Wednesday, July 1, 2020

হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা

রাকিবুল হাসান:

মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব বাংলার আধুনিক শিক্ষার সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ইতিহাসের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় পা রাখতে যাচ্ছে শতবর্ষে। শতবর্ষে পা রাখা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর পথটা মসৃণ ছিল না। বারবার হিন্দুদের ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার বাধার মুখে টিকে দাঁড়ানোটাই ছিল মুশকিল। এই বিশ্ববিদ্যালয় যেন তৈরী না হয়, এরজন্য হিন্দুরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেনি। কিন্তু ইংরেজ সরকারের দৃঢ় মনোবলের সামনে হার মানে তাদের কদর্য সব উদ্যোগ।

বঙ্গভঙ্গ রদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট

১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গে ঢাকাকে রাজধানী করে নতুন পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়। ‘বঙ্গভঙ্গ’ কার্যকর হওয়ায় সামগ্রিকভাবে মুসলমানরা সন্তুষ্ট হয়েছিলো। কেননা এর ফলে মুসলমানদের অর্থনৈতিক দুর্গতির কিছুটা লাঘব হওয়া ছাড়াও এ দেশীয় বাঙালি মুসলিম মধ্যবিত্তশ্রেণীর ক্রমবিকাশের ধারা দ্রুততর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিলো। এজন্যই নতুন প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয় ও রাজনৈতিক চিন্তাধারার বিকাশের জন্য স্থাপিত হয় ‘ঢাকা মোহামেডান প্রভিন্সিয়াল ইউনিয়ন’ নামে একটি মুসলিম প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু এই বঙ্গভঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে হিন্দুরা। কারণ তারা দেড় শতাধিক বছর ধরে ইংরেজ শাসকদের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সমর্থন দিয়ে, উপমহাদেশে সর্বাগ্রে পাশ্চাত্য শিক্ষার মাধ্যমে একটা পরিপক্ব সম্পূরক শক্তি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছিল। তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা বিলেতি পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। ১৯০৫ সালের ১৭ জুলাই বাগেরহাটে একটি বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতেই সর্বপ্রথম বিলেতি পণ্য বয়কট প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয়—যতদিন পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ রদ না হবে, ততদিন ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করা হোক। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে পরবর্তী ছ মাসের জন্য সব আনন্দানুষ্ঠান ও উৎসবে অংশগ্রহণ বন্ধ করা হোক।’

হিন্দুদের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। তাদের ক্রমাগত আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই ১৯১১ সালের পয়লা নভেম্বর দিল্লির দরবারে ঘোষণার মাধ্যমে ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়। ফলে বাংলার মুসলমান সমাজের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার ফলে সামান্য কয়েক বছরের ব্যবধানে (১৯০৫-১৯১১) তাদের মধ্যে সার্বিক যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল, বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণায় তা কর্পূরের মতো উবে যায়। তারা ভারত সরকারের কাছে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

ভারতীয় লেখক বিমলান্দ শাসমল ‘ভারত কী করে ভাগ হলো’ বইয়ে লিখেছেন, ‘১৯০৫ এর বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন সন্দেহাতীতভাবে মুছলমান বিরোধী এবং গভীরভাবে মুছলিম স্বার্থ পরিপন্থী। এই আন্দোলনের তাগিদে যেসকল সন্ত্রাসী বা বিপ্লববাদী নেতা কর্মক্ষেত্রে আবির্ভূত হলেন, তারা সকলেই ছিলেন গভীরভাবে মুছলিমন বিরোধী।’

বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর পূর্ব বাংলার বিক্ষুব্ধ ও বিমর্ষ মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্ট অসন্তোষ প্রশমনের জন্য তৎকালীন বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ পূর্ববঙ্গ সফরের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনি ঢাকা সফরে আসেন। ঐ দিনই নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক প্রমূখ মুসলিম নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করেন। বাড়লাটকে তারা বলেন, ‘বঙ্গভঙ্গের আগেও এই অঞ্চল অনুন্নত ছিল। নিপীড়িত, নিগৃহীত ছিল। কিন্তু বঙ্গভঙ্গের পর মুসলমানদের শিক্ষাদীক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা খুব ফলপ্রসূ হয়েছিলো। এখন যদি বঙ্গভঙ্গ রদ না করা হয় তাহলে পূর্ব বাংলার মুসলমানরা সবদিক দিয়ে বঞ্চিত হয়ে যাবে। তাই আমাদের দাবি—কমপক্ষে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক।

