মূল: আরিবা বেগ
ভাষান্তর : রাকিবুল হাসান
জীবনের পথচলায় কখনো আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি, পেছনে ফিরে তাকাবার ফুরসতই মেলে না। বিস্মৃত হয়ে যাই কাদের অবদানে এতদূর আসা, কাদের প্রেরণায় জীবনের এই প্রতিষ্ঠিত অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে আছি। তারপর হঠাৎ এমন কিছু ঘটে যায়, আমরা পেছন ফিরে তাকাতে বাধ্য হই। এই যেমন এখন আমি পেছন ফিরে তাকিয়েছি, স্মৃতির আয়নায় কতকিছু দেখতে পাচ্ছি।
পাকিস্তানের জামিয়া বিন্নুরিয়ায় মুফতি নাঈম রহ. এর হাজারো ছাত্রের মাঝে আমি ছিলাম নগণ্য একজন। পড়ালেখায় খুব উজ্জ্বল মেধাবী ছিলাম এমন নয়। তবে আমার পড়ালেখার পেছনে তার অবদানই সবচে বেশি। সেই অবদানের কথকতা এতদিন মনের গহীনেই রেখেছিলাম। ভাবছি আজ বলে দেই। ক্লাসে তিনি আমাদেরকে বলতেন, আমি আশা করি—সারাজীবন তোমরা আমাকে স্মরণ করবে। যখন কোথাও শিক্ষকতা করবে, আমার বলা কথাগুলোই তোমরা শিক্ষার্থীদের বলবে। যেভাবে আমি এখন আমার শিক্ষকদের কথাগুলো তোমাদেরকে বলছি।’ ইলম হলো সদকায়ে জারিয়া; এই ইলমের জন্যই ছিল তার সারা জীবনের যাবতীয় ব্যস্ততা।
২০০৬ সালের কথা। আমেরিকায় তখনো নারীদের জন্য আলেমা কোর্স তেমন ছিল না। যতটুকুই যা ছিল, তাও কোয়ালিটি সম্পন্ন ছিল না। ফলে পাকিস্তানেই পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেই। সিদ্ধান্তের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে দুটি জিনিস। এক—পাকিস্তানে আমার ফ্যামিলির লোকজন ছিলো। দুই—মুফতি নাঈম রহ. এর জামিয়া বিন্নুরিয়ায় আমার এডমিশন এপ্রুভাল। পাকিস্তানের অন্যান্য মাদরাসা বিদেশীদের ভর্তি করাতো না।
পাকিস্তানে আসার পূর্বে আমার বাবা দেশটির বিভিন্ন আলেমের সঙ্গে পরামর্শ করেন। কেউ কেউ তাকে অনুৎসাহিত করলো। কেউ তাকে বললো, এই অস্থির সময়ে মেয়েকে এতদূর পাঠানো ঠিক হবে না। তখন করাচিতে অস্থির এক সময় যাচ্ছিলো। তাই আমার ফ্যামিলির লোকজন যেখানে বসবাস করে, তার আশপাশেই কোনো একটি মাদরাসা খুঁজছিলাম। কিন্তু তারা সবাই বললো, ১৩ বছরের বড় মেয়েকে তারা ভর্তি নেয় না। এবং কোনো আমেরিকানকে তাদের মাদরাসায় ভর্তি হতে উৎসাহ তো দেনই না, বরং অনুৎসাহিত করেন।
জামিয়া বিন্নুরিয়া অবস্থিত করাচির উপকণ্ঠে। মাদরাসার পরিচালক মুফতি নাঈম রহ.। একমাত্র তিনিই আমার বাবাকে উৎসাহ দিলেন। ঝুঁকি সত্ত্বেও তিনি আমার যাবতীয় দায়িত্ব নিতে রাজি হলেন। তিনি আমার বাবাকে দাওয়াত করলেন। আমাকে বললেন, আমার চিন্তা যেন হয় কেবল পড়াশোনা আর পড়াশোনা। বাকি সবকিছুর দায়িত্ব তার।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক আবহওয়া যখন অস্থির, বিদেশি ছাত্রদের জন্য পরিবেশ কঠিন, তখন তিনি বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের দায়িত্ব নিলেন। তাদের পড়াশোনার জন্য মাদরাসার দরজা খুলে দিলেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুললেন। মিডিয়ার সামনে ওপেন করে দিলেন মাদরাসার সমস্ত ভবন। দেখিয়ে দিলেন—এখানে কেবল পড়াশোনা হয়। কোনো চরমপন্থার চর্চা হয় না। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই আধুনিক পৃথিবীতে মাদরাসার দরকার আছে এবং এ কালের সঙ্গে মানানসই মাদরাসা। তিনি জানতেন, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক ব্যতীত এই বিশ্বাসকে বাস্তবে রূপ দেয়া যাবে না।
বিশেষভাবে নারীশিক্ষার জন্য তিনি ছিলেন অন্তপ্রাণ। পাকিস্তানের অন্যান্য মাদরাসায় নারীদের পড়ানো হতো সাধারণ সিলেবাস। এতে ছাত্রীরা তেমন আরবিও শিখতে পারতো না। উচ্চতর আরবি শেখানোর কোনো আলাদা উদ্যোগ ছিল না। ফলে ফারেগ হবার পর তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের পড়াশুনা করারও মাল-মশলা পেতো না। কিন্তু জামিয়া বিন্নুরিয়ায় ছাত্রীদের জন্য ছিল আলাদা সিলেবাস, তাদের নিজেদের প্রণীত। আরবির প্রতি জোর দেয়া হতো বেশি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মহিলা বিভাগের প্রধান মাওলানা মাসুদ বেগ রহ. এবং মুফতি নাঈম রহ. এর কথা। তাদের উন্মুক্ত মানসিকতার কল্যানেই আরবির এই জোরালো শিক্ষাটা সম্ভব হয়েছিল।
মুফতি নাঈম রহ. ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। তার কাছে দাওরার বছর ক্লাস করার সুযোগ হয়েছে। তিনি আমাদেরকে বুখারি পড়াতেন। তার প্রতিটি শব্দ থেকে চুইয়ে পড়তো নবির প্রতি ভালোবাসা। মনে হতো—আমরা তার কাছে বুখারীর সঙ্গে জীবনের পাঠও নিচ্ছি। থিউরি থেকে বেরিয়ে তিনি প্রায়োগিক করে দেখাতেন সব। একদিন নিকাহের অনুষ্ঠানে আগত মেহমানদের সম্পর্কে হাদীস পড়াচ্ছিলেন। তিনি আমাদেরকে বললেন, ‘তোমাদের ঘরে অনেক মেহমান আসবে। কিন্তু তোমরা বিরক্ত হয়ে যেও না। মেহমান আল্লাহর রহমত।’ ছাত্রীদের ছোট ছোট অর্জনে তিনি প্রশংসা করতেন। উৎসাহ দিতেন। আমার বাবাকে ফোন করে রেজাল্ট জানাতেন, বাবাকে অভিনন্দন জানাতেন। আমাদের ক্লাসরুমে পর্দার আড়াল থেকে ক্লাস করাতেন পুরুষ শিক্ষকগণ। যার হাদিসের ইবারত পড়া সুন্দর হতো, তিনি নাম জিজ্ঞেস করতেন। তারপর নাম ধরে প্রশংসা করতেন, উৎসাহ দিতেন। এতে আমাদের পড়ালেখার উৎসাহ আরও বেড়ে যেতো। আমরা আরও কঠোর পরিশ্রম করতাম ভালো করার জন্য।
পাকিস্তানে যে কয়েকটি মাদরাসায় নারীদের জন্য ইফতা বিভাগ ছিলো, তারমধ্যে অন্যতম ছিল জামিয়া বিন্নুরিয়া। দাওরা যে বছর পড়ি, তিনি বুখারির ক্লাসে এসে পরের বছর ইফতা পড়তে উৎসাহ দিতেন। তাখাসসুস ফিল ইফতার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতেন। তিনি বলতেন, সমাজে নারী মুফতির খুব দরকার। পুরুষ মুফতি হাজার হাজার আছে। কিন্তু সমাজে নারীদের ভূমিকা তারা কখনোই পূরণ করতে পারবে না। কেউ যেন বলার সুযোগ না পায়, তুমি মুফতি হতে পারবে না। একজন নারী ডাক্তার হতে পারে, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে, মুফতি কেন হতে পারবে না?’
