হুসাইন আহমাদ
একটি হজের সফরে বদলে যায় ম্যালকম এক্স এর জীবন। আমূল-পরিবর্তন আসে তাঁর চিন্তাধারায় ও কর্মকাণ্ডে। কট্টর শেতাঙ্গ বিদ্বেষী ম্যালকম থেকে হয়ে ওঠেন বিশ্বভ্রাতৃত্ববাদী আলহাজ্ব মালিক শাবাজে। তবে তাঁর জীবনের এই পরিবর্তন হঠাৎ ঘটে যাওয়া কাকতালীয় কোন ঘটনা নয়। বরং বিভিন্ন পর্যায়ে গতিপথ পরিবর্তন হয়ে তাঁর জীবন সর্বশেষ ইসলামের মূল স্রোতে এসে মিশে গেছে।
১৯২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা স্টেটের ওমাহায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আন্দোলনের সোচ্চার এক কর্মী। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। বুঝ হওয়ার আগেই শেতাঙ্গদের হাতে পিতাকে হারান। এদিকে স্বামীর শোক ও সন্তানদের সামলে নেবার চাপ সইতে না পেরে তাঁর মাতা মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলেন। একটু বড় হয়ে স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু স্কুলে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দেন এবং পরপর কয়েকটি দত্তক পরিবারে প্রতিপালিত হয়ে বেড়ে উঠতে থাকেন। এসময় তিনি আমেরিকান জনমানুষের মূলস্রোতের সাথে মিশে যেতে চেষ্টা করেন। কিন্তু বর্ণবাদী শেতাঙ্গদের দ্বারা তিনি প্রাত্যাক্ষাত হন। পরিণতিতে তিনি বেছে নেন অন্ধকার পথ। হয়ে ওঠেন আঁধার রাজ্যের রাজা। কিন্তু তাঁর অদৃশ্যে লেখা ছিল ভিন্ন কিছু। তাই তিনি কিছুদিনের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। জেলে যান। সূচিত হয় তাঁর জীবন বদলে যাওয়ার প্রথম অধ্যায়।
জন্মসূত্রে তিনি একজন খৃস্টান ছিলেন। জেলে গিয়ে ‘ন্যাশন অব ইসলাম’ সম্পর্কে অবগত হন। সংগঠনটি আমেরিকার কালো মানুষদের অধিকার আদায়ে কাজ করে। কিন্তু তারা ছিল কট্টর বর্ণবাদী ও শেতাঙ্গ বিদ্বেষী। নামে ইসলাম হলেও ইসলামি মতাদর্শের সাথে একবিন্দু মিল ছিল না তাদের। তারা ছিল ইমামিয়া শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী। এলিজা মোহাম্মদ নামে নিজেকে সুলাইমান আলাইহিসসালাম থেকে শ্রেষ্ঠ দাবী-করা এক লোক ছিলেন সে সময়ে ন্যাশনের নেতা। তাঁরা তাদের নেতাকে ইমাম ও নিষ্পাপ বিশ্বাস করতো। আজন্ম বঞ্চিত টগবগে যুবক ম্যালকমের নিকট ন্যাশনের শেতাঙ্গ-বিদ্বেষী থিওরি মনে ধরে। তিনি জেলে থেকে ছাড়া পেয়ে ধর্মান্তরিত হন। খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করে যোগ দেন ন্যাশন অব ইসলামে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি নিজের প্রবল প্রতিভা ও দক্ষতার বলে ন্যাশনের একজন প্রভাবশালী নেতা ও দলের মুখপাত্র হয়ে ওঠেন।
ম্যালকম এক্স তখন বিশ্বাস করতেন— ন্যাশন অব ইসলাম যেমনটা তাকে শিখিয়েছিল— আমেরিকায় কালো মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে, প্রয়োজন সাদা চামড়াওয়ালাদের দমন করা। কায়েম করা কৃষ্ণাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ। এই মতবাদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় তিনি জানপ্রাণ নিয়ে নেমে পড়েন। নিজের অসাধারণ বাগ্মিতা ও নেতৃত্বগুণে ন্যাশনের বর্ণবাদী আন্দোলনকে তিনি অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর সত্যানুসন্ধানী মনের কোথায় যেন খটকা লেগে থাকে। অবচেতন বিবেক তাঁর স্বভাবজাত মনুষ্যত্ববোধে বারবার দংশন করতে থাকে। তিনি ন্যাশনের কর্মকাণ্ডে যত তৎপর হতে থাকেন মানসিক অস্থিরতা তাঁর ততই বাড়তে থাকে। এক সময় আলোর স্পর্শ পান। মোহভঙ্গ হতে থাকে তাঁর। দূরত্ব বাড়তে থাকে সংগঠনটির প্রধান এলিজা মোহাম্মদের সাথে। তাঁর অনুসন্ধিৎসু মন সন্ধান পেতে থাকে মূল ইসলামের। এখান থেকেই সূচিত হয় তাঁর জীবন বদলের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পরিবর্তনের অধ্যায়টি।
