শোভনীয় নয়। তারা বিষয়টিকে ক্ষমতাচর্চার নিকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

কী বলেছিলেন বক্তা?

গতকাল মাহফিলের বয়ান পরিকল্পনা বিষয়ে মুফতি আরিফ বিন হাবীব বলেন, মঞ্চে উঠার আগে নিয়ত করেছিলাম কুরআন নিয়ে মোট ৪০ টি কথা বলব; কুরআন থেকে ১১ টি, হাদীস থেকে ২২ টি, উপসংহারে কুরআন ও হাদীস থেকে আরো ৭টি। এই মোট ৪০টি। মঞ্চে উঠার পর মানুষের উপস্থিতি দেখে ইস্তেগফার ও দরুদ পড়ছিলাম আর চিন্তা করছিলাম, বয়ান কি আগেরটাই ঠিক রাখব? হঠাৎ মাথায় এল, এতগুলো মানুষকে কিছু সঠিক বিষয়ের ধারণা দেই, আর কিছু ভুল সম্পর্কে অবহিত করি। ইতিমধ্যে শ্রদ্ধেয় মেজর সাহেব এসে বললেন, তিনি আমার বয়ান শুনে তারপর কথা বলবেন।

এরপর মুফতি সাহেব ‘সালাম দিলে ৯০ নেকি আর জবাব দিলে দশ নেকি’ কথাটি সঠিক কিনা, তা হাদিসের প্রমাণ দিয়ে সাব্যস্ত করেন। তিনি দেখান, কথাটি সঠিক না। এসময় তিনি সালামের পক্ষে দুটি আয়াত ও নয়টি হাদীস পেশ করেন। এরপর মেরাজের সঠিক তারিখ কোনটা, তা নিয়েও প্রমাণসাপেক্ষ আলোচনা করেন তিনি। আলোচনা করেন ‘সুদূর চীন দেশে গিয়ে বিদ্যা অর্জন কর’ শিরোনামের জাল হাদিস নিয়ে। এ সময় তিনি বিদ্যার্জনের স্বপক্ষে কয়েকটা হাদীস বর্ণনা করেন।

এরপরের ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আলোচনা সমাপ্তি টানার পর শ্রদ্ধেয় মেজর সাহেব আমার সাথে হাসিমুখে মুসাফাহা করলেন, তারপর তিনি মাইক নিয়ে হাসিখুশি আলোচনা শুরু করলেন। কিছুক্ষণ বসে থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। আমি আধা কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করার পর কেউ একজন ফোন করে বললেন যে, মাহফিলে গন্ডগোল হয়েছে ইত্যাদি, (যা আপনারা মিডিয়া তে দেখেছেন)।

উক্ত আলোচান স্বপক্ষে মুফতি আরিফ বলেন, আল্লাহর কসম করে বলছি, আমার নিয়ত হলো, লা মাযহাবী, মাযহাবী, সুন্নি, কওমী, আলিয়া সবাই যেন কুরআন ও সুন্নাহর আলোচনা করে, আর ঘটনা বললে যেন সত্য ঘটনা বলেন। সব মাসলাকের ভাইদেরকে বলব, আমার সম্পুর্ণ ভিডিওগুলো দেখলে আমার হাজারো ভুলের মাঝে একটা সত্য পাবেন। সেটা হলো, সবাই যেন এই ‘মাঠকে ব্যবহার করে সঠিক কথাগুলো মানুষকে জানিয়ে দেয়। প্রয়োজনে মাহফিল কম হোক, কিন্ত আপনাদের( ওয়ায়েজদের) মাধ্যমে যেন কম হলেও জাতি সঠিক কথাগুলো জানতে পারে।

কমিটির দায় কতটুকু?

বক্তারা বলছেন, একজন দাওয়াতি মেহমানের যথাযথ কদর করা কমিটির দায়িত্ব। এমন ঘটনা ঘটে কমিটির অতিথী নির্বাচনের কারণে। কিন্তু এমনব ঘটনা ঘটার পর কমিটি কোনো ব্যবস্থা নেন না।

কিশোরগঞ্জের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুফতি রেজাউল করিম আবরার বলেন, মুফতি আরিফ বিন হাবিব ভাইকে খুব কাছ থেকে আমি পর্যবেক্ষণ করি। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত ভদ্র এবং লাজুক। হিফজুন নুসুসের ক্ষেত্রে ঈর্ষা জাগানিয়া যোগ্যতার অধিকারী তিনি। দেখা হলেই সেটা আমি বলি ভাইজানকে। আজ কিশোরগঞ্জের ঘটনাটি দেখে মর্মাহত হলাম। এভাবে তাকে অপমান করা হলো, কিন্তু কমিটি কিছুই করল না। এটা আলেমদের জন্য চরম ধৃষ্টতামূলক। মাহফিলের আয়োজকদের অনুরোধ করব, আলেমদের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষার ব্যাপারে আপনারা পূর্ণ সচেষ্ট থাকবেন ‘

মাহফিলের মঞ্চে আলেমদের অসম্মান করা ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ বলেন, একটা প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, যারা কোরআনের একটা ছোট্ট সূরাও শুদ্ধ করে পড়তে পারে না, কিন্তু বলে বেড়ায় কোরআন ও সহীহ হাদীস ছাড়া মানি না বা কেচ্ছাকাহিনী শুনি না। মূলত কোনটা কোরআন-সুন্নাহ আর কোনটা কেচ্ছা এটা তারা জানেই না। তারা একটা মুখস্ত বুলি শিখে নিয়েছে ব্যস। এজন্য সূরা ফাতিহার তাফসীরে এসেও তারা মন্তব্য করে ‘এসব কেচ্ছাকাহিনী শুনতে চাই না! মেজর আখতারকেও তাদেরই একজন মনে হয়েছে আমার কাছে।’

তিনি কমিটির দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘একজন আলেমকে কমিটি যদি যখাযথ সম্মান দিতে না পারে, তাদের উচিত ওই আলেমকে দাওয়াত না দেয়া। কিন্তু আলোচিত মাহফিলের কমিটি সেটা করতে পারেনি। তাই দেশের সকল ওয়ায়েজদের উচিত, আখতার ও মাহফিল কমিটির উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঐ এলাকায় কোনো দাওয়াত না নেওয়া।

করণীয় কী

এই ঘটনা সামনে আসার পর অনেকেই বলছেন, বক্তাদের উচিত কে অতিথী হবেন, সব দেখে তারপার দাওয়াত নেয়া। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আলেম লেখক মাওলানা সাইমুম সাদী বলেন, বক্তাদের উচিত মাহফিলে কে সভাপতি, কে প্রধান অতিথি, ওই সময় পাশের চেয়ারে কে বসা থাকবে ইত্যাদি দেখে মাহফিল কনফার্ম করা। সকল বক্তা হয়ত এটা করতে পারবেননা কিন্তু কেউ কেউ অবশ্যই পারবেন। আলেমদের মজলিসে সভাপতি আলেম হবেন, এটাই উচিত। ওখানে কোনও জাহেল ব্যাক্তি বসা উচিত না।

বক্তারা বলছেন, সবসময় এভাবে যাচাই করে দাওয়াত গ্রহণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই ভিন্ন পন্থাও গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন, মাহফিল যেহেতু ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তাই এখানের প্রধান থাকবেন আলেমগণ। তারাই মাহফিলের সবকিছু পরিচালনা করবেন। মাহফিলের মেহমান নিয়ে অন্য কেউ কথা বলতে পারবেন না।

বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আরেম মাওলানা গাজি সানাউল্লাহ রাহমানি বলেন, মাহফিলের স্টেইজকে কলুষমুক্ত করার উত্তম একটি পন্থা হচ্ছে, স্টেইজে একটা মাত্র চেয়ার রাখা। যিনি ওয়াজ করবেন, কেবল তিনিই সেখানে বসবেন। অন্য কেউ বসবে না। তাহলে পাশে বসে বয়ান থামিয়ে দেয়া, কিংবা মাইক কেড়ে নেয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটবে না।

 

 

The post মাহফিলের স্টেজ: গাইরে আলেমদের ঔদ্ধত্যে ক্ষুব্ধ আলেমসমাজ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%9c-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%87/

মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থি নয় : হাইকোর্ট

ফাতেহ ডেস্ক:

পুলিশ কমিশনারের সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধান কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর পুলিশ কমিশনারের সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সংক্রান্ত পুলিশ আইনের ২৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে পুলিশ আইনের ২৯ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মোমেন চৌধুরীসহ ৫ জন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

পুলিশ কমিশনারের সমাবেশ বা মিছিল করার ক্ষমতা সংক্রান্ত পুলিশ আইনের ধারা ২৯-এ বলা হয়েছে, ‘জনসাধারণের শান্তি বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনার যখনই প্রয়োজন মনে করবেন এবং যতদিনের প্রয়োজন বিবেচনা করবেন লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো জনসমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরুপ কোনো নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমতি ছাড়া ত্রিশ দিনের বেশি বলবৎ থাকবে না।’

The post মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থি নয় : হাইকোর্ট appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac/

Saturday, October 29, 2022

মাওলানা কালিম সিদ্দিকী: ‘বিজেপির কাছে ইসলাম প্রচারই অপরাধ’

মুনশী নাঈম:

ইসলাম প্রচারের দায়ে বিশ্বখ্যাত ভারতীয় মুবাল্লিগ ও নন্দিত ইসলাম প্রচারক মাওলানা কালিম সিদ্দিকীর গ্রেফতারের এক বছর পার হলেও এখনও তিনি মুক্তি পাননি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশের ‘সন্ত্রাস দমন ইউনিট’ । তার আগে একই অভিযোগে দিল্লির মাওলানা ওমর গৌতম ও মুফতি জাহাঙ্গীরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও মুক্তি পাননি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির ভয়াবহ অসাংবিধানিক কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সরাসরি বাধা প্রদান। তারা চায় হিন্দুত্ববাদের একক উত্থান। তাদের সেই চাওয়ার পথে বাধা হয়েছিলেন বলেই মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়।

মাওলানা কালিম সিদ্দিকী ভারতের বিখ্যাত আলেম ও দাঈ। দেশটির হাজার হাজার অমুসলিম বিভিন্ন সময়ে তার আলোচনা ও প্রচেষ্টায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাজে জড়িতসহ বিভিন্নভাবে মুসলমানদেরদের ওপর নির্যাতনকারী বহু অমুসলিমও তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

নিজের ধর্মপ্রচার কি অপরাধ?

মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে যে কয়টি অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হলো, তিনি ইসলাম প্রচার করেন। মানুষকে জান্নাতের সুখ এবং জাহান্নামের আজাবের কথা শোনান। তার কথায় ভিন্নধর্মাবলম্বীরা ইসলাম গ্রহণ করে। ইতোমধ্যেই তার দাওয়াতে হাজার হাজার অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছে।

তাহলে ভারতে ইসলাম ধর্ম প্রচার কি অপরাধ? দ্য কগনেটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ডাঃ জাফরুল-ইসলাম খান বলেন, না, এা অপরাধ না। বরং সংবিধানেই এই অধিকার দেয়া আছে। ‘ধর্মপালন ও ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতা’ শিরোনামে সংবিধানের ২৫(১) নং ধারায় বলা হয়েছে, বিবেকের স্বাধীনতা এবং ধর্মস্বীকার, ধর্মপালন ও ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতা সব নাগরিকের রয়েছে। এই স্বাধীনতার ভিত্তিতে হাজার হাজার মানুষ এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে যাচ্ছে। কোনো ধর্মগুরুকেই তো গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যদি ধর্মপ্রচার গ্রেফতারের মতো অপরাধ হয়, তাহলে সব ধর্মগুরুরাই অপরাধী হবে।

জাদিদ খবরে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে ভারতীয় এক সাংবাদিক লিখেছেন, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ক্ষমতায় আসার পর এমন অসংখ্য কাজ করেছে, যা সরাসরি অসাংবিধানিক ও দেশের আইন বিরুদ্ধ। তাদের ভয়াবহ একটি অসাংবিধানিক কাজ হলো, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সরাসরি বাধা প্রদান। বর্তমান বিজেপি সরকার চায়, ভারতে এক ধর্ম, এক ভাষা, এক সংস্কৃতি হয়ে যাক। সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ও অনুসারীরাই প্রাধান্য লাভ করুক, নিরাপদ থাকুক। আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে মুসলমানদের ধর্ম প্রচারের অনুমতি না থাকুক। এ কারণেই মুসলমানদের যেকোনো অধিকার-বিষয়কে গেরুয়া শিবিরের লোকজন ‘জিহাদ’ নাম দিয়ে পদদলিত করার চেষ্টা করছে। ‘ধর্মান্তকরণের’ ধুয়া তুলে দেশের প্রসিদ্ধ ওলামায়ে কেরামকে গ্রেপ্তার প্রমাণ করছে, দেশে আইনের রাজত্ব শেষ হয়ে গেছে।

সমাজকল্যাণমূলক কাজে বিদেশী তহবিল অপরাধ?

যে কয়টি অভিযোগে মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারমধ্যে একটি হলো, ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে পাঠানো ৩ কোটি রুপির ফান্ড পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টগণ বলছেন, মাওলানা কালিম সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল পিস সেন্টার’ এবং ‘জামিয়া ইমাম ওয়ালিউল্লা ‘ পরিচালনা এবং সমাজকল্যানমূলক কাজে এই টাকা ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে তিনি অপরাধী। তাদের ভাষ্য, এ টাকা তিনি ধর্মান্তর কাজে ব্যয় করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্ম প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠান করার অধিকার সংবিধানই দিয়েছে। জাদিদ খবরের প্রতিবেদনে ওই সাংবাদিক বলেন, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও ধর্মীয় গােষ্ঠীগুলির স্বাধীনতা শিরোনামে সংবিধানের ২৬ নং ধারায় ধর্মীয় সম্প্রদায় বা ধর্মীয় গােষ্ঠীকে কয়েকটি অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল: ১. ধর্ম বা দানের উদ্দেশ্যে সংস্থা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ। ২. নিজেদের ধর্মীয় কার্যকলাপ নিজেরাই পরিচালনা করা। ৩. স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও ভােগদখল করা। ৪. আইন অনুযায়ী নিজস্ব সম্পত্তি পরিচালনা করা। এ স্বাধীনতা ও অধিকারের কল্যানে মুসলমানরাও ধর্মপ্রচারের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং তার জন্য অর্থ উত্তোলন করার অধিকার রাখে। কিন্তু বিজেপি সরকার তা দিতে চায় না। অথচ আরএসএসের অঙ্গসংগঠনগুলো বিপুলভাবে বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে যুগের পর যুগ।

রাজনীতির দুষ্ট চক্রান্তের শিকার

বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাকে গ্রেফতারের মধ্যে রাজনীতি আছে। এটা হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক তৈরি বা সুসংহত করার একটি কৌশল। যখনই নির্বাচন ঘনিয়ে আসে বিজেপি এই বিষয়গুলো নিয়ে মাঠে নামে। ডা. জাফরুল ইসলাম খান বলেন, হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র এবং এর জন্য বিদেশী তহবিল পাওয়ার বিষয়ে মিথ্যা বলে বিজেপি হিন্দুদের মধ্যে ফোবিয়া তৈরী করেছে। এই ফোবিয়া হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করার জন্য বিজেপির রাজনীতির অংশ।

বাংলাদেশি গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, বর্ণপ্রথা থেকে উদ্ধার পেতে বহু যুগ থেকে স্বেচ্ছায় দলিতদের বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমান হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে ভারতে। বিজেপি সেই প্রবণতা থামাতে চেষ্টা করছে। কারণ, এতে উত্তর ভারতে তাদের সামাজিক আধিপত্য কমার শঙ্কা রয়েছে। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন আইনগত উদ্যোগের পাশাপাশি এখন সরাসরি সামাজিক বলপ্রয়োগকেও রক্ষাকবচ হিসেবে গ্রহণ করেছে তারা। বিজেপির তাত্ত্বিকেরা অনেক সময় মুসলমানদের সংখ্যাবৃদ্ধিকে ‘জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী’ ঘটনা হিসেবেও তুলে ধরেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ন্যায্যতা দিতে বিজেপি-সমর্থক কাগজগুলোয় প্রায়ই দেশের বিভিন্ন জেলায় অহিন্দু জনসংখ্যার ‘বিস্ফোরণ’ এবং হিন্দু জনশক্তি ‘শুকিয়ে মরা’ সম্পর্কে ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ প্রকাশ পায়। মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ার তথ্যকে আক্রমণাত্মকভাবে উপস্থাপন করে তাদের ওপর নিপীড়নের পটভূমি তৈরি করা হয়।

উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ১০ কোটি বাসিন্দার দুই রাজ্য গুজরাট ও কেরালায় বছরে গড়ে ৯০০ লোক ধর্ম পাল্টাতে আবেদন করছে। এই হিসাবে পুরো ভারতে বছরে ধর্ম পাল্টাতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা ১২ থেকে ১৩ হাজার, যা দেশটির পুরো জনসংখ্যার .০০০০০৯৩ শতাংশ! এদের সবাই আবার হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্মে যাচ্ছে, তা-ও নয়। সব ধর্ম মিলেই এ রকম পরিসংখ্যান। কিন্তু বিজেপির হিন্দুত্ববাদি প্রকল্প বিষয়টিকে এমনভাবে উপস্থাপন করে, যেন সব হিন্দু মুসলমান হয়ে যাচ্ছে। নগণ্যসংখ্যক ধর্মান্তরিত হওয়ার এ ঘটনাই ভারতজুড়ে রাজনীতির বড় এক বিষয় করে তোলা হয়েছে। এই ভীতিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে রাজ্যে রাজ্যে ধর্মান্তরকরণবিরোধী বিল পাসের মাধ্যমে নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে চিরস্থায়ীভাবে। কেউ ধর্মান্তরিত হলেই অভিযোগ উঠছে তাকে জোরপূর্বক বিশ্বাস পাল্টাতে বাধ্য করা হয়েছে।

The post মাওলানা কালিম সিদ্দিকী: ‘বিজেপির কাছে ইসলাম প্রচারই অপরাধ’ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%80/

Friday, October 28, 2022

দেশে প্রতি ৪ জনের একজন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন। হৃদরোগের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় স্ট্রোকের কারণে। চিকিৎসকদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দেওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকিতে পড়ার অন্যতম কারণ। দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। পঙ্গুত্বের অন্যতম প্রধান কারণ স্ট্রোক। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা গেলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব ও পঙ্গুত্ব্বের ঝুঁকিও কমানো সম্ভব।

আজ ২৯ অক্টোবর, বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। ‘প্রতি মিনিট জীবন বাচায়’, এই প্রতিপাদ্যে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে এই দিবস। মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনীয় উপাদান রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে সরবরাহ হয়। যদি কোনও কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধা প্রাপ্ত হয়, তখন তাকে স্ট্রোক বলে। মস্তিষ্কের যে অংশে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়, সেখানে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো দেখা যায়। একইভাবে স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যায়।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের ২০১৮ সালের এক জরিপের তথ্য বলছে, দেশে প্রতি হাজারে স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন ১১ দশমিক ৩৯ জন মানুষ। প্রায় ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে বাংলাদেশে। স্ট্রোকের ঝুঁকি ৬০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে ৭ গুণ বেশি। নারীর চেয়ে পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ। স্ট্রোকের প্রকোপ শহরের চেয়ে গ্রামে কিছুটা বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে মারা গেছেন ৪৫ হাজার ৫০২ জন। ২০২০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ৮৫ হাজার ৩৬০ জনে দাঁড়ায়। অর্থাৎ স্ট্রোকের রোগী এক বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে।

ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, স্ট্রোক হওয়ার তিন থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা নিলে ৩০ শতাংশ রোগীর সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্ট্রোক হওয়ার ৬ ঘণ্টার ভেতরে রক্ত নালীর জমাট খুলে দিলে ৫০ শতাংশ রোগীর সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, স্ট্রোক হওয়ার পরে রিং পরানোর মাধ্যমে রক্ত নালীর ব্লক খুলে দেওয়া সম্ভব। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীরা স্ট্রোক সেন্টারে চিকিৎসা নিলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ১৪ শতাংশ।

বিদেশে স্ট্রোক সেন্টারে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই চালু থাকলেও বাংলাদেশে এটি নতুন ধারণা। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল এবং বিএসএমএমইউ-তে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও এই চিকিৎসা চালু হয়েছে।

The post দেশে প্রতি ৪ জনের একজন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a7%aa-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f/

Thursday, October 27, 2022

বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির চাপ : বাড়ছে না মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন

মুনশী নাঈম:

কয়েক মাস ধরে চাল, ডাল, গম, তেল, ময়দা, লবণসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের পাশাপাশি খাদ্য–বহির্ভূত পণ্যের দাম বাড়ার কারণে কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের কষ্ট বেড়েছে। তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেতন না বাড়ায় বাজারের তালিকা থেকে সদাই কাটছাঁট করতে হচ্ছে। মাসের বাজার-খরচ আঁটসাঁট করছেন অনেকে।

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সরকারি হিসাবে তা মূল্যস্ফীতি দিয়ে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হিসাব করে। সংস্থাটির সর্বশেষ হিসাবে বাংলাদেশে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অবশ্য আগস্ট ও সেপ্টেম্বর দুই মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) মূল্যস্ফীতির পারদ ৯ শতাংশের ওপরে ওঠেছে। তাই জীবনযাত্রায় মূল্যস্ফীতির প্রভাব বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে।

