আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের অনলাইন এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগে গুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক ডজন মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই উগ্র ডানপন্থি গ্রুপগুলোর সদস্য। বলা হয়েছে, এসব গ্রুপের মধ্যে রয়েছেন বজরং দল কর্মীরাও।
গুরগাঁওয়ের ১২-এ সেক্টরে একটি প্রাইভেট প্রপার্টিতে শুক্রবার শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করছিলেন মুসলিমরা। কিন্তু জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে তাতে বাধার সৃষ্টি করা হয়। এমনিতেই ওই এলাকায় হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মুসলিমরা এদিন যখন নামাজ আদায় করছিলেন তখন বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও।
মুসলিমরা কোথায় নামাজ আদায় করতে পারবেন তা নির্ধারণ করে গুরগাঁও জেলা প্রশাসন ৩৭টি স্থানকে নির্দিষ্ট করে দেয়। তার মধ্যে ৪৭ এবং ১২-এ সেক্টর দুটি রয়েছে। একই রকম উত্তেজনার প্রেক্ষিতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এসব স্থানকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে গত সপ্তাহে ৪৭ নম্বর সেক্টরে বিক্ষোভ হয়। এরপরেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এমএল খাত্তার সাংবাদিকদের বলেছেন, সবারই প্রার্থনা করার অধিকার আছে। কিন্তু যারা প্রার্থনা করছেন তাদের উচিত হবে না সড়ক চলাচল বন্ধ করে দিয়ে তা করা। তিনি আরও বলেন, কারও উচিত হবে না ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া অথবা অন্যের প্রার্থনায় বিঘ্ন ঘটানো। জেলা প্রশাসন যেসব স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেখানে যদি তারা নামাজ আদায় করেন, তাহলে তো তাতে বিঘ্ন ঘটানো উচিত নয়। বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি ভালোভাবে মোকাবিলা করছে।
৪৭ নম্বর সেক্টরে চার সপ্তাহ ধরে এমন প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, তারা আরও দাবি করেছেন যে, ওই স্থানে একদিনে একবার মাত্র নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কয়েক সপ্তাহে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল খোলা স্থানে ‘নামাজ বন্ধ কর’ লেখা প্ল্যাকার্ড। দাবি তোলা হয়েছিল ‘মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় কর’।
গত সপ্তাহে এসিপি আমান যাদব বলেছেন, সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। তা সত্ত্বেও তারা সমাধান বের করার চেষ্টা করছেন। ওদিকে কেন্দ্রীয় সামাজিক বিচার বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী কৃষাণ পাল গুরজার বলেছেন, যদি নামাজের জন্য ওই স্থানগুলো অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে নামাজের জন্য তা ব্যবহার অবশ্যই করতে দেয়া উচিত।
উল্লেখ্য, এমপি অনন্ত কুমার হেজ সহ বিজেপি’র কিছু সিনিয়র নেতার হতাশাজনক মন্তব্যের কারণে গুরগাঁওয়ে এই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ওইসব নেতারা এমনও বলেছেন, মসজিদ থেকে দেয়া আজান শব্দ দূষণ ঘটাচ্ছে।
The post গুরগাঁওয়ে মুসলিমদের নামাজে বাধা: কী ঘটছে সেখানে? appeared first on Fateh24.
source https://fateh24.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be/
No comments:
Post a Comment