নারীদের শিক্ষার জন্য নিরাপদ এবং সবচে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান ছিল জামিয়া বিন্নুরিয়া। অভিভাবকগণ মুফতি নাঈম রহ. এর কাছে তাদের সন্তানদের সোপর্দ করে যেতেন নিশ্চিন্তে। তিনিও তাদেরকে বাবার মতো দায়িত্বশীলতা নিয়ে দেখাশোনা করতেন। তার দায়িত্বশীলতা কেবল আমার মতো পশ্চিমা শিক্ষার্থীদের জন্যই ছিল না। বরং থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, তাজিকিস্তান, রাশিয়া এবং ফিজির শিক্ষার্থীরাও একই ধরণের যত্ন পেতো।
আমার সঙ্গে তানজানিয়ার একটি মেয়ে পড়তো। তার চাচা একবার তাবলীগে এলেন পাকিস্তানে। মুফতি নাঈম রহ. তাকে আমন্ত্রণ করে মাদরাসায় নিয়ে এলেন। মাদরাসার পরিবেশ দেখে তিনি এতটাই মুগ্ধ হলেন, দেশে ফিরে গিয়ে তিনি তার চার মেয়ে এবং ভাগ্নিকে নিয়ে এলেন। তার চার মেয়ে এখানেই বড় হয়েছে। প্রথমে হাফেজা হয়েছে, তারপর বড় মেয়েটি আলেমা হয়েছে, বাকি তিনজন আলেমা হবার কাছাকাছি চলে এসেছে। দীর্ঘ আট বছর পর বড় মেয়ের বিদায়ের অনুষ্ঠানে তিনি এলেন। এবং বাকি তিন মেয়েকেও নিয়ে গেলেন। তিনি বললেন, যে মেয়ে আলেমা হয়েছে সে বাকিদের পড়াবে । তারপর সবাই তানজানিয়ার মাদরাসায় পড়াবে। আমার সঙ্গে পড়তো শ্রীলঙ্কার একটি মেয়ে। সে তার পরিবার নিয়ে চলে এসেছিল পাকিস্তানে। আলেমা হয়ে সে শ্রীলঙ্কা ফিরে গেছে।
মুফতি নাঈম রহ. আমাদের বলতেন, সবসময় শিক্ষার সঙ্গে জুড়ে থাকো। হয়তো পড়ো, নয়তো পড়াও। যদি নিয়মতান্ত্রিক মাদরাসায় পড়ানোর সুযোগ না হয়, তাহলে বাড়ির, পাড়ার কয়েকজনকে বাড়িতে ডেকে আনো। তাদের সঙ্গে আলোচনা করো, তাদেরকে দ্বীন শেখাও।
মুফতি নাঈম রহ. এর বিশেষ একটি গুণ—আতিথেয়তা। এই ক্ষেত্রে তাকে পেছন ফেলে যাওয়া মুশকিল। তিনি কেবল বিদেশি ছাত্রীদেরই দেখভাল করতেন না, বরং তার মাদরাসায় এতিম, বিধবা এবং নওমুসলিম মেয়েরাও থাকতো। যাদের কোনো আশ্রয় ছিল না। তিনি তাদের পড়ালেখার ব্যয় বহন করতেন। এমনকি প্রয়োজন হলে বিয়েও করিয়ে দিতেন।
একবার তিনি নওমুসলিম একটি মেয়ের বিয়ের আয়োজন করছিলেন। মেয়েটির বিয়ে নিয়ে আমরা খুব আবেগাপ্লুত ছিলাম। পুরো মাদরাসার সবাইকে এ বিয়েতে আমন্ত্রণ করা সম্ভব ছিলো না। কিন্তু আমাদের ক্লাসমেট সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, বিয়ের দাওয়াত নিতেই হবে। হুজুর যখন বুখারির ক্লাস করাতে এলেন, পরিকল্পনামাফিক আমরা ওই মেয়েটির বিয়ে প্রসঙ্গে কথা তুলি। তিনি বিয়ের পরিকল্পনা বলতে শুরু করলেন। আমরা তখন বললাম, আমরা তো দাওয়াত পাইনি। তিনি বললেন, কেন দাওয়াত পাওনি? তোমাদেরকে আমি দাওয়াত দিলাম। আমরা নির্ধারিত দিনে দাওয়াতে গেলাম। তার স্ত্রী কিছুটা বেজার হয়ে বললেন, উসতাদ থেকে দাওয়াত চেয়ে নিতে লজ্জা হয় না? কী যে হলে তোমরা! তিনি এসব বলছিলেন আর মেহমানদারিতে হাত বাড়াচ্ছিলেন।
মুফতি নাঈম রহ. মাদরাসার ছাত্রীদের যদি বাবার মতো প্রতিপালন করে থাকেন, ছাত্রীদেরকে মায়ের মতো প্রতিপালন করেছেন তার স্ত্রী। বিশেষ করে যারা পরিবার থেকে দূরে, তারা কখনো পরিবারের শূন্যতা অনুভব করতো না। এমন প্রতিপালন করতেন বলেই শিক্ষাশেষে দূরে চলে গেলেও মাদরাসাকে কেউ ভুলতে পারতো না। এক বিদেশী শিক্ষার্থী একদিন হুজুরকে ফোন দিয়ে বললো, ‘মাদরাসার ওয়েবসাইটে পুরুষ ক্যাম্পাসের ছবি দেয়া আছে। মহিলা ক্যাম্পাসের ছবি দেয়া নাই। দেখতে ইচ্ছে হলেও দেখতে পারি না। ছবি থাকলে দেখতে পারতাম।’ হুজুর ছবি তুলে ওয়েবসাইটে যুক্ত করে দিলেন।
