Wednesday, July 28, 2021

হুমা জান্নাতুকা ওয়া নারুক!

আবু সাঈদ:

এই সুনীল আকাশ, নির্মল বাতাস, অনুপম প্রকৃতি আমরা উপভোগ করছি। হরদম আল্লাহর নেয়ামতে আকণ্ঠ ডুবে থাকছি। বিচিত্র এই পৃথিবীর আলো আমরা পিতামাতার অবদানেই দেখতে পাচ্ছি। এজন্য পিতা-মাতা আমাদের পরম আবেগমথিত স্থান। পিতা-মাতার প্রতি আমাদের অসম্ভব দুর্বলতা। ইসলাম এই দুর্বলতাকে স্বীকার করে। এর প্রতি প্রবলভাবে উদ্বুদ্ধ‌ও করে। একবার এক সাহাবী এসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব কি? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাঁরাই তোমার জান্নাত, তারাই তোমার জাহান্নাম (মিশকাত হা.৪৯৪১)। অর্থাৎ তাদের সন্তুষ্টি জান্নাতের পথ সুগম করবে। তাদের অসন্তোষ জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিবে (মিরকাত)।

অন্য হাদীসে এসেছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিতার সন্তুষ্টি তোমার রবের সন্তুষ্টি। পিতার অসন্তোষ তোমার রবের অসন্তোষ (মিশকাত হা.৪৯২৭)।

তাবরানী ও বাযযারের বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা এসেছে (মিরকাত)। সুতরাং পরকালীন সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য পিতামাতাকে বড় প্রয়োজন।

পার্থিব জীবনের সফলতার জন্য‌ও পিতা-মাতার ভালোবাসার আশীষ নেহায়েত জরুরি। হযরত মুআজ রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিতা-মাতার সদাচারী সন্তানের জন্য সুসংবাদ, আল্লাহ তা’আলা তার জীবনের আয়ু বাড়িয়ে দিবেন। (আল আদাবুল মুফরাদ হা.২২)

অপর হাদিসে এসেছে, হযরত ছাওবান রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুআর মাধ্যমেই কেবল তাকদির পরিবর্তন হতে পারে। পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ‌ই কেবল আয়ু বাড়াতে পারে (মিশকাত হা. ৪৯২৫)।

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম আবু হাতেম সিজিস্তানী রাহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, দোয়ায় তাকদির পরিবর্তন হ‌ওয়ার উদ্দেশ্য হলো, সবসময় দুআয় নিমগ্ন থাকলে নিয়তির লিখন ব্যক্তির অনুকূলে হয়। আর আয়ু বৃদ্ধি পাওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, জীবন সুখ-সমৃদ্ধিময় হ‌য় (মিরকাত)।

যে পিতা-মাতা আমাদের দুনিয়া আখেরাতের সুখ-সমৃদ্ধির সোপান, তার প্রতি স্বভাবতই আমরা মমতাপূর্ণ ও বিনয়াবত আচরণ করবো। তবুও সহজাত এই শিষ্টাচারের প্রতি কুরআন আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমরা যেন আরো সতর্ক ও আন্তরিক হ‌ই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, .. এবং তাদের প্রতি মমতাপূর্ণ আচরণের সাথে তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবত করো এবং দোয়া করো, হে আমার প্রতিপালক! তারা যেভাবে আমার শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছে, তেমনি আপনিও তাদের প্রতি রহমতের আচরণ করুন। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

এজন্য সর্বক্ষেত্রে পিতা-মাতার সাথে আমাদের উত্তম আচরণ বজায় রাখতে হবে। কুরআনে তো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সর্বোত্তম আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ”তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না, পিতা-মাতার প্রতি সর্বোত্তম আচরণ করো, পিতা-মাতার কোন একজন কিংবা উভয় যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে উফ পর্যন্ত বলোনা এবং তাদেরকে ধমক দিও না। বরং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলো’ (সূরা বনি ইসরাইল-২৩)।

আমাদের বিনয় ও মমতা যেন কথাবার্তাতেও প্রকাশ পায়। প্রখ্যাত তাবেয়ি তাইলাসা ইবনে মাইয়াস রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, একবার আমার থেকে একটি অনুচিত কাজ প্রকাশ পায়। আমার কাছে মনে হয়, এটা কবিরা গুনাহ‌ই হবে। আমি বিষয়টি ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জানালাম। তিনি বললেন, না, এটা কবিরা গুনাহ নয়। কবিরা গুনাহ তো নয়টি… অতপর ইবনে উমর রাদিআল্লাহু আনহু আমাকে বললেন, তুমি কি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে যেতে চাও? আমি বললাম, অবশ্য‌ই। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পিতা-মাতা বেঁচে আছেন? আমি বললাম, আম্মু বেঁচে আছেন। তখন ইবনে উমর রাদিআল্লাহু আনহু বললেন, তুমি যদি তোমার মায়ের সঙ্গে বিনম্র ভাষায় কথা বলো, তাকে খেতে দাও, তবে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে (আল আদাবুল মুফরাদ হা. ৮)।

