মুহিম মাহফুজ:
‘আমার সাতটি মেয়ে। কোন ছেলে নেই। এই শূন্যতা থেকেই আমাদের একটি ছেলে প্রয়োজন।` বলছিলেন একজন পিতা। যার চতুর্থ মেয়েটিকে ছেলে হিসেবে বড় করে তুলতে চান। আসিয়া নামের মেয়েটির ভাষ্য, ‘যদিও আমি মেয়ে। তবে আমাকে অবশ্যই ছেলে হতে হবে। পরিবারের জন্য আমাকে কিছু করে দেখাতে হবে। এ কারণেই আমি বাচা পোষ হবো।’
তিন কন্যার পর আসিয়ার জন্ম। তারপর আরেকটি মেয়ে। তারপর আরেকটি। এভাবে লাগাতার সাতটি মেয়ে হলে আসিয়ার পিতা আহমেদ হামিদ আসিয়াকে ছেলে হিসেবে বড় করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে আসিয়া হয়ে যায় আসির, পরিবার তাকে গড়ে তোলে ছেলে হিসেবেই।
আসিয়া ছেলেদের পোশাক পরে। বোনদের বাড়ির বাইরে আনা-নেওয়া করে। বাজার করার মতো কঠিন কাজও করে রীতিমতো। মেয়েদের বিদ্যালয়েই পড়ে। তবে অন্য ‘বাচা পোষ’দের মতো ছেলেদের বিদ্যালয়েও পড়তে পারে। খেলাধুলাতেও আসিয়া থাকে ছেলেদের দলে। পাড়াপড়শিদের কাছে তার মেয়েত্বর কথা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু জানাজানি হতেও সময় লাগে না।
‘লোকজন আমাকে নানান কথা বলে। অনেকে ভয় দেখায়। কিন্তু আমি সেসব শুনি না। আমি গরিব। মেয়েদের জন্য আমাকে কিছু করতে হয়। কিন্তু আমার একার পক্ষে সেটা সেটা খুব কষ্টকর।’
রাশিয়ার একটি টেলিভিশনের নেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের কষ্টকর অসহায়ত্ব ও অনড় সিদ্ধান্তের কথা এভাবেই বলেন আহমেদ হামিদ।
আসিয়ার অন্য বোনেরা সকালে উঠে মার সাথে নাস্তা বানায়। আসিয়ার সেসব করতে হয় না। কোন সাধারণ আফগান মেয়ে সচরাচর জিন্স পরতে পারে না। আসিয়া পারে। ছোটবেলা থেকে ছেলে হিসেবে লালিত ও পরিচিত হতে হতে আসিয়ার মনেও নিজেকে ছেলে ভাবার প্রবণতা কাজ করে। ছোট থেকে ছেলের স্বাধীনতা ভোগ করলে অনেক মেয়ের মনেই এই প্রবণতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু বিপত্তি বাধে বয়ঃসন্ধিকালে। যখন ঢোলা শার্ট-প্যান্ট পড়েও আসিয়া নিজের নারীত্বকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। বাবা-মা তখন নিরুপায় হয়ে চান, আসিয়া আবার মেয়ে হয়ে যাক। কিন্তু দীর্ঘদিন ঘরে বাইরে সবখানে ছেলে হিসেবে চলতে অভ্যস্ত হওয়া কারো পক্ষে এটা কি সহজ কোন কথা?
বাচা পোষ কী?
পুত্রসন্তান না থাকবার কলঙ্ক মোচন করতে এবং পরবর্তী সন্তানের ছেলে হবার সম্ভাবনা প্রবল করতে কন্যাকে শৈশবকালে এভাবে ছেলে হিসেবে পালন করার আফগান প্রথাটির নাম ‘বাচা পোষ’। দারি ভাষায় ‘বাচা পোষ’ অর্থ এমন মেয়ে, যারা ছেলেদের পোশাক পরে।
কেন?
