Wednesday, March 30, 2022

কোনো ধর্মকেই খাটো করে দেখার নয়:ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

‘কোনো ধর্মকেই খাটো করে দেখার নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে করোনা মহামারিতেও দেশব্যাপী চলমান উন্নয়ন কর্মগুলো থেমে নেই। অথচ অপশক্তিগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই চলছে। সরকারের কোনো ভালো কর্মগুলো তাদের মুখে উচ্চারিত হয় না।’

ময়মনসিংহের ভালুকায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে এসব কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি। মঙ্গলবার রাতে ভালুকা উপজেলা পরিষদ হলরুমে ওই আন্তঃধর্মীয় সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিল্পবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র ডা. এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন, ইসলামী ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহের পরিচালক নাজমুল হক, ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রোস্তম আলী বিএসসি, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান খান শারফুল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ মাস্টার, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
ভালুকা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই আন্তঃধর্মীয় সংলাপের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এর আগে ভালুকার একটি চার্চ, মন্দির ও উপজেলা সদরে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ পরিদর্শন করেন।

The post কোনো ধর্মকেই খাটো করে দেখার নয়:ধর্ম প্রতিমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a7%8b-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%96/

ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তুরস্কের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, রাজধানী কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে তাদের সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেবে রাশিয়া। খবর ডয়েচে ভেলে ও ইয়েনি শাফাকের।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথম যুদ্ধ বন্ধে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার পর থেকে কমতে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ।

রুশ ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্দার ফোমিন শান্তি আলোচনা শেষে আশ্বাস দিয়েছিলেন পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করা এবং আরও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করবে রাশিয়া।

তুরস্কে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পর তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভুলত কাভুসগলুও বলেন, আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। কিয়েভ চেরনিভ থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে— ইস্তানবুলের শান্তি সংলাপে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হলে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোতে যোগ না দিয়ে তারা নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছে। এতদিন এটিই ছিল রাশিয়ার প্রধান দাবি।

ইউক্রেনপক্ষের মধ্যস্থতাকারী ওলেকসান্দার বলেন, ‘ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার জন্যেই ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে তা অর্জন করা হবে।’

The post ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার শুরু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%87/

রমজানে ৫টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ

ফাতেহ ডেস্ক:

সারা দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার সময়সীমা আরো ১ ঘণ্টা বাড়িয়ে ৬ ঘণ্টা করা হয়েছে। প্রথম রমজান থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সূচি অনুযায়ী বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

আজ বুধবার পেট্রোবাংলার উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ কার্যকর রয়েছে।

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সময়কাল পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসন্ন রমজান মাসের শুরু থেকে ঈদ-উল-ফিতর পর্যন্ত বিকাল ৫টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত অর্থাৎ মোট ৬ (ছয়) ঘণ্টা সকল সিএনজি স্টেশন হতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকারি এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা দেশে সিএনজি স্টেশনসমূহকে উল্লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গ্যাস বিতরণ কম্পানির ভিজিল্যান্স টিমসমূহ নিয়মিত মনিটরিং করবে। সিদ্ধান্ত অমান্যকারী সংশ্লিষ্ট সিএনজি স্টেশন-এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য পেট্রোবাংলা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত। সরকার বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে চায়।

The post রমজানে ৫টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a7%ab%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a7%a7%e0%a7%a7%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af/

রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না: হাইকোর্ট

ফাতেহ ডেস্ক:

আসন্ন রমজান মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখা সরকারের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার রিটের শুনানিকালে বুধবার (৩০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা জানান।

আদালতে রিট আবেদনটির শুনানির জন্য ছিলেন রিটকারী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

গত ২৭ মার্চ আসন্ন রমজান মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিটটি দায়ের করেন।

একইসঙ্গে রিট আবেদনে ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। নির্দশনার পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রমজান মাসে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারির আরজি জানানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, দেশে এখন ভয়াবহ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সীমাহীন গরমে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা অবৈধ এবং এর আগে সবসময় পবিত্র মাহে রমজানে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই এই অবস্থায় স্কুল খোলা না রাখার নির্দেশনা চাইছি। যেহেতু রমজান মাসে শিক্ষকরা রোজা রেখে ক্লাসে লেখাপড়া শেখানোর বিষয় মনোযোগী হতে পারে না, এছাড়া করোনার প্রকোপ এখনও যায়নি; এ কারণে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

The post রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না: হাইকোর্ট appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%a8/

বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের বিস্তারিত পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের এসব কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং আশাকরি আসন্ন পবিত্র রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় সংসদে ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ফখরুল ইসলাম জানতে চান ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুগ্রহ করিয়া বলিবেন কি, বর্তমানে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাইয়া চলিয়াছে; যেই কারণে সাধারণ মানুষ চোখে অন্ধকার দেখিতেছে; তাই বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করিবার লক্ষ্যে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়াছে কিনা; করিলে তাহা কী?’

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ সবধরনের পণ্যসামগ্রীর মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণপূর্বক তা সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেশের সব সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিম্নআয়ের এক কোটি পরিবারের কাছে রমজান শুরুর আগে ও রমজানের মাঝামাঝি মোট দুইবার টিসিবির পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সে অনুযায়ী প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ কর্তৃক প্রতিদিন বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, টিসিবি ও কৃষিবিপণন অধিদপ্তর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ অবস্থা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে সব জেলা ও উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য প্রতিমাসে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। টাস্কফোর্স কমিটি জেলা ও উপজেলা বাজারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এসব মোবাইল কোর্ট পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী কর্তৃক ভোক্তাদের ওজনে কম না দেওয়া, অধিক মুনাফার মানসিকতা পরিহার, দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তালিকা টাঙানো, খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহাররোধ ও বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতারোধে জরিমানা আরোপ করে থাকে।

The post বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ae%e0%a7%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%af/

Tuesday, March 29, 2022

আশুলিয়ায় ঘর থকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকার আশুলিয়ার একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার শামসুল হকের বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন- নওগাঁর মান্দা থানার চককেশবপুর মন্ডলপাড়া এলাকার সামাদ মন্ডলের ছেলে সাইদুল মন্ডল (৩২) ও তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ববিতা (২৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী সাইদুল মন্ডল বিদেশে থাকতেন। তিনি কিছুদিন আগে দেশে এসেছেন। স্ত্রী ববিতা সামাদ মন্ডলের টিনশেডের ঘরে ভাড়া থেকে স্থানীয় আল-মুসলিম পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের খবরে ওই এলাকার একটি টিনশেডের ঘর থেকে তাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

The post আশুলিয়ায় ঘর থকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%98%e0%a6%b0-%e0%a6%a5%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a7%8d/

পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের হজ ও ওমরাহ পালনের অনুমোদন বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পুরুষ অভিভাবক বা মাহরাম ছাড়াই নারীদের ওমরাহ পালনের যে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল তা বাতিল করেছে সৌদি আরব। মিশরীয় সংবাদমাধ্যম মাসরায়িকে এ কথা জানিয়েছেন এক সৌদি কর্মকর্তা।

দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সায়িদ বাহাশওয়ান বলেন, ৪৫ বছরের কম বয়স্ক নারীদের মাহরাম ছাড়া ওমরা পালনের অনুমোদনের বিষয়টি ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ স্থগিত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য নিউ আরব।

The post পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের হজ ও ওমরাহ পালনের অনুমোদন বাতিল appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b7-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%95-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a6/

বরেণ্য শিক্ষাবিদরা ভিসি হতে চান না: শিক্ষামন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের ‘বরেণ্য শিক্ষাবিদদের’ অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিতে চান না বলে সংসদে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিল-২০২২’ পাসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব সংসদে তোলার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু এবং বিএনপির হারুন অর রশীদ উপাচার্যদের ‘কর্মকাণ্ড’ নিয়ে সমালোচনা করেন।

পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কার্যকলাপ নিয়ে কিছু কিছু সমালোচনা আছে। যেগুলোর সত্যতাও আছে এবং সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঢালাওভাবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন মনে করি না।”

তিনি বলেন, আমাদের খুবই বরেণ্য শিক্ষকরা আছেন, যাদের উপাচার্য হিসেবে পেলে গর্ব অনুভব করতাম। কিন্তু তাদের অনেকেই এই প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হন না। আমরা চাইলেও সবচাইতে ভালো কেউ আগ্রহী হবেন- তেমন নয়।

দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য যখন প্যানেল প্রস্তুত করে আচর্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে পাঠানো হয়, কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ওই তালিকা করা হয়। প্রথম দেখা হয় তাদের অ্যাকাডেমিক একসিলেন্স, দ্বিতীয়ত দেখা হয়, তারা গবেষণা কী রকম করেছেন। একইসঙ্গে তাদের যে প্রতিষ্ঠান, সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিনা সমিতি থাকে, নানা জায়গা থাকে, সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কি না।

তিনি বলেন, উপাচার্য শুধু অ্যাকাডেমিক দিক দেখেন না, নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলীও জরুরি। একইসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন কি না সেটাও দেখা হয়। এসব বিবেচনায় যাদের সবচাইতে ভালো মনে করা হয় তাদের নাম প্রস্তাব করা হয়।

The post বরেণ্য শিক্ষাবিদরা ভিসি হতে চান না: শিক্ষামন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a6%bf/

Monday, March 28, 2022

রোজায় স্কুল খোলা রাখায় রিট

ফাতেহ ডেস্ক:

পবিত্র রমজান মাসে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি হতে পারে আগামীকাল বুধবার (৩০ মার্চ)।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এমন তথ্য জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

তিনি বলেন, অবকাশকালীন ছুটি চলছে এখন। কোর্টের সংখ্যা কম। রিট শুনানির বেঞ্চের সংখ্যা আরও কম। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরের দিন বৃহস্পতিবার রিট শুনানির জন্য বেঞ্চ বসবে। বিচারপতি আবু তাহের মুহাম্মদ সাইফুর রহমান রিট ম্যাটার শুনবেন। আমি এই বেঞ্চে আমার আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করবো। আদালতকে অনুরোধ করবো সাবলিমেন্টারি তালিকা করে আমরা আবেদনটি শুনানির জন্য।

এর আগে গত রোববার ২৭ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এ আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিট আবেদনে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৯০ ভাগ নাগরিক মুসলমান, তাদের ধর্ম ইসলাম। প্রথা ও রীতি অনুয়ায়ী রমজান মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

রিটে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু রমজান মাসে শিক্ষকরা রোজা রেখে ক্লাসে লেখাপড়া শেখানোর বিষয়ে মনাযোগী হন না। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনো যায়নি। এসব কারণে রমজান মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আর্জি জানানো হয়েছে। আর রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