পিতা-মাতা যদি পছন্দের কিছু আবদার করে বসেন, সর্বাত্মক চেষ্টা করে তা পূরণ করা উচিত। হযরত উর‌ওয়া রাদিআল্লাহু আনহু ‘এবং তাদের প্রতি মমতাপূর্ণ আচরণের সাথে তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবত করো” আয়াতাংশের ব্যাখ্যায় বলেন, পিতা-মাতা কোন জিনিস পছন্দ করলে তা পূরণে পিছপা হবে না (আল আদাবুল মুফরাদ হা. ৯)।

মাতাপিতা বাধা দিলে বৈধ ও স‌ওয়াবের কাজ থেকেও বিরত থাকা উচিত। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, একবার এক সাহাবী এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনার হাতে হিজরতের বাইয়াত গ্ৰহণ করতে এসেছি। কিন্তু আব্বু আম্মু এজন্য কান্নাকাটি করছেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যাও, মা-বাবার কাছে ফিরে যাও। তাদের যেমন কাঁদিয়েছো, খুশি করে এসো (আল আদাবুল মুফরাদ হা. ১৯)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমের রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, জিহাদে শরীক হওয়ার মানসে এক লোক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলো। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পিতা-মাতা বেঁচে আছেন? লোকটি বললো, হাঁ, বেঁচে আছেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যাও, তাদের সেবায়‌ই নিজেকে নিয়োজিত রাখো (আল আদাবুল মুফরাদ হা. ২০)।

তবে ক্ষেত্র বিশেষ বৈধ ও স‌ওয়াবের কাজ যদি অবশ্য দায়িত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়, পিতা-মাতার বারণ সশ্রদ্ধভাবে এড়িয়ে যেতে হবে। শরীয়ত কর্তৃক অবশ্য কর্তব্য‌ই পালন করতে হবে।

কখনো পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া যাবে না। শরীয়তের দৃষ্টিতে তা অমার্জনীয় অপরাধ। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তিন গুনাহের একটি সাব্যস্ত করেছেন। হযরত আবু বাকরা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমি তোমাদেরকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুনাহের কথা বলে দিবো না? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার প্রশ্নটি করলেন। সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম সমস্বরে বলে উঠলেন, জি, অবশ্য‌ই বলে দিন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলো, আল্লাহ তাআলার সাথে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। সোজা হয়ে বললেন, তৃতীয়টি হলো মিথ্যে কথা বলা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়টি বারবার উচ্চারণ করছিলেন। তখন আমরা মনে মনে ভাবছিলাম, আহ, নবীজি যদি এবার থামতে ‘ (আল আদাবুল মুফরাদ হা. ১৫)।

অন্য হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো কঠোরতা উচ্চারণ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খোটা দানকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান ও শরাবে অভ্যস্ত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (মিশকাত হা.৪৯৩৫)

এজন্য কখনো পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া যাবে না। তবে মাতা-পিতার নির্দেশ মানতে গিয়ে গুনাহেও লিপ্ত হওয়া যাবে না। গুনাহের কাজে কারো মন রক্ষা করার সুযোগ নেই। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৃষ্টির আনুগত্য করতে গিয়ে স্রষ্টার অবাধ্য হওয়া যাবে না।

রাগের বশবর্তী হয়ে পিতা-মাতাকে কখনো গালি দেওয়া যাবে না। এমন কাজ‌ও করা যাবে না, যার কারণে মানুষ পিতা-মাতাকে গালি দিতে বাধ্য হয়। এটা বড়ই অকৃতজ্ঞ কাজ। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিতা-মাতাকে গালি দেওয়া কবিরা গুনাহ। সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম জিজ্ঞেস করলেন, পিতা-মাতাকে গালি দেওয়া কীভাবে সম্ভব? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কেউ অন্যজনের পিতা-মাতাকে গালি দিলে সেও তো গালিদাতার পিতা-মাতাকে গালি দিবে।(আল আদাবুল মুফরাদ হা. ২৭)

