Sunday, November 1, 2020

শহরের ৫৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী হতাশায় ভুগছে

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার কারণে ভবিষ্যৎ কর্ম নিয়ে ৬৩ শতাংশ মানুষ হতাশ। শহরের ৫৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী এই হতাশায় ভুগছে। গ্রামে এই সংখ্যা ৬৭ শতাংশ।

গতকাল রবিবার সকালে ‘কভিড-১৯ ও বাংলাদেশ : আর্থ-সামাজিক পুনরুজ্জীবনে যুব এজেন্ডা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংগঠন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ। সংগঠনটি ১৮ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ১৬৩ জনের ওপর অনলাইনে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এই জরিপ চালায়। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৬৩ জন পুরুষ, ২৯৯ জন নারী এবং একজন তৃতীয় লিঙ্গের।

জরিপে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ৩৫ শতাংশ মানুষ কাজ করছে। ৩৩ শতাংশ মানুষ কাজে ঢুকতে পারেনি। তারা কাজ খুঁজছে। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ শিক্ষা ও কাজ একসঙ্গে করছে। ৩ শতাংশ মানুষ কোনো কাজ, প্রশিক্ষণ কিংবা শিক্ষা কিছুই করছে না।

জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশই জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে তাদের আয় কমে গেছে। ৬৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে তাদের আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তবে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ এক হাজার ১৬৮ জনের মধ্যে ১২ জন বলেছে তাদের আয় বেড়েছে।

করোনার কারণে ২৮ শতাংশ মানুষ শিক্ষা ছেড়ে কাজে নেমেছে তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে। শিক্ষা থেকে ফিরে আসা এই সংখ্যার মধ্যে ৭ শতাংশ শহর বা নগরের। ২৫ শতাংশ রয়েছে গ্রামের। এ ছাড়া আরো ৮ শতাংশ মেয়ে শিক্ষাজীবন ছেড়েছে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে।

করোনার কারণে ৬৩ শতাংশ মানুষ হতাশা বা দুশ্চিন্তায় রয়েছে ভবিষ্যৎ আয়-রোজগার বা কাজের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে। শহরের ৫৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী এই একই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। গ্রামে এই সংখ্যা ৬৭ শতাংশ।

জরিপে অংশ নেওয়া ৯৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, করোনার মধ্যে তারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক অবসাদে ভুগছে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ মানুষের অবসাদ গুরুতরভাবে বেড়েছে।

করোনায় অনলাইন শিক্ষা বিষয়ে জরিপে বলা হয়, ৫৮ শতাংশ মানুষ কোনো ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আসতে পারেনি। তারা কোনো অনলাইন শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই জানিয়েছে তারা কোনো অনলাইন শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে নেই। ৩৬ শতাংশ জানিয়েছে তারা অনলাইনে শিক্ষা নিচ্ছে।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮০ শতাংশই জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা সরকারি কোনো সহযোগিতা পায়নি।

জরিপ বলছে, ৭০ শতাংশ মানুষই চায় দেশে বেকার ভাতা চালু হোক। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক। ২৩ শতাংশ বলছে এটি তিন হাজার টাকা হলেও চলে।

The post শহরের ৫৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী হতাশায় ভুগছে appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a7%ab%e0%a7%a9-%e0%a6%b6%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b6-%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a3-%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a3%e0%a7%80/

No comments:

Post a Comment