মাদরাসার শিক্ষকরা বলছেন, তাদের বেতন বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। মাদরাসার মুহতামিম প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, জমি ক্রয়সহ অন্যান্য উন্নয়নের প্রতি যে জোর দেন, শিক্ষকদের বেতনের বেলায় সেটি অনুপস্থিত। সে কারণে অর্থনৈতিকভাবে কোনও কোনও মাদ্রাসা স্বাবলম্বী হলেও বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয় না।

বেতন বাড়াতে মুহতামিমদের অনাগ্রহ

বেতন বাড়াতে মুহতামিমদের অনাগ্রহের কথা তুলে ধরেছেন মাদরাসাতুল মুত্তাকিন ঢাকার শিক্ষক মাওলানা ওলিউর রহমান। ফাতেহকে তিনি বলেন, আলাদা করে শিক্ষকদের কথা কী বলব? গোটা বাংলাদেশেই তো শ্রমের মূল্য একদম সস্তা। মাদরাসার শিক্ষকদের কথা বললে বলতে হবে, বিষয়টা জটিল। একজন সাধারণ শিক্ষকের গড়পরতা যে বেতন তা কেবল বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতেই নয় বরং সবসময়ের জন্যই অতি নগণ্য। তবে বিনা বেতন কিংবা স্বল্প বেতনে ছাত্র পড়ানো ছোট ছোট অনেক মাদরাসার জন্য নির্ধারিত বেতনই সময়মত পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে অনেক সময় অবশ্য মোহতামিমদের সদিচ্ছার অভাব থাকে বেশি।

বেতন কাঠামো নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসল কথা হল, বেতন কাঠামো নির্ধারণ, নিয়োগ-বিয়োগের স্বচ্ছ নীতি প্রণয়ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে—মুদ্রাস্ফীতির এ সঙ্কটকালীন সময়ে শিক্ষকদের বেতন না বাড়া নিয়ে একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমার আলাদা কোনো আক্ষেপ নেই।

কথা হয় যাত্রবাড়ির জামিয়া আবু বকরের ইফতা বিভাগের মুশরিফ মাওলানা মুঈনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ফাতেহকে জানান, কওমি মাদরাসার শিক্ষকরা আগে যদি মধ্যবিত্ত থেকে থাকেন, মূল্যস্ফীতির কারণে তারা এখন নিম্নবিত্তে পরিণত হয়েছেন। তাদের বেতন বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। মুহতামিমগণ ইচ্ছে করলে বেতন বাড়াতে পারেন। কিন্তু তারা বেতন বাড়ান না। বেতন বাড়ালে অবকাঠামো এবং মাদরাসার অন্যান্য উন্নয়ন হয়তো কিছুটা ব্যাহত হবে। তবে তাই বলে শিক্ষকদের বেতন না বাড়ানো অযৌক্তিক।

কমিটিকে দোষ দেন মুহতামিমরা

কথা হয় রামপুরা আইউববাগ ইয়ারুননেছা তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহদি হাসানের সঙ্গে। তিনি ফাতেহকে জানান, কমিটি পরিচালিত যেসব মাদরাসা রয়েছে, সেখানে কমিটিরা ইচ্ছে করেই বেতন বাড়ান না। বছর শেষে দেখা যায় মাত্র ৫০০ টাকা করে বেতন বাড়াচ্ছেন। তিনি চাইলেই বেতনটা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বাড়াতে পারেন, কিন্তু বাড়ান না।’

মাদরাসার আয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মাদরাসায় ছাত্রদের বেতন এবং অনুদান মিলিয়ে আয় তো খারাপ না। বেতন চাইলেই বাড়াতে পারেন। কিন্তু তারা বাড়ান না ইচ্ছে করেই।’

অন্য আয় খোঁজা উচিত

কথা হয় মেরুল বাড্ডার এক কওমি মাদরাসার শিক্ষক মুফতি আবু সাঈদের সঙ্গে। তিনি ফাতেহকে জানান, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। তাই মাদরাসা শিক্ষকদেরও বেতন বাড়ানো উচিৎ। এটা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন। তবে মাদরাসা শিক্ষকদেরও এক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিৎ। নিজেদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অন্য কোনো উপায়ে উপার্জন সম্ভব হলে সেদিকেও অগ্রসর হওয়া উচিৎ। এতে মাদরাসার উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি শিক্ষকেরও জীবন যাপনে সমস্যা থাকবে না।

তার মতে, মাদরাসারও আয়ের পথ বের করা উচিত। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিৎ, কেবলই গণমুখী না হয়ে মাদরাসার আয়ের কোনো স্থায়ী উপায় বের করা। এতে উস্তাদদের মূল্যায়নে সমস্যা লাঘব হবে। বেতন বাকি রাখতে হবে না।

‘বেতন বাড়ানো উচিত’

মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সামর্থ্য থাকলে বর্তমান প্রেক্ষিতে বেতন বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী। ফাতেহকে তিনি বলেন, যাদের সামর্থ্য আছে বেতন বাড়ানোর, তাদের বেতন বাড়ানো উচিত। বর্তমান যে বাজারের অবস্থা, তা কঠিন। মুহতামিমদের তা লক্ষ্য করা দরকার। তবে যাদের সামর্থ্য নেই, বলেও তো লাভ নেই। মাদরাসার সামর্থ্য না থাকলে শিক্ষকদের ধৈর্য্য ধরতে হবে।

বেতন না বাড়ার কারণে সাংসারিক জীবনে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে মনে করেন জামিয়া কাশিফুল উলুম মাধবদি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা জুনায়েদ আহমদ। তিনি বলেন, বেতন বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। বেতন না বাড়ানোর কারণে শিক্ষকদের এখন অন্যদের কাছে হাত পাততে হয়। সন্তান অসুস্থ হলে ঠিকমতো চিকিৎসা করানো যায় না, মেহমানদের মেহমানদারি করা যায় না । এছাড়াও সাংসারিক আরও অনেক দায়িত্ব থাকে, সেগুলোও পালন করা হয় না। মুহতামিমদের এ দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। এমন সংকট থাকলে মেধাবীরা কওমি মাদরাসার শিক্ষকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।’

The post বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির চাপ : বাড়ছে না মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ab%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%aa/

Wednesday, October 26, 2022

মুসলিম সভ্যতায় সাহিত্য সম্মাননা

রাকিবুল হাসান নাঈম:

কদিন আগেই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হলো। সাহিত্যের সবচে মূল্যবান পুরস্কার ধরা হয় এটিকে। নোবেল পুরস্কার প্রবর্তিত হয় ১৯০১ সালে। কিন্তু সাহিত্যিকদের সম্মাননার এই প্রচলন অনেক পুরোনো। আমরা ইসলামি সভ্যতায় এই প্রচলন বেশ প্রবলভাবে হাজির দেখতে পাই। আমেরিকান সভ্যতার ইতিহাসবিদ উইল ডুরান্ট ‘কিসসাতুল হাজারা’ গ্রন্থে লিখেন, সমসাময়িক সাহিত্য পুরস্কারগুলো একটি সভ্যতাগত প্রভাব, যা ইসলামী বিশ্ব থেকে ইউরোপীয়দের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল।

এই লেখায় দেখাব, ইসলামি সভ্যতায় সাহিত্যিকরা কিভাবে পুরস্কৃত হতেন। পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কী মানদণ্ড ছিল, কোন প্রক্রিয়ায় পুরস্কার দেয়া হতো। আরব সমাজে সাহিত্যিকদের মূল্যায়ন কেমন ছিল, তাও ফুটে উঠবে এই লেখায়।

আরব সমাজে কবিদের অবস্থান

শরহে দিওয়ানে হামাসায় আবু আলী মারজুকি লিখেছেন, আরবের গোত্রগুলোর মধ্যে কোনো কবি-প্রতিভা জন্ম নিলে তাকে নিয়ে তোড়জোড় হতো বেশ। কারণ কবিতা ছিল শান্তি ও যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার। গোত্রগুলোর মধ্যে পুরুষ এবং টাকা যেমনভাবে বরিত হতো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে, তেমনি কবিও বরিত হতেন। কবিদের দিয়ে আরবরা টাকা কামাতো না, বরং কবিদের কবিতা তাদের প্রতিরক্ষাকে সম্পূর্ণ করে তুলতো।

এ কারণেই ইবনে রাশিক কায়রাওয়ানি তার ‘আল-উমদা’ গ্রন্থে আরব কবিদের মর্যাদা নির্দেশ করে লিখেন, আরবের কোনো গোত্রে একজন কবিপ্রতিভা দেখা দিলে তারা সবাই উৎসব শুরু করতো। কারণ, কবির কবিতা তাদের সম্মানের সুরক্ষা, ইতিহাসের ধারক। তার জানতো, কবির কবিতাই তাদের আলোচনা হাজির রাখবে ইতিহাসের পাতায়।

ইসলামি সাম্রাজ্যে আরবরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন কবিদের কাজ পরিবর্তন হয়। উপজাতির সুরক্ষা, বংশের গৌরব-বয়ানের পরিবর্তে তাদের কাজ হয়, ইসলামি আকিদার পক্ষে কথা বলা। ইসলামি দাওয়াতের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত জবাব দেয়া। এই কবিদের মধ্যে রাসুলের সবচে প্রিয় ছিলেন হাসসান ইবনে সাবেত রাজি.। হাসসানের কবিতা শুনে রাসুল প্রশান্তি বোধ করতেন।

ইবনে আবদিল বার ইসতিআব গ্রন্থে লিখেন, সমসাময়িক কবিদের মধ্যে হাসসান বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত ছিলেন তিনটি কারণে। এক. জাহেলি যুগে তিনি ছিলেন আনসারদের কবি। দুই. নবিজির যুগে তিনি ছিলেন নবিজির কবি। তিন. ইসলামি যুগে তিনি ছিলেন ইয়ামানের কবি।

খোলাফায়ে রাশেদিনের যুগেও কবিদের এই মর্যাদা বহাল ছিল। ইবনে হাজার ইসাবা গ্রন্থে লিখেন, হজরত ওমর রাজি. কুফার গভর্নর মুগিরা ইবনে শোবাকে বলেছিলেন, আপনার আগের কবিদের জিজ্ঞেস করুন, তারা ইসলাম সম্পর্কে কী বলেছে? এই জরিপে সাহাবি কবি লাবিদ বিন রাবিয়া নগদ পুরস্কার পেয়েছিলেন। তার বেতন বেড়ে গিয়েছিল ৫০০ দিরহাম।

