ইবরাহীম জামিল:
ডেভিডের হাতের রূপালী ঘড়িটা বলছে এখন বেলা এগারোটা বাজে। আগুনখেয়ার কাছে চলে এসেছে ওরা। হেলেনকে কাঁধে নিয়ে মহিত শেখ পাহাড়ি পথ ধরে হেঁটে চলছে। দূর থেকে দেখলে মহিতকে ডেভিডের ভৃত্য বলে মনে হতে পারে। অবশ্য মহিতের নিজের কাছেই নিজেকে ডেভিডের ভৃত্য বলে মনে হচ্ছে।
সে যে আগুনখেয়ার হেড, এই অনুভূতি এখন আর নেই। ডেভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে হয়তো আগুনখেয়ায় পৌঁছার সাথে সাথে বড় ধরণের হাঙ্গামা বেঁধে যাবে।
হঠাৎ সেবাগীর কথা মনে পড়ল মহিতের। ছেলেটা কী করছে? না খেয়ে নেই নিশ্চয়ই। পরেশের খুড়ো বা আর কেউ ওকে না খাইয়ে রাখবে না। মহিতের নাতি বলে কথা নয়, কঙ্কার ছেলে বলে কথা। কঙ্কার ছেলেকে আগুনখেয়ার মানুষ অযত্ন করবে না। তবু মহিতের মনে সেবাগীর চিন্তা গিরিবাজ কবুতরের মতো ডিগবাজি খেতে থাকে।
পাহাড়ি পথে মহিত সেবাগীকে কাঁধে নিয়ে হেঁটে বেড়ায়। সেবাগী কাঁধের উপর নীরবে বসে থাকে। এমনিতে মহিতের হাঁটতে কষ্ট হয়, কিন্তু সেবাগীকে কাঁধে নিলে মনে হয় যেন রূপকথার কোনো রাজপুত্রকে কাঁধে নিয়েছে। তখন কষ্ট হয় না, আনন্দ লাগে।
হেলেন সেবাগীর চেয়ে পাতলা। সেবাগী মহিতের ঘাড়ে চুপচাপ বসে থাকে, কিন্তু হেলেন চুপ থাকছে না। রাজ্যের প্রশ্ন ওর মুখে খৈ হয়ে ফুটছে।
-আঙ্কেল! ওই দূর পাহাড়ে কারা থাকে? হেলেন আঙুল তুলে দেখায়।
মহিতের নিরবতা ভাঙতে ইচ্ছা করে না, তবু সে বলে, ওখানে মুরংরা থাকে?
-মুরং কী?
-মুরং হল একটা উপজাতি। পাহাড়ের এক ধরণের মানুষ।
-ওরা কী করে?
– অনেক কিছুই করে।
– একটা বল না, পাহাড়ের উপজাতিরা তো অদ্ভূত অদ্ভূত অনেক কিছুই করে। ওরা কী করে বলো না?
-কেউ মরে গেলে তাকে এক সপ্তাহ ঘরের মধ্যে ফেলে রাখে।
– এক সপ্তাহ ফেলে রাখে কেন? গন্ধ হয় না?
-কে জানে? আমি কি শুঁকে দেখেছি?
মহিতের কথা শুনে হেলেন আর ডেভিড হো হো করে হেসে উঠল। হেলেনের প্রশ্নবান আবার ছুটতে শুরু করল।
– ঘরের মধ্যে এতোদিন মৃত মানুষ রেখে দেয় কেন?
– আদর-আপ্যায়নের জন্য।
-মরা মানুষের কিসের আদর-আপ্যায়ন? তারা খেতে পারে নাকি?
-খেতে পারে কিনা বলতে পারবো না, তবে শুকর, ছাগল, মোরগ এগুলো মেরে মৃত মানুষের পাশে রেখে দেয়।
-কেন রেখে দেয়?
– মনে হয় বেঁচে থাকতে একটা শুকর আস্ত খেতে পায়নি, তাই মরে গেলে খাওয়ানোর ব্যবস্থা।
– যাহ! তুমি দুষ্টুমি করছো।
ডেভিড বুঝল, মহিতের মধ্যে বেশ রসবোধও আছে। ডেভিড বলল, মহিত! তুমি তো বাচ্চাদের সাথে ভালই গল্প করতে পারো!
