Monday, September 28, 2020

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: লড়াইয়ে তুর্কি সেনারা অংশ নেয়নি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে আজারবাইজান। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সহযোগী খিকমেত গাদঝিয়েভ একে গুজব বলে উল্লেখ করেছেন। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই বৈরী প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। এই সংঘাতের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে উভয় দেশ। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হামলা চালায় আজারবাইজান। এর জবাবে আর্মেনিয়ার বাহিনী প্রতিপক্ষের দুটি হেলিকপ্টার, তিনটি ড্রোন ভূপাতিত ও তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, হামলার শিকার হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এদিন রাশিয়ায় নিয়োজিত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন, আজারবাইজানে দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক তাদের ৪০০০ সেনা পাঠিয়েছে। এ সেনারা এতদিন সিরিয়ায় নিয়োজিত ছিল। এখন তারা নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে।

এর পরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সহযোগী গাদঝিয়েভ। অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে আজারবাইজানে মোতায়েন করার গুজব উঠেছে। এটি আর্মেনীয় পক্ষের আরেকটি উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড। একেবারেই বাজে কথা।’

উল্লেখ্য,  ১৮শ’ ও ১৯শ’ শতকে আজারবাইজান নামের দেশটি পর্যায়ক্রমে রুশ ও পারস্য দেশের শাসনাধীন ছিল। রুশ গৃহযুদ্ধের সময়ে ১৯১৮ সালের ২৮ মে তৎকালীন আজারবাইজানের উত্তর অংশটি একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও মাত্র ২ বছরের মাথায় ১৯২০ সালে বলশেভিক বাহিনী এটি আক্রমণ করে আবার রুশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং ১৯২২ সালে দেশটি সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৩৬ সালে আজারবাইজান নামের সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রটি ভেঙে তিনটি আলাদা প্রজাতন্ত্র আজারবাইজান, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়ায় রূপান্তর করা হয়। মূলত তখন থেকেই আজারবাইজানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং নাগরনো-কারাবাখ এলাকার খ্রিস্টান আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।

আন্তর্জাতিক আইনে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইনের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগত আর্মেনীয়রা আজারি শাসন প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আর্মেনিয়ার সমর্থনে নিজস্ব শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছে নাগোরনো-কারাবাখ।

The post আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: লড়াইয়ে তুর্কি সেনারা অংশ নেয়নি appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a6/

No comments:

Post a Comment