Friday, June 25, 2021

হুমাইরা—দিলরুবায়ে সারওয়ারে কায়েনাত( ৪র্থ পর্ব)

সুমাইয়া মারজান:

মিলনের আনন্দঘন প্রহর

ভয়, শঙ্কা আর প্রতীক্ষার প্রহরগুলো কাটিয়ে কাফেলা একটা সময়ে এসে দেখা পেলো লোকালয়ের। আনন্দে সবার মন নেচে উঠলো । এইবার বুঝি ফুরোলো পথ। খানিক বাদেই হয়তো পাবো কাঙ্খিত মানবের দেখা। কষ্টের মেঘগুলো মন থেকে সরে যাচ্ছে একটু একটু করে। কাফেলার সবার চেহারায় দেখা দিচ্ছে স্বস্তির সুন্দর আভাস। বাতাসে দুলতে থাকা কোবা পল্লির খেজুর গাছের শাখাগুলোর রেখা তাদের জন্য নিয়ে এলো আনন্দের বার্তা। আর আনবেই না কেন! এদিকে সন্তানসম্ভবা আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহার সময়ও কাছাকাছি। প্রসব বেদনার লক্ষণগুলো ফুটতে শুরু করেছে তার আপাদমস্তকে। কোবা পল্লিতে পৌঁছার পর তা সহ্যসীমার বাইরে চলে গেলে কাফেলা সেখানে যাত্রাবিরতি করলো। ঠিক সেখানেই যেখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ও আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু কিছুদিন আগে যাত্রাবিরতি করেছিলেন। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর তনয়া আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহার পরিচয় শুনে লোকজন যত্নআত্তির সর্বোচ্চটুকু দিতে চেষ্টা করলো। কোবা পল্লির সবচেয়ে অভিজ্ঞ দাইমার হাতে সঁপে দেওয়া হলো আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে। উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষায় সময় পার করতে লাগলেন কাফেলার বাকি সদস্যরা। বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। কাফেলার নতুন সদস্য জানান দিলেন তার আগমনী বার্তার। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর নাতি এসেছেন দুনিয়ায়। আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহার কোল আলোকিত করে এসেছে এক পুত্রসন্তান । কোবা পল্লিতে উৎকণ্ঠায় থাকা কাফেলার সবাই খুশি হয়ে সাদর সম্ভাষণের সাথে বরণ করে নিলেন এ নতুন সদস্যকে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার জীবনে এ বরকতময় শিশু নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করলো। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা খালা হয়ে গেলেন। এ আনন্দে তার মন ভরে উঠলো। ভাগ্নেকে কী করে আদর করবেন! কতটুকু আদর করলে তার নিজের মন তৃপ্ত হবে! ভেবে পান না যেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নিঃসন্তান থাকায় পরবর্তীতে এই আদরের ভাগ্নের নামানুসারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার উপনাম রেখেছিলেন।

পুনরায় যাত্রা করে কোবা পল্লি ছেড়ে যখন কাফেলা মদীনায় পৌঁছলো, মদীনার সবাই এলেন তাদের দেখতে। এ কাফেলার সম্মান, গুরুত্বটাই অন্যরকম। এখানে রয়েছেন সকলের প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ও নবীজির ঘনিষ্ঠজন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর পরিবার। মুহাজিরদের কাছে এ কাফেলা অন্য আরেকটি কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। কাফেলার নতুন সদস্যটিই সে কারণ। অন্যসবার আগমন ছাপিয়ে তার আগমনীতে সবার মন নেচে উঠেছে আনন্দে। তাই তাকে হৃদয়ের উষ্ণ ও শুদ্ধতম ভালোবাসা দিয়ে ডালি সাজিয়ে বরণ করলেন সকল মুহাজিরগণ।