এই পরিবর্তনের স্মৃতিচারণ বিভিন্ন বক্তৃতায় তিনি এভাবে করেন যে, আমি যখন ন্যাশনের মতাদর্শ প্রচারে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ছিলাম, তখন মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মুসলিম ছাত্ররা আমার নিকট আসতে থাকে। তাঁরা আমাকে বলেন যে, বর্ণবাদ বা শেতাঙ্গ-বিদ্বষ তো ইসলামে অনুমোদিত নয়। যেমন অনুমোদিত নয় কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ। তখন তাঁরা আমাকে সঠিক ইসলামকে জানার আহ্বান জানান। এবং উপায় হিসেবে আমেরিকান মুসলিম স্কলার ড. মাহমুদ ইউসুফ শাওয়ারিবীর সাথে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে সম্যকভাবে জ্ঞাত হওয়ার পরামর্শ দেন।
এক সাক্ষাৎকারে ম্যালকম বলেন, আমি ড. শাওয়ারিবীর সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি (শেতাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও) আমার সাথে অত্যন্ত হৃদ্যতার সাথে কথা বলেন। কথা বলেছিলেন খুবি অল্প কিন্তু আমার অন্তর প্রভাবিত হয়েছিল অনেক বেশী। তিনি বলেছিলেন, “কোন মুমিন ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে অপর ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করবে।” এরপর থেকে আমার ভেতর নতুন এক ফিকির শুরু হল যে, দ্বীনের প্রতি আমার ঈমান যদি সত্য হয় তাহলে দ্বীনের সত্য-সঠিক জ্ঞান কেন আমি জানব না!?
এই চিন্তা ও ফিকির থেকেই ১৯৬৪ সালে তিনি হজ পালনের ইচ্ছা করেন। কিন্তু তাঁর কাছে টাকা ছিল না। সহযোগিতা চেয়ে তিনি ব্যাপারটা তাঁর নওমুসলিমা বোনকে জানান। মহীয়সী বোন ভাইয়ের মনের অবস্থা ও তাঁর হজের গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজের হজের জন্য জমানো সবগুলো টাকা ভাইয়ের হাতে তুলে দেন। ম্যালকম ভিসার জন্য সৌদি দূতাবাসে যান। কিন্তু দূতাবাস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আমেরিকার নওমুসলিমদের হজে যেতে হলে ড. মাহমুদ শাওয়ারিবীর সুপারিশ লাগবে। তিনি সুপারিশের জন্য ড. মাহমুদের নিকট যান। ডক্টর সাহেব তাকে সুপারিশনামা লিখে দেন এবং ইংরেজি ভাষায় লিখিত নবীজি সা. এর রেসালত সম্পর্কিত একটি বই তাকে উপহার দেন। শাওয়ারিবী বলেন, বইটির লেখক হলেন শায়েখ ড. আব্দুর রহমান আযযাম। সাথে লেখকের পরিচয়ও বলে দেন। বলেন, লেখক সৌদি আরবের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাদশাহ ফয়সালের অন্যতম উপদেষ্টা। ড. মাহমুদ ম্যালকমকে লেখকের ছেলে উমর আযযামের টেলিফোন নাম্বার দেন এবং জেদ্দায় গিয়ে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
জানাজানি হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে আটকে দিতে পারে— এই ভয়ে তিনি হজের সফরের খবরটা গোপন রাখেন। যান্ত্রিক পাখিটি তাকে বক্ষে ধারণ যখন লোহার ডানা মেলে আকাশে উড়াল দেয় তখন তিনি নিশ্চিন্ত হন। বিমানটি মিশরের দিকে উড়তে থাকে। ম্যালকমের পাশের আসনে ছিলেন মিশরী এক মুসলিম ভদ্রলোক। গোটা সফরে তিনি মিশরী ভদ্রলোকের কাছে থেকে আন্তরিক সহযোগিতা পান এবং খুবি অবাক হন। কায়রোতে দুইদিন যাত্রাবিরতির পর তিনি জেদ্দার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর আসেন এবং শুভ্রপোশাক পরিহিত আল্লাহর ঘরের হাজারো মুসাফিরকে দেখে তিনি আপ্লুত হন।