আফগানিস্তানে এমন আহমেদ হামিদ আরো আছেন। ছেলে না থাকার কারণে যারা মেয়েকেই ছেলে বানিয়ে ফেলতে চান। ছেলের অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র কারণ? নাকি পেছেনে রয়েছে কোন আকাঙ্ক্ষা?
প্রচলিত আছে যে, ট্রাডিশনাল আফগান সমাজে পরিবারে পুত্রসন্তান না থাকা একটি কলঙ্ক বা অশুভ লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়। সেই কলঙ্ক ঢাকতেই এই চেষ্টা বা অপচেষ্টা । পাশিপাশি তারা মনে করেন, এভাবে কোন মেয়েকে ছেলে হিসেবে প্রতিপালন করলে পরবর্তীতে সংসারে ছেলে হবার সম্ভাবনা বাড়ে। পরবর্তীতে পুত্রসন্তান জন্ম নিলে পূর্বতন বাচা পোষ আবার মেয়ে হিসেবে ফিরে আসে।
ইতিহাস কী বলে?
ধারণা করা হয়, শতাব্দীকাল ধরে আফগান সমাজে এই প্রথা চলে আসছে। বলাই বাহুল্য, এখনো টিকেও আছে।
ন্যান্সি ডিউপ্রি নামে একজন মার্কিন ঐতিহাসিক একটি সূত্র ধরে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, আফগান রাজপরিবারে প্রাচীনকাল থেকেই হেরেম বা অন্দরমহলের নারীদের সুরক্ষায় পুরুষ নয়, বরং পুরুষবেশী নারীরাই থাকতেন। ১৯০০ সালের শুরুর দিকে বাদশাহ হাবিবুল্লাহর সময়ের একটি ছবি থেকে তিনি এই ধারণা পেয়েছেন। তখন থেকেই মূলত প্রাথমিকভাবে বাচা পোষ প্রথার কথা জানা যায়। তারও আগে ছিলো কিনা, ভবিষ্যতের গবেষকগণই সেটা উদ্ধার করবেন।
সবাই কি পারে ফিরে আসতে?
বারো বা পনের বছর ছেলে হিসেবে অভ্যস্ত হওয়া জীবন ছেড়ে একদিন যদি হটাত করে বোরকা পড়ে মেয়ে হয়ে যেতে হয়, তখন তার জন্য কেমন হবে জীবনের সংজ্ঞা? দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততায় নিজেকে যখন সে ছেলে ভাবতে শুরু করে, তখনই যদি আরেকটা ছেলেকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়ে সাজুগুজু করে বৌ হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়, তার তখনকার অনুভুতি কি কোনো পরিমাপক দিয়ে আমরা মাপতে পারবো?
এমনই একজন বাচাপোষ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের জাহরা। ছোট থেকেই জাহরা বাচা পোষ হিসেবে প্রতিপালিত হয়েছে। ছেলেদের পোষাক পরা, ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করা, একসাথে কাজ করাসহ ছেলেমূলক তৎপরতায় কেটে গেছে তার জীবনের পনেরোটি বছর। পনেরো বছর বয়সী এ কিশোরী ইতোমধ্যে বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে গেছে, তবু সে ছেলের বেশভূষা ছাড়েনি। নারীত্ব যখন আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না, রাস্তাঘাটে ছেলেরা তখন একটু আধটু উত্যক্তও করে মাঝেমধ্যে।
তবু জাহরা সেসবে পাত্তা দেয় না। এতোদিন সে যেভাবে নিজেকে ছেলে জেনে এসেছে। মেয়েদের থেকে আলাদা থেকেছে। মেয়েদের সাথে সেভাবে তার মেশাই হয়নি বলতে গেলে। একদিনে হঠাৎ করে নিজেকে মেয়ে মনে করতে সে অস্বীকৃতি জানায়। ছেলে থাকতেই তার চেষ্টা। কিন্তু জাহরা এও জানে, নারীর শরীর নিয়ে কিছুতেই সে পুরুষ হয়ে থাকতে পারবে না। আবার পুরুষের মন ও মানসিকতা নিয়ে কোনদিনও সে মন-মননে পরিপূর্ণ নারী হতে পারবে না।
এমনই আরেকজন নাজলা তোফান। বয়ঃসন্ধি পার করে পূর্ণ তরুণী সে। এখনো চুল ছোট, মাথায় ক্যাপ। পরনে শার্ট-প্যান্ট বা পুরুষালি কাবলি পাঞ্জাবী। দিনের বেলা মেয়ে হিসেবে কাজ করে এক বিজ্ঞাপন ফার্মে। বিকেলে মেয়েদের মার্শাল আর্ট শেখায় ছেলে কোচ হিসেবে। আবার রাতে পড়ে নৈশস্কুলে। নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্য চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখছে না সে!
