Wednesday, July 20, 2022

খুনের রাজনীতি বন্ধ ও সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

ফাতেহ ডেস্ক:

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে ‘খুনের রাজনীতি’ ও ‘ভাতৃঘাতী সংঘাত’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। পাহাড়ের আরেক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নারী সংগঠন হিলউইমেন ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা এ মানববন্ধন করেন। আজ বুধবার সকালে সন্তু লারমার কার্যালয় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সামনেই জড়ো হন তারা। মিনিট দশেকের এই মানববন্ধনে চাঞ্চল্য দেখা দেয় শহরে।

সন্তু লারমার দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির সবচেয়ে শক্ত দুর্গ হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি শহরে এবং খোদ সন্তু লারমার কার্যালয়ের সামনে আকস্মিক এই মানববন্ধন জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনারও।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৪ বছরে ইউপিডিএফের ৩৩৫ জন নেতাকর্মী ও সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সন্তু লারমারে নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির হাতে খুন হয়েছে ২৬২ জন। সবশেষ ১২ জুলাই দীঘিনালায় জীপন ত্রিপুরা ও ১৮ জুলাই অপর একজনক হত্যা করা হয়েছে। সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামের খুনের রাজনীতির জন্মদাতা, ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের জনক বলেও দাবি বক্তাদের।

বক্তারা সন্তু লারমারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনের কথা বলেন, আবার সশস্ত্র সংগ্রামও শুরু করেছেন। আঞ্চলিক পরিষদের গদি রক্ষার জন্য নিজের দলের কর্মীদের বলি দিচ্ছেন। ২০০০, ২০০৬ ও ২০১৮ সালে ভাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ ও যৌথভাবে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করতে ইউপিডিফের সঙ্গে সমঝোতা করেও তা ভঙ্গ করে আমাদের কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করছেন।

বক্তারা আঞ্চলিক পরিষদের চেয়রম্যানের পদ হতে সন্তু লারমকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিও জানান। হিলউইমেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নীতি শোভা চাকমা ও দপ্তর সম্পাদক এন্টি চাকমা ছাড়াও জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনীর দুই হাজার সশস্ত্র সদস্য। এরপর গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিদের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হওয়া সন্তু লারমা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার সেই পদে এখনো বহাল আছেন। চুক্তির পরপরই চুক্তির বিরোধিতা করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে গঠিত হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। দুই সংগঠনের বিরোধে গত দুই দশকে প্রাণ হারান উভয় সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী। এরই মধ্যে ২০০৯ সালে সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতি ভেঙে গঠিত হয় আরো একটি সংগঠন- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)। এতে করে চলমান সংঘাতে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা।

এরপর ২০১৬ সালে ইউপিডিএফ ভেঙে গঠিত হয় আরেক সংগঠন ইউপিডিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। এরপর ২০১৮ সালের পর কুকি-চীন ন্যাশনাল পার্টি এবং মগ লিবারেশন আর্মি নামে আরো দুটি পৃথক সশস্ত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে পাহাড়ে। ছয় সংগঠনের পারস্পরিক সশস্ত্র লড়াইয়ে প্রায়শই প্রাণহানী ঘটে চলেছে পাহাড়ে। ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ এক চুক্তির মাধ্যমে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহত সমিতি এবং প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ একটি সমঝোতা চুক্তিতে উপনীত হলেও সম্প্রতি ইউপিডিএফ অভিযোগ করেছে, জনসংহতি চুক্তি ভঙ্গ করে তাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করছে। আর জনসংহতি সমিতি এই চুক্তির বিষয়ে কোনো কিছুই স্বীকার বা অস্বীকার করেনি প্রকাশ্যে।

 

kalerkantho

এই র

The post খুনের রাজনীতি বন্ধ ও সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4/

No comments:

Post a Comment