The post রোজায় স্কুল খোলা রাখায় রিট appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%96%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf/

চাকরিজীবীদের ঠিক সময়ে নামাজ পড়ার আহ্বান তালেবানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক করেছে তালেবান সরকার। এ ছাড়া জারি করেছে নতুন পোশাকবিধি। সোমবার তালেবান সরকার থেকে দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার তালেবান সরকার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে সরকারি চাকরিজীবীদেরকে দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

পাশাপাশি শার্ট-প্যান্ট-স্যুটের মতো পশ্চিমা পোশাক পরিহার করে লম্বা ঢোলা জামা-পাজামা ও মাথায় পাগড়ি পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চাকরিজীবীদের ঠিক সময়ে নামাজ পড়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনা চাকরিজীবীরা ঠিকমতো মেনে চলছেন কিনা— যাচাই করতে নিয়মিত সরকারি দফতরগুলোতে টহল দেবে তালেবান রক্ষীরা। যদি কোনো চাকরিজীবীর বিরুদ্ধে নির্দেশাবলী অমান্যের প্রমাণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

The post চাকরিজীবীদের ঠিক সময়ে নামাজ পড়ার আহ্বান তালেবানের appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a0%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be/

ফিলিস্তিনে সহিংসতা প্রতিরোধে নতুন পদক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে গত বছর রমজানে যে সহিংসতা হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি রোধে কূটনৈতি তৎপরতা চলছে। গত বছর ইসরাইল ও গাজার মধ্যে চারবার সংঘাত হয়েছিল।

জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিষয়টি নিয়ে সোমবার রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দুই ঘন্টা আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য যে ২০১৭ সালের পর পশ্চিম তীরে জর্দানের বাদশাহর প্রথম সফর এটি।

এই সফর শুরু আগে চলতি মাসেই ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন রাজা। ওখানেও তিনি রমজান মাসে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।

একই বিষয় নিয়ে সম্প্রতি কয়রোতে ভ্রমণের সময় মিসরীয় কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইল সরকারের সমন্বয়কারী ঘাসান আলিয়ান।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করেছেন যে ‘বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে’রয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীর। গত বছর এই সময়ে আল-আকসা মসজিদে অস্থিরতার পাশাপাশি ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ প্রচেষ্টা কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হয় এবং গাজায় ১১ দিন ধরে আক্রমণ চালায় ইসরাইলি বাহিনী।

সূত্র : আরব নিউজ

The post ফিলিস্তিনে সহিংসতা প্রতিরোধে নতুন পদক্ষেপ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf/

রমজান উপলক্ষে ৫৪০ বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে আমিরাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নির্দেশে ৫৪০ বন্দীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বন্দীরা এই ছাড় পাচ্ছেন বলে খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

দুবাইয়ের অ্যাটর্নি-জেনারেল কাউন্সেলর ইসাম ইসা আল হুমাইদান জানান, বন্দীদের দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে পবিত্র রমজান পালন করতে দেয়ার উদ্দেশ্যেই দুবাই শাসক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন, পাবলিক প্রসিকিউশন সাধারণ ক্ষমার আদেশ কার্যকর করতে এবং বন্দীদের মুক্তি দিতে দুবাই পুলিশের জেনারেল কমান্ডের সঙ্গে মিলে কাজ শুরু করেছেন। বন্দীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে পারে সে চেষ্টাই করা হচ্ছে।

এর আগে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৫৪০ জন বন্দীকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা আসে। প্রেসিডেন্ট বলেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ৫৪০ জন কয়েদিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন কারাগারে ক্ষমাপ্রাপ্ত বন্দীরা বিভিন্ন অপরাধের জন্য সাজা ভোগ করছিল। শেখ খলিফা আর্থিক দণ্ড থেকেও এসব বন্দীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। খলিফার বিশেষ ক্ষমায় এই বন্দী মুক্তি দিয়ে থাকে দেশটি। ক্ষমাপ্রাপ্ত বন্দীরা জেল অভিজ্ঞতা থেকে নতুন জীবন শুরু করবেন। সুনাগরিক হিসেবে পরিবার ও সমাজে ফিরে যাবেন। এ জন্যই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

The post রমজান উপলক্ষে ৫৪০ বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে আমিরাত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a7%ab%e0%a7%aa%e0%a7%a6-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%95/

রমজানে ব্যাংক খোলা সাড়ে ৯টা থেকে ৪টা

ফাতেহ ডেস্ক:

রমজান মাসে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সোমবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘হিজরি ১৪৪৩ (২০২২ খ্রিস্টাব্দ) সালের পবিত্র রমজান মাসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিস সময়সূচি নির্ধারণ’ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির রমজানে ব্যাংক খোলা রাখার সূচি জানান। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩ বা ৪ এপ্রিল থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে। বর্তমানে ব্যাংক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রমজানের সরকারি অফিসের সময়সূচি হলো ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা। বাংলাদেশ ব্যাংক সাড়ে ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত করেছে। বৈঠকে গভর্নর ছিলেন, তিনি যা বললেন- যাতে একসঙ্গে সব না হয়।

রমজানে আদালতের সময় তো ভিন্ন হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোর্টেরটা আমি জানি না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, উনি অলরেডি সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করে দিয়েছেন ব্যাংক।

The post রমজানে ব্যাংক খোলা সাড়ে ৯টা থেকে ৪টা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95-%e0%a6%96%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87-%e0%a7%af/

হিজাব পরেই সেবা নিশ্চিতের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ফাতেহ ডেস্ক:

হিজাব-নিকাব পরিহিত অবস্থায় মহিলাদের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে তারা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

এসময় ‘হিজাব আমার স্বত্তার অংশ; পর্দা করা আমার সংবিধানিক অধিকার’ ‘কান দেখানো ছবি নয়; বায়োমেট্রিকেই সব হয়’ ‘কান দেখিতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’ ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধিতে জাতীয় পরিচয়পত্র কেন নয়?’ সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা মেয়েরা পর্দা করার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঁধার সম্মুখীন হই। চাকুরির সাক্ষাৎকারে গেলে আমাদের পর্দা খুলে মুখ দেখাতে হয়। মুখ খুলে যখন কথা বলি তখন প্রচন্ড বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। কারণ এটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম। চাকরি বা সরকারি সেবা নিতে যদি আমাদের ধর্মীয় বিধান লঙ্ঘন করতে হয় তাহলে আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা কোথায়? আমরা কি কোন বাজারের পণ্য যে, চেহারা দেখিয়ে আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ করতে হবে?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইয়েদা হুমায়রা বলেন, ‘যারা হিজাব-নিকাব পরিধান করে, তাদের জন্য বিকল্প বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হোক। হিজাব-নিকাব পরিহিত অবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংক একাউন্টসহ রাষ্ট্রীয় সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।’

The post হিজাব পরেই সেবা নিশ্চিতের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ac-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87/

র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত গর্হিত কাজ: প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

আমেরিকাকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা অপরাধীদের রক্ষা করে তাদের দেশে স্থান দেয়। আর বিনা অপরাধে আমাদের দেশে (র‌্যাব সদস্যদের) নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলেও মনে করেন তিনি।

সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টায় কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদরদপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে বিশেষ দরবারে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা সংস্থার যে কেউ যদি অপরাধে জড়িয়ে পড়ে আমরা কিন্তু শাস্তির ব্যবস্থা করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, যারা আমাদের বিনা কারণে বিনাদোষে র‌্যাবের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের দেশে কিন্তু এ ধরনের অপরাধ করলে কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। আমি স্পষ্ট বলি, আমেরিকায় ছোট্ট বাচ্চা ছেলে জাস্ট পকেটে হাত দিয়েছে, তাকে গুলি করে মারল অথবা পা দিয়ে পাড়া দিয়ে গলা চেপে মেরে ফেলে দিল। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে অপরাধ করলে শাস্তি দেওয়া হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, সেখানে কেউ অপরাধ করলে শাস্তি নিশ্চিত করি। তারপরও দুর্ভাগ্যের বিষয় যে যারা হলি আর্টিজানের মতো এ ধরনের অভিযান করে সাফল্য অর্জন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমাদের এই সাফল্যে এরা দুঃখ পেয়েছে কি না আমি জানি না। তবে বাংলাদেশ যে সাফল্য অর্জন করেছে, সেটাই সত্য। সেখানে এরকম নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা সব সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন। একটাই লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলবো। বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পরে হলেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়। আজকের এই উন্নয়নে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানসহ র‌্যাবেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের আইনশৃঙখলা রক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারত্ব এই বাহিনীকে ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে।

এসময় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার উপর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোজাকে সামনে রেখে কিছু মজুতদারী, কালোবাজারী আছে। এগুলোর বিরুদ্ধেও র‌্যাব অভিযান চালাচ্ছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

The post র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত গর্হিত কাজ: প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%a7%e0%a6%be/

Sunday, March 27, 2022

বিশ্বে শব্দ দূষণের শীর্ষে ঢাকা, চতুর্থ রাজশাহী

ফাতেহ ডেস্ক:

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ শব্দ দূষণের শহর নির্বাচিত হয়েছে। আর উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাজশাহী এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) ‘বার্ষিক ফ্রন্টিয়ারস রিপোর্ট-২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্বে শব্দ দূষণে শীর্ষ শহর। এই তালিকায় ঢাকার পড়েই রয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদ। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি।

ওই প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আবাসিক এলাকার জন্য অনুমতিযোগ্য শব্দ সীমার মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল। এছাড়া বাণিজ্যিক এলাকা ও যেখানে যানজট আছে সেখানে ৭০ ডেসিবেল।

তবে ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল এবং রাজশাহীতে ১০৩ ডেসিবেল পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির দূষিত শহরের এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৩টি শহর রয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী ছাড়াও ভারতের মুরাদাবাদ, কলকাতা, আসানসোল, জয়পুর এবং দিল্লিও রয়েছে এই তালিকায়।

তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে শান্ত শহর নির্বাচিত হয়েছে জর্ডানের ইরবিদ শহর।৬৯ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা নিয়ে সবচেয়ে শান্ত শহর নির্বাচিত হয়েছে ইরবিদ।

The post বিশ্বে শব্দ দূষণের শীর্ষে ঢাকা, চতুর্থ রাজশাহী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%a6-%e0%a6%a6%e0%a7%82%e0%a6%b7%e0%a6%a3%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7/

সেন্টমার্টিন থেকে কুকুর পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু

ফাতেহ ডেস্ক:

টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্রের উপকূলজুড়ে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। সৈকতে ডিম পারতে আসলেই মা কচ্ছপের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুর। এতে অনেক সময় মারা যাচ্ছে মা কচ্ছপ। এছাড়াও দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও থাকেন কুকুর আতঙ্কে। এ নিয়ে দ্বীপে বেওয়ারিশ কুকুর থাকবে কি থাকবে না এসব বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।

তার অংশ হিসেবে রবিবার বিকেলে সেন্টমার্টিন সৈকত থেকে কুকুর পুনর্বাসনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।

উপজেলা পরিষদ ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহতায় এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহিব উল্লাহ, এমওডিসি ডা. প্রণয় রুদ্র, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম প্রমুখ।

ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান, সেন্টমাটিনে কুকুর বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয়দের কামড় দেওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া সৈকতে ডিম পারতে আসা কচ্ছপগুলো হুমকির মুখে রয়েছে। ফলে দ্বীপ থেকে কুকুরকে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমাদের চেষ্টা থাকবে দ্বীপ থেকে অন্তত অর্ধেক কুকুর সরানো। কুকুরগুলো সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের মূল ভূখণ্ডের সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, ঘোলারচর ও বাহারছড়াসহ উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় পুনর্বাসন করা হবে, যাতে কুকুরগুলোও অভুক্ত না থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে কুকুর নিধন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এতে কুকুর নিধন কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে কুকুরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কাজ শুরু করে।

The post সেন্টমার্টিন থেকে কুকুর পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0/

রিকশাচালকের লাগবে লাইসেন্স, নির্দিষ্ট দূরত্বে না গেলে জরিমানা

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকা মহানগরে চলাচল করা সব রিকশা আসছে নিবন্ধনের আওতায়। লাইসেন্স নিতে হবে চালককেও। রিকশাচালকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। রিকশার রং, কুশন প্রভৃতিতে থাকবে নতুনত্ব। মালিকরা ইচ্ছেমতো জমা আদায় করতে পারবে না। একই সঙ্গে দূরত্ব অনুযায়ী ট্রাফিক অঞ্চলভেদে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে ভাড়া।

এসব নিয়ম রেখে ২১ মার্চ ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল (নিয়ন্ত্রণ) প্রবিধান’-এর গেজেট জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটিও এমন প্রবিধান করতে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

প্রবিধান অনুযায়ী, অঞ্চলভেদে রিকশাচালকদের পোশাকের রং ভিন্ন হবে। অযান্ত্রিক যানবাহন বা রিকশাচালকের কাছ থেকে মালিক দৈনিক সর্বোচ্চ কত টাকা ভাড়া (জমা) আদায় করতে পারবেন, তা করপোরেশন নির্ধারণ করে দিতে পারবে। কোনো রিকশায় দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির বেশি বহন করা যাবে না।

এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা বা নির্ধারিত জোনে নির্দিষ্ট দূরত্বে যেতে অস্বীকৃতি জানালে রিকশাচালককে জরিমানা করা যাবে। রিকশাচালকের বয়স ১৮ বছরের কম বা ৫০ বছরের বেশি হতে পারবে না।

এতে আরও বলা হয়েছে, রিকশার ভেতরে বা বাইরে কোনো রকম বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন বা অশ্লীল ছবি/চিত্র সাঁটানো যাবে না। অনিয়মের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং নিবন্ধন-লাইসেন্স বাতিল ও রিকশা জব্দ করতে পারবে সিটি করপোরেশন।

সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো অযান্ত্রিক যানবাহন চালাতে চাইলে তাকে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স প্রথমত এক বছরের জন্য ইস্যু করা হবে এবং মেয়াদ শেষে নির্ধারিত ফি দিয়ে তা নবায়ন করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালক দিয়ে অযান্ত্রিক যানবাহন বা রিকশা চালাতে দেওয়া যাবে না। যদি কোনো মালিক ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা চালক দিয়ে রিকশা চালান তবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে বা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে চালককে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা হবে করপোরেশনের দেওয়া রিকশার নম্বরটি। একবার জব্দ করা হলে রিকশার লাইসেন্স নম্বরটিও বাতিল হয়ে যাবে বলে প্রবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।

কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে না দেওয়া হলেও অযান্ত্রিক যানবাহন বা রিকশাচালকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে নিবন্ধকের কাছে কয়েকটি বিষয়ে উপযুক্ত বিবেচিত হতে হবে।

চালক শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত বলে সিটি করপোরেশনের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সনদ বা প্রত্যয়ন লাগবে। আবেদনকারীকে সিটি করপোরেশন ও এর আশপাশের প্রধান প্রধান সড়ক, স্থাপনা, অফিস আদালত, গুরুত্বপূর্ণ স্থান ইত্যাদির বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। আবেদনকারীকে সড়কপথে চলাচল করার সময় যেসব নিয়ম-কানুন, ট্রাফিক সংকেত অন্য চালকরা মেনে চলেন- তা জানতে ও বুঝতে হবে।

রিকশাচালকের লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম এবং ৫০ বছরের বেশি হতে পারবে না।

সিটি করপোরেশন এলাকায় ট্রাফিক অঞ্চলভিত্তিক ভাড়ার তালিকা নির্ধারিত থাকবে। এই প্রবিধান অনুযায়ী করপোরেশন প্রতিটি অযান্ত্রিক যানবাহন বা রিকশার জন্য দূরত্ব অনুযায়ী একটি ভাড়ার তালিকা তৈরি করতে পারবে। মুদ্রিত ভাড়ার তালিকা জনবহুল এলাকায় দৃশ্যমান করে টাঙাতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে রিকশার মালিককে সংশ্লিষ্ট জোনের সব ভাড়ার তালিকাও সরবরাহ করতে হবে। জনগণের সুবিধার্থে কখনো চালককে লাইসেন্স দেখাতে বলা হলে লাইসেন্সের সঙ্গে ভাড়ার তালিকাটিও দেখাতে হবে।

নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি দাবি করা বা নির্ধারিত জোনে নির্দিষ্ট দূরত্বে যেতে অস্বীকৃতি জানালে রিকশাচালককে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে বলে প্রবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।

The post রিকশাচালকের লাগবে লাইসেন্স, নির্দিষ্ট দূরত্বে না গেলে জরিমানা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8/

ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরে নামাজ, তদন্তের মুখোমুখি মুসলিম ছাত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরে তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন এক মুসলিম ছাত্রী। একটি হিন্দু সংগঠনের দাবির মুখে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতর মধ্যে পড়েছেন ওই মুসলিম ছাত্রী। শনিবার এমন তথ্য জানিয়েছেন এক ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগর শহরের ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাব পরিহিত এক মুসলিম ছাত্রীর নামাজ আদায় করার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এ মুসলিম ছাত্রী তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি (খালি) কক্ষে নামাজ আদায় করছিলেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন।

(ওই মুসলিম ছাত্রীর হিজাব পরে নামাজ আদায় করার) এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়ে ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চেয়েছে ওই উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন। ঘটনা তদন্তের জন্য হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের এ উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে ভিডিওটি সরবরাহ করেছে।

ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেছে, তারা ওই মুসলিম ছাত্রীর বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রের সাথে একটি ভিডিও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, মুসলিম ছাত্রীর হিজাব পরে নামাজ আদায় করার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এরপর ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অ্যাকশন নেয়া হবে।

সূত্র : দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল

The post ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরে নামাজ, তদন্তের মুখোমুখি মুসলিম ছাত্রী appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%bf/

ইউক্রেনের মেসখেতিয়ান মুসলিমদের দেশে নিয়ে গেল তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে তুর্কি বংশোদ্ভূত মেসখেতিয়ান মুসলিম সম্প্রদায় ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হন। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তুর্কি বংশোদ্ভূত মেসখেতিয়ান মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মেসখেতিয়ান মুসলিমদের স্থলপথে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর ডেইলি সাবাহর।

ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহর থেকে ৯০ জন মেসখেতিয়ান মুসলিমকে বাসে করে নিরাপদে তুরস্কে নিয়ে আসা হয়। ইউক্রেনের ওই মাইকোলাইভ শহরে এখন ভয়ঙ্কর সঙ্ঘাত চলছে। তুরস্ক কর্তৃক উদ্ধারকৃত এসব মানুষদের অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু। পরে শরণার্থীদের নিয়ে আসা এসব বাস হামজাবেলি বর্ডার গেট দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করে। এ হামজাবেলি বর্ডার গেটটি তুরস্কের বুলগেরিয়া সীমান্তে অবস্থিত। পরে মেসখেতিয়ান মুসলিমদের নিয়ে আসা বাসগুলোকে স্বাগত জানান তুরস্কের শরণার্থী বিভাগের কর্মকর্তারা।

যুদ্ধকবলিত অঞ্চল থেকে ছোট শিশুদের সাথে নিয়ে আসা মেসখেতিয়ান মুসলিম নারীরা নিরাপদে তুরস্কে আসতে পেরে খুশি। কিন্তু, অনেকে স্বামী ও স্বজনদের ফেলে আসার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ

The post ইউক্রেনের মেসখেতিয়ান মুসলিমদের দেশে নিয়ে গেল তুরস্ক appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a7%81/

রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে খুনোখুনি

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে খুনোখুনি। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীরা। মুহূর্তেই কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ। আজ ভোরে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় এক দন্ত চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা।

এছাড়া শনিবার সন্ধ্যায় সবুজবাগ থানা এলাকার বেগুনবাড়ি মাস্টারগলির একটি ভবনের ফ্ল্যাটে ঢুকে তানিয়া নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত তানিয়ার তিন বছর বয়সী মেয়ে ও ১০ মাসের ছেলেকে রক্তমাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুরে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু (৪৫) ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি (১৮)। ওই ঘটনায় টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন।

এসব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

জানা গেছে, নোয়াখালী যাওয়ার জন্য আজ ভোরে শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে বের হন ডা. বুলবুল হোসেন (৩৮)। তিনি তার সহকারীকেও ফোন করেছিলেন, তবে তার সহকারী তখনও পৌঁছাননি। বাসার সামনেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তিনি। ছিনতাইকারীরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তাকে। তার কাছে টাকা, একটি মোবাইল ছিল। উরুতে ছুরিকাঘাত করে পকেটের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পথচারীরা বুলবুলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বুলবুল হোসেন মগবাজারের ‘রংপুর ডেন্টাল’ নামের একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার কারণে প্রশংসিত ছিলেন তিনি।

The post রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে খুনোখুনি appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a7%8e-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%96%e0%a7%81/

আগামীকাল গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া গণটিকা কার্যক্রমে প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে আগামীকাল ২৮ মার্চ। সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে একদিনে এক কোটি স্লোগানে দেশে গণটিকা কার্যক্রমের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেদিনই দেশে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার শেষ তারিখ বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে টিকাদান কেন্দ্রে দেখা দেয় উপচেপড়া ভিড়। ওই পরিস্থিতিতে সেদিন বিকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানান, মানুষের আগ্রহ দেখে গণটিকাদান কর্মসূচি আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে কার্যক্রম চলে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রমের আওতায় তিন দিনে প্রায় দুই কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তারা ২৮ মার্চ থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন প্রায় তিন কোটি ৮৬ লাখ মানুষ।

The post আগামীকাল গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%97%e0%a6%a3%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f/

ময়মনসিংহে বছরে ৫২৪ আত্মহত্যা!