উচ্চতর পৃষ্ঠপোষকতা

ইসলামি শাসকদের এই পৃষ্ঠপোষকতা সাহিত্য মূল্যায়নে গতি এনে দেয়। হিজরি তৃতীয় শতাব্দি /খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীর শুরু থেকে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্রের যুগ শুরু হলে গতি আরও বেড়ে যায়। সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ, কিংবা তাদের দেশের সমৃদ্ধি, অথবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্যই হোক, স্বাধীন রাষ্ট্রের শাসকরা হয়ে উঠেন কবি-সাহিত্যিকদের সবচে বড় পৃষ্ঠপোষক। তারা তাদের দরবারে কবি-সাহিত্যিকদের জায়গা দেন, তাদেরকে পুরস্কৃত করেন।

ইয়াকুত হামাভি ‘মুজামুল উদাবা’ গ্রন্থে লিখেন, বুওয়াইহি মন্ত্রী ইবনে আব্বাদ বলতেন, এক লক্ষ আরবি এবং ফারসি কবিতায় আমার প্রশংসা করা হয়েছে। আমি আমার অনেক সম্পদ কবি-সাহিত্যিকদের পেছনে ব্যয় করেছি।

হিজরি পঞ্চম শতাব্দি /খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দিতে কবির সংখ্যা বিপুল সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়। ‘আল ওয়াফি বিল ওফায়াত’ গ্রন্থে ঐতিহাসিক সাফাদি বলেন, সেলজুক মন্ত্রী নেজামুল মুলক ছিলেন প্রশংসিত। তার প্রশংসা করেছে ৫ হাজারের বেশি কবি। তার প্রশংসায় লেখা হয়েছে তিন লাখ কবিতা।

সিবত ইবনুল জাওজি ‘মিরআতুয যামান’ গ্রন্থে লিখেন, আব্বাসি মন্ত্রী ইবনে জাহির কবি-সাহিত্যিকদের মূল্যায়ন করতেন বেশ। এক লাখ কবিতায় তার প্রশংসা করা হয়েছে। প্রশংসাকারী কবিদের সংখ্যা দশ হাজার। যাহাবি ‘তারিখুল ইসলামে’ লিখেন, সেলজুক মন্ত্রী আবু তালিব আল-সুমাইরিমির প্রশংসা করেছেন এক হাজার কবি।

মন্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিযোগিতা

প্রথম দিকে সাহিত্যের প্রতিযোগিতাগুলো রাজপুত্র এবং সিনিয়র মন্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের দরবারে অনুষ্ঠিত হতো। পুরস্কার দেয়া হতো মোটা অংক। ইবনে জাফের আল-আজদী লিখেন, আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের দরবারে উপস্থিত হলেন জারির, ফারাজদাক, আখতাল। দরবারে আনা হয় ৫০০ দিনারের একটি থলে। আবদুল মালিক বলেন, প্রত্যেকেই নিজের প্রশংসা করে একটি পঙক্তি বলো। যে জিতবে, এই থলে সে পাবে। অবশেষে এই থলে জিতেন জারির।

ইস্পাহানি ‘আল আগানি’ গ্রন্থে কবি জারিরের অভিজ্ঞতা লিখেন, ইয়াজিদ ইবনে মুআবিয়ার দরবারে গেলাম। তখন আমি যুবক। গিয়ে দেখি সেখানে কবিদের জমায়েত। দরবার থেকে একজন ঘোষক এসে বললো, আমিরুল মুমিনিন বলেছেন, যার একটি কবিতাও আমরা শুনিনি, সে দরবারে প্রবেশ করতে পারবে না। আমি তার হাতে একটি কবিতা দিয়ে বললাম, আমিরুল মুমিনিনকে এটা দেখাবে। সে ভেতরে চলে গেলো। ফিরে এসে আমাকে ভেতরে নিয়ে গেলো। এরপর আমিরুল মুমিনিনকে কবিতা শুনিয়ে আমি পুরস্কারও পাই সেদিন।

আবদুল ওয়াহিদ মারাকেশি লিখেন, সালাম ইবনে আব্দুল্লাহ বাহেলি মুতামিদের কাছে এসে তাকে প্রশংসা করে কবিতা শোনালেন। তার বয়স তখন বিশ। মুতামিদের কবিতা পছন্দ হলে তিনি তাকে পুরস্কৃত করেন; এবং কবিদের তালিকায় তা নাম লিপিবদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দেন।

মেধা অনুসারে পুরস্কার

ইবনে কুতাইবা দিনাওয়ারি ‘কবি ও কবিতা’ গ্রন্থে লিখেন, কবিদের মেধা বিবেচনা করে পুরস্কার দিতে শুরু করেন ওমর ইবনে আবদুল আজিজ। তিনি কবি কুসাইর বিন আবদুর রহমানকে দেন তিনশ দিরহাম। আহওয়াসকে দেন তিনশ দিরহাম। নুসাইবকে দেন দেড়শ দিরহাম।

পরবর্তীতে কবিতার মান অনুযায়ী পুরস্কারের ধারা চালু হয়ে যায়। ইমাদ ইস্পাহানি ‘মালিকুল আরব’ গ্রন্থে লিখেন, ইবনে দুবাইস আল-আসাদি কবিতার সৌন্দর্য অনুযায়ী পুরস্কার দিতেন। প্রত্যেক কবির স্তর অনুযায়ী তার কাছে প্রত্যেকের পরিমাণ নির্ধারিত ছিল।

কবিরা যদি ভিনদেশী হতো কিংবা এমনিতেই কখনও কখনও স্তর বিন্যাসের দায়িত্ব একজনের কাছে দেয়া হতো। ঐতিহাসিক সাফাদি লিখেন, কিবা আবু নাওয়াস ইরাকের একদল কবির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যখন তারা মিসরে এসেছিল। আব্বাসি গভর্নর আবু নসর খুসাইব তাদের সম্মানে একটি সভার আয়োজন করেন। তিনি আবু নাওয়াসকে দায়িত্ব দেন, কবিদের স্তর অনুযায়ী যেন তিনি সবার পুরস্কার নির্ধারণ করে দেন।

বিচারকের ভূমিকায় নারীরা

আরবি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় কেবল পুরুষদের আধিপত্য ছিল এমন নয়, বরং নারীরাও সাহিত্য প্রতিযোগিতার বিচারক হতো।

ইস্পাহানি ‘আল আগানি’তে লিখেন, হোজানের কবিরা একবার প্রতিযোগিতা করেছিল কবিতার। কিন্তু তারা কোনো সমাধানে পৌঁছতে পারছিল না। সবাই সবার কবিতাকে শ্রেষ্ঠ বলছিল। মিমাংসা করার জন্য তারা বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয় লায়লা আখলিয়াকে (৭০৪ হি)। তিনি তাদের মধ্যে আউস বিন গালফাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। প্রতিযোগীদের মধ্যে আরও ছিলেন নাবেগা এবং হুমাইদ।

সাহিত্য প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য একটি নাম সুকাইনা বিনতে হুসাইন (১১৭ হি)। সিবত ইবনুল জাওজি লিখেন, কবি-সাহিত্যিকরা তার বাড়িতে আসতো। তিনি কবিতার প্রতিযোগিতা নিতেন। মেধা অনুযায়ী পুরস্কার দিতেন এক হাজার দিনার। বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ডলার। এর বেশিও দিতেন। তার বাড়িতে আসতো ফারাজদাক, জারির, কুসাইর, নুসাইব প্রমুখ।

ইবনে আবদে রাব্বিহি ‘আল ইকদুল ফরিদ’ গ্রন্থে লিখেন, আব্বাসি খলিফা মাহদির মেয়ে আয়েশা কবি ছিলেন। তিনি একজন বার্তাবাহকের হাতে একটি কবিতা দিয়ে কবিদের নিকট পাঠালেন। যাদের মধ্যে আল-গাওয়ানিও ছিলেন। বার্তাবাহক এসে তাদেরকে বললেন, মালিকা বলেছেন, যারা তার এই কবিতা পূর্ণ করে দিতে পারবে, তাকে ১০০ দিনার দেয়া হবে। এই ১০০ দিনার জিতেছিলেন আল-গাওয়ানি।

প্রতিযোগিতার বিচারক কারা

সাধারণ সালিশির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নির্ধারণ করা হতো। সালিশে যারা থাকতো, তারাই প্রতিযোগিতা পরিচালনার কৌশল, মূল্যায়নের প্রক্রিয়া, আবেদনকারীদের পাঠের গুণমান, স্তর অনুসারে র‌্যাঙ্কিং, অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের পুরষ্কার প্রদানের মাপকাঠি নির্ধারণ করতো।

দিনওয়ারি তার ‘কবি ও কবিতা’ বইয়ে এই প্রতিযোগিতায় বিচারের নমুনার একটি মডেল তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ওকাজ বাজারে নাবেগা লাল একটি জিনিসে আঘাত করতো। কবিরা তখন তার কাছে এসে তাকে কবিতা শোনাতো। কবিতা শোনাতো আবু বাসির, তারপর হাসসান বিন সাবেত, তারপর খানসা সালামিয়া। নাবেগা খানসাকে বললেন, আল্লাহর কসম, আবু বাসির না থাকলে তুমিই বিজয়ী হতে।

সম্ভবত প্রাক-ইসলামী সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সেই সালিশি ঐতিহ্য বসরার মিরবিদ এবং কুফার কানাসা বাজারে টিকে ছিল।

যারা সালিশি করতেন, তাদের মধ্যে বিখ্যাত কবি আবু তামাম। হামাবি লিখেন, তিনি বসতেন, কবিরা তার কাছে এসে কবিতা শোনাতো। একবার তিনি কবি বুহতারিকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন।

মিশরীয় ম্যাগাজিন “রিসালা” (১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮8 ) এর ৭৬৩ তম সংখ্যায় লেখা হয়েছে, একবার ইবনে হাজারকে এক সাহিত্য প্রতিযোগিতার বিচারক বানানো হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল তৎকালীন শ্রেষ্ঠ তিন কবি। তাদের মধ্যে তিনি ইবনে হাজ্জাহ আল-হামাভিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

বিবিধ শর্ত

কখনও কখনও সরাসরি মেধা যাচাই করা হতো। দেয়া হতো বিভিন্ন শর্ত। ইবনে রাশিক বলেন, একদল কবি আব্বাসি খলিফা মুতাসিমের দরবারে এল। দরবারের একজন ঘোষক ঘোষণা করলো, অমিরুল মুমিনিন সম্পর্কে মানসুর নুমাইরির মতো কবিতা লিখতে পারবে কে?