এ পবিত্রতম শিশু সদস্য মুহাজিরদের জন্য নিয়ে এসেছিলো এক বরকতময় অধ্যায়। কারণ মক্কা ছেড়ে আসার পর মুহাজিরদের কারোর কোন সন্তান জন্ম হচ্ছিলো না। এ কারণে অনেক ইহুদি ও মুনাফিকরা বলাবলি করছিলো মুসলমানদের মদিনায় আগমন করাটা অশুভ লক্ষণ। তখন আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহার সন্তান জন্ম দেওয়াটা তাদের এইসব কথাবার্তাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিলো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামও আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহার সন্তানের জন্মের খবর শুনে খুবই খুশি হলেন। কাফেলা মদীনায় আগমন করার পরে পবিত্রতম নবজাতককে নবীজির কোলে দেওয়া হলে নবীজি তার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ। আসমা ও যুবায়েরের সন্তান আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ও আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর পরিবার এলেন মদিনায়। নবীজি তার পরিবারের জন্য মসজিদে নববীর কাছেই একটা ছোট ঘর বানিয়ে রেখেছিলেন। ফাতিমা, উম্মে কুলসুম এবং সাওদা রাদিয়াল্লাহু আনহুম এ ঘরটিতে এসে ওঠেন। আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে তখন পর্যন্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম উঠিয়ে আনেননি। তাই তিনি তার বাবা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ঘরেই থাকতে শুরু করেন।

মদিনায় মহামারীর প্রকোপ

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের হিজরতের তিনমাস পার হয়ে গেছে। মক্কা ছেড়ে মদিনায় এসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম মদিনার জীবন সবেমাত্র গুছিয়ে নিতে শুরু করেছেন। ভালোমতো থিতুও হননি মদিনায়। এর ভেতরেই দেখা দিলো নতুন এক সমস্যা। মদিনার আবহাওয়া ছিলো মক্কার চেয়ে ভিন্ন। এখানকার পরিবেশ মুহাজিরদের সাথে ঠিকঠাক খাপ খায়নি। তাই আগমনের কিছুদিন পরে মুহাজির সাহাবাগণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অপরিচিত এক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তারা। জ্বর আসে প্রায় অনেকেরই। জ্বর দীর্ঘমেয়াদি জ্বরের রূপ নেয়। মহামারীর আকার ধারণ করে। কাবু করে ফেলে সাহাবাগণকে। মুহাজির পল্লীতে নেমে আসে দুঃখের ছায়া। আবু বকর রাদিয়াল্লাহুও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়েন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু বাড়িতে গিয়ে দেখেন তার পিতা প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত। তার সাথে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন আমের ইবনে ফুহাইরা ও বেলাল ইবনে রাবাহ। জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকছেন তারা।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা পিতাকে দেখে আঁৎকে উঠেন যেন। চোখ বুজে মৃতের মতো শুকনো পাতার মতো মিইয়ে যাওয়া পিতাকে যেন তিনি কিছুতেই চিনতে পারেন না। এ কী হাল হলো আমার পিতার! তার দুচোখ ছাপিয়ে অশ্রুর বড় বড় ফোঁটা পড়তে লাগলো গাল বেয়ে। কাছে গিয়ে বললেন, আব্বা, এখন কেমন আছেন? কীরকম অনুভব করছেন?

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার এ প্রশ্ন শুনে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু জোর করে চোখ মেললেন যেন। তার চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। তার মনে হলো একটি নূর উদ্ভাসিত হয়েছে। মেয়ের কণ্ঠকে মনে হলো, দূরাগত কোন শান্তির ধ্বনি। অনেকটা অবচেতনমনে আবৃত্তি করলেন,

প্রতিটি মানুষ ভোরে স্বজনদের মাঝে জেগে উঠে
হায়! মৃত্যু তো জুতার ফিতার চেয়েও নিকটতম।

আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু কিছুই বুঝতে পারলেন না। পিতার এই অবস্থা দেখে মারাত্মকভাবে আহত হলেন। কান্না করতে লাগলেন। তারপর ব্যথিত মনে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে তাকে ঘরের অবস্থার কথা জানালেন। কারণ নবীজি সকল সমস্যার সমাধানই করে থাকেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নবীজিকে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা তো মারাত্মক জ্বরে ভুগছেন এবং নিজেরা নিজেদের সাথে অচেতনভাবে কথা বলছেন।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এমনিতেই এই মহামারী নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। প্রিয়তমা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কান্নাভেজা মুখ দেখে তার কষ্ট দ্বিগুণ বেড়ে গেলো। তিনি আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করলেন। দোয়া করলেন তাদের বিরুদ্ধে, যারা মুসলমানদের এই যন্ত্রণাময় অবস্থার জন্য দায়ী। বললেন, হে আল্লাহ! আমি উতবা ইবনে রাবিআ, শাইবা ইবনে রাবিআ, এবং উমাইয়া ইবনে খালফকে তোমার হাতে ন্যস্ত করছি। তারা আমাদেরকে আমাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে এবং এমন জায়গায় আসতে বাধ্য করেছে যেখানে আমাদের উপর ছড়িয়ে পড়েছে অজ্ঞাত রোগ। তুমি তাদের সমুচিত শাস্তি দাও।

তারপর তিনি ফিরে মুসলমানদের জন্য দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! মদিনাকে আমাদের কাছে মক্কার মতো বা তারচেয়েও বেশি প্রিয় করে দাও। এ শহরকে স্বাস্থ্যকর করে দাও, প্রাচুর্য ভরপুর করে দাও। মদিনায় ছড়িয়ে পড়া এ মহামারিকে জুহফার দিকে নিয়ে যাও।

সে রাতেই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম স্বপ্নে দেখলেন, এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী—যার মাথার চুল উশকোখুশকো—সে মদিনা থেকে বের হয়ে জুহফার পথ ধরেছে। নবীজি বুঝতে পারলেন, এ স্বপ্ন তার দোয়া কবুল হওয়ার আলামত। এরপর থেকে মুহাজিররা আর এরকম জ্বরে আক্রান্ত হননি বা মদিনার আবহাওয়ার কোন প্রতিকূলতার জন্য অন্য কোন রোগেও ভুগেননি। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ও অন্যান্য সাহাবিরা সুস্থ হয়ে গেলেন।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা মদিনায় আসার পর অসুস্থ হয়ে গেলেন। তিনি খুবই দুর্বল হয়ে পড়লেন। ছোট শরীরে দীর্ঘ সফর ও মদীনার ভিন্ন পরিবেশ সবমিলিয়ে ধকল কাটিয়ে উঠতে পারলেন না। তার শরীরের ওজন কমে গেলো। মাথার চুল পড়ে মাথা প্রায় খালি হয়ে গেলো। মা উম্মে রুমানের দুশ্চিন্তার অন্ত রইলো না। তিনি মেয়ের সুস্থতার জন্য সব রকমের তদবিরই করতে লাগলেন। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু চিন্তায় পড়ে গেলেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের মনও দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো। প্রিয়তমার অসুস্থতা তাকে ভাবিয়ে তুললো। তিনি রোজ এসে স্ত্রীকে দেখে যেতেন। উম্মে রুমানের সকল তদবিরই যেন ব্যর্থ হতে লাগলো। শেষে প্রতিবেশী এক আনসার মহিলা পরামর্শ দিলো খেজুর ও শসা একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে। উম্মে রুমান তা-ই করলেন। তার কয়েকদিন পর থেকে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার শরীর ভালো হতে লাগলো। মায়ের বিশেষ যত্নে তার শরীরের ওজনও কিছুটা বাড়লো।

রুখসতের আয়োজন

এ সময়ে মসজিদে নববী নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। জিবরাইল আলায়হিস সালাম নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আয়েশা আপনার স্ত্রী। আপনি তাকে ঘরে তুলুন। তার কয়েকদিন পরে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু নবীজিকে এসে সেই এক বিষয়ক প্রশ্নই করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি আপনার স্ত্রীকে ঘরে তুলে নিচ্ছেন না কেন? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম জবাবে বললেন, সাদাক। অর্থাৎ আমি মোহরের ব্যাপার নিয়ে ভাবছি। কারণ মোহর পরিশোধের সামর্থ্য আমার এই সময়ে নেই। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু জাগতিক সামর্থের মূল্য দিয়ে নবীজিকে মাপলেন না। নবীজির অপারগতা শোনার সাথে সাথে তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সামনে ৫০০ দিরহাম পেশ করলেন। নবীজি আনন্দিত হয়ে তা গ্রহণ করলেন ও দেরি না করে তা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।

আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর মনে পড়লো তার বেশকিছু কাজ বাকি। তিনি মসজিদে নববীর কাছে তার বাড়ি নির্মাণের কাজে হাত দিলেন এবং আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার জন্য মসজিদে নববীর লাগোয়া একটি ছোট ঘরও তৈরি করেন। ঘরটি এত ছোট যে, সেখানে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম দাঁড়ালে তার মাথা প্রায় ছাদে ঠেকে যেতো। আবার আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা ঘরের মেঝেতে বিশ্রামের জন্য ঘুমালে তাতে আর কোন জায়গা খালি থাকতো না। দুনিয়াবি বাস্তবতার দিক থেকে যদিও ঘরটি ছিল নিতান্তই ছোট এবং জাঁকজমকহীন তবু সেখান থেকে সবসময়ই বিচ্ছুরিত হতো আধ্যাত্মিকতার আলো। যা পুরো দুনিয়াকে আলোকিত ও ঈমান, হেদায়াতের সাজে সজ্জিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল।

হিজরতের পরে আটমাস পার হওয়ার পর এলো সেই কাঙ্খিত দিন। বধূবেশে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের গৃহে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার যাত্রা করার দিন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা অবশ্য এসবের কিছুই বুঝেন না। তিনি চলে গেছেন সখীদের নিয়ে খেলাধুলো করতে । উম্মে রুমান খুঁজতে গিয়ে দেখেন বাড়ির পাশে বাবলা গাছের ডালে রশি দিয়ে দোলনার ব্যবস্থা করেছেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা । সে দোলনায় মনের আনন্দে দোল খাচ্ছেন তিনি। উম্মে রুমান মনে মনে ভাবলেন, কী চপলা মেয়ে আমার ! আজকে যে তার স্বামীগৃহে যাত্রা করার দিন। আজকের দিনেও তার খেলার বিরতি নেই! এসব ভাবতে ভাবতে এগিয়ে গিয়ে হাতে ধরে মেয়েকে নিয়ে এলেন তিনি। তারপর ধুলোমাখা হাতমুখ ধুইয়ে মেয়েকে পরিপাটি করে ঘরে নিয়ে এলেন। ঘরের ভেতর ঢুকে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা চমকে গেলেন কিছুটা। বেশ লোকজন আজ তাদের ঘরে। একটা হাসিখুশি, আনন্দঘন পরিবেশ। ব্যাপার কী! এদিকে আনসারি মহিলারাও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে ঘরে ঢুকতে দেখে একসাথে সম্ভাষণের সুর ধরে বলে উঠলেন, তোমার আগমন কল্যাণময় হোক। তোমার আগমন হোক শুভ। তোমার আগমন বরকতে ভরপুর হোক।

একে তো আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তার উপর ঘরে ঢুকে এমন আচমকা সম্ভাষণ পেয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন যেন। কেন সবাই তাকে এমন সম্ভাষণ জানাচ্ছে? ঘরজুড়ে আজ কিসের আয়োজন? মনে মনে কেবলই তার প্রশ্ন খুঁজতে লাগলেন আবু বকর তনয়া আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা।

তথ্যসহায়িকা :

১.সহীহ বুখারী।
২.সহীহ মুসলিম।
৩.তাবাকাতে ইবনে সাদ।
৪.মুসনাদে আহমাদ।

The post হুমাইরা—দিলরুবায়ে সারওয়ারে কায়েনাত( ৪র্থ পর্ব) appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%93%e0%a7%9f-3/

No comments:

Post a Comment