মুসলিম নেতৃবৃন্দের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯১২ সালে ২ ফেব্রুয়ারি বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করেন। একই বছর মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিস্তারিত সুপারিশ পেশ করার জন্য ‘নাথান কমিশন’ নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর এই কমিশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলা সরকারের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রদান করে। রিপোর্টে তিনটি রুপরেখা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এক—বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে সরকার নিয়ন্ত্রিত। দুই—বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে আবাসিক। ছাত্রদের জন্য আবাসিক হোস্টেল থাকবে। এবং পূর্ব বাংলার বিভিন্ন কলেজ এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিন—বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি এবং ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও হিন্দুদের বিরোধিতা

হিন্দুরা বঙ্গভঙ্গ রদ করেই থামলো না। বরং তাদের মুসলিম বিরোধী সহিংস মন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তও মেনে নিতে পারলো না। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে পড়লো। হিন্দু বুদ্ধিজীবি ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন শহরে মিটিং করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করে পাঠাতে লাগলো বৃটিশ সরকারের কাছে। এভাবে বাবু গিরিশচন্দ্র ব্যানার্জি, ডা. স্যার রসবিহারী ঘোষ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আশুতোষ মুখার্জির নেতৃত্বে তারা ১৮ বার স্মারকলিপি পাঠালো। চাপ সৃষ্টি করতে চাইলো বড়লাটের ওপর।

১৯১২ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটি হিন্দু প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলো আভ্যন্তরীন বঙ্গবিভাগের সমর্থক। তাছাড়া পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা প্রধানত কৃষক। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তারা কোনোভাবেই উপকৃত হবে না।’

১৯১২ সালের ২৮ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেটের বিপিনচন্দ্র পাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অশিক্ষিত ও কৃষক বহুল পূর্ববঙ্গের শিক্ষাদান কার্যে ব্যাপৃত থাকতে হবে। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের শিক্ষানীতি ও মেধার সামঞ্জস্য থাকবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বিরোধী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এবং রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি। বড়লাট হার্ডিঞ্জ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়য়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কিসের বিনিময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা থেকে বিরত থাকবেন। আশুতোষ বিনিময় হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি নতুন প্রফেসর পদ চেয়েছিলেন। অবশেষে চারটি পদ দিয়ে বিষয়টি দফারফা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু শিক্ষামন্ত্রীর আর্থিক বৈষম্য

শত বাধা উপেক্ষা করে ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শুরুতেই হিন্দু শিক্ষামন্ত্রীর আর্থিক বৈষম্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আর্থিক কষ্টে পড়তে হয়।

ডা. রমেশচন্দ্র মজুমদার তার আত্মস্মৃতিতে লিখেছেন, ১৯১৯ সালের নতুন আইন অনুসারে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী প্রভাসচন্দ্র মিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কমানোর নির্দেশ দেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় রিজার্ভ ফান্ডে ৫০ লক্ষ টাকা ছিল। বাংলা সরকার প্রদত্ত সরকারি ভবন বাবদ সেগুলো কেটে নেয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রতিবছর মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। ফলে শিক্ষকদের বেতন কমিয়ে দিতে হয়।

১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সরকার সে সময়ে ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। অথচ শিক্ষামন্ত্রী প্রভাস সিং এই টাকাটা সমগ্র বাংলা প্রদেশের শিক্ষা বিস্তারের জন্য বরাদ্দ দেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে হিন্দু-মুসলিম রেশিও

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর হিন্দুরা তাচ্ছিল্য করে এটাকে ডাকতো ‘মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘ফাক্কা বিশ্ববিদ্যালয়’। যেন এটা কেবল মুসলমানদের বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে কোনো মেধাবীরা পড়তে আসবে না। কিন্তু আমরা যদি তৎকালীন গঠনপ্রণালী, ছাত্রসংখ্যা, পাসের হারসহ সবকিছু বিবেচনা করি, তাহলে দেখতে পাব সেখানে হিন্দুদের হার কম ছিল না।