ফাতেহ ডেস্ক:

দিন দিন আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে পরিবার, প্রেমিক কিংবা বন্ধুর সঙ্গে অভিমান ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে কম বয়সী তরুণ-তরুণীরা বেশি আত্মহত্যা করছেন। ময়মনসিংহে ২০২১ সালে ৫২৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি। তবে জেলায় প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যার সংখ্যা আরও বেশি।

১৩ উপজেলা নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা গঠিত। লোকসংখ্যা ৫৩ লাখের ওপরে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনবহুল এই জেলায় বছরে আত্মহত্যার দিক দিয়ে সারা দেশের কয়েকটি জেলার মধ্যে অন্যতম। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অকারণে ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১ সালে জেলায় আত্মহত্যা করেছে ৫২৪ জন, যা ২০২০ সালে ছিল ৫৫৪ জন। ২০২১ সালে গলায় দড়ি দিয়ে ২৬৬ জন, বিষপানে ১২৪ জন এবং অন্যান্যভাবে ১৩৪ জন আত্মহত্যা করেছে। জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার সংখ্যা ময়মনসিংহ সদর উপজেলায়। ২০২০ সালে এই উপজেলায় ১৩৮ জন আত্মহত্যা করেছে। তবে ২০২১ সালে আত্মহত্যা কিছুটা কমে ৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে কম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে নান্দাইল উপজেলায় ২০২০ সালে ১৭ জন এবং ২০২১ সালে ১৪ জন। এদের বেশিরভাগ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

The post ময়মনসিংহে বছরে ৫২৪ আত্মহত্যা! appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a7%9f%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%82%e0%a6%b9%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a7%ab%e0%a7%a8%e0%a7%aa-%e0%a6%86%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%b9/

রমজানে ওমরাহযাত্রীদের জন্য বিমানের ফ্লাইট বাড়ানোর অনুরোধ

ফাতেহ ডেস্ক:

পবিত্র রমজান মাসে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ওমরাহ পালন নিশ্চিত করতে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুরোধ জানিয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুবিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (হজ-২) এসএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ওমরা যাত্রীসহ আগামী হজ মওসুমে হজ যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সৌদি আরবে গমন-প্রত্যাগমন নিশ্চিত করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে চলাচলকারী বিমানের ট্রানজিট যাত্রী হয়ে ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে গমনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে সৌদি আরবের অন্যান্য এয়ারলাইন্সকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।

ওমরাহ যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সৌদি আরব গমনের লক্ষ্যে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি শীর্ষক ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ওমরাহ পালন বন্ধ থাকার পর গত বছরের (২০২১ সালের) আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। দীর্ঘদিন পর পুনরায় সুযোগ আসায় বাংলাদেশ থেকে বহু সংখ্যক ওমরাহযাত্রী ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। করোনার কারণে বিদেশে চাকরিরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের গমনাগমনও দীর্ঘদিন সীমিত ছিল। তবে বর্তমানে বিদেশগামী বিশেষ করে সৌদি আরবগামী বিমানযাত্রীর সংখ্যা পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

এতে আরও বলা হয়, করোনার পূর্বে বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রীরা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের বিমানের যাত্রী হয়ে ট্রানজিট নিয়ে সৌদি আরবে গমন করতে পারতেন। তবে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের ওমরাহযাত্রীরা শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সে সৌদি আরব গমন ও প্রত্যাগমন করতে পারেন। এর ফলে সৌদি আরবগামী বিমানযাত্রীর সংখ্যা একদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা কমেছে। সে কারণে বর্তমানে বিমানের টিকিট পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিমান টিকিট সংকটের কারণে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামী কিছুদিনের মধ্যে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অন্যান্য সময়ের চেয়ে পবিত্র রমজান মাসে অধিক সংখ্যায় ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করেন। বিগত ২টি রমজানে ওমরাহযাত্রীরা সৌদি আরবে যেতে না পারায় এ বছর ওমরাহ পালনে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বিমানের ফ্লাইট অপ্রতুলতার কারণে রমজান মাসে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক সব ওমরাহযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারবেন কি না সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এ অবস্থায় ওমরাহযাত্রীদের এবং আগামী হজ মওসুমে হজযাত্রীদের নির্বিঘ্নে সৌদি আরব গমন এবং প্রত্যাগমনের লক্ষ্যে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

The post রমজানে ওমরাহযাত্রীদের জন্য বিমানের ফ্লাইট বাড়ানোর অনুরোধ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%93%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8/

Saturday, March 26, 2022

জালেম বনাম মাজলুম, মুক্তিযুদ্ধ ব্যাখ্যায় তৃতীয় মত

হামমাদ রাগিব:

পাকিস্তান যেহেতু ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, এবং পরবর্তী সময়ে ইসলামের নাম ভেঙে যেহেতু নানা রকম কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল, তাই একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এ দেশের ধর্ম সচেতন নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলেন যে, পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া আদৌ কি ঠিক হবে? তাদের এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসতে আসতেই ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রের আশায় তারা না পারছিলেন মুক্তিযুদ্ধ তৎপরতায় অংশ নিতে, আবার পাকিস্তানিদের সীমাহীন জুলুম নির্যাতনের কারণে না পারছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীকে সমর্থন করতে। এই অংশটির মধ্যে যেমন ছিলেন সাধারণ মানুষ, তেমন ছিলেন দেশের অনেক ওলামায়ে কেরামও।

তবে ওলামায়ে কেরামের বড় একটি অংশ স্বাধীনতাযুদ্ধের শুরুতেই নতুন এক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছিলেন। এই অংশের মধ্যে ছিলেন হজরত হাফেজ্জি হুজুর রহ. ও তাঁর শিষ্য-সহকর্মীদের বড় একটি জামাত। ছিল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কওমি মাদরাসা আল-জামিয়াতুল আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা, ছিল পটিয়া মাদরাসা-সহ আরও অনেক কওমি মাদরাসা। বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার প্রথম প্রথম পটিয়া মাদরাসা থেকেই করা হয়েছিল। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার নিরাপদ আশ্রয় ছিল এ মাদরাসাটি।

মুক্তিযুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের বৃহৎ এই অংশের সম্পৃক্তি ছিল ধর্মীয় সিদ্ধান্তের আলোকেই। হজরত হাফেজ্জি হুজুর রহ. মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাথমিক পর্যায়েই এই যুদ্ধকে জালেম বনাম মজলুমের যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। বলেছিলেন, বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর হাতে জুলুমের শিকার, এই জুলুম থেকে নিস্কৃতি লাভের জন্য এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ইসলাম কখনো জুলুমকে সমর্থন করে না। ইসলাম সর্বদা মজলুমের পক্ষে, জালেমের বিরুদ্ধে। তাঁর এই ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর ছাত্র এবং ঢাকার ওলামায়ে কেরামের অনেকেই সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের তৎপরতার সঙ্গে। মরহুম মাওলানা ইমদাদুল হক আড়াইহাজারীর নাম এ ক্ষেত্রে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

ওলামায়ে কেরামের এই জামাত সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে এই সত্যটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, আর যাই হোক পাকিস্তানের হাতে বাঙালি মুসলিম-অমুসলিম কেউই আর নিরাপদ নেই। এরা নিজের স্বার্থটাই দেখে, বাঙালি মুসলমানদের প্রতি সামান্য দরদ-ভালোবাসা দেখানো তো দূরে থাক, উল্টো আরও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। অতএব মুসলিম ঐক্যের দোহাই দিয়ে এদের অধীনে থাকা নিজেদের ওপর জুলুম করারই নামান্তর। তাই তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক তৎপরতা থেকে নিয়ে অস্ত্র হাতে সরাসরি ময়দানে ঝাঁপিয়ে পর্যন্ত পড়েছেন।

এ সমস্ত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন কর্মপ্রক্রিয়া এবং তৎপরতা সম্পর্কে জানতে কথা বলেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য গ্রন্থ ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে’-এর লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মাওলানা শাকের হোসাইন শিবলির সঙ্গে।

শাকের হোসাইন শিবলি বলেন, আমি যখন আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে বইয়ের কাজ শুরু করি, আমার ধারণা ছিল, মুক্তিযোদ্ধা আলেমদের সংখ্যা বোধহয় খুব বেশি হবে না। হাতেগোনা কয়েকজনকে অবলম্বন করে কাজে হাত দিই। কিন্তু কাজে হাত দেওয়ার পর নতুন এক দিগন্ত আমার কাছে উন্মোচিত হতে শুরু করে। আমি একে একে পুরো দেশ চষে বেড়িয়েছি, এবং এখনও এ কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি, মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের তৎপরতা এতই ব্যাপক যে একের পর এক এখনও নতুন নতুন সব তথ্য আমার কাছে এসে হাজির হচ্ছে। নামোল্লেখ করে করে তাঁদের বর্ণনা দেওয়াটা এখন আমার জন্য দুরূহ হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উম্মুল মাদারিস এবং দেওবন্দের পরে উপমহাদেশে যে মাদরাসাটির অবস্থান, চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা, মুক্তিযুদ্ধের সময়টায় এই মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন আল্লামা আবদুল ওয়াহহাব রহ.। আল্লামা আশরাফ আলি থানভি রহমতুল্লাহি আলায়হির অন্যতম খলিফা ছিলেন তিনি। আমি যখন আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন একটা ধারণা ছিল যে মাদানি রহমতুল্লাহি আলায়হি যেহেতু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে ছিলেন, অতএব বাংলাদেশে মাদানি ঘরানার ওলামায়ে কেরামই বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, আর থানভি রহমতুল্লাহি আলায়হি যেহেতু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিলেন, অতএব বাংলাদেশে তাঁর খলিফা ও ভক্ত-মুরিদানরা বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু আবদুল ওয়াহহাব রহ.-এর কর্মতৎপরতা সম্পর্কে যখন আমি জানতে শুরু করি, একের পর এক তথ্য আমাকে বিস্মিত ও অবাক করে তোলে।