মহিত বললো, বাচ্চাদের সাথে গল্প করার অভ্যেস আমার আছে। সেবাগীটার সাথেই তো আমার সারাদিনের উঠাবসা।
আগুনখেয়ায় কোলাহল নেই। সবকিছু যেন স্তব্ধ হয়ে আছে। মানুষের মন ভালো নেই। মানুষের মন খারাপ ভাবটা প্রাণীদেরকেও ছুঁয়ে গেছে। শুকরের উৎপাত বা পাখিদের কোলাহল কোনোটাই নেই। পরেশের খুড়ো মহিতের দাওয়ায় বসে গুড়গুড় করে হুক্কা টানছিল। সেবাগী তার পাশে বসে আছে। সেবাগীর চোখ ফোলা। থেমে থেমে কান্না পাচ্ছে। কিছুতেই ও মানতে পারছে না যে, দাদা ওকে একা ফেলে রেখে গেছে।
সেবাগী পরেশের খুড়োকে বললো, দাদু! সত্যি করে বলো তো, আমার দাদা কি আর ফিরে আসবে না?
প্রশ্নটা সেবাগী অনেক বার করে ফেলেছে।
পরেশের খুড়োও ধৈর্যের সাথে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে, এই তো এলো বলে! আজ কালের মধ্যেই এসে পড়বে দেখিস!
এর মধ্যেই রমেশ দৌড়ে এসে বলল, খুড়ো! দেখে যাও মহিত শেখ আসছে!
কথাটা বুঝতে সেবাগী কয়েক মুহূর্ত সময় নিল। তারপর ডুকরে কেঁদে উঠে পাহাড়ি পথের দিকে ছুট দিল।
মুহূর্তের মধ্যে খবরটা পুরো আগুনখেয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই ঘর থেকে বের হয়ে এসেছে মহিত শেখের ফিরে আসা দেখতে। মহিত শেখরা যখন চূড়ার একদম কাছে, তখন আগুনখেয়ার চূড়ায় কৌতূহলী মানুষের ভীড়। হেলেন এতো মানুষ দেখে অবাক হয়ে গেছে। ও বুঝতে পারছে না যে, এতোগুলো মানুষ ওদের জন্য দাঁড়িয়ে আছে কেন? ভীড়ের মধ্যে সেবাগীর কান্নার শব্দ শোনা গেল। মহিত শেখ ডাক দিতেই সে ছুটে গিয়ে দাদার কোলে ঝাঁপ দিল।
মহিত শেখের ঘরের সামনে বেতের মোড়া ফেলা হয়েছে। দুটো মোড়া। একটায় ডেভিড বসেছে, আরেকটায় মহিত শেখ। আগুনখেয়ার মানুষেরা তাদেরকে ঘিরে জটলা করে দাঁড়িয়েছে। বুড়োরা মাটির উপর বসে গেছে হুক্কা টানতে টানতে।
মহিত শেখ অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বসে আছে। ডেভিডের ঋজু ভঙ্গির বসা দেখেই বোঝা যাচ্ছে- মহিতের বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই সবাইকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু সবাই তার সিদ্ধান্ত মেনে নেবে কিনা সে বিষয়ে ডেভিড এখনো নিশ্চিন্ত নয়। শুরুতেই কেউ যদি বেঁকে বসে তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে। ডেভিড কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করল। তার কাশির শব্দে সবাই উৎকর্ণ হলে ডেভিড বলল, আমরা ক্লান্ত, অনেক পথ হেঁটে আসতে হয়েছে, এখন একটু বিশ্রাম নিতে চাই। সন্ধ্যার পরে সবাই একসাথে বসে কথা বলবো। কারো কি আপত্তি আছে?
কেউ কোনো কথা বললো না।
পরেশের খুড়ো ভাঙা গলায় বললো, কারো আপত্তি নেই।
ডেভিড কর্তৃত্বের সুরে জানতে চাইলো, এখন কি কারো কিছু বলবার আছে?
ভীড়ের মধ্যে মিনিটখানেক গুঞ্জন চললো, তারপর একজন বললো, আমরা চাই আপনি পরেশের খুড়োকে একটি ঘর তুলে দিন।
সবাই সমর্থন দিলো, হ্যাঁ, বুড়োর একটা ঘর না হলেই নয়।
ডেভিড বললো, আমি ঘর তুলে দেবো। তবে কথা হল, ঘর তোলার সব জিনিস আমি কিনে দেবো, তোমরা ব্যাগার খেটে তার ঘর তুলবে, কাজের জন্য
কোনো মাইনে পাবে না। রাজি?
কেউ কোনো কথা বললো না।
ডেভিডকেই বাধ্য হয়ে বলতে হল, ঠিক আছে, মাইনে পাবে। কালই ঘর তোলার কাজ শুরু করে দাও!
পরেশের খুড়োর চোখ আনন্দে জ্বলজ্বল করে উঠল। সে সলজ্জ ভঙ্গিতে বললো, আমি আর কটা দিনই বা বাঁচবো? আমার ঘর হলেই বা কি না হলেই বা কি। গাছের গুড়িতে হেলান দিয়েই তো বাকি দিনগুলো পার করে দেয়া যাবে!