রাগের বশবর্তী হয়ে কখনো পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত‌ করা যাবে না। এতে আল্লাহ তাআলা নারাজ হন। তার থেকে আপন রহমতের চাদর সরিয়ে নেন। প্রখ্যাত তাবেয়ি আবুত তুফাইল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আলী রাদিআল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আপনাকে বিশেষ কিছু শিখিয়ে গেছেন, যা অন্য কাউকে শেখাননি? আলী রাদিআল্লাহু আনহু বললেন, না, এমন কিছু নেই। আমি যা শিখেছি, এই তরবারির খাপেই সংরক্ষিত আছে। অতপর আলী রাদিআল্লাহু আনহু তরবারির কোষ থেকে সহিফা বের করলেন। তাতে এও লেখা আছে, যে পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত দেয়, আল্লাহ তা’আলাও তাকে অভিসম্পাত দেন।(আল আদাবুল মুফরাদ হা. ১৭)

পিতা-মাতার অশ্রু বিসর্জনের কারণ হয়, এমন কাজ‌ও করা যাবে না। এটাও পিতা-মাতার অবাধ্যতায় গণ্য। প্রখ্যাত তাবেয়ি তাইসালা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি ইবনে উমর রাদিআল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, পিতা-মাতাকে কাঁদানো কবিরা গুনাহ ও অবাধ্যতার শামিল।(আল আদাবুল মুফরাদ হা. ৩১)

পিতা-মাতার বদদোয়া কখনো বিফলে যায় না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট বলেছেন, তিন ধরনের দুআ কবুল হ‌ওয়া নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। মাজলুমের দুআ, মুসাফিরের দুআ ও সন্তানের উপর পিতা-মাতার বদদোয় ‘ (আল আদাবুল মুফরাদ হা. ৩২)।

এজন্য আজীবন আমাদের পিতা-মাতার খেদমত করে যেতে হবে। পিতা-মাতার দুআকে পুঁজি করে জীবনের বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও তাদের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব আছে। হযরত আবু উসাইদ রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, একবার আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বসা ছিলাম। এ সময় এক সাহাবী এলেন। জিজ্ঞেস করলেন, মৃত্যুর পর পিতা-মাতার প্রতি আমার আর কোন দায়িত্ব আছে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ, চারটি কাজ করার আছে, তাদের জন্য দুআ করা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের অপূর্ণ চুক্তিগুলো পূর্ণ করা ও তাদের বন্ধু-বান্ধবকে সম্মান করা, তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে আত্মীয়তা বজায় রাখা। (আল আদাবুল মুফরাদ হা. ৩৫)

পিতা-মাতার হক যদি আমরা যথাযথভাবে আদায় করি, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে পাবো নানা প্রতিদান। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি পিতা-মাতার ব্যাপারে আল্লাহর আদেশের অনুগত হয়ে ভোর করে, সে যেন তার জন্য বেহেশতের দুটি দরজা খোলা অবস্থায় ভোর করলো। যদি পিতা-মাতা একজন থেকে থাকে, তবে যেন একটি দরজা খোলা অবস্থায় ভোর করলো। আর যে পিতা-মাতার ব্যাপারে আল্লাহর নাফরমান হিসেবে ভোর করে, সেই ভোরেই তার জন্য জাহান্নামের দুইটি দরজা খোলা থাকে। যদি একজনের ব্যাপারে অবাধ্য হয়, তবে জাহান্নামের একটি দরজা খোলা থাকে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, যদি পিতা-মাতা উভয়েই পুত্রের উপর জুলুম করে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদিও তাহারা পুত্রের উপর জুলুম করে, যদিও তারা পুত্রের উপর জুলুম করে, যদিও তারা পুত্রের উপর জুলুম করে। (মিশকাত হা. ৪৯৪৩)

অন্য এক হাদীসে এসেছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো সদাচারী সন্তান পিতা-মাতার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকায়, আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময় আমলনামায় একটি মকবুল হজ্জ লিপিবদ্ধ করেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, যদি সে দৈনিক একশবার দৃষ্টি করে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ অতি মহান। অতি পবিত্র। (মিশকাত হা.৪৯৪৪)

এছাড়াও আরও অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। এজন্য মাতা-পিতার প্রতি সব সময় আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে। তবে আমাদের পার্থিব জীবন ও পরকালীন জীবন সুখ-সমৃদ্ধিময় হবে। প্রতিদিন ভোর সকাল থেকে আমরা যে সোনার হরিণ খুঁজতে খুঁজতে সন্ধ্যায় উপনীত হ‌ই, খুব সহজেই তা ধরা দিবে। আসুন, হৃদয়ের মাধুরী মিশিয়ে উচ্চারণ করি, রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা।

The post হুমা জান্নাতুকা ওয়া নারুক! appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0/

No comments:

Post a Comment