কিন্তু এই চেষ্টা কি সত্যিসত্যিই তাকে পুরুষ হতে দেবে? কিংবা কখনো কি সে পারবে? তবু তাকে এই খেলা খেলতে হচ্ছে। পরিবারের প্রয়োজনে স্বয়ং বাবা-মাই তাকে এই অসম্ভব খেলায় নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের রুটি-রোজগার করতে বা পরিবারের কলঙ্ক মোচন করতে গিয়ে নিজের জীবন যে একটি অসমাপ্ত প্রশ্নের সামনে এসে থমকে দাঁড়িয়েছে! এর সমাধান তাকে কে দিতে পারবে? পরিবার? সমাজ?
বাচা পোষ সমাজে আবার ভিন্ন চিত্রও আছে। সবাই যে খুশি মনে সহজভাবে ছেলে হয়ে উঠতে পারে বা এটা তার কাছে উপভোগ্য মনে হয় এমনও নয়। কিন্তু উপায় যখন থাকে না তখন তাদেরও অভিনয় করে যেতে হয় সমাজের সামনে। আর প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যেতে হয় নিজের সঙ্গে।
মীনা। আট বোন, চল্লিশোর্ধ্ব মা আর মাদকাসক্ত-বেকার পিতাকে নিয়ে মীনার সংসার। সেও একজন বাচা পোষ । মীনা স্কুলে যায় মেয়ের বেশে। স্কুল থেকে ফিরেই বাজারে সবজি বেচে ছেলের বেশে। কিন্তু মীনা ভীষণ লজ্জাবতী। ছেলেছেলে ভাব তার আসে না। একরকম জোর করেই তার মা তাকে ছেলেদের পোশাক পরান। বাইরে পাঠান। কিন্তু ছেলেদের সাথে ওঠাবসায় মীনা মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তার ঘরোয়া কাজ ভালো লাগে। কৃত্রিম ছেলেত্ব বরণ করতে ভালো লাগে না। সে অন্য আফগান মেয়েদের মতো করেই বাঁচতে চায়। কিন্তু পরিবার তাকে সে সুযোগ দিচ্ছে না।
ঘেঁটুপুত্রদের কথা মনে পড়ে?
আফগান বাচা পোষ প্রথা আর বাংলাদেশের ঘেঁটুপুত্র প্রথা কারণ বিবেচনায় আলাদা হলেও বিপরীতভাবে একরকম অভিন্নই বলা যেতে পারে। আফগানে মেয়েরা ছেলে হয়। এদেশে ছেলেরা হয় মেয়ে। বাংলাদেশে এখন আর হয় না বটে। বলা যায়, সে প্রথা উঠে গেছে। তবে আফগানে এখনো চলমান। অনেক ইতিহাসবিদ বলেন, দিনদিন বাড়ছে।
ঘেঁটুপুত্রদের দিয়ে যেভাবে জমিদার-মহাজনদের মনোরঞ্জনের আসর বসানো হতো। নাচ-গানে পটিয়সী করা হতো মেয়েরূপী ছেলেদের। মেয়েদের ছলাকলা দেখিয়ে ঘেঁটুপুত্রদের আসর মাত করার রসমাখানো গল্প যেমন আমাদের সমাজে পাওয়া যায়, তেমনই বাচা পোষদের দিয়েও আফগানে মজমা জমানোর দৃশ্য দেখা গেছে কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্রে।
ধার্মিক-সমাজ?