সেই স্মৃতিকে তিনি এভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে, কায়রো বিমানবন্দরে আমরা কয়েক সহস্র হজযাত্রী অপেক্ষমান ছিলাম। সাধারণ পোশাক ছেড়ে যখন সবাই আমরা ইহরামের কাপড় পরিধান করলাম। তখন কোন পার্থক্য ছিল না যে, কে ধনী কে গরীব! লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক— তালবিয়া ধ্বনিতে তখন গোটা বিমানবন্দর মুখরিত হয়ে উঠছিল। বিমানগুলোতে সাদা-কালো, লাল-বাদামী, স্বর্ণকেশী ও নীলচোখো সকলেই স্বাচ্ছন্দে একসাথে যাচ্ছিল। আমি কোঁকড়ানো ও লালচে চুল নিয়ে তাঁদের মধ্যে ছিলাম। ইসলাম আমাদের সকলকে একত্রিত করেছিল।
জেদ্দায় অবতরণ করার পর বাদশাহর উপদেষ্টা ড. আব্দুর রহমান আযযাম তাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে অভ্যর্থনা জানান এবং বিশেষ হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে তিনি ছেলের নিকট নামায আদায় করতে যান। ম্যালকম বলেন, তিনি যখন নামায আদায় করতে চলে গেলেন, আমি তখন নিজের ভেতর নামায আদায় করার তীব্র আগ্রহ অনুভব করতে লাগলাম। ইতোপূর্বে যা কখনো আমার অনুভূত হয় নাই। তিনি বলেন, আমি সেখানকার সাদা মানুষদের সাথে চলাফেরা ও লেনদেন করছিলাম, তাঁরা কেউ আমার দিকে কখনো কালো হিসেবে তাকায়নি। তাঁদের এই আচরণে আমি খুবই মুগ্ধ হই। বলা যায়, সাদা মানুষদের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি সেদিনই বদলে যায়।
হজে এসে কাবাঘর, তালবিয়া-ধ্বনি এবং মুসলিম-ভ্রাতৃত্ব দেখে ম্যালকম খুবি প্রভাবিত হন। তিনি আশ্চর্য হয়ে বলেন, সকল জাতি-বর্ণের মানুষের মাঝে এমন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কখনো দেখা তো দূরের বিষয় এ-জীবনে কল্পনাও করতে পারিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমেরিকাকে ইসলাম বুঝতে হবে। একমাত্র ইসলামই পারে আমেরিকার বর্ণবাদ সমস্যার সমাধান করতে।” এক বৈঠকে হজের কোন দিকটা আপনার বিশেষ মনোযোগ টেনেছে— জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অকপটে বলে দেন, ভ্রাতৃত্ব! সকল জাতি-বর্ণের ও বিভেদ-বিসম্বাদের উর্ধ্বে এসে মুসলিমদের বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধ দৃষ্টে আমার সামনে তখন মহান আল্লাহর অশেষ কুদরতই দৃঢ়ভাবে ফুটে ওঠেছিল। এই সময়েই তিনি শিয়া মতবাদ ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ম্যালকম এক্স বাদ দিয়ে ‘আলহাজ্ব মালিক শাবাজ’ নামধারণ করেন।
তিনি বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন। বাদশাহ বলেন, আমেরিকার কালো মুসলমানেরা যে ইসলাম পালন করে তা মূলত ইসলাম নয়। অর্থাৎ ন্যাশনের ইসলামের দিকেই তিনি ইঙ্গিত করছেন। ম্যালকম নিজের জীবনের এই পট পরিবর্তন সম্পর্কে দৃঢচিত্তে বলেন, আমি আমার অবস্থান ও বিশ্বাস পরিবর্তন করে ফেলেছি। ১৯৬৪ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে যখন আমি জেদ্দা থেকে প্রস্থান করি, তখন মনে হল, আমার ভেতরকার অনেক কিছুই এখানে ঝেড়ে ফেলে গেলাম এবং নিয়ে গেলাম নতুন অনেক কিছু। এরপর তিনি আরব ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। এসব দেশ সফরকালে তিনি আফ্রিকা ও আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায় আন্দোলনে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন।