শরৎ বললো, না না খুড়ো! এই শেষ বেলায় তোমাকে একটা ঘর তুলে না দিতে পারলে আমাদের বড্ড পাপ হবে!
পরেশের খুড়ো বললো, তবে যে ফ্রিতে তোমরা কেউ-ই ঘর করে দিতে রাজি হলে না কেন?
বুড়োর সাথে জোয়ানদের এক রকম কথা কাটাকাটি বেঁধে যাচ্ছিল। ডেভিড থামিয়ে দিয়ে বললো, আর কোনো কথা নয়। আমরা উঠছি।
জটলা ভেঙে সবাই ঘরে ফিরতে শুরু করল। শরতের হঠাৎ কী হল কে জানে! ঘরের দিকে পাঁচ পাগিয়ে আবার ফিরে এসে ডেভিডকে লক্ষ্য করে বললো, স্যার! আমাদের রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করুন!
শরতের কথা কানে যেতেই সবাই দাঁড়িয়ে পড়ল। একটু আগে ইংরেজ সাহেব পরেশের খুড়োর ঘর করে দিতে রাজি হয়েছেন, এখন আবার পাড়াসুদ্ধ মানুষের রাতের খাবার!!
সমরেশ ধমকে উঠলো, এই শরৎ! পেট ভরে না? সাহেবের টাকা আছে বলে একটার পর একটা দাবি করে যেতে হবে?
ধমকে অবশ্য জোর ছিল না, ইংরেজ সাহেব খাওয়াতে রাজি হলে তো আসলেই দারুণ একটা ব্যাপার হয়!
ডেভিড গম্ভীর স্বরে বললো, কী খেতে চাও?
বাচ্চা কোলে নিয়ে দুধ খাওয়াচ্ছিল যে মেয়েটা সে ফস করে বলে ফেলল, ডাল-ভাত খাওয়ালেই তো অনেক!
শুরুতে মেয়েটার দিকে কটমট করে তাকালেও পরে সবাই একমত হল, হ্যা, ডাল ভাতই হোক। বাশ-কোরোলী খেতে খেতে অরুচি ধরে গেছে। ধোঁয়া উঠা ডালের সাথে ভরপেট জুম ভাত খেতে পারার কথা ভাবলেই তো মাথার মধ্যে নেশা ধরে যায়!
সবাই ডেভিডের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, এতো দয়ালু ইংরেজ সাহেব, আর একটু দয়া কি দেখাবেন না?
ডেভিড মুখের উপর পুরোনো গাম্ভীর্য ধরে রেখে বললো, তোমরা ডাল-ভাত খেতে পাবে। তার সাথে শুকরের মাংসও থাকবে। মোটা দেখে দুটো শুকর পছন্দ করো, আমি টাকা দিয়ে কিনে নেবো!
উপস্থিত সবার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে। ওদের কান যা শুনেছে, ইংরেজ সাহেব কি তাই বলেছেন?
ওদের ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। গতকালও ওরা শুকরের মাংস খেয়েছে। আজও শুকরের মাংস খেতে পাবে? তাও দুই দুটো শুকরের মাংস?
মহিত শেখকে করতালি দিতে দেখে মুহূর্তেই আগুনখেয়ার মানুষ ডেভিডের উদ্দেশ্যে করতালিতে ফেটে পড়ল। আগুনখেয়া যেন একটি রাজ্য। সবার করতালিতে এ রাজ্যে ডেভিড নামের এক রাজার অভিষেক হল।
দুপুরের খাবার হিসেবে চিড়া আর গুড় খেয়ে ডেভিড মহিতের ঘরে মধ্যাহ্ন বিশ্রামের জন্য শুয়েছে, তখনই দুটো বিশাল সাইজের শুকর নিয়ে হাজির হল শরৎ আর সমরেশ। ডেভিড বলল, আমাকে দেখাতে হবে না, তোমরা রান্নার যোগাড় যন্ত্র শুরু করে দাও।
সেবাগী আর হেলেন মহিতের ঘরের পাটাতনে শুয়ে গল্প করতে লাগল। ওদের কথার আওয়াজে ডেভিডের ঘুম ভেঙে যাচ্ছে বারবার। কিন্তু দু-একবার ধমক দিয়েও ওদেরকে চুপ করানো গেল না।
হেলেন সেবাগীকে বলল, এই পাহাড়টা অনেক সুন্দর। তুমি আমাকে ঘুরিয়ে দেখাবে?