ইসলামপন্থী ও আলেমসমাজের কাছে এই প্রথা ঘৃণ্য ও পরিত্যাজ্য হিসেবেই বিবেচ্য। ইসলাম কোনভাবেই লিঙ্গান্তর সমর্থন করে না। এমনকি ছেলে হয়ে মেয়েদের মতো পোষাক-পরিচ্ছদ ও চলাফেরা এবং মেয়ে হয়ে ছেলের মতো আচরণ ও অনুকরণ, উভয় ক্ষেত্রেই ইসলাম কঠিনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ক্ষেত্রবিশেষ শাস্তির বিধানও ঘোষিত হয়েছে। বাচা পোষ প্রথা মেয়েদের দেওয়া আলাদা ধর্মীয় মর্যাদার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে। তবুও প্রবল ধর্মভিত্তিক আফগানে এই প্রথা শতাব্দীকাল টিকে আছে।
মানবাধিকার বা মিডিয়া?
তথাকথিত তালেবানের দেশ হলেও অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো আফগানিস্তানেও প্রগতিশীল সেক্যুলার সমাজ আছে। নারীবাদীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পৃথিবীর তাবৎ বাঘাবাঘা নারীবাদীরা আফগান নারীদের বোরকা নিয়ে রীতিমতো মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। বোরকায় নারীদের অধিকার হরণের দাবী পশ্চিমা মিডিয়া লাগাতার জারি রাখলেও এই বাচা পোষ প্রথা নিয়ে তাদের ধারাবাহিকতা সেভাবে লক্ষ্যণীয় নয়। তবে একেবারেই যে নেই, তা বলা যাবে না। সেসব আন্তর্জাতিক মিডিয়া এ নিয়ে খানিকটা কথা বলেছে, তার বেশির ভাগই পশ্চিমা। বিবিসি, এন.ওয়াই. টাইমস, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ও আরটিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা একাধিক ডকুমেন্টারি তৈরি করেছ। তবে আরব নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় তথ্যউপাত্ত তেমন পাওয়া যায়নি বলা যায়।
প্রতিবাদ ও প্রতিবাদের প্রতিবাদ
বাচা পোষ নারীদের নিয়ে বেশ কিছু তথ্যচিত্র অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায়। তথ্যচিত্রের পাশপাশি একটি পূর্ণদৈর্ঘ সিনেমাও হয়েছে এ বিষয়ে। সে সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন একজন বাচা পোষ নারী। তার নারীজীবনের শৈশবের স্বপ্ন, তারপর বাচা পোষ হবার মধ্য দিয়ে মেয়ে থেকে ছেলে হবার হাসি-কান্নার উপাখ্যান, তারপর আবার মেয়ে হবার কঠিনতম অভিজ্ঞতা এবং সে কঠিনতম সময়কে পেছনে ফেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার এক বাস্তবিক গল্পই তুলে আনা হয়েছে। এ নিয়ে লেখা হয়েছে কিছু বইও। আফগান বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নারীলেখক দুইপ্রজন্মের দুই বাচাপোষ নারীকে নিয়ে লিখেছেন একটি উপন্যাস। সে উপন্যাস পশ্চিমে প্রশংসা পেলেও আফগান সমাজ তাকে সেভাবে গ্রহণ করেনি। কয়েকজন আফগানী লেখক ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। লেখিকার কল্পনা বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
তবে বইপত্তর বা তথ্যচিত্রের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও বাচা পোষ আফগানে ছিলো এবং বর্তমানেও কমবেশি মাত্রায় চলমান, তাতে আর সন্দেহ নেই।
শুধুই আফগান?