প্রথম একাডেমিক কমিটির ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন হিন্দু, ৮ জন ইংরেজ এবং ৫ জন মুসলমান ছিলো। ১৯২২ সালে বি.এ প্রথম শ্রেণীতে যারা পাস করেন, এরমধ্যে ৫ জন ছিল হিন্দু। এম.এ প্রথম শ্রেণীতে যে ৩ জন পাস করে; তারা তিনজনই ছিল হিন্দু।

তুলনামূলক এই আলোচনায় দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে হিন্দুদের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু তবুও অন্নদাশংকর রায় বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুসলমানদের সুবিধার জন্য তৈরী হয়েছে।’

অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমানরা ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ের নিগৃহীত, নিষ্পেষিত। ১৯০৪ সালের পূর্বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদে একজনও মুসলমান সিন্ডিকেট সদস্য ছিলো না। ১৯১৭ সালে দেখা যায়, ১১০ জন ফেলোর মধ্যে মুসলমান ছিল মাত্র ৭ জন। পাঠ্যসূচিতে হিন্দুপ্রভাব লক্ষ করা যায়। মুসলমানদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়। ১৯১৫ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির শিক্ষা সম্মেলনে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ন্ত্রণের ভারও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। অথচ সেখানে কোনো মুসলমানা সিন্ডিকেট সদস্য নেই। একশ সাধারণ সিনেট সদস্যের মধ্যে মুসলমান মাত্র ৬ জন। ১৯১৫-১৬ সালে বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, সেখানে এখন পর্যন্ত মুসলমানদের কোনো হল নির্মিত হয়নি।’

শেষকথা

‘একশ বছরের রাজনীতি’ বইয়ে আবুল আসাদ লিখেছেন, সংখ্যাগুরু হিন্দুরা মুসলমানদের কোনো ভালোই সহ্য করতে পারেনি। মুসলিম লীগ গঠন তাদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিল। মর্লি-মিন্টোর শাসন-সংস্কারে মুসলমানদের স্বতন্ত্র প্রতিনিধিত্বের সুযোগ তারা বরদাশত করেনি। বঙ্গভঙ্গের ফলে মুসলমানদের যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, তাকে তারা সহ্য করতে পারেনি। এবং সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সহ্য হলো না। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের প্রতি হিন্দু মনোভাব সবচেয়ে নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যে ‘গুরুতর বিপদ’ অবলোকন করেছে। এই গুরুতর বিপদটা কী? সেটা মুসলমানদের উন্নতি ও উত্থান। অর্থাৎ হিন্দুরা হয়ে উঠেছিল মুসলমানদের অস্তিত্বের বিরোধী। সংখ্যাগুরু হিন্দুদের উত্থিত এই সংহার মূর্তিই সেদিন মিসলমানদের রাজনৈতিক আন্দোলনে তাদের আত্মরক্ষার সংগ্রামকেই অপরিহার্য করে তুলেছিল।

সূত্র:

১. বাংলার মুসলিম চেতনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২. Report of the calcutta University Commission, page 113
৩. Report of the calcutta University Commission page: 133
৪. মেজর জেনারেল এম.এ. মতিন, বীর প্রতিক, পিএসসি/আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতা ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা, পৃ:১৮-২২
৫. দি অটো বায়োগ্রাফি অব এন আননোন ইন্ডিয়ান/নীরদচন্দ্র চৌধুরী
৬. ঢাকা প্রকাশ, ১১ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯১২
৭. ঢাকার স্মৃতি: ড.রমেশচন্দ্র মজুমদার
৮. বঙ্গভঙ্গ ও বাঙালির ঐক্য/ ড.মো. মকসুদুর রহমান; পৃ:১৪৭-১৫১
৯. একশ’ বছরের রাজনীতি: আবুল আসাদ/পৃ:৭১-৭৪

The post হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা appeared first on Fateh24.



source https://fateh24.com/%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%81-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%93/

No comments:

Post a Comment