সেবাগী বলল, আজ বিকেলেই দেখাবো। পাহাড়ের ওই পাশে একটা ঝিরি আছে। ঝিরিতে অনেক রঙের পাথর হয়। তুই চাইলে তোকে পাথর তুলে দেবো।
-তুই করে বলে না, তুমি করে বলতে হয়।
– আমাকে তো সবাই তুই করে বলে।
– সবাই পচা বলে তোমাকে তুই করে বলে।
– সবাই পচা হলে আমিও পচা। আমি তোকে তুমি করে বলতে পারবো না।
হেলেন রাগ হয়ে অন্য দিকে ফিরে শুয়ে রইল। সেবাগী হেলেনের রাগ ভাঙানোর কোনো চেষ্টা করল না। হেলেন হার মেনে কিছুক্ষণ পর সেবাগীর দিকে ফিরল। কিন্তু ততক্ষণে সেবাগী ঘুমে অচেতন।
বিকালবেলা সেবাগী আর হেলেন ঝিরি দেখতে বের হল। হেলেন আর সেবাগীর মাঝে চোখে পড়ার মতো একটা সখ্যতা গড়ে উঠেছে। অবশ্য সেবাগীর এতে কোনো ভূমিকা নেই। ঝিরির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হেলেনই তাকে বলেছে, এই আমার হাতটা ধরে হাঁটো না!
সেবাগী রুক্ষ স্বরে বলেছে, তোর হাত ধরে হাঁটতে হবে কেন?
হেলেন জিবে কামড় দিয়ে বললো, ছিহ! তুই করে বলতে হয় না, তুই করে বলে অভদ্র ছেলেরা। তুমি কি অভদ্র ছেলে?
– আমি অভদ্রও না, ভদ্রও না। আমি সেবাগী।
– সেবাগী ভদ্র ছেলে। এবার আমার হাত ধরো। আমি হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে পারি।
সেবাগী হাত ধরল।
প্রথমদিকে হেলেনের বাচালপনায় সেবাগী বেশ বিরক্ত হল। সেবাগী ছোট হলেও তার মধ্যে ছোট্ট একটু গাম্ভীর্য আছে। এই গাম্ভীর্যটুকু ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছে হেলেন। সেবাগী ভাবলো, হাত ধরেছে ঠিক আছে, কিন্তু ওর সাথে এতো কথা বলবে না।
আগুনখেয়ায় সবাই ওর বড়। সবাই ওর উপর খবরদারী করে। কিন্তু হেলেন যেহেতু ওর ছোট, তাই হেলেনের উপর খবরদারি করার অধিকার সে রাখে। হেলেনের সাথে বেশি কথা বললে এই অধিকারটুকু সে হারিয়ে ফেলবে।
পথের ধারে মেঘদলের মতো সাদাফুল। হেলেন হাত দিয়ে ছিঁড়তে গিয়েও থেমে গেল।
সেবাগীকে বললো, সেবাগী! ওটা কী ফুল?
-বিজু ফুল
-আমাকে একটা বিজু ফুল ছিড়ে দাও না!
-তুই ছিড়ে নিতে পারিস না?
-আবার তুই করে বলছো! তুই করে বলে অসভ্য ছেলেরা, তুমি অসভ্য না।
-আমি ফুল ছিড়ে দিতে পারবো না।
-কেন?
-তোর হাত আছে না?
-আবার তুই করে বলছো? আমি কিন্তু কেঁদে ফেলবো!
-আচ্ছা তুমি করে বলবো, কিন্তু আমাকে তোর আপনি করে বলতে হবে!
হেলেনের দম ফেটে হাসি আসছিল। জোর করে সে হাসি আটকে বললো, আচ্ছা মিস্টার সেবাগী, আমাকে একটা ফুল ছিড়ে দিন না!
সেবাগী গম্ভীরভাবে কতগুলো বিজুফুল ছিড়ে তোড়া করে হেলেনের হাতে দিতেই হেলেন হাসতে হাসতে মাটিতে পড়ে গেল।
সেবাগী রেগে গিয়ে বললো, তুমি হাসছো কেন?
হেলেনের হাসি তাতে কমলো না। সে হাসতে হাসতেই বললো, তোমাকে আপনি করে বলতে হবে? তুমি কি লাট সাহেব?
সেবাগী বুঝতে পারল, তাকে অপমান করা হচ্ছে। সে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, তুই আমাকে ঠকিয়েছিস!
-তুমি একটা বুদ্ধু, তোমাকে ঠকানো লাগে নাকি? তুমি এমনিতেই ঠকে থাকো।
সেবাগী কিছু বলতে গিয়েও পারল না। অপমানে কেঁদে ফেললো। তারপর কি মনে করে সেবাগী হঠাৎ বাড়ির দিকে ছুট দিল। হেলেন পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে বললো, সেবাগী দাড়াও! আমি পায়ে ব্যথা পাচ্ছি।
সেবাগী চিৎকার করে বললো, আমি তোর সাথে আর কখনো কথা বলবো না, কক্ষনো না।
The post আগুনখেয়া (৪র্থ পর্ব) appeared first on Fateh24.
source https://fateh24.com/%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a7%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac/
No comments:
Post a Comment