প্রতিটি সমাজই তার অন্ধকার দিকগুলো আলোর সামনে আনতে যতোটা না তৎপর তার থেকে বেশি তৎপর থাকে আরো অন্ধকার আরোপ করে সেটা ঢেকে রাখতে। লোকে জানলেই জাত যাওয়ার ভয়ই হয়তো এক্ষেত্রে প্রধান। নয়তো শতবছর ধরে প্রবল ধর্মপ্রধান রাষ্ট্র ‘ইসলামিক রিপাবলিক অফ আফগানে’ এই প্রথা টিকে থাকতে পারে না।
শুধু আফগানই নয়, পৃথিবীর বহুদেশ ও জাতির মধ্যেই এমন অদ্ভূত বিভিন্ন প্রথা প্রকাশ্যে বা গোপনে এখনো টিকে আছে।
অধুনালুপ্ত বাংলাদেশের ঘেঁটুপুত্র প্রথা এবং বর্তমানের থার্ডজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরের কালচার খুব একটা আলাদা নয়। ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে এখনো টিকে আছে পারিবারিক পৃষ্ঠপোষকতায় অবিবাহিতা মেয়েকে জোড়পূর্বক যৌনবৃত্তিতে নিয়োগের মধ্য দিয়ে অর্থোপার্জনের মতো জঘন্য প্রচলনটিও। আফগান সমাজের ঠিক উল্টোচিত্র সেই সমাজে। মেয়েকে অভিশাপ নয়, বিবেচনা করা হয় আশির্বাদ হিসেবেই। যার মেয়ের সংখ্যা যতো বেশি, আয়রোজগারের পথ তার ততোটাই মসৃণ। ভাগ্যবান হিসেবে সমাজে তার কদরও বেশি।
রাশিয়ার কিছু অঞ্চলে চলে আসছে আরেক অদ্ভূত কাণ্ড। বিয়ের বাজার। বিবাহোপযুক্ত কন্যাকে নিয়ে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে অভিভাবকরা যান নির্ধারিত বাজারে। আসেন বিবাহ ইচ্ছুক পাত্র বা কন্যা কিনতে ইচ্ছুক ক্রেতারা। আগেকার দাসদের যেভাবে নিলামে তোলা হতো, অনেকটা সেই কায়দায় উঁচু স্থানে তুলে কন্যার রূপ-সৌন্দর্য-শিক্ষা ইত্যাদি বর্ণনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। উপস্থিত ক্রেতাদের মধ্যে সামর্থবান ব্যক্তি সর্বোচ্চ মূল্য পরিশোধ করে পছন্দমতো কন্যা খরিদ করেন।
পৃথিবীর আনাচে কানাচে এমন উদ্ভট সব রেওয়াজ রসম হয়তো এখনো চলছে। সভ্যসমাজের কাছে কিছুটা প্রকাশ পেয়েছে। অপ্রকাশিতগুলো এখনো টিকে আছে নানান ভাষাভাষী আর ধর্ম-বর্ণের মানুষের নানান জনপদে। এ কারণেই পৃথিবী তার নিজস্ব নিয়মে অদ্ভূত। বিস্ময় ও মুগ্ধতার সীমাহীন বৈপরিত্য নিয়ে পৃথিবী চলছে পৃথিবীর মতো।
নিশ্চয় এখানে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে উত্তম নিদর্শন।
The post আফগান ঐতিহ্য ‘বাচা পোষ’ : সম্ভবনার স্বপ্ন নাকি স্বপ্নভঙ্গের কাতরতা appeared first on Fateh24.
source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%ab%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%90%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b7-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d/
No comments:
Post a Comment