ইবনে খাল্লিকান লিখেন, বুওয়াইহি মন্ত্রী ইবনে আব্বাদ বলেন, এটা আবশ্যক, আমার দরবারে যে আসতে চায়, তাকে বিশ হাজার আরবি কবিতা মুখস্থ করে আসতে হবে।

প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রকৃত প্রতিযোগিতা শুরু হতো। জহিরুদ্দিন বায়হাকি ‘তারিখে বায়হাকিতে’ লিখেন, বুওয়াইহি মন্ত্রী ইবনে আব্বাদের দরবারে কবিরা এল। বিভিন্ন খবারের আয়োজন করা হলো। সবাই খাবার শুরু করার পর যখন মিষ্টির পর্ব এল, মন্ত্রী বললেন, সবাই মিষ্টি নিয়ে একটি করে পঙক্তি বলেন। সবাই কবিতা বলছিল। কবি আহমদ ইবনে ইবরাহিম বসে বসে আঙুল খুটছিলেন। তার পালা এলে তিনি বললেন, সবার কবিতায় ভুল ছিল। এরপর তিনি সবার ভুল যুক্তি সহকারে তুলে ধরে নিজে নতুন একটি পঙক্তি বললেন। ফলে তিনি প্রচুর পুরস্কার পান।

পদ্য নয়, গদ্যেও

ইসলামি সভ্যতায় আরবি কবিতা একাই পুরস্কার ও উপহার দখল করেনি; গদ্যেরও সেখানে দখল রয়েছে। গদ্য রচনার জন্য পুরস্কারের ঐতিহ্য ইসলামি সভ্যতায় শুরু হয়েছিল। আরবি সাহিত্যিক জাহিজ তিনটি বইয়ে পুরস্কার পেয়েছিলেন বর্তমানের হিসেবে তিন মিলিয়ন ডলার।

জাহিজ বলেন, ‘আল হায়ওয়ান’ বইটি আবদুল মালিকের কাছে দিলে তিনি দিলেন ৫ হাজার দিনার। ‘আল বয়ান ওয়াত তাবয়িন’ বইটি ইবনে আবি দাউদের কাছে দিলে তিনি দিলেন ৫ হাজার দিনার। ‘আয যার ওয়ান নাখল’ বইটি ইবরাহিম ইবনে আব্বাসের কাছে দিলে তিনি দিলেন ৫ হাজার দিনার।

ইসলামী সভ্যতা বই এবং অনুবাদের জন্য “রাষ্ট্রীয় পুরস্কার” এর প্রবর্তক। ঐতিহাসিক ইবনে আবি উসাইবা ‘উয়ুনুল আনবা’ গ্রন্থে লিখেন, যখন আব্বাসি খলিফা আল-মামুন আরবি ভাষায় গ্রীক বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ অনুবাদ করার সংকল্প করেছিলেন, হুনাইন ইবনে ইসহাককে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তাকে বলেছিলেন, তার বইয়ের ওজনের সমপরিমাণ সোনা তাকে দেয়া হবে।

ইয়াকুত আল-হামাবী বলেছেন, ইস্পাহানি তার কিতাব আগানি সাইফুদ্দৌলা ইবনে হামদানকে দিলে তিনি তাকে এক হাজার দিনার দিলেন। ইস্পাহানি তখন বলেছিলেন, তরবারি ছোট হয়ে গেছে, তা আরও দ্বিগুণ হওয়ার যোগ্য!!

প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন

হিজরি সপ্তম শতাব্দি / ১৩শ খ্রিস্টাব্দে আমরা দেখতে পাই, আইয়ুবী রাজ্যের সুলতানগণ কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ প্রদানে যত্নবান ছিলেন। আইয়ুবী সুলতান আমজাদ সম্পর্কে ঐতিহাসিক ইবনে ওয়াসেল হামাভি বলেন, তিনি ছিলেন মহান বাদশা, গুণী-বিদ্বান। তিনি আলেম এবং কবি সাহিত্যিকদের ভালোবাসতেন। তাদেরকে অনেক উপহার দিতেন। আইয়ুবী সুলতানদের মধ্যে তিনিই সবচে বেশি কবিতা বুঝতেন।

একই শতাব্দীতে গুরুত্বপুর্ণ বই মুখস্থ করার জন্য পুরস্কার বরাদ্দ করা একটি শিক্ষামূলক নীতিতে পরিণত হয়। যাহাবি লিখেন, সুলতান মুআজ্জম হানাফি মাজহাবের কঠিন অনুসারী ছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, যে ইমাম মুহাম্মদের জামে কাবির মুখস্থ করতে পারবে, তাকে দুইশ দিনার, বর্তমানের হিসেবে ৪০ হাজার ডলার পুরস্কার দেয়া হবে।

ইবনে খাল্লিকান লিখেন, সুলতান মুআজ্জম আরও ঘোষণা করেছিলেন, যে যামাখশারির মুফাসসাল কিতাবটি মুখস্থ করতে পারবে, তাকে একশ দিনার এবং একটি দামি জামা উপহার দেয়া হবে।

সৃজনশীল লেখকদের পুরস্কার হিসেবে কেবল টাকাই দেয়া হতো না, বরং উচ্চ সরকারী পদেও তাদের নিয়োগ দেয়া হতো। এর একটি উদাহরণ হল, মসুল পোস্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে কবি আবু তামামের নিয়োগ। এ পদে তিনি আমরণ বহাল ছিলেন।

তাজুদ্দিন ইবনে সাঈ ‘দুররে সামিনে’ ফকিহ সাহিত্যিক জাফর ইবনে মাক্কি শাফেয়ির জীবনী তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, জাফর ছিলেন সাহিত্যের মানুষ। তিনি কবিতা লিখতেন। তাকে বাগদাদের মাদরাসায়ে নেজামিয়ার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে নাসির লিদিনিল্লাহ তাকে পোস্ট বিভাগের প্রধানের চেয়ারে বসান। তিনি সংগীতের উপর একটি বই লিখেছেন, করেছেন কবিতার সংকলনও।

The post মুসলিম সভ্যতায় সাহিত্য সম্মাননা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%ad%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%93-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4/

ডেঙুতে আজ ২ জনের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরো দুইজনের। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে ৫২০ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৪০৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩ হাজার ৩৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ২০৭ জন এবং ১ হাজার ১৭৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩৩ হাজার ৯২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩ হাজার ৬০২ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৩২১ জন ডেঙ্গু রোগী।

অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩০ হাজার ৪২৩ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। এদের মধ্যে ২১ হাজার ৩২৪ জন ঢাকার এবং বাকি ৯ হাজার ৯৯ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

সূত্র : ইউএনবি

The post ডেঙুতে আজ ২ জনের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%9c-%e0%a7%a8-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81/

‘শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত’

ফাতেহ ডেস্ক:

শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে জামায়াত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, জামায়াতের কেউ যদি যুদ্ধাপরাধী না হন এবং তাদের গঠনতন্ত্র যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, তাহলে শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে তাদের নিবন্ধন পেতে বাধা নেই।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমানে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে মো. আলমগীর বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল করা হয়েছে। এ অবস্থায় কেউ নিবন্ধিত হতে চাইলে তাকে নতুন করে নিবন্ধিত হতে হবে।

এসময় তিনি স্পষ্ট করে জানান, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক গঠনতন্ত্র নিয়ে কেউ আবেদন করলে তাদের নিবন্ধন দেবে না কমিশন। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরও রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই

এর আগে চলতি বছরের ২৯ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেছিলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্য আদালত কোনো আদেশ দিলে ভিন্ন কথা। সে আদেশ মানতে হবে।’

 

The post ‘শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত’ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%aa%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87/

Monday, October 24, 2022

ঘূর্ণিঝড়ে নয়জনের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তবে এর আগে দেশজুড়ে কেড়ে নিয়েছে পাঁচ নারী ও দুই শিশুসহ ৯ জনের প্রাণ। এর মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায়; ২ জনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ ঝড়ের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া যায়নি।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ও মূল কেন্দ্র রাত ৯টায় উপকূলে আঘাত হানে। তবে দুপুর থেকেই দমকা হাওয়া বইছিল দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে। তখন নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে গাছের ডাল পড়ে মারা যান মর্জিনা বেগম (৪০) নামে এক নারী।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলাকালে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল পশ্চিমপাড়ায় ঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন হেসাখাল পশ্চিমপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার এবং তাঁদের চার বছরের শিশুসন্তান নুসরাত আক্তার।

The post ঘূর্ণিঝড়ে নয়জনের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%98%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3%e0%a6%bf%e0%a6%9d%e0%a7%9c%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81/

‘ইসলামবিদ্বেষ মোকাবেলায় একমত মুসলিম দেশগুলো’ : কী আছে ওআইসির ইস্তাম্বুল ঘোষণায়?

মুনশী নাঈম:

ইসলাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে এবং ইসলামফোবিয়া ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রতিরোধ করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সম্মেলনে একটি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ১২তম ইসলামী সম্মেলনে তা গৃহীত হয়। ইস্তাম্বুল ঘোষণাপত্রে ওআইসি সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশও সাইন করেছে।

সম্মেলনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত দুটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হয়। এক. ৭৬/২৫৪ নং প্রস্তাব। এটি গত ১৫ মার্চ ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবসে গৃহীত। দুই. ৭৬/২২৭ নং প্রস্তাব। এটি ২০২১ সলের ২৪ ডিসেম্বর গৃহীত ‘মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার এবং সুরক্ষার জন্য বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’ শীর্ষক প্রস্তাব।

বিশ্নেষকরা বলছেন, এই সম্মেলনে মূলত ইসলামবিদ্বেষ মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলো একমত হয়েছে। সম্মেলনটির লক্ষ্যও ছিল, মিডিয়া ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইসলামী দেশগুলোর সহযোগিতার বিকাশ এবং শক্তিশালী করা। এতে ৫৭টি দেশের মন্ত্রী এবং উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা ইসলামিক বিশ্বের মিডিয়া, যোগাযোগ ও তথ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

কী আছে ওআইসির ইস্তাম্বুল ঘোষণায়?

ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও গ্লোবাল থিংক ট্যাংকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতরের প্রেসিডেন্ট ফাহরেতিন আলতুন। তিনি সম্মেলনে দেয়া উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, ভুল তথ্য বিশ্বজুড়ে ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার ত্বরান্বিত করে। এই ইসলামোফোবিয়া বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে এবং বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে। তাই সমগ্র বিশ্বের উচিত ইসলামফোবিয়াকে একটি প্রকাশ্য ঘৃণামূলক অপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে দেখা এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করা। এই অপরাধের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করা শুধু মুসলমানদের নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও অন্যতম প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তাই এই ইস্তাম্বুল ঘোষণায় ভুল তথ্যরোধ এবং ইসলামফোবিয়া থামাতে মিডিয়ার সঠিক ব্যবহারের উপর জোর দেয়া হয়েছে। নিচে ঘোষণার গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো তুলে ধরা হলো।

১. পোস্ট-ট্রুথ এরা বা সত্য-উত্তরকালের ডিজইনফরমেশন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দেয়া। পাশাপাশি লড়াইয়ের স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশল প্রণয়ণ করা।

উল্লেখ্য, পোস্ট-ট্রুথ এমন একটা পরিস্থিতি, যখন মানুষ সঠিক তথ্য ও প্রকৃত ঘটনার ওপর নয়, বরং তার বিশ্বাস ও আবেগের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিষয়কে গ্রহণ বা বর্জন করে। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো বিষয়ের বিশ্লেষণে মানুষের কাছে তাঁর আবেগ ও বিশ্বাসই প্রধান ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।

২. স্বল্প সময়ে নির্দিষ্ট সমস্যা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি বুঝতে হবে। মধ্যম সময়ে তথ্যের যথার্থতা যাচাইয়ে যোগাযোগ ও কৌশল বাড়াতে হবে। তারপর দীর্ঘমেয়াদী মিডিয়া কন্টেন্ট সরবরাহ করতে হবে।

৩. ইসলাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে এবং ইসলামফোবিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করতে নতুন এবং আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে।

৪. মুসলিম দেশগুলোর মিডিয়ায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ দাবির স্বপক্ষে প্রচারণা চালাতে হবে।

৫. শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তিদের, বিশেষ করে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর শরণার্থীদের সমর্থন করার জন্য মিডিয়ায় আন্তর্জাতিক সংহতি এবং সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।

৬.ইসলামী সংস্কৃতি এবং বিশ্বের অন্যান্য সংস্কৃতির মধ্যে ডায়ালগ বাড়াতে হবে।

৭. অমুসলিম দেশগুলোতে যে ইসলামিক কালচার এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য ধ্বংযজ্ঞের শিকার হচ্ছে, মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সেইসব এলাকায়, যেখানে আদিবাসী মুসলিম সম্প্রদায় জাতিগত নির্মূলের শিকার হয়েছিল৷

৮. ওআইসি মিডিয়া ফোরাম (ওএমএফ)-এ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মিডিয়া প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা।

সম্মেলনে বাংলাদেশ কী বলেছে?

সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সম্মেলনে তিনি জঙ্গিবাদ দমন, বিভ্রান্তিকর তথ্যরোধ এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি বিষয়ে কথা বলেন।

জঙ্গিবাদ দমনে তিনি বলেন, ইসলামের মূলমন্ত্র শান্তি। ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইসলাম সমর্থন করে না। এ তথ্য বিশ্বজনের কাছে তুলে ধরতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও এর সদস্যদেশগুলো বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে পারে। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের পরিবেশ বজায় আছে। ধর্মকে কেউ যেন জঙ্গিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) নীতি নিয়েছে সরকার।

বিভ্রান্তিকর তথ্যরোধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বৈশ্বিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সঠিক প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মানবতার খাতিরে ১১ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাকে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। করোনা মহামারি, ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার ভেতরেও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। এটি নিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। তা যত দ্রুত হয়, ততই সবার জন্য মঙ্গল।’

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মনে করে, স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনই এ বিষয়ে একমাত্র সমাধান। ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি কোনো দেশের জাতীয় কোনো ইস্যু স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে পারবে না।’

The post ‘ইসলামবিদ্বেষ মোকাবেলায় একমত মুসলিম দেশগুলো’ : কী আছে ওআইসির ইস্তাম্বুল ঘোষণায়? appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b7-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a7%9f/

ঘূর্ণিঝড়টির নাম যেভাবে ‌‘সিত্রাং’ হলো

ফাতেহ ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। এদিকে দেশে আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের আলোচনা। তারা আসলে জানতে চাচ্ছে কীভাবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘সিত্রাং’ হলো আর এই নামের অর্থই বা কী।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রে সৃষ্ট কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টা ৩৯ মাইলের বেশি হলেই সেই ঝড়টি একটি নাম পায়। অন্যদিকে কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মেইল ছাড়িয়ে গেলে তাকে হারিকেন, সাইক্লোন, বা টাইফুন হিসেবে ভাগ করা হয়।

জানা গেছে, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নাম করণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে ১৩টি দেশ (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন)।

এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড় নাম দেওয়া হয় ‘সিত্রাং’। এ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। এস্কেপের তালিকা অনুযায়ী ‘সিত্রাং’ এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মন্দোস’। এই নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। মন্দোস এর পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোচা’। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।

আরও জানা গেছে, ‘সিত্রাং’ শব্দের ভিয়েতনামি অর্থ পাতা। আবার সিত্রাং থাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের পদবিও।

The post ঘূর্ণিঝড়টির নাম যেভাবে ‌‘সিত্রাং’ হলো appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%98%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3%e0%a6%bf%e0%a6%9d%e0%a7%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87/

যে ১৩ জেলায় মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

ফাতেহ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের ১৩টি জেলায় মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত আঘাত হানবে। এটি উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩টি জেলায় বেশ মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে। আর দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে।

ঝুঁকিতে থাকা ১৩ জেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিত্রাংয়ের আঘাত হানতে পারে ১৩ জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী। অর্থাৎ চট্টগ্রাম খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলোতেও বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দ্বীপ এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে। এগুলোতে লোকজন সরানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের মানবিক সহায়তা পৌঁছে গেছে।

The post যে ১৩ জেলায় মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a7%a7%e0%a7%a9-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac/

২১ ঘণ্টার জন্য বন্ধ দেশের তিন বিমানবন্দর

ফাতেহ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় তিন বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর তিনটি হচ্ছে—চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দর।

আজ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তিন বিমানবন্দরে আজ বেলা ৩টা থেকে কাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তথা ২১ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি বিমানবন্দরের অবস্থান সমুদ্রের কাছাকাছি। জোয়ারের পানি আসতে পারে। বাতাসের গতিবেগও বেশি। তাই তিনটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। আর আবহাওয়া যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে হয়তো ঢাকায় সাময়িক সময়ের জন্য ফ্লাইট বন্ধ হতে পারে।

The post ২১ ঘণ্টার জন্য বন্ধ দেশের তিন বিমানবন্দর appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a8%e0%a7%a7-%e0%a6%98%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0/

এটা মহাবিপদ সংকেত পর্যন্ত যেতে পারে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি উপকূলে আঘাত হানবে। কেন্দ্র আঘাত করবে ভোরে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে।‘

তিনি আরও বলেন, ‘সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক ও ২ জেলায় হালকা আঘাত হানবে। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা ও পটুয়াখালী। বরগুনা সদর ও পটুয়াখালীর কলাপাড়াতে এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বেশি আঘাত হানবে। চট্টগ্রাম বিভাগের মহেশখালী, সন্দ্বীপ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখান থেকে মানুষ সরাতে কাজ চলছে। সিডর ছিল সুপার সাইক্লোন। এটা সিভিয়ার সাইক্লোন।’

বিপদ সংকেত কত পর্যন্ত যেতে পারে? একজন সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা মহাবিপদ সংকেত পর্যন্ত যেতে পারে।

The post এটা মহাবিপদ সংকেত পর্যন্ত যেতে পারে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a4-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a8%e0%a7%8d/

Sunday, October 23, 2022

সাতক্ষীরায় খতিব-লাঞ্ছনা: অমুসলিম ইউএনও’র বিচার চায় আলেমসমাজ

রাকিবুল হাসান নাঈম:

সালাম না দেয়ায় উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিবকে অপমান-অপদস্থ করেছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস। শুধু এতটুকুই নয়, পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক মিটিং থেকেও তাকে বের করে দেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই খতিব। তবে এখনো নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ দেশের আলেমসমাজ। তারা বলছেন, একজন খতিবকে এভাবে অন্যায়ভাবে অপদস্থ করে নির্বাহী কর্মকর্তা অপরাধ করেছেন। তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, এই নির্বাহী কর্মকর্তা মসজিদের ইমাম-মুআজ্জিনদের প্রতি বরাবরই বিদ্বেষপ্রবণ। মাস খানেক আগে মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মাসুদুর রহমানকেও তিনি অশালীন ও মানহানিকর কথা বলেছিলেন।

খতিবের সঙ্গে কী ঘটেছিল?

খতিব মো. মতিউর রহমান কলারোয়া উপজেলা মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন তিন বছর ধরে। গত ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মোহাম্মদের সা. জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কীভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যায় সেটি জানার জন্য গত ৮ অক্টোবর ইউএনও স্যারকে ফোন দেন তিনি। কিন্তু বেখেয়ালে সালাম দিতে ভুলে যান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ইউএনও। তিনি রুক্ষ ভাষায় খতিবকে বলেন, আমাকে সালাম করলেন না কেন? আমার স্বাক্ষরে আপনার বেতন হয়। তারপর খতিবকে বেয়াদব বলেও বকাবকি করেন।

এতটুকুতেই শেষ নয়। গণমাধ্যমকে খতিব বলেন, বুধবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন চিঠি দিয়ে আমাকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানালে আমি সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে ইউএনও স্যার আমাকে পূর্বের দিনের সালাম না দেয়ার কথা তোলেন। তখন আমি বলি, স্যার আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমি সবসময় সালাম দেই। তখন তিনি বলেন, আমার চেহারা কি এতো ভালো যে আমার চেহারা দেখলে আপনি বেখেয়াল হয়ে যান? অন্যরা তো কেউ বেখেয়াল হয় না। আপনি বেখেয়াল হয়ে যান। বেয়াদব কোথাকার। বের হন, বের হয়ে যান এখান থেকে। যান, বের হয়ে যান। এর আগে বলেন, ছাগলটা এখনও বের হয়নি! এই বলে সেখান থেকে আমাকে বের করে দেন। এ ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিন্ড সুপার ভাইজার শাহজাহান কবির ফাতেহের কাছে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এর আগে মাস খানেক আগে মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মাসুদুর রহমানকে এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, আপনি কি গাঁজা খান?