শাকের হোসাইন শিবলি বলেন, আলেম ‘মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে’ দ্বিতীয় খণ্ডে বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণসহ ব্যাপারটা আমি পরিস্কার করব। এখন সংক্ষেপে শুধু এতটুকু বলি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে এগারোটি সেক্টরে ভাগ করে সংঘটিত হয়েছিল, তেম্নি মাওলানা আবদুল ওয়াহহাব রহমতুল্লাহি আলায়হিও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা থানভিধারার ভক্ত-মুরিদানকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তৎপরতা চালানোর জন্য সাতটা সেক্টরে ভাগ করে দিয়েছিলেন। থানভি সিলসিলার বাইরের অনেক আলেমও এ তৎপরতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বরিশালের চরমোনাইয়ের মূল পীর সৈয়দ এসহাক রহমতুল্লাহি আলায়হি। হজরত আবদুল ওয়াহহাব রহমতুল্লাহি আলায়হি গঠিত বরিশাল সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছিলেন চরমোনাইয়ের ভক্ত-মুরিদেরা। সৈয়দ এসহাক রহ.-এর জামাতা মাওলানা ইউসুফ সাহেবকে বিচারক নির্ধারণ করে স্থানীয় রাজাকারদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। স্থানীয় যারাই মানবতাবিরোধী অপরাধ করত, ইউসুফ সাহেবের কাছে তাদের ধরে নিয়ে আসা হতো। তিনি তাদের উপযুক্ত ও কঠোর বিচার করে দিতেন।

মুক্তিযুদ্ধে হাটহাজারী মাদরাসা কতটা তৎপর এবং কঠোর ভূমিকায় ছিল তা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এ আলেম গবেষক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পর হাটহাজারী মাদরাসার নোটিশ বোর্ডে ঘোষণা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই কথা লিখে—কোনো রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কেউ আজ থেকে এ মাদরাসায় অবস্থান করতে বা ভর্তি হতে পারবে না।

মাওলানা শিবলি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অবদান ও তৎপরতার এমন অসংখ্য গল্প আছে, যা স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিহিংসার কারণে ইতিহাসের অলিখিত অধ্যায়ে হারিয়ে গেছে। আর এই সুবাদে একটা ট্র্যান্ড দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দাঁড়ি-টুপিধারী আর আলেম মানেই রাজাকার। অথচ টুপি-দাড়ি পরে রাজাকারি যারা করেছিল, তাদের সিংহভাগই জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত লোক এবং আলেমদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।’

এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় ওলামায়ে কেরামের আরও একটি অংশ ছিল, যাঁরা পাকিস্তানের পক্ষ-অবলম্বন করেছিলেন। এবং এই সূত্র ধরে আজকের বাম এবং আলেম-বিদ্বেষী মহল ঢালাওভাবে ওলামায়ে কেরামকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিতে ব্যতিব্যস্ত থাকে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বনকারী এসব আলেমের তৎপরতা বিষয়ে কথা হয়েছিল অধুনা বিলুপ্ত মাসিক রহমত-এর সম্পাদক মাওলানা মনযূর আহমাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃহৎ কল্যাণ চিন্তা থেকেই তাঁরা পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন, কিন্তু বাঙালি মুসলমানদের ওপর কোনোরূপ জুলুম-অত্যাচারের সঙ্গে এ সমস্ত আলেমের কেউ জড়িত ছিলেন না। বরং উল্টো আরও তাদেরকের নানাভাবে বাঁচিয়েছেন পাক মিলিটারির হাত থেকে।

তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেছিলেন, পাকিস্তান থেকে যদি মুসলিম অধ্যুষিত আমাদের এ ভূখণ্ডটা পৃথক হয়ে যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ভারতের আগ্রাসনের মুখে পড়বে। ভারতের কাছে নানাভাবে নিগ্রহের শিকার হবে এই ভূখণ্ড। এবং প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে তাঁদের এই চিন্তাধারা যে অমূলক ছিল না, বিবেকবান যে কেউই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন।

মাওলানা মনযূর আহমাদ আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি, ওলামায়ে কেরামের এ অংশটা যদিও পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন, কিন্তু কোনোভাবেই বাঙালিদের ওপর নির্যাতনে অংশগ্রহণ করেননি। রাজাকার হিসেবে যে রূপটা আমাদের সামনে বর্তমানে দাঁড় করানো হয়েছে, তার সঙ্গে আলেমদের কোনো সম্পর্কই ছিল না তখন। এমন একটি ঘটনাও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, আলেমদের কেউ কোনো বেসামরিক বাঙালিকে নির্যাতনে অংশগ্রহণ করেছেন বা পাক বাহিনীকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। বরং পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বেসামরিক লোকজনকে বাঁচাতে যুদ্ধের পুরো নয়টি মাসজুড়েই তাঁরা তৎপর ছিলেন।

The post জালেম বনাম মাজলুম, মুক্তিযুদ্ধ ব্যাখ্যায় তৃতীয় মত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%ae-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-3/

Friday, March 25, 2022

মুক্তিযুদ্ধে ইসলামপ্রশ্ন, পিনাকী ভট্টাচার্যের অনুসন্ধান

রাকিবুল হাসান :

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ পরিভাষাটি আজকাল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র একক দখলে। ধর্মনিরপেক্ষতাই যেন মুক্তিযুদ্ধের মূল এবং মৌলিক চেতনা। পাকিস্তানি শাসকদের শাসন থেকে মুক্তি ও স্বাধীনতার যে লড়াই, সে লড়াইকে ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম যেন স্পর্শই করতে পারে না। ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধ—দুটোকেই মুখোমুখি সংঘাতময় অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই যেখানেই রাজাকারদের চিত্রায়ণ, সেখানেই ব্যবহার হয় ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতীক দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি, তাসবি, লাল রুমাল ইত্যাদি। পাঠ্যবইয়ে, পত্রিকার পাতায় এবং মুভিতে—রাজাকার মানেই দাড়ি-টুপি পরিহিত কেউ। জাফর ইকবালের লেখা উপন্যাস ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ অবলম্বনে তৈরী সিনেমায় দেখানো হয়েছে একজন দাড়ি-টুপি পরিহিত রাজাকার কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে গুলি করছে। সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ মঞ্চনাটকে দেখানো হয়েছে টুপি-পাঞ্জাবি পরিহিত রাজাকার নিজের মেয়েকে পাঠাচ্ছে পাক-কমান্ডারের কাছে। শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের নোংরা সময়ে প্রথম আলোতে শিশির ভট্টাচার্য রাজাকারের কার্টুন এঁকেছিল। যেখানে রাজাকারের মাথায় ছিল টুপি, গায়ে পাঞ্জাবি, মুখে মেসওয়াক।

মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতাই ছিল মৌলিক আদর্শ নাকি ইসলামও তখন প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হিসেবে হাজির ছিল—এই নিয়ে বিশ্লেষণ খুব বেশি হয়নি। স্বার্থবাদীদের স্বার্থান্বেষী প্রচারণার গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যাচ্ছে সব সত্য। একটু একটু করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিভ্রান্ত হচ্ছে। আসলেই সত্য কী? মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্মনিরপেক্ষতা আদর্শ ছিল? ধর্মনিরপেক্ষতা আদর্শ না হলে আদর্শ কী ছিল ? ইসলাম? তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের আলোচনায় উঠে এলো কখন?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বিশ্লেষণ করে তুলে এনেছেন পিনাকি ভট্টাচার্য। যে জিনসটা চোখের আড়ালে, তা-ই তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি। তার মতে, ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ইসলামই ছিল সবচে বেশি প্রাসঙ্গিক এবং সবচে বেশি উদ্দীপক। আওয়ামীলীগের তখনকার গঠনতন্ত্র, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার ভাষা, কর্মসূচী, প্রচার-পুস্তিকা, মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠিপত্র, মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামীলীগের একমাত্র মুখপত্র জয় বাংলা পত্রিকা—সবকিছুর ভাষা এবং বাণী একটি কথাই প্রমাণ করে, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও পরিচালনায় ইসলামই ছিল মৌলিক আদর্শ ও স্লোগান। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’ আবার ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি যে বেতার ভাষণ দিয়ে বিজয় ঘোষণা করেন, সেখানে তিনি তার বক্তৃতা শেষ করেন এই বলে—’আমি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টানসহ সব দেশবাসীকে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনের জন্য ও একটি সুখী সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে আল্লাহর সাহায্য ও নির্দেশ কামনা করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ পিনাকি ভট্টাচার্যের ভাষায়, ইনশাআল্লাহ বলে যে মুক্তিযুদ্ধের শুরু, আল্লাহর সাহায্য কামনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ, সেই মুক্তিযুদ্ধকেই পরবর্তী সময়ে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়।

পিনাকি ভট্টাচার্য ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম’ বইতে সবকিছু বিশ্লেষণ করে, উদ্ধৃতি দিয়ে দেখিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামীলীগের সম্মেলন, নির্বাচনী ইশতেহার, যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, সত্তরের নির্বাচনী ইশতেহার কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা নেই। বরং সব জায়গায় ইসলামকে অবলম্বন করে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সৌম্য ও শান্তির সমাজ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ন্যয্যতাও খোঁজা হয়েছে ইসলামে। মুক্তিযুদ্ধ যে ইসলামের দৃষ্টিতে ন্যায়ের যুদ্ধ, সেটা প্রমাণের জন্য নানা কথিকা স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে প্রচার করা হত। ১৯৭১ সালের জুলাইয়ে প্রচার করা এমনই একটি কথিকার নাম ‘আল্লাহর পথে জিহাদ’। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধকে আল্লাহর পথে জিহাদ বলে অভিহিত করা হয়েছিল। কথিকাটি লিখেছিলেন সৈয়দ আলী আহসান।

কথিকাটির একটি অংশ প্রচারিত হয় একাত্তরের জুলাইয়ে। শিরোনাম—ইসলামের দৃষ্টিতে জেহাদ। মুক্তিযুদ্ধকে এখানে জেহাদ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এরপর ৮ অক্টোবর প্রচারিত হয় দ্বিতীয় অংশ। এতে কোরআন-হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বৈধতা খোঁজা হয়েছিল। কথিকাটির তৃতীয় অংশে শোনানো হয়েছিল কোরআনের আশার বাণী—নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীব। এমন আরও অনেক কথিকা প্রচার করা হত। পাকিস্তানিদের উল্লেখ করা হত বেঈমান হিসেবে।

সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জয়লাভ করলে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে একটি খসড়া সংবিধান তৈরী করে। এতে এই তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়—১. কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন পাশ করা হবে না। ২. কুরআন ও ইসলামিয়্যাত শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। ৩. মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি নৈতিকতা উন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়া হবে। সুতরাং এখানে স্পষ্ট, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় কোথাও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব কিংবা স্বপ্ন দেখানো হয়নি। বরং ইসলামের নাম করে পাকিস্তানিরা যে অন্যায় ও জুলুম করছে, তার বিপরীতে সঠিক ইসলাম তুলে ধরার এবং শিক্ষা দেয়ার স্বপ্ন সত্তরের নির্বাচনের পর খসড়া সংবিধানেই দেখানো হয়েছে। সুতরাং ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধকে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না। পিনাকি ভট্টাচার্য তার পুরো বইয়ে এই লুকোনো সত্যটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন।

এখানে একটি প্রশ্ন জাগতেই পারে, মুক্তিযুদ্ধে ইসলামই যদি প্রাসঙ্গিক হয়, তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি কখন এলো মুক্তিযুদ্ধের আলোচনায়? পিনাকি ভট্টাচার্যের মতে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সমর্থন পাওয়ার জন্য মূলত ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে যুক্ত করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ প্রবাসী সরকার।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম বাংলাদেশ প্রবাসী সরকার গঠন হয়। ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ১১ এপ্রিল নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া বেতার-ভাষণে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, গণমানুষের কল্যানে সাম্য আর সুবিচারের ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা হোক জয় বাংলা, জয় স্বাধীন বাংলাদেশ।’ এই ভাষণের ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো কথা নেই।

১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল প্রবাসী সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি চেয়ে প্রথম চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে দেশের সরকার গঠন নিয়ে কথা থাকলেও রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো কথা ছিল না। ভারত আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপর ১৫ অক্টোবর আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠিতে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে স্বাধীনতার স্বীকৃতি চাওয়া হয়। ভারত এই চিঠির ডাকেও সাড়া দেয়নি। ভারতের স্বীকৃতি না পেয়ে বাংলাদেশ বিচলিত এবং চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন ২৩ নভেম্বর আরেকটি চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ। তাতে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও স্যাকুলারিজমের কথ উল্লেখ করা হয়। এটা করা হয় মূলত ভারতের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে। কিন্তু আজ এই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ জগদ্দল পাথর হয়ে ইতিহাসকেই অস্বীকার করে বসছে। এটাই হয়ে উঠেছে এখন মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও চেতনা।

তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, মুক্তিযুদ্ধকে পুরোপুরি ইসলামিও বলা যাবে না। কারণ সব ধর্মের মানুষই তাদের বিশ্বাস ও সিম্বল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এর প্রচারণায় কোরআন হাদীসের বাণী যেমন শুনানো হয়েছে, তেমনি সব ধর্মের স্বাধীনতার স্বপ্নও দেখানো হয়েছে। তাদের অধিকারের কথাও বলা হয়েছে। এটা ঠিক, এদেশের মানুষের ৯৫ ভাগ মুসলিম হওয়ায়, ইসলামের বাণীগুলো তখন বেশি আলোচিত হয়েছে।

ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের একদম বিপরীতে দাঁড় করানোর একটা প্রবণতা আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন বয়ে চলছে। মূলত এই প্রবণতাকে কাউন্টার দিতেই পিনাকি ভট্টাচার্য মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলামের আলোচনাকে হাজির করেছেন। বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ইসলামই ছিল সবচে গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্দীপক ডিসকোর্স। ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো ঘ্রাণও তখন ছিল না। এর মানে মুক্তিযুদ্ধকে পুরো ইসলামি বলে দাবি করা নয়, বরং অপপ্রচারের স্রোতে ইসলামকে যেন মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা থেকে খারিজ করে দেয়া না যায়, তার প্রমাণ তুলে ধরা। এই হলো আসল উদ্যেশ্য।

 

The post মুক্তিযুদ্ধে ইসলামপ্রশ্ন, পিনাকী ভট্টাচার্যের অনুসন্ধান appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b6-3/

‘স্বাধীনতার সূচনা ইনশাআল্লাহ’র মাধ্যমে, সমাপ্তি আল্লাহর রহমত-এ’

রাগিব রব্বানি:

চলছে বিজয়ের স্বাধীনতার মাস। পাকিস্তানের দখলদারি থেকে এ দেশের মাটি ও মানুষের মুক্তির ৫১ বছর অতিক্রান্ত হহল। ৫১ বছর আগে এ দেশের মানুষেরা ছিল পাকিস্তানের অধীনে। তারও আগে শাসন করে গেছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা। ব্রিটিশদের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ব বাংলার জনগণ একীভূত হয়েছিল পাকিস্তানের সঙ্গে।উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম-বান্ধব একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ যেখানে সর্বাগ্রে সুরক্ষিত হবে। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই দেখা গেল এ দেশের মানুষ সংগ্রাম শুরু করেছে। প্রথমে রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য, তারপর স্বাধিকারের জন্য। দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর অবশেষে পাকিস্তানের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে নতুন একটি দেশ, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশের এই যে স্বাধীনতা অর্জন, বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল? প্রশ্ন করেছিলাম চট্টগ্রামের ওসমান গনি কলেজের অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালেদকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য স্বাধীনতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ, আমরা যে অঞ্চলে বসবাস করছি, তা ছিল পশ্চাৎপদ। এক সময় এখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, ছিল না বিচার-আদালতের কোনো সুব্যবস্থা। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় হলো, বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার খানিকটা বন্দোবস্ত হলো, এক সময় ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের অবসান ঘটল, ৪৭ সালে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হলাম। কিন্তু তারপরও পূর্ব বাংলার মানুষ অবহেলিতই রয়ে গেল।শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি-বাকরি, চিকিৎসাসেবা—সবদিক দিয়েই আমাদের পশ্চাদপদ করে রাখে পাকিস্তানিরা। তাই ৪৭ থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত আমাদের ভেতরে বঞ্চনার একটা ক্ষত তৈরি হয়। বাংলা ভাষায় কথা বলি, আমাদের ভাষাটা পর্যন্ত তারা মেনে নিতে রাজি হয়নি। ফলে বায়ান্নের নজিরবিহীন ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের আগরতলা মামলা, গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন—এভাবে ধাপে ধাপে আমরা স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাই এবং একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনি আজকের এই দিনে। বাঙালি মুসলমানরা মুক্তি পায় পাকিস্তানি দুঃশাসনের জাঁতাকল থেকে।’

কিন্তু পাকিস্তান তো প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই, তারপরও কেন বাঙালি মুসলমানরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হবার প্রয়োজন বোধ করলো? এ প্রশ্নের জবাবে আ ফ ম খালেদ বলেন, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, কথা ঠিক। হজরত আশরাফ আলি থানভি (রহ.), মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানি (রহ.)-সহ থানভি ঘরানার আলেমগণ পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হবার পর যে উদ্দেশ্যে এর প্রতিষ্ঠা সে উদ্দেশ্যের ওপর রাষ্ট্র থাকতে পারেনি। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার চর্চা সেখানে সঠিকভাবে হয়নি। নেওয়া হয়নি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারও কোনো উদ্যোগ। প্রায় শুরু থেকেই সেনাদের স্বৈরশাসনে দেশ পরিচালিত হয়ে এসেছে। এবং এখনও সেই ধারার প্রভাব পাকিস্তানে প্রকট। যার ফলে মুসলমানরা, বিশেষত বাংলাদেশের মুসলমানরা হতাশ হয়ে পড়ে রাষ্ট্রের প্রতি। পাশাপাশি বাংলাদেশের মুসলমানরা বঞ্চিত হতে থাকে নিজেদের জীবনযাপনের মৌলিক অধিকার থেকেও। যেমন এখানে কোনো ধরনের শিল্পায়নের উদ্যোগ নিতে চাইত না কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন নিরঙ্কুশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী তাঁর কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা, তারা ক্ষমতাও হস্তান্তর করেনি। পাঞ্জাবি সেনাচক্র নিয়ে উল্টো আরও হামলে পড়ল বাংলাদেশের আপামর জনতার ওপর। পঁচিশে মার্চের ভয়ঙ্কর কালো রাতের সৃষ্টি করল, তখন এ দেশের মুসলমানদের জন্য স্বাধীনতা অর্জন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ইসলামের কল্যাণের নামে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ইসলামিক কল্যাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, আবার আমাদের ওপর জুলুমও করা হবে, স্বাধীনতা ছাড়া তখন আর উপায় কী!’

ড. খালিদ বলেন, ‘ডা. পিনাকি ভট্টাচার্য লিখিত ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম’ বইতে পাকিস্তানি স্কলার আল্লামা তকি উসমানির একটা উদ্ধৃতি আনা হয়েছে। সেখানে আল্লামা তকি উসমানি ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের সমালোচনা করে বলেছেন, সে সময় নয়টা মাসে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের ওপর কেয়ামতের তাণ্ডব চালিয়েছিল। মাওলানা এমদাদুল হক আড়াইহাজারি মুক্তিযুদ্ধের সময় হজরত হাফেজ্জি হুজুর (রহ.)—যিনি ছিলেন হজরত থানভির খলিফা এবং থানভি ঘরানার প্রত্যক্ষ সমর্থনে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল—তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হুজুর, একদিকে ইসলামের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান, আরেক দিকে বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধ, আমরা কোন দিকে যাব? হাফেজ্জি হুজুর (রহ.) তখন স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, পাকিস্তানিরা জালেম, মুক্তিযোদ্ধারা মজলুম, আমরা মজলুমদের পক্ষ হয়েই কাজ করব। এ উদ্ধৃতিটাও আমি দিলাম পিনাকি ভট্টাচার্যের ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম’ বই থেকে। সেখানে রেফরেন্সসহ এর বিবরণ দেওয়া আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সনে যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়, ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর যখন দেশ স্বাধীন হয়, তখন বিপ্লবী সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেডিওতে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর রহমতে নয় মাস যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আল্লাহর ওপর ভরসা করে এখন আমরা দেশকে সমৃদ্ধশালী করব।’ কথাটা ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ তৃতীয় খণ্ডে আছে। যে দেশের স্বাধীনতার সূচনা হয়েছে ‘ইনশাআল্লাহ’র মাধ্যমে, সমাপ্তি ঘটেছে ‘আল্লাহর রহমত’-এ এবং সমৃদ্ধশালী হচ্ছে ‘আল্লাহর ওপর ভরসা’ করে, সে দেশের মুসলমানদের কোনঠাসা করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এবং সে দেশের মুসলমানরা সবসময়ই মাথা উঁচু করে থাকবে।’