হুজুরের বাবা যেদিন মারা যান, তার একদিন পরই তিনি ক্লাস করতে আসেন। আমরা তার বাবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। একটু পর কান্না সামলে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের জন্য বাবা ছিলেন বরকত। মাদরাসা কেবল টাকায় চলে না, চলে আধ্যাত্মিকতায়। বরকতময় মানুষের ইন্তেকালে আমাদের অবক্ষয় ঘটে।’
মুফতি নাঈম রহ. কখনো ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেননি। মাদরাসার জন্য যা করার দরকার, করেছেন। লোকে কী বলবে—তার তোয়াক্কা করেননি। যখন যে ডেকেছে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বৈষম্য করেননি। তার ছুটি ছিল না, সবসময়ই কাজ করতেন। কিন্তু তার এই কর্মব্যস্ততা কখনো তার ইবাদাতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তারাবিতে কুরআন খতম করেছেন, দৈনন্দিন তেলাওয়াত করেছেন, কখনো তাহাজ্জুদ বাদ দেননি। জীবনের শেষদিন মাগরিব নামাজের পরও মসজিদে বসে দোয়া করছিলেন। হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করলেন। ঘরে এলেন। আরও অস্বস্তি বাড়লে হাসপাতালে নেয়া হয়। ইশার আগেই আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
রোজকার প্রতিটি কাজে তার কথা মনে পড়ে। হাদীস পড়তে গেলেই তার স্বর কানে ভাসে। তিনি শিখিয়েছেন প্রচণ্ড ব্যস্ত জীবনেও কিভাবে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়, বিপদে সবকিছু সমান্তরালভাবে সামলাতে হয়। তিনি শিখিয়েছেন, অন্যের কথায় কান দিতে হয় না। আল্লাহ পাশে থাকলেই হয়। শুধু নিজের সুবিধা নয়, অন্যের সুবিধার কথাও ভাবতে হয়। বর্তমানের বাইরে ভবিষ্যত প্রজন্মের চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হয়। তিনি বুঝিয়েছেন, ইচ্ছা এবং নিষ্ঠা থাকলেই প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। হাফেজা হওয়ার অর্থ কেবল মুখস্থ করা নয়, কুরআনের আলোয় জীবন রঙিন করা। বড় স্বপ্ন পূরণের পথে ছোট ছোট পদক্ষেপকে কখনো অবমূল্যায়ন করতে নেই। ছোট ছোট পদক্ষেপ মিলেই বড় স্বপ্ন পূরণ হয়। তিনি বলেছেন, অতিথিপরায়ণ হবার অর্থ কী? অতিথিপরায়নতা দাওয়াহর প্রথম পদক্ষেপ। অন্যের সামনে নিজেকে ছোট ভাবা মানে আল্লাহর সামনে নিজেকে বড় করে তোলা। জ্ঞান বিতরণ করলে কমে না, বরং বাড়েই। জ্ঞানের উপকার কেবল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না, গোটা সমাজ উপকৃত হয়। একজন মানুষ বদলে দেয় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন।
আল্লাহ তার খেদমতগুলো কবুল করুন। জান্নাতের উঁচু মাকামে তাকে অধিষ্ঠিত করুন। বাড়িয়ে দিন তার সাদকায়ে জারিয়া। আমিন।
সূত্র: মুসলিম ম্যাটারস
Facebook Twitter WhatsApp Link
The post ‘আমার শিক্ষক মুফতি নাঈম’ : আমেরিকান নারীর স্মৃতিচারণ appeared first on Fateh24.
source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%88%e0%a6%ae/
No comments:
Post a Comment