অমুসলিমকে সালাম দেয়ার বিধান

এ প্রসঙ্গে কথা হয় মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের সঙ্গে। তিনি বলেন, সালাম অর্থ শান্তি। ইসলামের একটি সৌন্দর্য, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের হক ও অধিকার। মুসলমান পরস্পরকে সালাম দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ হতে তার উপরে শান্তি বর্ষণের দোয়া করে। সালাম এর মধ্যে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি কামনা করা হয়। অমুসলিম তো আল্লাহর উপরই সঠিক বিশ্বাস রাখে না। তাই তার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা অর্থহীন। অমুসলমান কোন ভাইকে দিতে পারবে না।

তাহলে অমুসলিমকে কিভাবে সম্ভাষণ জানাবে? মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, সম্ভাষণ জানানোর যে বাংলা-ইংরেজি পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না, সেসব পদ্ধতিতে সম্ভাষণ জানানো যাবে।

রাসুলের কর্মপদ্ধতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাসুল অমুসলিম রাজা-বাদশাহদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তাদেরকে সালাম দেননি। বিসমিল্লাহ বলে শুরু করেছেন। প্রেরকের নাম উল্লেখ করতেন। তাই অমুসলিমদের সালাম দেয়া যাবে না। যদি কোনো প্রয়োজনে দিতে হয়, ‘আসসালামু আল মানিত্তাবাআল হুদা’ বলবে। আর অমুসলিমরা সালাম দিলে তদুত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে।

এখনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রূপা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিন্ড সুপার ভাইজার শাহজাহান কবির ফাতেহকে বলেন, খতিব সাহেব ডিসি স্যারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি অবগত আছেন। আমিও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। গতকাল এ বিষয়ে একটি মিটিংও হয়েছে। তবে মিটিংয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আমাকে জানানো হয়নি।’

সাতক্ষীরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ফাতেহকে বলেন, ‘ডিসি স্যারের কাছে খতিব সাহেব আবেদন করেছেন। ডিসি স্যার দেখবেন বিষয়টি। আমরাও চাই, তদন্ত করে বিষয়টির সুরাহা হোক।’

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ফাতেহকে জানান, ‘এ বিষয়ে মসজিদের খতিব একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তবে গতকালের মিটিং বিষয়ে কেউ মুখ খুলেননি।

আলেমদের ক্ষোভ

একজন ইমামকে অপমান অপদস্ত করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন।

গাজী আতাউর রহমান ফাতেহকে বলেন, সালাম প্রজাতন্ত্রের কোনো ‘কোড অব বিজনেস’ নয়, বরং সালাম ইসলাম ধর্মের একটি ধর্মীয় বিধান। রাসুল সা. মুসলমানদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্য মুসলমানকে বেশি বেশি সালাম দিতে। আর ইমাম ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় এবং সামজিক নেতা। তাই সমাজের প্রতিটি শ্রেণিপেশার মানুষের উচিত ইমামদের আগে সালাম দেওয়া। সালাম যেহেতু একটি ধর্মীয় বিধান সেহেতু সালামের কিছু ধর্মীয় নির্দেশনাও আছে। একজন মুসলমান একজন অমুসলিমকে মুসলমানের মতো সালাম দিতে পারে না। পুরুষদের জন্যও মহিলাদের সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ইমাম একজন যোগ্য আলেম হিসেবে ইসলামে সালামের বিধান ভালোভাবেই জানেন। এ জন্য তিনি ইউএনও রূপা বিশ্বাসকে সালাম না দিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিতে অত্যন্ত সঠিক কাজ করেছেন।

রুলী বিশ্বাসের শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, রুলী বিশ্বাস ওই ইমামকে যে অপমান অপদস্ত করেছেন, তা চরম শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তিনি দেশের সব ধর্মীয় নেতা এবং ইমামকেই অপমান করেছেন। তিনি দেশের বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। এ ধরনের অপরাধের জন্য আমরা ইউএনও রূপা বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

রুলী বিশ্বাসকে আইনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘ইমাম মানে নেতা। ইমামগণ নামাজের যেমন নেতা সমাজেরও নেতা। আর সমাজের নেতা হলো সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি। সমাজের মানুষ যেমন তাদেরকে সম্মান করেন, শ্রদ্ধা জানান, সমিহ করেন তেমনি রাষ্ট্র এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরাও তাদেরকে সম্মান করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইউএনও খতিবের সঙ্গে যা করলেন, তা অপরাধ। কারণ , ইসলামের দৃষ্টিতে খতিব সাহেব তাকে সালাম না দিয়ে কোনো অপরাধ করেননি। বরং সঠিক কাজই করেছেন। আমি মনে করি, এই কর্মকর্তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়া উচিত।’

The post সাতক্ষীরায় খতিব-লাঞ্ছনা: অমুসলিম ইউএনও’র বিচার চায় আলেমসমাজ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%96%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ac-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a6%a8%e0%a6%be/

সংবাদের উৎস জানাতে সাংবাদিকদের চাপ দেওয়া যাবে না: হাইকোর্ট

ফাতেহ ডেস্ক:

সাংবাদিকের সংবাদ লেখার তথ্যের উৎস কী, সেটি জানতে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাংবাদিকের কোনো সংবাদের বিষয়ে অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে আদালতের আগে প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হবার কথাও বলেছেন আদালত।

গত বছরের ২ মার্চ ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে সস্ত্রীক এক প্রকৌশলীকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জারি করা রুলের রায়ে এমন কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গটিত বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন। গত জুন মাসে দেওয়া রায়ের ৫১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে আজ (রোববার)।

The post সংবাদের উৎস জানাতে সাংবাদিকদের চাপ দেওয়া যাবে না: হাইকোর্ট appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a7%8e%e0%a6%b8-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%ac%e0%a6%be/

Saturday, October 22, 2022

পাঞ্জাবের কারাগারে স্বামী-স্ত্রী যৌন সম্পর্কের সুযোগ পাবেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কারাগারে এখন থেকে কয়েদিরা তাঁদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক (শারীরিক সংসর্গ) করতে পারবেন। সম্প্রতি পাঞ্জাব রাজ্য সরকার ভারতের প্রথম কারাগার হিসেবে রাজ্যের টার্ন টারান জেলার গোইন্দাল কারাগারে কয়েদিদের এ সুবিধা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের গোইন্দাল কারাগারে প্রথম এ সুবিধা পেয়েছেন হত্যা মামলার আসামি ৬০ বছর বয়সী গুরজিৎ সিং। তিনি ওই কারাগারে বেশ কয়েক মাস ধরে বন্দী।

পাঞ্জাব কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব কয়েদি আচার-আচরণে ভালো, প্রতি দুই মাসে দুই ঘণ্টার জন্য তাঁদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার কারা কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেওয়ার পর এক হাজারের বেশি কয়েদি এ সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০ কয়েদি এ সুযোগ পেয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে নতুন স্কিম চালু হওয়ায় কারাগারের ভেতর কয়েদিদের এ ধরনের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে পাঞ্জাব প্রথম ভারতীয় রাজ্য। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ২৫টি কারাগারের মধ্যে তিনটি কারাগারে এ সুবিধা চালু হয়েছে। স্কিম অনুযায়ী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ১৭টি কারাগারে এই সুবিধা চালুর কথা বলা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য কারাগারগুলো আয়তনে অনেক ছোট এবং একটি শিশুদের জন্য। এ কারণে এসব কারাগারে এ সুবিধা চালু করা যায়নি।

সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, কারাগারে কয়েদিদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সুবিধা দিতে সংযুক্ত বাথরুমসহ একটি কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। ওই কক্ষে কয়েদি তাঁর স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করতে পারবেন। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ওই কক্ষের ভেতর জন্মনিরোধকও সরবরাহ করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, স্পেন, ফিলিপাইন, কানাডা, সৌদি আরব, ডেনমার্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের কারাগারে কয়েদিদের দাম্পত্য সাক্ষাতের ব্যবস্থা আছে। ব্রাজিল ও ইসরায়েলে সমলিঙ্গের সঙ্গীদের সঙ্গে থাকারও অনুমতি দেওয়া হয়।

 

The post পাঞ্জাবের কারাগারে স্বামী-স্ত্রী যৌন সম্পর্কের সুযোগ পাবেন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ae/

দেশে বাড়ছে দুর্ভিক্ষের ভয় : আলেমরা যা বলছেন

রাকিবুল হাসান নাঈম:

আগামী ২০২৩ সাল বিশ্ববাসীর জন্য সংকটের বছর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা কারণে আগামী বছরটি মন্দার হবে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ইতোমধ্যে সেই মন্দা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে উদ্বেগের সঙ্গেই এ রকম কথা বলছেন। তিনি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করে এসেছেন। ভ্রমণের সময় বিশ্বের বহু নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরাই নাকি তাঁকে আসছে ২০২৩ সালে মন্দা ও দুর্ভিক্ষের আভাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এডিবি, আঙ্কটাডসহ বিশ্বখ্যাত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও দাতাসংস্থাগুলোর পূর্বাভাস তুলে ধরেও খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষের শঙ্কার কথা বলছেন।

তার বক্তব্য কতটা উদ্বেগের? আসলেই কি দুর্ভিক্ষ আসছে? দেশের আলেম সমাজ কী ভাবছেন?

‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হালকাভাবে নেয়া যাবে না’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হালকাভাবে নেয়া যাবে না বলে মনে করেন আলেম লেখক ও গবেষক ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন। তিনি ফাতেহকে বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্ভিক্ষের আগাম বার্তা শোনান, তার বার্তাকে হালকাভাবে নেয়া যাবে না। তিনি সবদিক বিবেচনা করেই কথা বলেন। তিনি বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যপণ্যের ঘাটতি, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, অস্বাভাবিকভাবে ডলারের দর বাড়ার ফলে দেশে যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন; এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এর প্রভাব কেমন হতে পারে, তারও একটা হোমওয়ার্ক করেছেন। তারই আলোকে তিনি বারবার মানুষকে সতর্ক করছেন এবং সময় থাকতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। আমি মনে করি, এটা খুবই ইতিবাচক যে প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে আগেভাগেই ভেবেছেন।’

বাংলাদেশের সামনে সংকটগুলো তুলে ধরে এই আলেম গবেষক বলেন, আমাদের রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। ডলার আয়ের সবচেয়ে বড় খাত রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। গত মাসে দুটোই কমেছে। আমরা রফতানি কম করি, আমদানি বেশি করি। আমাদের অনেক মেগা প্রজেক্ট রয়েছে। যেগুলোর ঋণ পরিশোধ করা শুরু হবে ২০২৩ সালে। ফলে সবদিকে দিয়েই বাংলাদেশে একটা সংকটের মুখে আছে। এই সংকট কাটানোর জন্য পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে।

সংকট কাটানোর জন্য কী করা যেতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাদ্য মজুত করতে হবে। উৎপাদশীলতা বাড়াতে হবে। কোনো পতিত জমি অনাবাদ রাখা যাবে না। কৃষির জন্য সার দরকার। বাংলাদেশের ৮৬ ভাগ পটাশিয়াম সার রাশিয়া থেকে আসে। অন্যান্য সারও আসে বিভিন্ন দেশ থেকে। এখন থেকেই আমাাদেরকে সার এনে মজুত করতে হবে। শুধু মজুত না, সার তৈরী করতে হবে। চাল, তেল , গমসহ আরও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারপণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। সরকারকে পারিকল্পনামাফিক এসব করতে হবে।

তিনি বলেন, পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে আসন্ন দুর্ভিক্ষে আমরা সহনীয় দিন যাপন করতে পারবো।