 

The post ‘স্বাধীনতার সূচনা ইনশাআল্লাহ’র মাধ্যমে, সমাপ্তি আল্লাহর রহমত-এ’ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%86%e0%a6%b2-3/

মুখোমুখি সংঘাত : আলেম মুক্তিযোদ্ধার সন্ধানে

মুনশি নাঈম :

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কদিন পরেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকার বড় বড় সবকটি মাদরাসা। লালবাগ মাদরাসা তাদের মধ্যে অন্যতম। ছাত্ররা কেউ বাড়ি যাচ্ছে, কেউ যাচ্ছে যুদ্ধের ট্রেনিংয়ে। লালবাগ মাদরাসার শিক্ষক শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ.-এর কাছে থাকেন মাওলানা এমদাদুল হক আড়াইহাজারি। মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খানিক দ্বিধায় আছেন তিনি। যুদ্ধের ট্রেনিং নিবেন নাকি বাড়ি চলে যাবেন? দ্বিধা-সংশয়ের দোলাচালে দুলতে দুলতে উপস্থিত হলেন হজরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর রহ.-এর কাছে।

হাফেজ্জি হুজুর কপাল কুঞ্চিত করে বললেন, ‘বাড়ি যাবে মানে?’
‘তাহলে কী করব?’ আড়াইহাজারি বললেন।
‘ট্রেনিংয়ে যাবে?’
‘আপনি যা বলেন। সংশয়ে আছি।’
আড়াইহাজারির চোখের দিকে তাকিয়ে হাফেজ্জি হুজুর রহ. বললেন, ‘পাকিস্তানিরা বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করছে। সুতরাং তারা জালেম, বাঙালিরা মজলুম। এই যুদ্ধ ইসলামের সঙ্গে কুফরের নয়, বরং এটা জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। সুতরাং বাঙালিদের পক্ষে কাজ করো।’

হাফেজ্জি হুজুরের কথা শুনে কল্পনায় নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাবতে শুরু করেন মাওলানা আড়াইহাজারি। বড় ভাই আড়াইহাজার থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার; এবার ছোট ভাই মাওলানা এমদাদুল হক নেমে গেলেন রণাঙ্গণে। তার কানে মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয়টি মাস ধরে কেবল বাজতে থাকে হাফেজ্জি হুজুরের নির্দেশ—এই যুদ্ধ জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। সেই প্রতিবাদে তুমিও শামিল হও।

বাঙালিদের ওপর নিজেদের চালানো নৃশংসতার বৈধতা দিতে প্রাণপণ অপপ্রচার চালাচ্ছে পাকিস্তানি শাসকদল। তারা প্রচার করছে মিডিয়ায়—’ভারত তাদের জনগণ পূর্ব পাকিস্তানে পাঠিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি করছে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই এই যুদ্ধে।’ ইতোমধ্যেই তাজউদ্দীন আহমাদকে প্রধানমন্ত্রী করে বাংলাদেশ প্রবাসী সরকার গঠন হয়ে গেছে। পাকিস্তানিদের অপপ্রচার মোকাবেলা এবং মুক্তিযুদ্ধের জোরদার প্রচার করার উদ্দেশ্যে তাজউদ্দীন আহমেদ একটি বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাওলানা উবায়দুল্লাহ জালালাবাদীকে বেতারের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দিতে চাইছিলেন মনে মনে। ঠিক এই সময় উপস্থিত হলেন মাওলানা জালালাবাদী।

জালালাবাদী বললেন, ‘আমি রণাঙ্গণে যুদ্ধ করব না বেতার কেন্দ্রে?’
তাজউদ্দীন আহমেদ হাসলেন, ‘বেতারে ইসলামি অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য আপনিই তো যোগ্য লোক।’
মুচকি হাসলেন জালালাবাদী। তাজউদ্দীন আহমেদ বললেন, ‘বেতারেই যুক্ত হয়ে যান। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করুন।’
জালালাবাদী বললেন, ‘তা-ই করব ইনশাআল্লাহ!’

প্রথমে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। পাক-সেনাদের আক্রমণে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয় অফিস। স্টুডিও বলতে ছোট একটি রুম। সাউন্ডপ্রুফ নেই, তাই ঘরের বেড়ায় মোটা করে লাগানো হয়েছে চট। টেপ রেকর্ডারে চলে অনুষ্ঠান রেকর্ডিং।

কোরআন তেলাওয়াত, তরজমা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে ইসলামি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বুলেটিন, কথিকা প্রচার করতেন মাওলানা জালালাবাদী। এ সময় তিনি টায়ফয়েডে আক্রান্ত হলে অনুষ্ঠান চালিয়ে নেন চট্টগ্রামের মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী। পরে যুক্ত হন ঝিনাইদহের মাওলানা খাইরুল ইসলাম যশোরী। রণাঙ্গণের যোদ্ধাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দিতেই এইসব আলেমগণ পরিচালনা করেন বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠান।

তখনও সেকশন কমান্ডার হয়ে উঠেননি মাওলানা শামসুল হুদা। ভুরুঙ্গমারী হাইস্কুল মাঠে ট্রেনিং নিচ্ছেন। ট্রেনিং নিতে নিতেই সীমান্তবর্তী ফুলকুমার নদীর তীরে কালমাটিতে তৈরী করেন ডিফেন্স। শুরু হয় দেশকে মুক্ত করার লড়াই। মাওলানার নতুন এই ডিফেন্স দেখে রাগে জ্বলে উঠেছে রাজাকার বাহিনী। রাজাকার আতাউল্লাহ ঘোষণা করল, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে দিতে পারলে, পুরষ্কার দশ হাজার টাকা।

হন্য হয়ে যায় অর্থলোভী রাজাকাররা। পথের ধারে, নদীর তীরে, অন্ধকার গলিতে ওঁৎ পেতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা শিকারের আশায়। মুক্তিযোদ্ধারাও সতর্ক, কেউ একা একা বের হন না। মাওলানা শামসুল হুদা হাতে গ্রেনেড নিয়ে ফুলকুমার নদী পার হয়ে ডিফেন্সে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছোট একটা ছেলে। কয়েকজন রাজাকার পথরোধ করে দাঁড়ায়। তাদের মুখে উল্লাস। একজন বললো, ‘আরে, এতো শমসু, ট্রেনিং নিতে দেখছি। ডিফেন্সে যাচ্ছো?’ বলেই তারা হাত-পা বেঁধে ফেলে তার। যেই বাড়িতে তাকে রাখা হলো, বাড়ির মালিক-ই তার পাহারার দায়িত্বে পড়ল। রাজাকাররা বেরিয়ে গেল। তাদের মুখে কেবল একটাই উল্লাস—১০ হাজার টাকা পেয়েছি!

মাওলানা এদিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছেন রাজাকারের জেলে, অন্যদিকে ওই ছোট বাচ্চাটা দৌড়ের ছুটে গেল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে। মুক্তিযোদ্ধারা এসে ঘেরাও করে ফেললো বাড়ি। রাজাকাররা কল্পনাও করতে পারেনি—এইভাবে আক্রমণ করবে মুক্তিযোদ্ধারা। জানলে এমন একা দুটো লোককে রেখে যেত না।

হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিলে গা ঝাড়া দিয়ে উঠলেন মাওলানা শামসুল হুদা। তুলে নিলেন রাইফেল। বাড়ির মালিকের কানে টানা ১৮টি গুলি করলেন। ঝাঁঝরা হয়ে গেল মালিকের মস্তিষ্ক। নিভে এল তার ১০ হাজার টাকার স্বপ্নের পৃথিবী। শেষ গুলিটা করে মাওলানা শামসুল হুদা একদলা থুথু ফেলে বললেন,’বাঙালিদের দমানো এত সোজা! জাহান্নামে পাঠিয়ে দেব এক্কেবারে!’

একাত্তরে ইসলামি দল ছিল তিনটি—জামাতে ইসলামি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং নেজামে ইসলাম পার্টি। জামাতে ইসলামী এবং নেজামে ইসলাম পার্টি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। তবে বিরোধিতায়, পাকিস্তানিদের সহচর হিসেবে মাঠে-ময়দানে সক্রিয় থাকে জামাতে ইসলামী। নেজামে ইসলাম পার্টি ছিল নিতান্তই দুর্বল এবং নিষ্প্রভ। জমিয়ত ছিল স্বাধীনতার পক্ষে। জমিয়ত পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান—দুই শাখাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। আলেমদের একশ ভাগের মাত্র দশ ভাগ ছিলেন ইসলামি দলের সঙ্গে জড়িয়ে। বাকি ৯০ ভাগের কেউ ছিলেন আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক, কেউ কওমি মাদরাসার শিক্ষক, কেউ বিভিন্ন খানকা ও পীর-মুরিদির সঙ্গে যুক্ত, কেউ শুধুই ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ব্যক্তি পর্যায়ের আলেম। এদের প্রায় সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেন। যারা আদর্শগত কারণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ নিতে পারেননি, তারা নীরবতা পালন করেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একটি কথিত ইসলামী দলের অপরাধকে চাপিয়ে দেয়া হয় বাকি ৯০ ভাগ আলেমের ওপর। রাজাকার মানেই এখন দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি পরিহিত কেউ।

রাজাকারদের যে ছবি এবং ডকুমেন্টস আমরা দেখতে পাই, তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অধিকাংশ রাজাকারের গায়ে ইসলামের এইসব চিহ্ন ছিল ন। চেহারা-সুরতে সাধারণ একজন মানুষ। এর অন্যতম কারণ—শুধু আদর্শগত দ্বন্দ্বের কারণেই সবাই রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়নি। বরং অনেক এমন আছে, যারা দুর্ভিক্ষের নিদারুণ ক্ষুধা থেকে বাঁচতে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। অনেকে যুদ্ধের কারণে ভয় পেয়ে আত্মরক্ষার জন্য নাম লিখিয়েছিল রাজাকারে। অনেকে আবার জোর করে সম্পত্তি দখল করা এবং পৈতৃক আমলের শত্রুতার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা কোনো অংশেই কম নয়। গেরিলা কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, রণাঙ্গণের সাধারণ সৈনিক, গোয়েন্দা, মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দানকারী—মুক্তিযুদ্ধের এমন প্রতিটি অংশে আলেমদের ভূমিকা প্রত্যক্ষ। তবে বিংশ শতাব্দীতে এসে ইতিহাস রচনার একটা ধারা তৈরী হয়েছে। সেই ধারাটি হলো নিজের মত ও স্বার্থ অনুযায়ী ইতিহাস রচনা। এই স্বার্থবাদী ইতিহাস রচনার ভয়ংকার ফাঁদে পড়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ে আলেমদের এই অধ্যায়টি যেন আড়ালই থেকে যায় সবসময়।