হজ থেকে দেশে প্রত্যাবর্নের পর তিনি নিজের নতুন মতাদর্শের প্রচার আরম্ভ করেন। মানুষকে তিনি সঠিক ইসলামের দিকে আহ্বান করতে থাকেন। প্রতিষ্ঠা করতে নেমে পড়েন এমন এক সমাজের যেখানে নেই বর্ণবাদ ও বৈষম্য। নেই হিংসা-বিদ্বেষ ও জাতি বিভেদ। আছে ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, সাম্য ও বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ব। তিনি আমেরিকার মানুষদের গাত্রবর্ণের উর্ধ্বে এসে মানবভ্রাতৃত্বের প্রতি উদার আহ্বান জানান। সাদা-কালো ভাই-ভাই হয়ে একসঙ্গে বসবাসের আহ্বান করতে থাকেন। তাঁর নতুন এই চিন্তাধারা আমেরিকার মানুষদের বিশেষত মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ফলে আবশ্যিকভাবেই এলিজার বর্ণবাদী মতবাদের ভয়াবহতা মানুষের সামনে আসে এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষ সচেতন হতে থাকে। ফলাফল এই দাঁড়ায় যে, ন্যাশনের উগ্র নেতা-কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে এবং তাকে হত্যার নানান ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
ওদিকে সংবাদমাধ্যমগুলোও তাঁর এই নতুন চিন্তাধারা বিকৃতিভাবে উপস্থাপন করতে থাকে। এবং আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের উত্তেজিত ও বিদ্রোহী করে তোলার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করে প্রচার করতে থাকে। ১৯৬৪ সালের শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি সয়েক সপ্তাহের জন্য বিদেশ সফর করেন। মিশর সহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থাকে এই সফরের তালিকায়। এসফরে তিনি ‘অর্গানাইজেশন ফর আফ্রো-আমেরিকান ইউনিটি’ গঠন করেন এবং প্রতিষ্ঠা করেন ‘মুসলিম মসজিদ ফঙ্ক’। ফিরতিপথে এক সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য ফ্রান্সে আমন্ত্রিত হলে ফ্রান্স সরকার তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তিনি তখন সরাসরি আমেরিকা চলে যান।
ন্যাশন অব ইসলাম ও ম্যালকম এক্সের মধ্যে বিরোধ দিন দিন বাড়তে থাকে। ক্রমাগত হুমকি ও হত্যাচেষ্টা হতে থাকায় ম্যালকম বুঝে যান যে তাকে বেশীদিন বাঁচতে দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে তাঁর বাড়িতে একবার বোমা হামলা হয়। কুণ্ডলী পাঁকানো ধোঁয়ার নিচ থেকে দাউদাউ করে আগুন বের হতে থাকে। ভাগ্যক্রমে সেবারের মতো তিনি পরিবার নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু তাঁর এই বেঁচে যাওয়াটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। একসপ্তাহের ব্যবধানেই ঘটে যায় নির্মম হত্যাকাণ্ড। তিনি নিহত হন। নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের বঞ্চিত নাগরিকদের, বিশেষত কালো মানুষদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার এক মুসলিম কিংবদন্তি।
সূত্র :
১. দ্য অটোবায়োগ্রাফি অব ম্যালকম এক্স, এলেক্স হ্যালি (আরবি)
২. আলজাজিরা
The post হজের সফর : ম্যালকম এক্স থেকে মালিক শাবাজ appeared first on Fateh24.
source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ab%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a6%ae-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95/
No comments:
Post a Comment