সিপিডির গবেষণা

বৈশ্বিক মন্দা এবং সুপরিকল্পনার অভাবে সত্যিই বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে এক গবেষণায় জানিয়েছে অর্থনীতির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে ৭টি সঙ্কটের মুখে বাংলাদেশ। সেগুলো হলো—ডলার সঙ্কট, জ্বালানি সঙ্কট, মূল্যস্ফীতি সঙ্কট, খাদ্য সঙ্কট, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সঙ্কট, করোনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সঙ্কট।

গবেষণায় বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে এ ৭টি সঙ্কট বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির পথে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী ছয় মাস-এক বছরের মধ্যে তা কেটে যাবে, এমনটি মনে করার শক্ত কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে স্বল্পকালীন পদক্ষেপ হিসেবে সঙ্কট উত্তরণের একমাত্র পথ হলো জাতীয়ভাবে ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপের সঙ্গে থাকা এবং ব্যয়ের খাতে শুধু উৎপাদনশীল খাতেই বিনিয়োগ করে যাওয়া যাতে তার রিটার্ন আসে।

দুর্ভিক্ষ এড়াতে সিপিডির বলছে, এখনই খাদ্য মজুদ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ৪৫টি দেশ খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কায়। অথচ বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তা গড়ে তোলা হয়নি। মানুষ খাবার কমিয়ে দিলেও কমপক্ষে ২৯টি খাদ্যসামগ্রী আমদানিতে বর্তমানে উচ্চ কর ও শুল্ক আদায় হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্কের হার কমানো ও বেসরকারি খাতে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বেতন বাড়াতে হবে। সার্বিকভাবে এ বহুমুখী সঙ্কট উত্তরণের উত্তম সমাধান হলো অতি দ্রুত কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিডাসহ বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয়ভাবে বহুমুখী সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করা। যাতে বাস্তবায়ন পর্যায়ে কোনো একটি উদ্যোগে আরেকটি সংস্থা, বিভাগ বা মন্ত্রণালয় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি ‘বিশ্বে কি মন্দা আসন্ন’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির তিন মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপের অর্থনীতি দ্রুত গতি হারাচ্ছে। ফলে আগামী বছরে সামান্য আঘাতেও মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই প্রতিবেদনের পরই মূলত মন্দার বিষয়টি আলোচনায় আসে। ৪ অক্টোবর দুর্গোৎসব উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম মন্দার বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনা করেন। এরপর ৬ অক্টোবর বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, ২০২৩ সাল একটা মহাসংকটের বছর হবে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টা বেশি বিবেচনা করা দরকার। যার যার জায়গা আছে, চাষ শুরু করে দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যেটুকু বিদ্যুৎ দরকার সেটুকু দিতে পারব। জনগণের কষ্ট যেন না হয়, সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।’

The post দেশে বাড়ছে দুর্ভিক্ষের ভয় : আলেমরা যা বলছেন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad/

Friday, October 21, 2022

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি: পটিয়ায় খতমে নবুওয়াত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ফাতেহ ডেস্ক:

কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে কাফেলায়ে আসহাবে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনায় পটিয়ায় দুইদিন ব্যাপী খতমে নবুওয়াত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বাদ আসর চট্টগ্রাম পটিয়া আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংগঠনের সভাপতি জামিয়া পটিয়ার সিনিয়র শিক্ষক মুফতী বোরহান উদ্দিন এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয়ে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির মহাসচিব মুফতী মাওলানা ইমামুদ্দিন এর সমাপনী বক্তব্য ও মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত হননি। তিনি সমগ্র বিশ্বজগৎ ও মানবতার জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ’র ভালোবাসা পেতে হলে প্রিয় নবীর আনুগত্য স্বীকার ও তার আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।

বক্তারা বলেন, অথচ কাদিয়ানীরা বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে শেষ নবী হিসেবে মানতে নারাজ। তারা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে শেষ নবী বলে দাবি করে। সে কারণ কাদিয়ানীদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

মাওলানা এসাম উদ্দিন মাহমুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া পটিয়ার সদরে মুহতামিম মাওলানা আমিনুল হক ও নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের নদভী।

এছাড়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদীস মুফতী হাফেজ আহমদ উল্লাহ, মুফতী শামসুদ্দিন জিয়া, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন, মুফতী মাহমুদুল হাসান মমতাজী, মাওলানা আখতার হোসাইন, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা আমিনুর রশিদ ও মাওলানা আবু সাঈদ প্রমুখ।

The post কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি: পটিয়ায় খতমে নবুওয়াত সম্মেলন অনুষ্ঠিত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%98%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a6%a3/

ওমরায় গিয়ে মমতাজের কনসার্ট, তীব্র নিন্দা আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের

ফাতেহ ডেস্ক:

শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ বলেন, সৌদি আরবের পবিত্র মাটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে সাংসদ মমতাজের মতো শিল্পীদের দিয়ে গানের কনসার্টের আয়োজন দেখে আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত এবং বিস্মিত হয়েছি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পবিত্র মক্কা নগরী মুসলিম বিশ্বের একান্ত ভক্তি- শ্রদ্ধার পূণ্যভূমি। এদিকে বাংলাদেশ বিভিন্ন কারণে ইসলামের উর্বর ভূমি। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ক্ষমতার তিন মেয়াদে ইসলামের স্বপক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্যক্রমের মাধ্যমে জনমনে কল্পনাতীত আস্থা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ থেকে একদিকে শিল্পী অন্যদিকে সংসদ সদস্য হিসেবে মমতাজের দ্বারা এ জাতীয় ঘৃণ্য ভূমিকা শুধু ইসলামেরই যে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা-ই নয়, সঙ্গে সঙ্গে সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

অথচ শিল্পী মমতাজ নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, তিনি পবিত্র মক্কা নগরীতে ওমরাহ পালনে গিয়েছেন। আমরা এতে কার্যক্রমে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, আঞ্জুমানের আমির মাওলানা আনাস মাদানী, মহাসচিব মাওলানা রুহুল আমীন খান উজানী, যুগ্মসম্পাদক ড. কামরুল ইসলাম আজহারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাসউদ আহমদ, মুফতি উসমান, মুফতি নাসিরুদ্দিন কাসেমী প্রমুখ।

The post ওমরায় গিয়ে মমতাজের কনসার্ট, তীব্র নিন্দা আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%93%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%97%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0/

Thursday, October 20, 2022

প্রথমবারের মতো উর্দুতে সাক্ষাৎকার দিবেন মুফতি ইসমাঈল মেন্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রথমবারের মত উর্দুতে সাক্ষাৎকার দিবেন বিখ্যাত স্কলার ইরেজিভাষী জিম্বাবুয়ের প্রধান মুফতি ইসমাঈল মেন্ক।

আগামী শনিবার (২২ অক্টোবর) পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ইসলামিক কন্টেন্ট প্রচারিত ইউটিউব চ্যানেল মেসেজ টিভিতে তিনি এ সাক্ষাৎকার দিবেন। মুসলিমদের স্যোশাল মিডিয়া আলফাফার সৌজন্যে এ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবে।

জানা যায়, পাকিস্তানের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় এ সাক্ষাৎকার প্রচার করা হবে। এ সাক্ষাৎকারটি উর্দু ভাষায় দিবেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিতে সহায়তা করেছে মুসলিমদের তৈরি স্যোশাল মিডিয়া আলফাফা। ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠা এ স্যোশাল মিডিয়ার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজন করা হয়েছে।

মুফতি ইসমাঈল মেঙ্ক বলেন, আমি এ প্রথম উর্দু ভাষায় সাক্ষাৎকার দিতে যাচ্ছি। যদিও আমার মাতৃভাষা ইংরেজি। সবাইকে এ সাক্ষাৎকারটি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

ডক্টর ইসমাইল ইবনে মুসা মেঙ্ক, যিনি মুফতি মেঙ্ক নামে অধিক পরিচিত। একজন মুসলিম শিক্ষাবিদ, ইসলাম প্রচারক ও বক্তা। তিনি বর্তমানে জিম্বাবুয়ের প্রধান মুফতি। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭ সালে তিনি জর্ডানের ইসলামি চিন্তাধারার জন্য রাজকীয় আল-বায়ত ইনস্টিটিউট দ্বারা বিশ্বের ৫০০ সর্বাধিক প্রভাবশালী মুসলমানদের মধ্যে একজন হিসাবে ঘোষিত হন।

মেন্ক হরারেতে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি তার প্রাথমিক অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন। তার গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে, যখন তিনি যুবক ছিলেন, তিনি কুরআনের স্মরণে এবং আরবি, উর্দু ভাষা শিখেন এবং হানাফী ফিকহ তার বাবার কাছে অধ্যয়ন করেন। তিনি সিনিয়র স্কুলে সেন্ট জনস কলেজ (হারারে)তে ও পড়েছেন।

মেন্ক জিম্বাবুয়ে ইসলামিক স্কোলার কাউন্সিল (মজলিসুল উলামা জিম্বাবুয়ে) এর জন্য কাজ করে, যা জিম্বাবুয়ের মুসলিম জনসংখ্যার শিক্ষাগত চাহিদা পূরণ করে।

তিনি হারারেতে মসজিদ আল ফালাহাতে রোস্টের ভিত্তিতে ইমামও রয়েছেন। মেন্ক বিশেষত পূর্ব আফ্রিকায় পরিচিত এবং আন্তর্জাতিকভাবেও শিক্ষা দেয়। তিনি হারারেতে ইমাম কাউন্সিলের অধীনে মহিলাদের জন্য একটি সাপ্তাহিক সিস্টার্স লার্নিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করেন। মেন্ক প্রায়শই আমন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে কথা বলে এবং যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, কেনিয়া, উগান্ডা এবং ভারত সহ ২০ টিরও বেশি দেশে উচ্চারিত হয়।

২০০১ সালে, মেন্কে সৌদি আরবের আফ্রিকার দাওয়াহ কমিটির কাছে “ইসলামের দাওয়াতের প্রচার মাধ্যমের প্রভাব” বিষয়ে তার গবেষণার জন্য প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল। পরের বছর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত “আফ্রিকান মহাদেশে দাউদের মুখোমুখি বাধা এবং তাদের সমাধান” শীর্ষ কিং ফাহাদ সিম্পোজিয়ামে গবেষণা উপস্থাপন করেন।

The post প্রথমবারের মতো উর্দুতে সাক্ষাৎকার দিবেন মুফতি ইসমাঈল মেন্ক appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a4-%e0%a6%89%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be/

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি মিয়ানমারের জান্তা সরকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের জান্তা সরকার রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের পর শুরু হবে কার্যক্রম। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন মধ্যস্ততা করছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে দলবেঁধে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছিল রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্মম নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার। ওই সময় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে কক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছেন।

The post রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি মিয়ানমারের জান্তা সরকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be/