The post মুখোমুখি সংঘাত : আলেম মুক্তিযোদ্ধার সন্ধানে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%98%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ae-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d-4/

স্বাধীনতা দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ফাতেহ ডেস্ক:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৬ মার্চ) ভোরে ৫টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

আজ দিনভর জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবেন।

প্রতি বছরই বিশেষ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। ধীরে ধীরে ফুলে ফুলে ঢেকে যায় গৌরবের সৌধ।

এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ ঘিরে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। পথে আটকে পড়া মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যাওয়ার পরই তারা ছুটে যান স্মৃতিসৌধে।

 

The post স্বাধীনতা দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b8-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae/

জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিলো বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেনে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পরিষদের জরুরি অধিবেশনে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত বুধবার (২৩ মার্চ) ইউক্রেন প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। এতে ১৪০ ভোটে ইউক্রেনের পক্ষে আনা প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। ভোটে বিরত ছিল ৩৮টি দেশ। বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত, চীন, পাকিস্তান রয়েছে। তবে এ প্রস্তাব মানতে রাশিয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

The post জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিলো বাংলাদেশ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%98%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%87/

Thursday, March 24, 2022

রমজানে ৪ নির্দেশনা মেনে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে ২০ রমজান পর্যন্ত চালু থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। এবার রোজায় ৪ নির্দেশনায় চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।

চার নির্দেশনার মধ্যে যা রয়েছে :

১. পবিত্র রমজান মাসে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত শ্রেণি পাঠদান চলবে।
২. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন ও পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সময়সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত ক্লাস বিন্যাস্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
৩. পবিত্র রমজান মাসে বিন্যস্ত রুটিনে নামাজের জন্য ৩০ মিনিট বিরতি থাকবে।
৪. প্রধান শিক্ষকরা প্রস্তুতকৃত রুটিনের বিষয়ে ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাবেন।

এর আগে, গত ২২ মার্চ ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিকের ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখার পরিপত্র জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরিপত্রে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালু রাখা হবে।

The post রমজানে ৪ নির্দেশনা মেনে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয় appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a7%aa-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%9a/

কারাবন্দি আলেমদের আইনি সহায়তায় হেফাজতের কমিটি

ফাতেহ ডেস্ক:

কারাবন্দি আলেম উলামাদের আইনি সহায়তা ও মুক্তির ব্যাপারে কাজ বেগবান করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি সাব কমিটি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (২৩ মার্চ) চট্টগ্রামস্থ জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ সাব কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে রয়েছেন— অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, আল্লামা ইয়াহইয়া, আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মীর ইদ্রিস ও মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী।

এছাড়াও সারাদেশের জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হেফাজতের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায় বিশ্বের তাবত মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে গোপনে তাদের সম্মেলন করেছে। কোনো বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই এই সম্মেলন করতে পারায় তাদের আস্ফালন বেড়ে গেছে। তারা এখন পঞ্চগড় ও নেত্রকোনায় সাধারণ মুসলমানদের জান-মালের উপর হামলা করারমত দুঃসাহস দেখাচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

আরেক প্রস্তাবনায় হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে অসাধু ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাজার মূল্যের লাগাম টেনে ধরার জোর দাবি জানানো হয়।

সভা শেষে মরহুম শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমাদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী, আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীসহ সকল কারাবন্দি আলেম উলামা, দেশ-জাতি ও সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করা হয়।

হেফাজত আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী (পীর সাহেব দেওনা), আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া, মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, আল্লামা তাজুল ইসলাম, আল্লামা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মুফতী মুহাম্মদ আলী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুবারকুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী প্রমুখ।

The post কারাবন্দি আলেমদের আইনি সহায়তায় হেফাজতের কমিটি appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%bf-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b8/

Wednesday, March 23, 2022

কিয়েভে রুশ হামলায় রুশ সাংবাদিক নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রুশ বাহিনীর বোমার আঘাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একজন রুশ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি দ্য ইনসাইডারের প্রতিবেদক হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধ কাভার করছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

দ্য ইনসাইডারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকের নাম ওকসানা বাউলিনা। তিনি কিয়েভের পোডলস্কে রুশ বাহিনীর হামলার পর ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিওর করছিলেন। একই সঙ্গে এই হামলায় আরও একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

বাউলিনা এর আগে রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করেছেন এবং জেলে বন্দী থাকা বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে কাজ করায় তাকে রাশিয়া ছাড়তে হয়েছিল। গত বছর রুশ সরকার ফাউন্ডেশনটিকে অবৈধ ঘোষণা করে। এ জন্য অনেক কর্মী বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।

এক বিবৃতিতে দ্য ইনসাইডার জানিয়েছে, বাউলিনা দ্য ইনসাইডারের প্রতিবেদক হিসেবে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন এবং লভিভ ও কিয়েভ থেকে দ্য ইনসাইডারের জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন। বাউলিনার মৃত্যুতে তাঁর পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে দ্য ইনসাইডার। প্রখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক আলেক্সি কোভালিভ বাউলিনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

The post কিয়েভে রুশ হামলায় রুশ সাংবাদিক নিহত appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%ad%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b6-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b6-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82/

পাঠ্যবই বি‌ক্রি করায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কারাদণ্ড

ফাতেহ ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে শিক্ষার্থী‌দের পাঠ‌্যবই বি‌ক্রি করার দা‌য়ে একটি মাদ্রাসার অধ‌্যক্ষ‌কে ছয় মা‌সের কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চর-চতিলা আলিম মাদ্রাসায় তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।

উপ‌জেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের চর-চতিলা আলিম মাদ্রাসার অধ‌্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মন্ডল শিক্ষার্থী‌দের পাঠ‌্যবই হকা‌রের কা‌ছে বি‌ক্রির সময় সেগু‌লো জব্দ ক‌রেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেট সাদিয়া ইসলাম সীমা। পরে অধ্যক্ষকে ছয় মা‌সের কারাদণ্ড দেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ পাঠ্যবই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে উত্তোলন করেন। শিক্ষার্থীদের বই বিতরণের পর অতিরিক্ত বই ফেরত না দিয়ে তিনি স্টোররুমে জমা রাখেন। প‌রে বইগু‌লো বস্তাব‌ন্দি ক‌রে কে‌জি দ‌রে বি‌ক্রি ক‌রেন।

পাঠ‌্যবই বি‌ক্রির খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে বইগু‌লো জব্দ ক‌রেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা ও উপ‌জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা। প‌রে বই বি‌ক্রির দা‌য়ে অধ‌্যক্ষ‌কে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

পাঠ‌্যবইয়ের ক্রেতা হকার আব্দুল গণি মিয়া জানান, মাদ্রাসার প্রভাষক আকাশ আলীর মাধ্যমে ১৭ টাকা কেজি ধরে ৫ হাজার ৯০০ টাকায় বইগুলো কেনেন তিনি। প‌রে প্রশাসন বইগু‌লো নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক জানান, মাদ্রাসার অধ‌্যক্ষ শিক্ষার্থী‌দের পাঠ‌্যবই বি‌ক্রি কর‌ছিলেন, এমন সংবা‌দে ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে বইগু‌লো জব্দ করা হয়। এর দা‌য়ে অধ্যক্ষকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

The post পাঠ্যবই বি‌ক্রি করায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কারাদণ্ড appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6/

কানওয়ালা ছবি নয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতেই সব হয়

ফাতেহ ডেস্ক:

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ সবক্ষেত্রে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে কান বের করে ছবি দেওয়ার পরিবর্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নারীদের হিজাব খুলে কান বের করে ছবি দিতে হয়। এই নিয়ম বাতিল করে হিজাব-নিকাব মেনে চলা মেয়েদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী দিদারুল আলম বলেন, যেসব মেয়েরা হিজাব-নিকাব মেইনটেইন করে তাদের কান খুলতে বাধ্য করাটা উচিত নয়। বরং ছবির পরিবর্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করাই যুগোপযোগী এবং নিরাপদ। হিজাব-নিকাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় অধিকার।

শিক্ষার্থী সানজিদা আলী সানবি বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আরও নির্ভুলভাবে যাচাই পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনে, এরকম ব্যবস্থা না এনে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আরেকজন শিক্ষার্থী মুহম্মদ কায়েছুর রহমান বলেন, হিজাব খুলে কান বের করতে বাধ্য করাটা মুসলিম নারীদের জন্য অপমানজনক। এ ধরনের আইন তৈরি করার আগেই ভাবা উচিত ছিল। বিকল্প বায়োমেট্রিক পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও কোনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মানে হয়না।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যেসব মেয়েরা হিজাব-নিকাব পরিধান করে তাদের জন্য যেন বিকল্প বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংক একাউন্টসহ রাষ্ট্রীয় সকল সুবিধা যেন নিশ্চিত করা হয়।

The post কানওয়ালা ছবি নয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতেই সব হয় appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%9b%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%8d/

তারাবির ইমাম নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

ফাতেহ ডেস্ক:

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মসজিদের ইমাম নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষের মারামারিতে গুরুতর আহত আনসার সদস্য মো. জলিল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নের মশাখালী মধ্যপাড়া বায়তুল ফালা জামে মসজিদে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে পাগলা থানায় একটি মামলা করেন।

নিহতের স্ত্রী মানসুরা আক্তার জানান, আবদুল আওয়াল ও তার ছেলেরা মিলে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বলেন, বিনা কারণে আওয়াল ও তার ছেলেরা আমার ভাইকে কুপিয়ে ভাইয়ের হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার চাই।

ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক মণ্ডলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

The post তারাবির ইমাম নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১ appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8/

২ বছর পর হারামাইন শরিফে ইতেকাফের অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দুই বছর পর ফের মক্কা-মদিনার হারামাইন শরিফে রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফের অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) হারামাইন জেনারেল প্রেসিডেন্সির সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

হারামাইন জেনারেল প্রেসিডেন্সির সভাপতি শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইস বলেছেন, ‘এই বছর মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে রমজানে ইতেকাফ পালিত হবে।’

তবে এক্ষেত্রে ইতেকাফকারীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হবে। কিন্তু কী নিয়ম তা খুব শিগগিরই হারামাইনের সরকারি ওয়েবসাইটে জানানো হবে।

সূত্র : আলজাজিরা

The post ২ বছর পর হারামাইন শরিফে ইতেকাফের অনুমোদন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a7%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ab%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%a4/